ছোটদের লেখা অনেক শক্তিশালী: কবি চন্দ্রা দাস রায়ের সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Jun 5, 2012 1:38:26 PM

চন্দ্রা দাস রায়, প্রকাশিত বই-নার্সিসিজম, ৯য়া দশক থেকে প্রকাশ ২০১১

দুপুর মিত্র: আপনি কেন কবিতা লিখেন?

চন্দ্রা দাস রায়: কবিতা লিখব তো কখনও ভাবিনি, আর লিখিও না। চোখের সামনে যে ছবিটা কখনও ফোটে ওঠে, সেটাকে কিছু শব্দে প্রকাশ করি।

দু: কবিতা লেখার জন্য একজন কবির কি ধরণের প্রস্তুতি দরকার?

চ: জানা নেই সত্যি ভেবে-চিন্তে কবিতা লেখা যায় কিনা। কারণ কবি শব্দটির ঠিক কি অর্থ হয় তাই বোধহয় জানি না।

দু: সমসাময়িক কাদের কবিতাকে আপনার ভাল লাগে এবং কেন?

চ: যে লেখাগুলো আমার চোখের সামনে একটা চিত্র-কল্প তৈরি করে, শব্দ-ছায়া কানে রিনরিন করে তা সবই আমার ভাল লাগে।

দু: সমসাময়িক কাদের কবিতাকে আপনার খারাপ লাগে এবং কেন?

চ: কিছু কবিতা আছে যার কোনও শব্দই আমার কাছে পৌঁছয় না। স্বল্প জ্ঞানে তার পাঠোদ্ধারও করতে পারি না। তবে খারাপ বলব না। তা আমার ছোট সীমার বাইরে এই যা।

দু: নব্বই ও শূন্য এই দুই দশককে আপনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

চ: নব্বই বা শূন্য দশক কথাগুলো আমার কাছে কোনও মানে তৈরি করে না। তবে আমার সমবয়সী বা একটু বড় যারা তাদের থেকে ছোটদের লেখা তো অনেক শক্তিশালী। মাঝে মাঝে মনে হয়, এইভাবে আমার কেন ভাবনা আসে না।

দু: পশ্চিমবঙ্গের কবিতা আর বাংলাদেশের কবিতার ফারাকটা কোথায়?

চ: দুটোই তো বাংলা ভাষায় লেখা হয় জানি। তবে বাংলাদেশের লেখকদের লেখায় একটা সুন্দর প্রকৃতির কল্পনা থাকে। এটা আমায় খুব ছুঁয়ে যায়।

দু: ব্লগ সাহিত্যকে কি বিশেষ কিছু দিচ্ছে?

চ: ব্লগ আমাদের মত নেটপ্রেমীদের সাহিত্যের সঙ্গে জুড়ে রাখে। বইগুলো হয়ত সব সময় হাতের কাছে পাই না। তখন তো ব্লগই ভরসা।

দু: লিটলম্যাগের চাইতে ব্লগ গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনার মনে হয় কি? হলে কেন না হলে কেন নয়?

চ: লিটলম্যাগের ওই ছোঁয়া সবসময়ই আলাদা। হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে পড়ার আনন্দই আলাদা। আর চেনা অচেনা অনেককেই এক সাথে হাতের কাছে পাওয়া। ব্লগে তা সবসময় হয় না।

দু: দৈনিকে সাম্প্রতিক সাহিত্য বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

চ: দৈনিকে রোজকার খবর টুকুই ঠিক আছে। সাহিত্য তো হয় ফরমায়েসি না হয় তোষামোদি।