শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা করার জন্যই লিটলম্যাগের জন্ম নয়: নভেরা হোসেন নেলীর সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Feb 9, 2014 3:20:11 PM

প্রকাশিত বই:

কবিতা:

হারানো দোকান এল দরাদো (জনান্তিক ২০০৯), একজন আঙুল শুধু হেঁটে বেড়ায় ( সংবেদ ২০১০), আর কারনেশন ফুটল থরে থরে ( শুদ্ধস্বর ২০১৩)।

গল্প:

পেন্ডুলাম ও শিশুর দোলনা ( শুদ্ধস্বর ২০১১)।

সম্পাদনা:

যৌথভাবে পিয়াস মজিদের সাথে- নির্বাচিত কবিতা: শামীম কবীর

দুপুর মিত্র: লিটলম্যাগের সাথে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার সম্পর্ক থাকতেই হয় বলে মনে করেন কি? হলে কেন?

নভেরা হোসেন নেলী: প্রশ্নটির মধ্যে একটা আরোপিত উত্তরও যেন আছে।

লিটলম্যাগের সাথে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার সম্পর্ক আছে কি নেই তা নির্ভর করে লিটলম্যাগের চরিত্র কি ধরণের তার উপর। বিশ্বের নানা দেশের সাহিত্য চর্চার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় কবি সাহিত্যিকরা রাষ্ট্রযন্ত্র বা শাসক শ্রেণীর বিপরীতে নিজেদের অবস্থানকে দাঁড় করানোর জন্য এবং গৎবাঁধা সাহিত্য চর্চার বিপরীতে লিটলম্যাগাজিন প্রকাশ করে থাকেন। লিটলম্যাগাজিন তেমনই একটি বাস্তবতা। নিউজ পেপার বা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা হতে লিটল ম্যাগাজিনের পার্থক্য মূলত চারিত্রিক। একদল কবি, শিল্পী বা লেখক নিজেদের আইডিওলজিকে ভিত্তি করে প্রধাণত নিজেদের অর্থ ব্যায়েই লিটলম্যাগাজিন প্রকাশ করে থাকেন। সাহিত্যিকরা স্বাধীনভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রযন্ত্রশাসিত নিয়মতান্ত্রিক আবহের মধ্যে থেকে যখন লেখালেখি করতে চাননা তখনই তৈরি হয় লিটল ম্যাগ। সে অর্থে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা করার জন্যই লিটল ম্যাগের জন্ম নয় বরং প্রতিষ্ঠান, গৎবাঁধা সাহিত্য চর্চার আবহ থেকে বেড়িয়ে নিজেদের সৃষ্টি কর্মকে একটা আলাদা প্লাটফর্ম থেকে প্রকাশের তাগিদেই লিটল ম্যাগের জন্ম, চর্চা। তবে যে স্পিরিট থেকে একেকটি লিটল ম্যাগের জন্ম হয় তা পরবর্তী সময়ে ঐ লিটল ম্যাগের মধ্যে কনটিনিউ নাও হতে পারে। কারণ যে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান হতে লিটল ম্যাগের জন্ম হয় লেখকদের সে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে তবে লেখকরা তাদের আইডিওলজির পরিবর্তন ঘটালেও লিটল ম্যাগাজিনের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তিত নাও হতে পারে। লিটলম্যাগ মূলত কবি, লেখকদের ভেতরকার তেজী, স্বাধীন, নির্মাণধর্মী সত্তাকে প্রকাশ করার মাধ্যম। একবার নিভে গেলেও আবার যে কোনো সময়েই লেখকদের ভেতরকার তেজটুকু জ্বলে উঠতে পারে। বোদলেয়ার, আ্যলেন গিনসবার্গ থেকে শুরু করে পশ্চিম বাংলার হাংরি জেনারেশন, সুবিমল মিশ্র, বাংলাদেশের অসংখ্য লিটল ম্যাগাজিনের কবি, সাহিত্যিকরা সকলেই লিটল ম্যাগাজিনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে ছিলেন। পরে লিটলম্যাগাজিনে থেকে বা তার থেকে বেড়িয়ে নিজস্ব কন্ঠস্বরে লিখতে শুরু করেন।

দুপুর মিত্র: আপনার কাছে কবি হয়ে ওঠা বিষয়টা কি?

নভেরা হোসেন নেলী: কবি হয়ে ওঠা একটা প্রক্রিয়া। ব্যক্তির ভেতরকার স্বতস্ফূর্ত প্রকাশের একটি মাধ্যম হচ্ছে কবিতা। চেষ্টা করে হয়তো দু-চারটে কবিতা লেখা যায় কিন্তু কবি হয়ে ওঠা কঠিন। সৃজনশীল ব্যক্তির ভেতরে বেড়ে ওঠে একজন কবি। নানা অন্তর্দ্বন্দ্ব, মানসিক যন্ত্রণা, আনন্দ, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ, সর্বোপরি সংবেদনশীলতার ধনাত্মক প্রকাশ ঘটার মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় একজন কবি। কবি হয়ে ওঠাটা কোনো শর্তসাপেক্ষ বিষয় নয়। কবিতা না লিখলেও অনেকের মধ্যে কবিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। কবি হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটা কখনো শেষ হয়ে যায় না। শারীরিক বয়স দিয়ে কবিকে পরিমাপ করা যায় না, কবি হয়ে ওঠেন পরিণত মানসিক বিকাশের এক চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

দুপুর মিত্র: কবিতা কি?

নভেরা হোসেন নেলী: কবিতা সময়ের এক বিমূর্ত প্রকাশ। তবে কবিতা কখনো কখনো মূর্ত হয়ে ওঠে। জড় ও জীব জগতের সম্পর্কের আলো-আধারীময় স্পেস হচ্ছে কবিতা, অথবা বলা যায় প্রকৃতির সাথে মানুষের, মানুষের সাথে জড় জগতের, প্রকৃতির সাথে প্রকৃতির এই রসায়নগুলোই কবিতা। ভাষা মূলত শব্দ, বাক্য, স্তবক, ছন্দ ইত্যাদির মাধ্যমে এই সম্পর্কগুলোকে, অনুভূতিগুলোকে অনুবাদ করে থাকে যাকে কবিতা বলা হয়ে থাকে। একটা চিত্রকল্প, দৃশ্য, অনুভূতি কবির মনে দ্যোতনা তৈরি করে কবিতার সৃষ্টি করে । আবার বিপরীতভাবে বলা যায় শব্দ, বাক্য, ছন্দের কোলাজ পাঠ করে মনে একটা দ্যোতনা বা অনুরণনের জন্ম হলে তাকে কবিতা বলা যেতে পারে। অথবা বলা যায় সব অব্যক্ত কথাগুলোই কবিতা, যা ব্যক্ত হলো তার মধ্যে কবিতা কমে গেল, সত্যিকারের কবিতা হারিয়ে গেল ভাষার শৃঙ্খলে, কবির মনের অভিঘাতে।কবিতা এক পরম অভিব্যক্তি যেখানে বাস্তব পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে কল্পনার পৃথিবী, পরাবাস্তব পৃথিবী।একজন চিত্রকরের হাতেও কবিতা মূর্ত হয়ে ওঠে আবার ফ্রানজ কাফকার গদ্যগুলোও কবিতাই।

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক বাংলা কবিতার প্রবণতাগুলো কি?

নভেরা হোসেন নেলী: সমসাময়িক বাংলা কবিতা বলতে কি বোঝাতে চাইছি সেটা আগে নির্ণয় করা জরুরী। যদি ধরা যায় স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের এবং সমসাময়িক কালের পশ্চিম বাংলার কবিতা। কঠিন প্রশ্ন! সমসাময়িককালে সমাজ, রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে যা কবির মননে বিরাট প্রভাব রেখেছে। বদলে গেছে কবির ভাষা, কবিতার কনটেন্ট, প্রকাশের ধরণ। সমসাময়িককালের বাংলা কবিতা পাঠ করলে প্রথমে যে বিষয়টা চোখে পড়ে তা হচ্ছে গদ্য কবিতার চর্চা, ছন্দের প্রথাগত জগত ছেড়ে বর্তমান বাংলা কবিতা প্রবেশ করেছে গদ্য কবিতার জগতে। এখনকার কবিতায় চিন্তা জগতের বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে। ধারনাগত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য। নারী-পুরুষ সম্পর্কিত সামন্ত এবং পুরানো ধারনাগুলো পাল্টে যেতে শুরু করায় কবিতার কনটেন্টে এ বিষয়ের ব্যবহারে অবিস্মরনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। সমসাময়িক কবিরা পৃথিবীকে নগ্নভাবে কাটা-ছেঁড়া করে তুলে আনছেন অন্তর্দ্বন্দ্বময় সাংস্কৃতিক মানুষটিকে সেই সাথে বায়োলজিক্যাল মানুষটিকেও, পৃথিবীর সাথে তার জটিল রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্কটিকে। সাইবার জগতের অবিস্মরনীয় উন্নয়ন ঘটায় একজন কবির পৃথিবী চলে আসছে হাতের মুঠোয়। জটিল পৃথিবীর মতোই দিন দিন জটিল হয়ে যাচ্ছে কবিতার কনটেন্ট, প্রকাশভঙ্গি। কবি এখন বিশ্ব নাগরিকের চোখে পৃথিবীকে দেখেন আর কবিতায় সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশ। বাংলা কবিতায়ও এ প্রবণতাগুলো লক্ষ্যনীয়। প্রতীকের ব্যবহার, অলঙ্কার এগুলো অনেকক্ষেত্রে কমে এসেছে। বরঞ্চ বাংলা কবিতা হয়ে উঠেছে অনেক নির্ভার, ঋজু হয়তো সেইসাথে কবিতার ভেতরকারও অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। কবিতা হয়ে উঠেছে বিমূর্ত, নিঃসঙ্গ, যন্ত্রণাদগ্ধ।

দুপুর মিত্র: সাহিত্য আন্দোলন কি কবিতাকে পরিবর্তন করে?

নভেরা হোসেন নেলী: সাহিত্য আন্দোলনের একটা স্পিরিট থাকে, একটা দুয়েন্দে থাকে, কবিরা সেই স্পিরিটটাকে বহন করে চলেন তাদের কবিতায়। সেক্ষেত্রে সাহিত্য আন্দোলন একটা বড়োসড়ো ভূমিকা রাখে কবিতায়। প্রধানত এ আন্দোলনগুলো পুরাতন নিয়ম, চিন্তা, প্রকাশের ধরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নতুন কথাবার্তার সূচনা করে, যা হয়তো অনেকক্ষেত্রেই চটকদার মনে হতে পারে বা আরোপিত মনে হতে পারে। সাহিত্য আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কবিরা যদি আন্দোলনের স্পিরিটের সাথে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত না হতে পারেন তাহলে কবিতায় সেটা প্রকাশিত হতে বাধ্য। সাহিত্য আন্দোলনের মাধ্যমেই যে খুব বেশি শিল্পোত্তীর্ণ সাহিত্য রচিত হয়েছে তা নয়। এই আন্দোলনগুলো লেখকের ভেতরের জড়তা, পিছুটানকে সমালোচনা করতে শেখায়। তবে সাহিত্য আন্দোলন কবি বা লেখকের মানসিক জগতে প্রভাব রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে ধনাত্মক প্রভাবের সাথে সাথে একপেশে ঋনাত্মক প্রবণতাও তৈরি করে দিতে পারে।

দুপুর মিত্র: আপনি কিভাবে কবিতা লেখেন?

নভেরা হোসেন নেলী: কবিতা লেখার কোনো শর্ত বা নিয়ম সে অর্থে নেই। আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। হয়তো কোনো ইন্সপিরেশন কবিতা লিখিয়ে নেয়, অনেকটা ভূতে পাওয়ার মতো সম্মোহনের তৈরি হয় মনের মধ্যে। হয়তো কোনো একটা বিষয়, মানুষ, দ্বন্দ্ব, অনুভূতি মনকে আবিষ্ট করে আছে তারই একটি কন্টিনিউয়েশন কবিতা। স্মৃতি বা বিস্মৃতিই কবিতা। যা মনে আসে বা যা ভুলে যাই তাই কবিতা।

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক বিশ্ব কবিতা নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

নভেরা হোসেন নেলী: সমসাময়িক বিশ্ব কবিতাও অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে। পূর্বের কাসিক যুগের কবিতাকে ছাড়িয়ে বর্তমান কবিতা হয়ে উঠেছে অনেক বেশি গদ্য নির্ভর জটিল এবং বৈশ্বিক। একজন লেবানিজ কবির কবিতাকে খুব সহজেই বাংলা অঞ্চলের অনুসঙ্গের সাথে মেলানো যেতে পারে। আর্ন্তজাতিকতা এবং আঞ্চলিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক কনটেক্সট আধুনিক কবিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইয়েটস, এলিয়েট, কোলরিজদের কবিতাকে ছাড়িয়ে সমসাময়িক বিশ্ব কবিতা হয়ে উঠছে অনেকটা ব্রাত্যজনের মুখের ভাষার। মান ভাষায় নয় বরঞ্চ সাধারণ মানুষের মুখের ভাষায় কবিতা লেখা হচ্ছে, কবিতার কনটেন্টেও উঠে আসছে তারা। তবে আমি কবিতার তুলনায় বিশ্বাসী নই। ভিন্ন ভিন্ন সময় এবং প্রেক্ষিতে লেখা হয়ে থাকে আলাদারকম সাহিত্য, তার মেজাজ ও রুচিও হয়ে থাকে স্বতন্ত্র।

দুপুর মিত্র: আপনার লেখালেখির শুরু কবে থেকে?

নভেরা হোসেন নেলী: লেখালেখির শুরুটা কৈশোরে তবে লেখা ছাপা হয় অনেক পরে, ২০০০ সালেরও পর থেকে...

দুপুর মিত্র: আপনি কিভাবে কবিতা লেখেন? কবিতা লিখতে আপনার কত সময় লাগে?

নভেরা হোসেন নেলী: এর কোনো নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই। কোনো কবিতা অল্প সময়ের মধ্যেই লেখা হয়ে যায়, ঐ বিষয়টার সম্মোহনটা যতক্ষণ থাকে সেই সময়ের মধ্যে লেখা হয়ে যায়। আবার অনেক সময় কোনো কবিতার কয়েক লাইন লেখার পর অনেক সময় পার হয়ে যায়। এক বছর পর বা তারচেয়ে বেশি সময় পর কোনো কবিতা শেষ করেছি এমনও হয়েছে। তবে এ ধরনের বিষয় খুব কম ঘটে।

দুপুর মিত্র: আপনি সাধারণত কোথা থেকে কবিতা লেখার বিষয় খুঁজে নেন?

নভেরা হোসেন নেলী: কবিতা লেখার জন্য কোনো বিষয় খুঁজে নেই ব্যাপারটা এমন নয়। হয়তো কোনো ঘটনা, মানুষ, প্রকৃতি, সম্পর্ক, মানসিক দ্বন্দ্ব, সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মনে একটা অভিঘাত তৈরি করল তারই ধারাবাহিকতায় লেখা হয়ে যায়। এটা সত্যি লেখার বিষয়টা অনেকটা ম্যাজিক্যাল। পরিকল্পনা করে, ছক কেটে হয়তো গল্প, উপন্যাস লেখা শুরু করা যায় কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে তেমন বিষয় ঘটে খুব কম। আরোপিত কবিতা পড়লেই বোঝা যায়। স্বতঃস্ফূর্ততাই কবিতার প্রাণ। প্রতিটা শব্দ, অক্ষর, স্তবক নেশার মতো মনে চেপে বসে। অনেকটা হিপনোটিজমের মতো। যতক্ষন পর্যন্ত ঐ লেখাটা না হয় ততক্ষণ অসুস্থ বোধ করি। লেখার পর মনে নিদারুণ আনন্দ হয়, তবে কখনো কখনো লেখা শেষ হওয়ার পর বিষাদ চেপে বসে মনে। দীর্ঘদিন লেখার ধারে কাছে ঘেষতে পারি না। কবির জন্য পাঠক জরুরি কিন্তু একটা কবিতা লিখে কবি যে আনন্দ বা বিষাদ এক্সপেরিয়েন্স করেন তা তাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায় সেখানে সে পৃথিবীর এবং নিজের শাসনকর্তা। কোনো স্তুতিই কবির প্রয়োজন হয় না, নিজের সৃষ্টির অনুভূতি তাকে করে তোলে অনন্য।

দুপুর মিত্র: একটি কবিতা লিখতে আপনার কেমন সময় লাগে?

নভেরা হোসেন নেলী : সময়টা আপেক্ষিক।

দুপুর মিত্র: কবিতা লেখার জন্য একজন কবির কি ধরণের প্রস্তুতি দরকার বলে মনে করেন?

নভেরা হোসেন নেলী: আমার মনে হয় একজন কবির প্রস্তুতিটা চলে ভেতরে ভেতরে। কবি তার প্রতিদিনকার জীবন যাপনের মধ্য দিয়েই লেখার জন্য তৈরি হয়ে ওঠেন। তার পড়াশোনা, পর্যবেক্ষণ, মানুষ ও প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক, দ্বন্দ্ব এসবই কবিতার জন্য তাকে তৈরি করে। প্রস্তুতি দরকার তা নয় ঠিক প্রস্তুতি থাকে বলেই সে কবি হয়ে ওঠে আর তা চলে প্রাকৃতিক নিয়মে...