আমি নিজেকে সামনে রেখে লিখি: অতনু ব্যানার্জীর সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Nov 3, 2013 4:48:04 PM

প্রকাশিত বই: এভাবেও ফিরে আসা যায়

দুপুর মিত্র: আপনি কবে থেকে লেখালেখি শুরু করেছেন?

অতনু ব্যানার্জী: প্রথম গল্প লিখেছি ক্লাস সিক্সে। আমাদের স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্য। তারপর যে শিল্পনগরীতে থাকতাম সেখানকার পত্রিকা। তারপর কলেজের ম্যাগাজিন,বইমলোয় টুকটাক হাতে বিলি করা লিটল-ম্যাগাজিন। তারপর চাকরির ব্যস্ততা, কোলকাতার সাথে যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে আসা -এসবের জন্য লেখালেখির সাথে ছেদ পড়েছিল বছর কয়েকের। তারপর অরকুট নামের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম এল। অনলাইনে বাংলা-বিস্ফোরণ হল। বাংলা ফন্ট এল বাজারে । আবার ফিরে এলাম লেখালেখিতে আস্তে আস্তে। তারপর থেকে গত ছয়-সাত বছর গল্প লেখাটা জীবনের একটা অত্যাবশ্যকীয় অধ্যায় দাঁড়িয়ে গেছে, যেটা ছাড়া নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হয়।

দুপুর মিত্র: আপনার সবচেয়ে সফল কাজ কোনটা?

অতনু ব্যানার্জী: সেভাবে ভাবিনি। কারণ ছ-সাত বছর সময়টা খুব বেশি কিছু নয়। অনেক লেখা বাকি আছে। সবে তো শুরু করলাম। তবে যে লেখার মধ্যে নানা দার্শনিক ও সামাজিক দিকগুলোর সাথে নিজেরে ভাবনা আর বোধ মিশিয়ে দিতে পারি তেমন লেখা লেখিতে আনন্দ হয় খুব। সুন্দরবনের প্রেক্ষাপটে লেখা আর কেন্দুলির প্রেক্ষাপটে লেখা দুটো বড় গল্পে এভাবে অনেক কিছু বলতে পেরেছি যা দেখেছি আর যা অনুভব করেছি।

দুপুর মিত্র: উপন্যাস লেখায় আপনি সুনির্দিষ্টভাবে কোন সমস্যায় বেশি পড়েন?

অতনু ব্যানার্জী: আমি তো এখনও উপন্যাস লিখিনি। তবে মনের মধ্যে চার পাঁচটা উপন্যাসের বীজ বপন করা আছে। হয়ত এ বছরের মধ্যেই তার প্রথমটিতে চাষ শুরু করব।

দুপুর মিত্র: লেখার সময় আপনি কি শিডিউল করেন?

অতনু ব্যানার্জী: কর্পোরেটের দৈনিক দশ-বারো ঘন্টার চাকরি-বাকরি সামলে লেখালেখি করতে হয়। তাই নিজের মত করে শিডিউলটা তো রাখতেই হয়,না হলে সময়টা বেরিয়ে যায় ফাঁকি দিয়ে। লেখার থেকেও লেখার বিষয় নিয়ে আমার সারাদিনের ভাবাভাবি অনেক বেশি। আর সারাদিনের ভাবাভাবির ফাঁকেই ঠিক করে ফেলি কি লিখব আজ,আর কতটুকুই বা লিখব। সেটুকু ঠিক লিখে ফেলি সময় করে নিয়ে।

দুপুর মিত্র: আপনি কি কম্পিউটারে লিখেন?

অতনু ব্যানার্জী: হ্যাঁ ... গত ছয়-সাত বছর ধরে ল্যাপটপেই লিখছি।

দুপুর মিত্র: গল্প আর উপন্যাসের ভেতর আপনার পছন্দ কোনটাতে বেশি?

অতনু ব্যানার্জী: দুটোই খুব পছন্দ। গল্পের মেদহীন ছিপছিপে কাঠামোয় অনেককিছু ভাবনার অবকাশ রেখে দেওয়ার চেষ্টা যেমন প্রিয় ঠিক তেমনি ভাবনার গভীরে গিয়ে বর্ণনার তুলিতে মননের এই পৃথিবীটাকে উপন্যাসের পাতায় দেখাও আরেক রকমের আনন্দ ।

দুপুর মিত্র: উপন্যাস লেখার সাথে ধৈর্য্যের সর্ম্পক আছে কি?

অতনু ব্যানার্জী: নিশ্চয়ই। প্রবল পরিশ্রমী,ধৈর্য্যশীল আর লেখালেখির প্রতি দায়বদ্ধ মানুষই নিজের মনের মতো করে উপন্যাস লিখে উঠতে পারেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।

দুপুর মিত্র: লেখার আগে কি আপনি আউটলাইন করেন?

অতনু ব্যানার্জী: একটা ভাবনা থেকে শুরু করি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখি সেই ভাবনা থেকে গল্পটি দূরে সরে গিয়ে অন্য পথে বাঁক নিয়েছে। সেটা নিজেই বেশ উপভোগ করি। মনে হয় আরেক নতুন পথ পরিক্রমা!

দুপুর মিত্র: আপনার গদ্যশৈলী কি আলাদা? কিভাবে এটা আলাদা?

অতনু ব্যানার্জী: এভাবে ভাবিনি। তবে সোজা সাপটা ঝরঝরে ভাষায় লিখতে পছন্দ করি যেখানে পাঠককে অন্তর্নিহিত মানে বোঝার ব্যাপারে বেশি মাথা না ঘামাতে হয়। পাঠককে পরীক্ষায় ফেলতে আমি রাজি নই। আমি বন্ধুর মত গল্প বলতে চাই।

সোজা-সাপটা। কিন্তু চেষ্টা থাকে সেই আপাত সরলীকরণের মধ্যে আমার নিজের ভাবনাগুলোকে মিশিয়ে দিতে আর নিজের মতো করে পাঠককে ভাবাতে। যদি দেখি যে কোনো পাঠককে সেই ভাবনা নাড়া দিল,সত্যিই খুব আনন্দ হয়। তবে আমার প্রথম বই "এভাবেও ফিরে আসা যায়" (সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী) গত আগষ্ট মাসে বেরিয়ে এর মধ্যেই প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত। দ্বিতীয় সংস্করণ এ মাসেই বেরুচ্ছে। এই বইটি সর্ম্পকে পাঠক-পাঠিকাদের ফিডব্যাক থেকে জানতে পারি, ওনারা খুব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ডিটেলিং, আঁকা ছবির মতো ‘দেখতে' পেয়েছেন আমার গল্পে । প্রায় প্রত্যেকের কাছেই শুনেছি, লিখার টান টান গতির জন্য একটানেই এক একটা গল্প শেষ করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার এও শুনতে পেয়েছি গদ্যের মধ্যে একটা নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গী... মানে লেখকের উপস্থিতি চরিত্রদের মধ্যে ‘থেকেও নেই' এর মত একটা আন-বায়াসড্‌ দার্শনিক মনোভাব অনেকেই খুঁজে পেয়েছেন গল্পগুলো থেকে। এগুলো আমাকে সত্যিই খুব উৎসাহিত করেছে।

দুপুর মিত্র: নিজের কোন কাজটির জন্য খুব তৃপ্ত বোধ করেন?

অতনু ব্যানার্জী: খুব সত্যি বলতে কি প্রতিটি লেখার পরেই ভীষণ তৃপ্তি আসে, সে যেমনই লেখা হোক। কারণ সেই মুহুর্তের জন্য মনের মধ্যে ফুটতে থাকা ভাবনার আর অনুভূতির কনাগুলো উগরে আসে লেখার পাতায়। ওদের গন্ধ পাই সেই লেখায়। সেই তৃপ্তিটার জন্য অনেক বেশি করে লিখতে চাই। আর তারপরে যখন সেই লেখাটিকে নিয়ে খুব যুক্তিমূলক আলোচনা শুনি, সে প্রশংসা হোক কি সমালোচনা, তখন আরেকধরনের তৃপ্তি। নিজের সৃষ্টিকে আরো ব্যপ্ত ভাবে অনুধাবন করে নতুন কিছু শেখার তৃপ্তি; ভবিষ্যতে আরো বেশি করে লেখালেখির এই আনন্দময় যাত্রায় পাড়ি দেবার প্রস্তুতি থাকে সেই তৃপ্তির অনুভবে।

দুপুর মিত্র: আপনি কি বিশেষ কোনও পাঠককে সামনে রেখে লিখেন না বিশেষ অডিয়েন্সকে?

অতনু ব্যানার্জী: আমি নিজেকে সামনে রেখে লিখি। যদি দেখি আমি নিজেই নিজেকে কনভিন্স করতে পারছিনা, অযথা ভাষা কিংবা উপমার জালে জড়িয়ে আপাত-জটলি করে তুলছি সহজতর অর্থকে, সরে আসি তেমন চেষ্টা থেকে। একটা লেখা লেখি আমি যদি সত্যিকারের আনন্দ পাই, মনে হয় নিজের প্রতি সৎ আমি। পাঠক যদি সেই লেখার সাথে একাত্মবোধ করেন, তার চেয়ে আনন্দের কিছু আছে? নাকি থাকতে পারে, একজন লেখকের জীবনে?

দুপুর মিত্র: সাহিত্যের কি সামাজিক বাধ্যবাধকতা আছে? এ নিয়ে আপনার ভাবনা কি?

অতনু ব্যানার্জী: বাধ্যবাধকতা আছে কিনা জানিনা, তবে দায়িত্ব তো আছেই, অন্তত আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। যে কোনো সৃষ্টিশীল মানুষেরই থাকা উচিত, সে বিজ্ঞান কিংবা সাহিত্য। সৃষ্টির এই দুর্লভ ক্ষমতাকে নিয়ে কেউ যদি অহংবোধে বা আত্মগরিমায় ভোগে, আর মানুষ হিসেবে দায়িত্বপালনের উপলব্ধি না আসে তার মনে, তাহলে সেটা সৃষ্টিশীলতার অপমান। সৃষ্টির ক্ষমতা পরম কোনো শক্তির আশীর্বাদ মনে করে প্রত্যকে শিল্পীর উচিত সমাজকে নিজের মত করে আরো আলো দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা, সে প্রতিবাদ করেই হোক,বা সত্যকে দেখিয়েই হোক, কিংবা আশার বা আনন্দের কথা বলেই হোক বা নতুন কোনো পথের সন্ধান দিয়েই হোক।

দুপুর মিত্র: আপনার লখোর কক্ষ নিয়ে কিছু বলুন?

অতনু ব্যানার্জী: আমার লেখার ঘরটি বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা আমার। টেবিলে ছড়ানো কিছু বই। চেয়ারের ঠিক পাশে প্রিয় বান্ধবীর মত দাঁড়িয়ে থাকে বুকভর্তি বই-এ ঠাসা কাঁচপাল্লার কাঠের আলমারি। মাঝে মাঝেই আমি তার হাত ধরি। পাল্লা খুললেই অদ্ভুত নেশার মত গন্ধ। তাকের মধ্যে জেগে থাকা দু-একজন প্রিয় মানুষকে নিয়ে চলে আসি টেবিলে। শুরু হয় আমাদের সেদিনের আড্ডা। সে আড্ডায় সাদাত হোসেন মান্টো থেকে শংকর, সতীনাথ ভাদুড়ি থেকে বুদ্ধদেব গুহ, গৌরকিশোর ঘোষ থেকে আশার্পূণা দেবী,গার্সিয়া মার্কেজ থেকে প্রচেত গুপ্ত, কাম্যু থেকে স্মরনজিৎ ... রবি ঠাকুর তো আছেনই... সাথে অনেকে ... অনেকে... এবং অনেকে... । আমার লেখার ঘরটি আসলে আমার আড্ডা মারার জায়গা। নিজের সাথে, আলমারীর মধ্যে থাকা মানুষগুলোর ভাবনার সাথে , নিজের আঙুলের সাথে, ল্যাপটপের কি-বোর্ডের সাথে।

দুপুর মিত্র: আপনি কি বেশি পড়া পছন্দ করেন?

অতনু ব্যানার্জী: হ্যাঁ আমি পড়তে খুব ভালোবাসি। আর যতটুকু সময় পাই পড়ার চেষ্টা করি রোজ। অফিস যেতে আসতে গাড়িতে, বাড়িতে খেতে খেতে, বাথরুমে (!),বাস,ট্রেনে, ট্রাম, ইলেক্ট্রিক বিলের লাইনে... বই ছাড়া থাকতেই পারিনা আমি। আবার কিছু কিছু মানুষের সাথে আড্ডা দেওয়াটাও আমার কাছে পড়াশোনার মত। কবি-লেখক সুবীর বোসের কাছ থেকে প্রথম থেকেই যেভাবে উৎসাহ এবং লেখালেখি নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেয়েছি তাতে অনেক কিছু শিখেছি। হয়ত সবটা এখনও কাজে লাগাতে পারিনি, কারণ শিখেই চলেছি প্রতিদিন কিছু না কিছু। কবি-লেখক-প্রকাশক রোহন কুদ্দুস, সাহিত্যিক স্মরনজিৎ চক্রবর্তী, লেখিকা সায়ন্তনী পুততুন্ড... এরকম আরো অনেকের সাথে প্রায়শই নানা আড্ডার ফাঁকে ফাঁকেই চলে আসে নানা সাহিত্য ভাবনা,অদেখা অভিজ্ঞতা ... আর শিখতে থাকি কিছু না কিছু, সবসময়েই।

দুপুর মিত্র: আপনি কি গল্প খুব দ্রুত শেষ করতে পছন্দ করেন?

অতনু ব্যানার্জী: না আমি সময় নিয়ে লিখতে ভালোবাসি। তার মানে এও নয় ভীষণ বেশি সময় ধরে লিখি। ওই মাঝামাঝি একরকম বলতে পারেন। তবে শুধু গল্পটা শেষ করার জন্য লিখতে ভালোবাসিনা। চরিত্রদের মনস্তত্ব, কাঠামোর বাঁক, প্লট কিংবা সাব-প্লটের নানা হরকত... এগুলো অনুভব ও অনুধাবন করতে আমি ভীষণ উপভোগ করি । লিখতে লিখতে নতুন কিছু শিখলাম এটা ভাবলেই আনন্দে ভরে ওঠে মন।

দুপুর মিত্র: উপন্যাস লিখতে আপনি সাধারণত কতটুকু সময় নেন?

অতনু ব্যানার্জী: এখনো প্রথম উপন্যাস শুরু করিনি তো।

দুপুর মিত্র: আপনি সাধারণত কোনও গল্প বা উপন্যাসের কিভাবে শুরু করতে জোর দেন? চরিত্র না বাক্যকে? না কোনও ডায়ালগকে?

অতনু ব্যানার্জী: এভাবে বিশেষ কোনো একটাকে বলতে পারব না । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইডিয়াকে। কোনো মুহুর্তে মনে হল এই আইডিয়াটা নিয়ে একটা গল্প লিখি। এবারে সেই অনুযায়ী দেখা কিংবা অদেখা চরিত্রগুলোর মনস্তত্ব,কথাবার্তা এসব গড়ে ওঠে, যেমন আর পাঁচজন আমার মতো ষ্ট্রাগলিং লেখক ভেবে থাকেন আর কি।

দুপুর মিত্র: লিখে ফেলার পর কি আপনার কখনও এমন হয়েছে যে পুরো লেখাই মানে গল্প বা উপন্যাসকে আপনাকে নতুন করে লিখতে হয়েছে?

অতনু ব্যানার্জী: হ্যাঁ এটা বেশ কবার হল তো। একটা গল্প লিখে ফেলার দিন-কয়েক পরে মনে হয়েছে এটা একবারে হয়নি কিছুই। তখন খোলনলচে বদলে গেছে।

দুপুর মিত্র: লেখার আগে আপনি কি সমাপ্তি ঠিক করে রাখেন? আপনি শেষ পৃষ্ঠা লেখার আগেই কিভাবে গল্প বা উপন্যাসের শেষটা ঠিক করেন?

অতনু ব্যানার্জী: যেটা ভেবে রাখি আজ পর্যন্ত সেটা কোনোদিন সমাপ্তি হয় নি। উল্টে পাল্টে গেছে চরিত্রদের সাথে, ভাবনার সাথে।

দুপুর মিত্র: লেখিলেখিকে কি সংগ্রাম মনে হয় আপনার?

অতনু ব্যানার্জী: অবশ্যই ! বেঁচে থাকাটাই তো একটা সংগ্রাম। আর আমার কাছে লেখালিখি তো নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার এক চরম সংগ্রাম। লেখার মাধ্যমে আমি কানেক্টেড থাকতে পারি আমার আত্মার সাথর। যে মুহুর্তে মনে হয় যা লিখতে চাইছি তার বদলে মনের মধ্যে জমে থাকা আমার ইগো, বায়াস অ্যাটিটিউড এসব প্রাধান্য পাচ্ছে , সংগ্রাম শুরু হয় মনের সাথে আত্মার। সেখানে যখন আত্মা জিতে যায়, যখন নিজের ক্ষুদ্র ইগোর পৃথিবী ছাড়িয়ে লেখাগুলো একটা সার্বিক অর্থ নিয়ে আমার আত্মাকে নিজের মতো করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, তখন নিজেকে ভীষণ সফল মনে হয়, সত্যিকাররে আনন্দ হয়।

দুপুর মিত্র: লেখার পর আপনি সাধারণত কোন বন্ধুর সাথে শেয়ার করেন?

অতনু ব্যানার্জী: আমার স্ত্রীসহ খুব ব্যক্তিগত কিছু প্রিয় মানুষকে আমি গল্পগুলো পড়াই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানতে। জানতে চাই, যেটা আমি কমিউনিকেট করতে চাইছি সেটা ওরা বিশ্বাস করতে পারছে কিনা। এই কানেকশনটাই আমার কাছে সবকিছু। আমি কিছু বললাম,আর আরেকজন সেটার সাথে কানেক্ট করতে পারছে কিনা এটা জানা, ভীষণ ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট আমার কাছে। তারমানে এই নয়, নিজে যেটা বিশ্বাস করিনা সেটার সাথে কম্প্রোমাইজ করে ফেলব।