অলোক বসুর স্মৃতিকথা: দীপু নাম্বার ওয়ান

Post date: Oct 24, 2014 4:15:30 PM

(আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যের ফর্ম বাংলা ভাষায় তেমন চর্চিত নয়। আবার এখানে কিছু কুসংস্কারও রয়েছে। যেমন মনেই করা হয় কেবল বুড়োদের স্মৃতি থাকে। তরুণদের নয়। মানে বুড়ো লেখকরাই আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা লিখবে। তরুণরা এটা লিখবে না। কিন্তু এটা তো জাস্ট একটা সাহিত্যের ফর্ম। যে কোন সময় যে কোন বয়সে যে কেউ- এই স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লিখতে পারে।

এবার আমার টার্গেট এই স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লেখার প্রচলিত বা প্রথাগত ফর্মটাকে ভেঙে দেওয়া। এখন থেকে অলস দুপুর ওয়েব ম্যাগাজিনে যে কোনও বয়সের যে কোনও লেখকের স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী ছাপা হবে। অলস দুপুর ওয়েবম্যাগে সকলের স্মৃতিকথা লেখার আহ্বান জানাচ্ছি। স্মৃতিকথা লেখার ভেতর দিয়ে মিথ্যা বা ভুয়ো আত্মজীবনী লেখার জায়গাটাও কমে আসবে।

আসুন আমরা স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লেখার প্রচলিত বা প্রথাগত ফর্মটাকে ভেঙে দেই।-দুপুর মিত্র)

মুহাম্মদ জাফর ইকবালের দীপু নাম্বার টু-এর দীপুর সাথে আমাদের দীপুর কোনো সম্পর্ক নাই। ঐ দীপুর সাথে আমাদের দীপুর অনেক মিল । আমাদের দীপুও যথেষ্ট মেধাবী, কৌতুহলী এবংচ্যালেঞ্জিং ছিলো। বলছিলাম আমিমুল এহসান দীপুর কথা। ১৯৯৪ সালে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারায় দীপু। দীপু আরণ্যক নাট্যদলের তুখোড় একজন নাট্যকর্মী ছিলো। বয়সে আমারছোট হলেও আরণ্যকে সে ঢুকেছিলো আমার আগেই। নাট্যকর্মে সে আমার অগ্রজ হলেও কিংবা বয়সে আমি তার অগ্রজ হলেও আমরা সে ব্যবধান ভুলে খুব দ্রুত বন্ধু হয়ে উঠতে পেরেছিলাম। গতশতকের আশির দশকের শেষের দিকে কিংবা নব্বইয়ের দশকের প্রথমভাগে যারা ঢাকার নাট্যাঙ্গনে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করিয়েছিলেন তাদের কাছে আমিমুল এহসান দীপু নামটা পরিচিতহলেও, পরের প্রজন্মের নাট্যকর্মীদের কাছে দীপু প্রায় অজানাই থেকে গেছে। যদিও আরণ্যক নাট্যদল দীপুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দীপু স্মৃতিপদকের প্রবর্তন করেছে এবং তাদের নানারকমআয়োজনে দীপুকে তারা স্মরণও করে থাকে, তবে তা নিয়মিত না হওয়ার কারণে আজকের প্রজন্ম দীপুকে সম্যকভাবে জানতে পারছে না। অথচ জানাটা জরুরি। দীপু ছিলো সত্যিকারের একজনমঞ্চকর্মী। দীপুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তার কাজের সঙ্গী হিসেবে আমি দুয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই নতুন প্রজন্মের নাট্যকর্মীদের কাছে।

দীপু ছিলো তার বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্র। একমাত্র পুত্র হিসেবে দীপু আদরটা একটু বেশিই পেতো। এসব আদরের দুলালরা সাধারণত একটু আরামপ্রিয় এবং ফাঁকিপ্রিয় হয়ে থাকে। দীপু ছিলো ঠিকএর উল্টো। প্রচুর পরিশ্রম করতে পারতো সে। আর থিয়েটারের কাজে ফাঁকিতো সে কখনই দিতো না বরং তার জন্য বরাদ্দ কাজের থেকে বেশিই করতো। ফলে খুব তাড়াতাড়ি সে আরণ্যকেরসবার নজরে পড়ে যায় এবং মামুনুর রশীদ, নাজমা আনোয়ার, মান্নান হীরাভাই, আবদুল্লাহ হেল মাহমুদ, ঠাণ্ডু রায়হান, আজিজুল হাকিম, শাহ আলম দুলাল, ফজলুর রহমান বাবুসহআরণ্যকের দায়িত্বশীল ও বয়োজ্যেষ্ঠ্য নাট্যজনদের প্রিয় হয়ে ওঠে। দীপুর সহজাত রসবোধও সেক্ষেত্রে বেশ কাজ করেছিলো। ও খুব মজার মজার কথা বলতে পারতো। ওর একটি দুটি কথায় মাঝেমাঝেই মহড়া কে হাসির রোল পড়ে যেত।

দেখতে ছোটখাটো একটা ছেলে কী করে সবার প্রিয় হয়ে ওঠে এ নিয়ে আমরা যারা ওর কাছাকাছি বয়সের ছিলাম, সবাই খুব ঈর্ষা করতাম। তবে ওর প্রতিভা ও সৃজনশীলতাকে খাটো করারকোনো চেষ্টা বা অবকাশ আমাদের ছিলো না। দীপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং বিভাগে ভর্তি হয়েই আরণ্যক নাট্যদলে নাম লিখিয়েছিলো। দলে আসতে চেয়েছিলো আরো আগেই। তবেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরই নাটকে কাজ করার অনুমোদন পেয়েছিলো বাবা-মায়ের কাছ থেকে।

দীপুর সাথে আমার এত স্মৃতি যে কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি বুঝতে পারছি না। ওর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ১৯৮৯ সালে কোরিওলেনাস নাটক করার সময়ে। মামুন ভাই কোরিয়া থেকে ফিরেআরণ্যকে একটি কর্মশালা পরিচালনা করলেন। একটানা প্রায় ১০/১৫ দিনের এই কর্মশালায় তিনি আমাদেরকে দেহের ভাষা বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তারপরেই শুরু করলেন মান্নান হীরাঅনূদিত শেকসপিয়রের কোরিওলেনাস নাটকের মহড়া। সুঅভিনেতা, সুদর্শন ও দীর্ঘদেহের অধিকারী মুন্সী মজনু পেলেন নাম ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ। বড় বড় চরিত্রের কাস্টিং প্রায় শেষ। আমরা যারা নবীন আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। মামুন ভাই আজকে এই চরিত্রে প্রক্সি দিতে বললে কালকে বলেন আর একটা করতে। কোনো চরিত্রেরই সংলাপ দু’তিনটির বেশি নয়। বেশির ভাগই আবার সৈনিক চরিত্র, কখনো কখনো মৃত সৈনিকও বটে। আমাদের ভাগ্যে চরিত্র নির্ধারিত না হওয়ায় আমরা চরম হতাশায় চরিত্রহীন হওয়ার পথে প্রায়। বিকেল পাঁচটা থেকে রাতদশটা পর্যন্ত টিএসসি-র গেইমস রুমে টানা মহড়া। মহড়া শেষে কোনো কোনোদিন সালাম মামুর চায়ের দোকানে বসে হতাশার কচকচানি চলতো আমাদের। এসময়ে কার কোন চরিত্র পাওয়ারসম্ভাবনা আছে কিবা নাই সেসবই আলোচিত হতো।

আগেই বলেছি দীপু ছিলো ছোটখাটো ধরনের। এসব আলোচনার মাঝে একদিন দীপু বললো তোরাই যখন সৈনিক চরিত্রের জন্য নিজেদেরকে উপযুক্ত মনে করতে পারছিস না, তখন আমার কথাটাভাব একবার। আমরা একটু লজ্জাই পেলাম ওর কথায়। গায়ে-গতরে লম্বা হয়েও সৈনিকের খাতায়ও যখন আমরা নাম লেখাতে পারছি না, তখন দীপুর কী হবে? আমরা একটু চুপসে আছি। দীপুইব্যাপারটা হালকা করে দিলো। ও আমার কাঁধে হাত রেখে বললো- দোস্ত আমরা লিলিপুটিয়ান কোরিওলেনাস করবো। আমি নামভুমিকায় অভিনয় করবো। তুই স্ক্রিপ্ট লিখে দিবি। কি পারবি না? এমনই ছিলো দীপুর রসবোধ। নেহায়েত মজা করে বললেও আমার লেখা প্রথম নাটকের নির্দেশক ও প্রধান চরিত্রের অভিনেতা ছিলো দীপুই। এ বিষয়ে একটু পরে বলা যাবে, আপাততকোরিওলেনাস প্রসঙ্গেই থাকি। কোরিওলেনাস নাটকে দীপু একাধিক চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলো। এবং প্রতিটি চরিত্রেই সে খুব ভালো অভিনয় করেছিলো। এমন কী ছোটখাটোহয়েও সে একটি সৈনিকের চরিত্রে কাজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো। সেখানে সে তার খর্বাকৃতিকে জয় করতে পেরেছিলো সৈনিকোচিত অভিনয় নৈপুণ্যতা দিয়ে। এই নাটকের মহড়ারসময় সালেক খান যখন আমাদেরকে হাতেকলমে সোর্ড-ফাইট শিখাচ্ছিলেন, তখনই তিনি দীপুকে দেখে টের পেয়ে গিয়েছিলেন যে ধানী মরিচে ঝাল বেশি।

দীপুর অভিনয় প্রতিভার কথা বলতে গেলে মান্নান হীরার আর একটি নাটক পাথর-এর কথা বলতে হয়। এ কথাটা আমি প্রায়ই বলি। নাটকের আড্ডায় বলি, নাটকের কাসে বলি। দীপু যে কতবড়মাপের সৃজনশীল অভিনেতা ছিলো তার প্রমাণ পেয়েছেন তারাই, যারা মান্নান হীরার পাথর নাটক দেখেছেন। এই নাটকে দীপু মাজারের এক হুজুরের খাদেমের চরিত্রে অভিনয় করতো। দীপুরঅভিনীত চরিত্রটি এই নাটকে একটি ভিন্নমাত্রা অর্জন করেছিলো এবং একজন চৌকস অভিনেতা হিসেবে দীপুর সুখ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছিলো। দীপু যে কতটা সৃজনশীল ছিলো, একটা উদাহরণ দিলেইতা স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাথর নাটকের মহড়ায় প্রথম যে পাণ্ডুলিপি পাঠ করা হয়েছিলো সেখানে এই খাদেম চরিত্রের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। হুজুরের চরিত্রে অভিনয় করতেন স্বয়ং মান্নান হীরা। মহড়া চলাকালে দীপু একদিন হীরা ভাইকে বললো- এই হুজুরেরতো একজন খাদেম থাকতে পারে, যে সারাণ হুজুরের পিছনে পিছনে ঘুরবে আর তার ফুটফরমায়েশ খাটবে। নাট্যকার ও অভিনেতাহীরা ভাই দীপুর আইডিয়াটা গ্রহণ করলেন। পরের দিন থেকে মহড়ায় দেখা গেলো হুজুরের সাথে একজন খাদেম ঢুকছে মঞ্চে। আর দীপুই সেই খাদেম। যতবার হুজুর মঞ্চে আসছে, ততবারইখাদেম হিবে দীপু মঞ্চে ঢুকছে। যেহেতু পাণ্ডুলিপিতে খাদেমের চরিত্রই ছিলো না, সেহেতু খাদেমের কোনো সংলাপ থাকার কথা নয়। নাট্যকার, নির্দেশক ও সহ-অভিনেতাদের দীপু বোঝাতে সমহলো যে এ ধরনের খাদেমরা তাদের দিগদারির পরিচয় দেওয়ার জন্য কোনো একটা অবলম্বন গ্রহণ করে। এই খাদেম সারাণ একটা ছাগল নিয়ে ঘুরতে পারে। দীপুর বিশ্লেষণে সবাই সন্তুষ্টু। আস্তেআস্তে খাদেমের সঙ্গী হিসেবে একটা ছাগলছানার আর্বিভাব ঘটলো। তো খাদেম তার পোষা ছাগলছানার সাথে ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি করতেই পারে। তার সাথে মাঝেমধ্যে দুএকটা কথাবার্তাওহতে পারে। ছাগলছানা নিয়ে ছোটাছুটি, কথাবলার সুযোগ নিয়ে দীপু কিছুকিছু সংলাপ ইম্প্রোভাইজ করতে শুরু করলো নাট্যকার ও নির্দেশকের অনুমতি নিয়ে। ব্যাপারটা এক পর্যায়ে এতটাইহৃদয়গ্রাহী ও বাস্তব হয়ে উঠলো যে পাথর নাটকে দীপুর অভিনীত খাদেম চরিত্রটি একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রের রূপ পেলো। একজন সৃজনশীল অভিনেতা হিসেবে দীপু দলের সবার ও দর্শকদেরমনযোগ কাড়তে সম হলো।

এরশাদ সরকারের শেষদিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়ে আমরা মান্নান হীরার নাট্যরূপে সমরেশ বসুর আদাব গল্প নিয়ে পথনাটক করলাম। সেই পথনাটক নিয়ে বাংলাদেশের দুর্গম সব অঞ্চলেআমরা ঘুরে বেরিয়েছি। সেই সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাট্যাভিযানে পথের যাত্রার কান্তি ভুলিয়ে দিতো দীপুর নানারকম রসিকতা।

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে মামুনুর রশীদ আমাদেরকে নিয়ে কমিউনিটি থিয়েটার বিষয়ে কর্মশালা করলেন। কর্মশালা শেষে আমাদের কয়েকজনকে দায়িত্ব দিলেন ঢাকার কয়েকটি কমিউনিটিতেগিয়ে কাজ করার। কমিউনিটি থিয়েটারের সেই কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে লিখতে গেলে এ লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে। আমি শুধু দীপুর প্রসঙ্গেই বলবো। দীপুর প্রচেষ্টাতেই আমরা ঢাকার কাঁঠাল বাগানেকাজ করতে শুরু করি। কাঁঠাল বাগানের বিখ্যাত জিঞ্জিরা হোটেলে প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। তাদের সাথে আগের থেকেই দীপুর কিছুটা যোগাযোগ ছিলো। আমিও গিয়ে ভিড়ে গেলাম। ওখানে চাখাই, মাঝে মাঝে ওদের সাথে গল্প করি, পরিচিত হয়। আস্তে আস্তে ওদের সাথে সখ্য গড়ে উঠলো। হোটেলের উল্টোদিকে নির্মাণাধীন একটা পরিত্যক্ত দালানের দোতলায় ওরা অনেকেই একসঙ্গেথাকতো। সেখানে যেতে শুরু করলাম আমি আর দীপু কারণ হোটেলে বসে কাজের ফাঁকে কথা বলাটা উচিৎ হচ্ছিলো না। ওদেও সামনে একদিন ওদেরকে নিয়ে নাটক করার কথা বললাম। বেশিরভাগই খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। কিন্তু মহড়া নিয়ে সবাই চিন্তিত। কারণ ওদের সবার শিফটিং ডিউটি। এই সপ্তাহে সকালেতো পরের সপ্তাহে বিকেলে ডিউটি। আমরা বললাম কোনো অসুবিধা হবেনা, ম্যানেজ করে নেবো। আমরা অতিআগ্রহী ৮/১০ জন পেয়ে গেলাম। সাথে আমি আর দীপু। ওদের সমস্যা সম্ভাবনার কথা শুনে নাটক লেখার দায়িত্ব পড়লো আমার ঘাড়ে। আর নির্দেশনারদায়িত্ব নিলো দীপু নিজে। অনেক কাটখড় পুড়িয়ে আমি লিখলাম আমার প্রথম পথনাটক তাবিজ। আর অমানুষিক পরিশ্রম করে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিলো দীপু, তাবিজ নাটকের নির্দেশকআমিমুল এহসান দীপু। ১৯৯২ সালের মহান মে দিবসের বিকেলে কাঁঠাল বাগান কমিউনিটি থিয়েটারের প্রযোজনা তাবিজ-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছিলো গ্রীন রোড পান্থপথ ক্রসিং সিগনালেরদক্ষিণপূর্ব কোণে। সেই প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক মামুনুর রশীদ। অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মান্নান হীরা, আবদুল্লাহ হেল মাহমুদ, আজিজুল হাকিম, শাহ আলম দুলাল প্রমুখ। তাবিজ নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছিলো দীপু। নির্দেশনার কাজ আরো করে দেখাতে পারলে দীপু নিশ্চয়ইতার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারতো। তবে তার সাংগঠনিক দতা ছিলো ঈর্ষণীয়। শিাহীন, দারিদ্রে জর্জরিত হোটেলশ্রমিকদের নিয়ে দীপু যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলো, তা একমাত্র দীপুর পক্ষে সম্ভবছিলো। হোটেলশ্রমিকদের সংগঠিত করা, তাদেরকে নাট্যশিক্ষা দেওয়া, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা এবং সফলভাবে অনুষ্ঠানটি করার প্রায় পুরো কৃতিত্ব ছিলো দীপুর একার।

দীপুর আরো অনেক কৃতিত্বে কথা বলা যেতে পারে। নাটকের মেকাপ ডিজাইনার হিসেবেও সে বেশ নাম করতে শুরু করেছিলো। বেশকিছু নাটকের মেক-ডিজাইন করে মেকাপ ডিজাইনিং-এওসে তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে সম হয়েছিলো।

দীপু ছিলো একজন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নাট্যকর্মী। তার তুলনা সে নিজেই। তার স্মৃতির প্রতি রইলো শ্রদ্ধা।

alokbasu71@gmail.com