বাংলা কবিতায় যুগ্ম বৈপিরীত্যযুগলের সার্থক প্রবক্তা আমি: মাদল হাসানের সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Aug 31, 2013 10:10:40 AM

জন্ম : ২১ ডিসেম্বর ১৯৭৬।

প্রকাশিত কবিতার বই : কান্নাদায়গ্রস্ত (২০০১), অন্ধ অক্ষরগুলো (২০০৩), ঘুম এক নিঃশর্ত প্রেমের দেশ (২০০৬), বিস্মরণগড়ের বার্তা (২০০৮), হাওয়াহ্রেষা (২০০৯), পাথরের পাঠশালা (২০১০), লিখেছো রচনাহীন (২০১১)।

প্রকাশিত গল্পের বই : উপনামের উৎসব (২০১০)

সম্পাদিত কাগজ : বোধ।

দুপুর মিত্র: এক সময় ঢাকার প্রায় সব পত্রিকা আর লিটলম্যাগে ছাপা হত আপনার কবিতা। দীর্ঘদিন আপনি ঢাকার বাইরে। লেখাও আপনার তেমন কোথাও ছাপতে দেখি না। আপনি মনে করেন ঢাকায় লেখালেখি হয় বলেই বিভিন্ন জায়গায় লেখা ছাপা হয়? না কি মফস্বলে লেখা হয়, কিন্তু সামাজিক মূল্য কমে যায় বা কমিয়ে দেওয়া বলে লেখা কোথাও ছাপা হয় না? একটু বলবেন এসব নিয়ে?

মাদল হাসান: এক সময় না এখনও ছাপা হয়। আপনি জানেন না বা না জানার ভান করেন। কোনদিনই না চাইলে লেখা দেই না। পেটে গু থাকলে যেখানে খুশি হাগা যায়। আমি তো সামাজিকভাবে অনেক মূল্য পাই। অন্যকে মূল্য দেবার মালিকও মনে করি। আমি স্বীকৃতিদাতা। যেহেতু কর্তাভজার দেশ।

দুপুর মিত্র: আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় বাংলা কবিতায় কি বিশেষ আপনি সংযোজন করেছেন যা আগে কখনও কেউ করেনি; তাহলে কি বলবেন?

মাদল হাসান: বাংলা কবিতায় যুগ্ম বৈপিরীত্যযূগলের সার্থক প্রবক্তা মনে করি নিজেকে। কবিতার ধারা বিবর্তনে এই ফল ফলেছে। এছাড়া আমি অনেকগুলো ভাষায় কবিতা লিখেছি। ভিন্ন ভিন্ন কাব্যগ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা। কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আছে। ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের চর্চা করেছি। বাংলায় হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙ্গালির মৌল ধর্মকে কাব্যায়িত করেছি। ইত্যাদি।

গল্পের ক্ষেত্রে বঙ্কিম প্রবচনের সঙ্গে তৎসম মিশিয়ে ছিলেন। আমি প্রবচন, স্ল্যাং, দলিত ভাষা, সত্যিকারের বাংলাদেশ এবং একটি গ্লোবাল ভিলেজকে উপস্থাপন করেছি। নেশার জগত, ভক্তিবাদী মানুষের মন, অন্ধকার জগত, মুক্ত প্রেম, মূল্যবোধ ইত্যাদি আমার কবিতা ও গল্পের নতুন সংযোজন।

দুপুর মিত্র: বাংলা কবিতা ও গল্পে আপনার বিশেষ কাজ কি যা আপনি বলতে গৌরাবান্বিত বোধ করেন?

মাদল হাসান: আপনি এক প্রশ্ন কয়েকবার করেছেন অর্থাৎ আমি কত বড় অবদানব।

দুপুর মিত্র: কবিতায় কি রাজনীতি হয়? যেমন ধরেন কারও কবিতা ছাপানো না ছাপানো? এতে কি বিশেষ কিছু লাভ হয়? লাভগুলা কি রকম? রাজনীতিটা কি রকম?

মাদল হাসান: বর্তমান সাহিত্যের অবদান ও অর্জন অনেক। আশির দশক, নব্বই, শূন্য যা করেছে তা অতুলনীয়। কাজ হচ্ছে এবং আরও হবে।

লেখার ক্ষেত্রে লেখাই প্রধান। কবি আর লবি এক কথা নয়।

দুপুর মিত্র: কবি জায়গাটিকে কি দখল করা যায়?

মাদল হাসান: জোর করে কবি হওয়া যায় না। কবিতা কোনও দখলের ব্যাপার না। মন দখল করা যায় না, জয় করা যায়।

দুপুর মিত্র: কবিতাযাপন নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

মাদল হাসান: কবিতা না লিখেই কবিতার মত কিছু ছাপানো উচিত না। কোথাও লেখার আমন্ত্রণ পেলে সেরা লেখা দিতে হবে। নিয়মিত লিখতে হবে। নিজের এবং অন্যের ভাল লেখা চেনার বিচার ক্ষমতা থাকতে হবে। রুচির সমগ্রতা থাকতে হবে। এটা রাজনীতি নয়। বস্তু জ্ঞান ও আত্মজ্ঞান আর রাজনীতি মানে চিন্তা। ধন্যবাদ।