কাউকে দাগটেনে খারাপ লিখছে বলা যায় না: নরেশ মণ্ডলের সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Jul 18, 2012 9:00:57 AM

প্রকাশিত বই: অরণ্য বালকও জানেনা, মেঘ বৃষ্টি রোদ, font, দরিয়ায় ভাসাই তরী (নরেশ মণ্ডল,ঝরনা বিশ্বাস) সম্পাদিত পত্রিকা: সব্যসাচী,সময়

দুপুর মিত্র: গল্প লিখেন কেন?

নরেশ মণ্ডল: গল্প লিখতে ভাললাগে। কবিতার বদলে গল্প সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। গলপে যে ভাবে মানুষের নানা কথা মানে অবস্থা লেখা যায় তা গল্প ছাড়া সম্ভব নয়।

দু: গল্প লিখতে আপনি কাদেরকে বেশি অনুসরণ করেন এবং কেন?

ন: আমি গল্প লিখতে কাউকেই অনুসরণ করি না। সাধারণত আমি খুব বড় গল্প লিখি না। একদম ছোট গল্প লেখায় আগ্রহী।

দু: সমসাময়িক কাদের গল্পকে আপনার বেশি ভাল লাগে এবং কেন?

ন: হাসান আজিজুল হকের গল্প, অবশ্যই গল্প কথাতে আমি একটা লেখা লিখেছি উনার ওপর বিশেষ সংখ্যায় রাজশাহী থেকে বের হয়েছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, বনফুল, সমরেশ বসু, সুনীল গাঙ্গুলি, এইরকম আরও আছে।

দু: সমসাময়িক কাদের গল্প আপনার বাজে মনে হয় এবং কেন?

ন: বিভিন্ন লেখক তার মত করে লিখেছেন। কাউকে দাগটেনে খারাপ লিখছে বলা যায় না। আমার কোনোটা ভাল নাও লাগতে পারে। তারমানে ওই লেখকদের লেখা ভাল নয় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। আরও একজন পাঠকের কাছে সেই লেখাটা ভাল লাগতেই পারে, তাই নয় কি?

দু: আমি গল্প লিখতে চাইলে আপনি কি করার পরামর্শ দিবেন এবং কেন?

ন: আপনি গল্প লিখতেই পারেন, সেটা আপনার নিজের ব্যাপার। সমাজকে জানতে হবে, মানুষকে ভেতরে-বাইরে দুইভাবে জানতে হবে। বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকাটা দরকার। সমাজের কোন স্তরের কথা লিখব এটা একটা বড় বিষয়।

দু: কলকাতা ও ঢাকার কথাসাহিত্যের ফারাকটা কোথায়?

ন: দুই দেশের মধ্যে ফারাক তো থাকা স্বাভাবিক, আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য সব জায়গায় সমান নয়, তার অর্থ একি রকম হয়, শহরের উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত উভয়েরই কথা ওঠে আসে লেখায়। মানবিকতার মুখটাই বেশি বেশি করে ওঠে আসা উচিত।