নিজেকে চেনা বা চেনানোর জন্য লড়াই করেছি: প্রথম বাঙ্গালি স্যাণ্ড এনিমেটর কৌশিক বসুর সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: May 2, 2012 4:18:35 PM

দুপুর মিত্র: স্যাণ্ড এনিমেশন সম্পর্কে কিছু বলুন। একেবারে প্রথমটা একাডেমিক তারপর ভারতে আপনি কিভাবে কাজ শুরু করলেন বা আরও যারা কাজ করেছে।

কৌশিক বসু: আঙুলের টানে বালির উপরে আঁকা হচ্ছে একটার পর একটা ছবি। দেওয়ালে ঝোলান প্রজেক্টারের পর্দায় সেই ছবি থেকেই তৈরি হচ্ছে ছায়াছবি। রুশ উপকথা থেকে অপু-দুর্গা, ঈশপের গল্প, কার্টুনের চরিত্রগুলো জীবন্ত বালির উপরে আঙুলের আঁচড়ে। ছোটবেলায় শিলঙের বাড়িতে কাচের জানলায় জলছবি আঁকতে আঁকতে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি বরাহনগরের স্যাণ্ড অ্যানিমেশন শিল্পী কৌশিক বসুর। কৌশিক তাঁর বালি-ছবিতে অভিনবত্ব এনেছেন আবহ, হরবোলা আর ভাষ্যপাঠ দিয়ে, সবটাই লাইভ ।

দু: স্যাণ্ড এনিমেশন ব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জানি না। এর শুরু টা কি ভারতেই। না আরও অনেক দেশে এর চর্চাটা রয়েছে।

কৌ: আমি নিজে কোনোদিন লাইভ স্যাণ্ড এনিশেন দেখিনি। যা দেখেছি ইউটিউব থেকে।

দু: হ্যাঁ আমি সেখানে দেখলাম। তো এটা আসলে পারফর্মিং আর্টের মধ্যেই পড়ে। আপনি এরকম স্যাণ্ড এনিমেশন কতগুলো করেছেন।

কৌ: ৬০/৭০ টা সো করেছি।

দু: শিল্পের অনেক রকম মাধ্যম থাকতে আপনি কেন এটা বেছে নিলেন বা আপনি সো করার সময় স্যান্ড এনিমেশন এর কি প্রভাব দেখতে পেয়েছেন বা শিল্প হিসেবে এর আলাদা গুরুত্বটা কোথায়?

কৌ: জীবনটাই ভাঙ্গা-গড়ার খেলা। বাপ-দাদার বাংলাদেশ, ভেঙ্গে গেল। তারপর শিলং ছাড়তে হল- বাঙ্গালি হটাও আন্দোলনে। ভাঙ্গা- গড়ার চোরা স্রোত টেনে আনল এই পথে।

দু: সত্যি আমি খুব গর্বিত আপনিই প্রথম বাঙ্গালি স্যাণ্ড এনিমেটর। ভারতে স্যাণ্ড এনিমেশনের ওপর কোনও একাডেমিক কোর্স আছে?

কৌ: না এখনও হয় নি।

দু: স্যাণ্ড এনিমেশনে সাড়াটা কেমন পাওয়া যাচ্ছে?

কৌ: কর্পোরেট সো করছি বেশি। তাছাড়া স্কুল-কলেজ ক্লবেও দেখছে।

দু: তাহলে তো বেশ। এটা তো থ্রি ডাইমেনশনাল। অন্য শিল্প মাধ্যমের সাথে এর বিশেষত্ব কিভাবে করবেন?

কৌ: এটা একটা লাইভ সিনেমা, যা ডিলিট বা এডিট করা যায় না।

দু: আপনার এই শিল্প নিয়ে বেড়ে ওঠা, সংগ্রাম আর এর দিকে বিশেষ নজরটা কেনই বা ছিল এসব নিয়ে কিছু বলুন।

কৌ: জাস্ট স্ট্রাগল। নিজেকে চেনা বা চেনানোর জন্য লড়াই। বিজনেস বা চাকরি না করেও মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়। সেটা আমরা ভুলতে বসেছি।