সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের স্মৃতিকথা: শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সাথে যুদ্ধ করে লেখক হয়েছিলেন আবু শাহরিয়ার

Post date: Oct 19, 2014 4:18:51 PM

(আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যের ফর্ম বাংলা ভাষায় তেমন চর্চিত নয়। আবার এখানে কিছু কুসংস্কারও রয়েছে। যেমন মনেই করা হয় কেবল বুড়োদের স্মৃতি থাকে। তরুণদের নয়। মানে বুড়ো লেখকরাই আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা লিখবে। তরুণরা এটা লিখবে না। কিন্তু এটা তো জাস্ট একটা সাহিত্যের ফর্ম। যে কোন সময় যে কোন বয়সে যে কেউ- এই স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লিখতে পারে।

এবার আমার টার্গেট এই স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লেখার প্রচলিত বা প্রথাগত ফর্মটাকে ভেঙে দেওয়া। এখন থেকে অলস দুপুর ওয়েব ম্যাগাজিনে যে কোনও বয়সের যে কোনও লেখকের স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী ছাপা হবে। অলস দুপুর ওয়েবম্যাগে সকলের স্মৃতিকথা লেখার আহ্বান জানাচ্ছি। স্মৃতিকথা লেখার ভেতর দিয়ে মিথ্যা বা ভুয়ো আত্মজীবনী লেখার জায়গাটাও কমে আসবে।

আসুন আমরা স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনী লেখার প্রচলিত বা প্রথাগত ফর্মটাকে ভেঙে দেই।-দুপুর মিত্র)

শামসুর রাহমানের এক বার গলায় সমস্যা হলো। এক সপ্তাহ ডাক্তার কথা বলতে মানা করলেন। তাঁর শ্যামলীর বাসায় দেখা করতে গেলাম। তিনি আমার সাথে কথা বললেন, কিছু ইশারার ভাষায় আর কিছু লিখে লিখে। প্রাণ খুলে কথা না বলতে পারার যাতনায় তিনি ছিলে অস্থির! আমার বৃদ্ধ বাবাও এখন কানে শোনেন না। তাঁর সাথে বলা বলতে হয়- কাগজ-কলমে লিখে লিখে। এই দু’জনের কথা মনে করতেই অনেক স্মৃতির ভীড় ঠেলে ভেসে উঠলো- একটি অসাধারণ মানুষের মুখ! তিনি হলেন সদ্য প্রয়াত লেখক আবু শাহরিয়ার।

অনেকটা আড়ালের মানুষ ছিলেন তিনি। অনেকেই তাঁকে চিনেন না। কেউ তাঁর খুব একটা খোঁজ-খবরও রাখতেন না। তাঁর সাথে আমার দীর্ঘ দিনের অগ্রজ-অনুজের বন্ধুত্ব ছিলো। যেহেতু তিনি শ্রবণ-প্রতিবন্ধি ছিলেন; সেহেতু অনেকেই তাঁকে এড়িয়ে যেতেন। তাঁর ভেতরের কথা মুখমন্ডলে জিহবায় জড়িয়ে মনে হতো, তাঁর মুখে শব্দের বদলে পাথর! অস্পষ্ট উচ্চারণ। আংশিক বোঝা যেতো। বাকিটা কান পেতে, মন দিয়ে বুঝে নিতে হতো। মাঝে মাঝে তিনি কাগজ-কলম বের করে তা বুঝাতে চেষ্টা করতেন। এই কথা বলার ব্যাকুলতা আর আংশিক ‘না-কথা বলতে’ পারা আর না শোনার কঠিন বেদনা খুব কষ্ট দিতো। বাক এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধকতার জন্য অনেকেই তাঁর সাথে চলতে স্বচ্ছন্দবোধ করতেন না। ফলে তাঁর বন্ধুর সংখ্যা ছিলো মাত্র হাতে গোনা। নিজের সীমাবদ্ধাতার জন্য তিনি খুব নিরবে নিভৃতে এক বৃত্তে জীবন যাপন করতেন। কিন্তু সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে তিনি ছিলেন স্বচ্ছ, উজ্জ্বল।

আজ অনেক টুকরো টুকরো স্মৃতিকথা মনে পড়ছে। যেমন- টিভিতে প্রচারিত আমার লেখা ‘বৃক্ষবন্দনা’ নাটক দেখে ছুটে এসেছিলেন আমার অফিসে। নাটকটিতে যুদ্ধোত্তর দেশে হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান তিন মুক্তিযোদ্ধার (খায়রুল আলম সবুজ, মাসুম আজিজ এবং আব্দুল আজিজ) তিন বন্ধুর তিন ধরণের সমস্যা ছিলো। তাতে খায়রুল আলম সবুজের মেয়ের বোবা। সেই বেদনা অর্থাৎ প্রতীক অর্থে আমাদের স্বাধীনতাও যেনো বোবা! চরিত্রটি শাহরিয়ার ভাইকে খুব নাড়া দিয়েছিলো।

সেদিন তিনি আপ্লুত হয়ে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন। বলছিলেন, হুমায়ুন আহমেদ তাঁর ছোটবোনের চরিত্রটি ‘নন্দিত নরকে’ ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আরো বললেন আহমদ ছফার ‘ওংকারে’র কথা। তিনি এই উপন্যাস দু’টি অনুবাদের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাতে আবারো টের পেলাম, তিনি সব সময় ভাবতেন- শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধকতা, সামাজিক প্রতিকূলতা, মানসিক সমস্যা নিয়ে। তাঁর কাছেই জানলাম, বিভিন্ন ধরণের শ্রবণ প্রতিবন্ধী আছে। কেউ অল্প মাত্রায় শুনতে পায়, কেউ বা একেবারেই শুনতে পায় না। এদের মধ্যে আবার অনেকেই আছে- বলতে পারে না এবং চোখে দেখে না। এ সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজন বিবেচনায় করে বর্তমান বিশ্বের নানান দেশে ইশারা ভাষার প্রচলন হয়েছে, প্রচলন হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়াসহ শব্দ ও বাক্য উচ্চারণ পদ্ধতি প্রভৃতি।

আজ ভারত সরকার ২০১১ সালে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতীয় ইশারা ভাষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ এ রকম প্রতিবন্ধী মানুষ আছে। গত ২৭ জানুয়ারি ২০০৯, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলা ইশারা ভাষার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সুফল খুব একটা এগোয়নি। সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল) শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনেও ইশারাভাষী হিসেবে খবরে অংশ নেন অনিমেষ কুমার দত্ত এবংরিতা আক্তার।

এসব তথ্য জানলে বা এ ধরণের খবর দেখলে আবু শাহরিয়ারের কথা তীব্র ভাবে মনে পড়ে। মনে পড়ে হেলেন কেলার আর হোমারের কথা। যাঁরা চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী দেখেনি, কান দিয়ে শুনেনি কোন বাক্য, মুখ দিয়ে বলতে পারে নি প্রাণের কথা। এই জগৎ তাদের কাছে অদৃশ্য, সকল শব্দ তাদের কাছে নিঃশব্দ, বাক্যহীন, নীরব, নিস্তব্ধ। অথচ তাঁদের হাত দিয়ে রচিত অমর সৃষ্টি!

শাহরিয়ার ভাইকে এঁদের কথা বললে তিনি লজ্জা পেতেন। বলতেন, কোথায় সেই হেলেন-হোমার আর কোথায় এই ‘আবুল’! আবুল মানে- আবুল হোসেন। এ প্রসঙ্গে ড. ফজলুল আলমের লেখাই উল্লেখ করছি- “তাঁর আসল নাম ছিল আবুল হোসেন। তিনি আবু শাহরিয়ার নামে লিখতে থাকেন নিজেকে লুকানোর জন্য নয়, সেই সময়ে বিশিষ্ট কবি আবুল হোসেনের নাম থেকে নিজেকে পৃথক করতে”। (দ্রঃ সৃজনশীল কর্মে কৃতবিদ্য আবু শাহরিয়ার/ ফজলুল আলম। শিলালিপি, দৈনিক কালের কন্ঠ, ১৭ অক্টোবর ২০১৪, ঢাকা।)

তাঁর নামান্তরের অন্তরালের কথা অনেকেই জানতেন না। সচিত্র সন্ধানীতে ‘নামের নামাবলী’ লেখার সময় আমি তাঁর প্রকৃত নাম তুলে ধরি। তখন হাসতে হাসতে বলেছিলে, “গোয়েন্দাগিরি করে তো সব গোমর ফাঁস করে দিলেন! আমি আপনার বন্ধু ‘হাসান’ এর সাথে পরিচিত হতে চাই। তিনি তো আমার ভেতরে ঢুকে গেছেন- আবু ‘হাসান’ শাহরিয়ার হয়ে”।

এখন সময় ও পরিবেশ বদলে গিয়ে ডিজিটাল জীবনে জটিলতা তৈরি হয়েছে; আমাদের সেই সময়ের এনালগ দিনগুলোতে তা ছিলো না। মাত্র তিন দশক আগে সব লেখকেরা যেনো একান্নভূক্ত পরিবারের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তা খুবই বিরল।

দেশ থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পেরিয়ে তেরো হাজার মাইল দূরে কানাডায় চলে আসার পর সব কিছুর সাথেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আবু শাহরিয়ার ভাইয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু তিনি ছিলেন মনের নিভৃতে।

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে আবুল হোসেন ওরফে আবু শাহরিয়ার চাকরি নেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে। তাই বলতাম, আপনি তো আমাদের আলোকিত করে রাখেন। একথা বললে তিনি খুব মজা পেতেন আর হাসতেন। আমি বলতাম, আপনার নাম ‘বিদ্যুৎ মিত্র’ হলে ভালো হতো। এভাবেই শাহরিয়ার ভাইয়ের সাথে আমার আত্মীয়তা অনেক দিনের।

একদিন কাচ্চি বিরানী আর বাখরখানি নিয়ে এলেন আমার অফিসে। বললেন- ‘আমি তো পুরনো ঢাকাইয়্যাবাসী আরমানিটোলার পোলা। মহল্লা থেকে আপনার জন্য নিয়ে এলাম। হাহাহাহা... এ সব আমার পছন্দের খাবার। নিন, খান’।

অবশ্য পরে পুরনো ঢাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মোহাম্মদপুরে। তাই অফিস শেষ করে মাঝে মধ্যে বাসায় যাবার পথে আমার আজিজ মার্কেটের অফিসে আসতেন। ব্যস্ত থাকলে আস্তে করে উঁকি দিয়ে চুপচাপ চলে যেতেন আর ফ্রি থাকলে আড্ডা দিতেন, চা খেতেন। সাহিত্য নিয়ে কথা বলেতেন। তাঁর ছিলো নানা ধরনের প্রজেক্ট-পরিকল্পনা। যেমন- বাংলাদেশের কথাসাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য ইত্যাদি। দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা পাঠের মতোই তিনি এবং তাঁরা (রাহাত খান, রশীদ হায়দার, হারুন হাবীব প্রমুখ) একবার ‘দর্শনীর বিনিময়ে গল্প পাঠের আসর’ করেন ধানমন্ডির দুই নম্বরের ভারতীয় দূতাবাসের মিলনায়তনে। আমি সেই অনুষ্ঠানে নানা ভাবে জড়িত ছিলাম আবু শাহরিয়ার আর হারুন হাবীবের জন্য। আমরা একটা ছোট্ট ব্রুসিয়ারও বের করেছিলাম। তার আগে বা পরে তিনি একটি ‘বাংলাদেশের ছোটগল্প’ সংকলন সম্পাদনা করেন। তাতেও বেশ ক’টি গল্প আমাকে জোগাড় করে দিতে হয়েছিলো। আমি একবার আমার ‘প্রচ্ছদ’ পত্রিকার অনুবাদ কবিতা সংখ্যা বের করি। তাতে অনেকটা লেনদেনের মতো আবু শাহরিয়ার বেশ ক’জনের কবিতা অনুবাদ করে দেন।

তিনি কবিতা অনুবাদ করতে চাইতেন না। বলতেন, কবিতার ভাষান্তর কঠিন ব্যাপার। কবিতা অনুবাদ করলে অনেক আসল ভাব-বিষয় হারিয়ে যায়। তাই তিনি ভালো ইংরেজি জানা সত্ত্বেও কবিতা অনুবাদ করতেন না। তবে তিনি ‘বাংলাদেশের ছোটগল্প’ অনুবাদ করার কথা ভাবতেন। বলতেন- আমাদের কথাসাহিত্য কোন অংশেই বিশ্ব সাহিত্যের চেয়ে কম নয়; কিন্তু অনুবাদ না হওয়াই তা বাংলা সাহিত্য আন্তর্জাতিক ভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে না। বিশ্বযুদ্ধের গল্প-উপন্যাস-নাটকের মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প-উপন্যাস-নাটক অনেক উঁচু মানের! কিন্তু তা স্বীকৃতি পাচ্ছেনা সঠিক অনুবাদের কারণে। কত আগে রবীন্দ্রনাথ অনুবাদ হয়েছে, অথচ এতো কাল পরও বাংলা সাহিত্য অনুবাদে পিছিয়ে আছে।

এই ছিলো আবু শাহরিয়ারের চিন্তাধারা। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, ভদ্র, বিনয়ী, অমায়িক মানুষটি শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ নাটকটির বাংলা অনুবাদের মাধ্যমে একটি দুরূহ কাজ করেন। এছাড়াও ‘অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা’রও অনুবাদ করেছিলেন। দু’টি কাজে তিনি মূল রচনার ভাবধারা ও কাব্যিক গুণাবলি পূর্ণভাবে বহাল রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনুবাদের জন্যই ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। এই একাডেমীর জন্য হুমায়ুন কাদিরের জীবনীও লিখেছিলেন এবং রচনাবলিও সম্পাদনা করেছিলেন তিনিই! আবু শাহরিয়ার ‘হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার’ আয়োজক ছিলেন। আর তাঁর স্বরচিত উপন্যাস ‘অন্বেষা’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘স্বপ্নলোক’ ছাড়াও তাঁর আত্মজৈবনিক রচনার প্রথম খণ্ড বের হয়েছে।

আহমাদ মাযহার আরো সুন্দর ভা্বে মূল্যায়ন করেছেন- “তিনি ছিলেন অতি সজ্জ্বন ব্যক্তি।…এই মানুষটির নিরলস প্রয়াসে অকাল প্রয়াত কথাসাহিত্যক হুমায়ুন কাদির নামটি আমাদের সাহিত্যসমাজ থেকে হারিয়ে যেতে পারে নি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণ-প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে, নিজের বার্ধক্যজনিত যাবতীয় অসুবিধা সত্ত্বেও আন্তরিক ভালোবাসায় তিনি ‘হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার’ আয়োজন করে গিয়েছেন বছরের পর বছর ধরে। শেষের দিকে কয়েক বছর ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে পেরে উঠছিলেন না। তিনি চাইছিলেন তরুণতর কেউ বা বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান এর দায়িত্ব গ্রহণ করুক। কিন্তু সম্ভবত তাঁর অনুরোধ কেউ রাখেন নি। বাংলা একাডেমির জন্য হুমায়ুন কাদিরের জীবনীও লিখেছিলেন তিনি; রচনাবলীও সম্পাদনা করেছিলেন তিনি”। (দ্রঃ অনুবাদক কথাসাহিত্যিক আবু শাহরিয়ার আজ অপরাহ্নে চলে গেছেন/ আহমাদ মাযহার। বই নিউজ ২৪ ডট কম, অক্টোবর ০৬, ২০১৪, ঢাকা)। এ ভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত করে লেখক হয়েছিলেন আবু শাহরিয়ার।

বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. তপন বাগচী আমাকে জানালেন, একাডেমির ফাইলে হুমায়ুন কাদিরের জীবনী-দুই প্রকাশের জন্য একটি চিঠি আছে। কিন্তু আর কোনো তথ্য বা পান্ডুলিপি নেই। তাঁর নিরলস পরিশ্রমের সেই কাজটি খুঁজে বের করে প্রকাশ করা একান্ত জরুরি।

আবু শাহরিয়ার আজ স্বপ্নলোকে চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর স্বাক্ষরিত ‘স্বপ্নলোক’ বইটি স্মৃতির স্বাক্ষী হয়ে এখনো আমার সংগ্রহে আছে। তিনিও আছেন মনের নিভৃতে।

*(আবু শাহরিয়ার। জন্মঃ ফেব্রুয়ারি ৬, ১৯৩৪ মৃত্যুঃ ৬ অক্টোবর ২০১৪)