সবচাইতে বেদনাদায়ক মন্দটা হলো লেখা অপেক্ষা লেখককে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা: কুমার দীপের সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Sep 2, 2012 6:20:45 AM

প্রকাশিত বই: কোথাও কোনো মানুষ নেই, নান্দনিক শামসুর রাহমান

দুপুর মিত্র: আপনি কেন কবিতা লেখেন ?

কুমার দীপ : ইচ্ছে হয় তাই লিখি। জীবনপথে হাঁটতে গিয়ে যা কিছু দেখি তার সবটুকু নিয়ে ভাবি না; যেটুকু নিয়ে ভাবি, ভাবনার থেকে মনের ভেতরে বিচিত্র রকমের কথার জন্ম হয়। এসব কথার প্রায় কিছুই মুখে বলতে পারি না, লোক-সমাজে তুলে ধরতে পারি না। না বলা সেই অব্যক্ত অনুভূতিরাশির দু-চার কণা কখনও কখনও উপমা-অনুপ্রাসাদির সাহায্য নিয়ে কাব্যিক ভাষাচিত্রের জন্ম দেয় বা দিতে চায়। অতএব, না লিখে উপায় কি বলুন ? তবে সবচাইতে বাস্তব কথা হলো, অধিকাংশ সময়েই অন্তরেই অলিখিত থেকে, মরে যায়। সময়ের তুলনায় তাই আমার লিখিত পঙক্তি অতি সামান্যই।

দুপুর মিত্র: কবিতা লেখার জন্য একজন কবির কী ধরণের প্রস্তুতি দরকার ?

কুমার দীপ : প্রস্তুতি যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবু যদি কিছু বলতেই হয়, তবে দু-এক কথা বলি । প্রথমত, তাকে লিখতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাকে বুঝতে হবে নিজের ভেতরে সত্যিই কোনো কবিত্বশক্তি আছে কি না। কবিত্বশক্তি অনেকটা সহজাত, যা তার প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রসূত। কিন্তু কবিত্বশক্তি থাকলেই যে সবসময় কবি হওয়া যায় তা নয়, কবি হওয়ার জন্যে নিজের শক্তিকে মেজে ঘষে নিতে হয়। এই ঘষা-মাজাটাই প্রস্তুতি। প্রস্তুতি মানে নিজেকে সমৃদ্ধ করা। সমৃদ্ধ হতে হলে জানতে হবে। শব্দভাণ্ডারকে জানা; কবিতার ভাষাকে জানা; ছন্দ-মাত্রাকে জানা; উপমা-উৎপ্রো-চিত্রকল্প ইত্যাদিকে জানা; কবিতার, বিশেষত বাংলা কবিতার ইতিহাস ও তার বিবর্তনকে জানা; কেবল কবিতা নয়, নিজের জাতিগত ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাণ, নৃতত্ত্ব, এমনকি বিশ্বমানব ও তার সভ্যতার বিবর্তন; প্রতিনিধিত্বশীল মানুষের জীবন ও জীবন দর্শন; প্রগতি ও বিজ্ঞানমনস্কতা.... এই সমস্তকিছুই একজন কবির তৈরি হওয়ার জন্যে জরুরি উপাদান। কেবলমাত্র বর্তমানকে নিয়ে বা নিজের চারপাশের ঘটনাকে দেখলে ও বর্ণনা করলেই কবিতা হয় না, বর্তমানকে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাণের আলোকে শিল্পায়িত করে তোলাতেই কবি ও কবিতার সার্থকতা। আবার অপর সত্যও আছে। জ্ঞানের কোষাগার মোটামুটি ঋদ্ধ থাকা সত্ত্বেও, কবিত্বশক্তির কিছুটা বিকাশ সত্ত্বেও, কবিতার আঙ্গিক বিষয়টাকে একেবারেই গুরুত্ব না কারণেও অনেকের কবিতা টেকসই হয় না অনেক ক্ষেত্রে। আবার বিপরীতভাবে কেবল আঙ্গিক বিষয়ের প্রতি জোর দিতে গিয়ে কারো কারো কবিতা যে কেবল ছাপা কাগজেই বন্দি হয়ে গেছে একথাও ঐতিহাসিক সত্য। আসল কথা হচ্ছে, যা কিছুই লিখি, যেভাবেই লিখি, শেষ পর্যন্ত তাকে কবিতা হয়ে উঠতে হবে, কবিতাপাঠকের মনে কাব্যিক অনুভূতি জাগাতে সমর্থ হতে হবে। একথা মনে রেখেই প্রস্তুতিটা গ্রহণ করতে হবে।

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক কাদের কবিতা আপনার ভালো লাগে এবং কেন ?

কুমার দীপ : সমসাময়িকদের মধ্যে কাদের কবিতা ভালো লাগে, এটা পরিস্কারভাবে বলা বেশ জটিল। যাদের কবিতা ভালো লাগে, তাদের সকল কবিতা কিংবা অনেক কবিতাই যে ভালো লাগে তা-ও নয়। সমসাময়িকদের মধ্যে খুব কম কবিই আছেন যাদের কবিতা পড়ে তৃপ্তি পাই, আমোদিত হই। এত অসংখ্য কবিতা লিখিয়ের আবির্ভাব হয়েছে শূন্য দশকে! কবিতার নামে এত বেশি অকবিতা প্রকাশিত হয়েছে এই দশকে ! (আমি দশকি কবিতাচর্চায় বিশেষ বিশ্বাস করিনা, কেবল, কবি ও কবিতার ধারা ঠিক রাখতে একজন কবির আবির্ভাবকালকে ঠিক রাখবার জন্যেই দশকের উল্লেখ করে থাকি।) আমার তো মনে হয়, শূন্য দশকের অধিকাংশ কবিই কবি নন, কবিতা লেখার ভাব ও ভার বহন করেন মাত্র। ছাপাখানার অভাবিতপূর্ব সুবিধা আর সুযোগ পেলেই নানারকমের পত্র-পত্রিকা প্রকাশের সাথে যুক্ত হয়ে অনেকেই নিজেকে কবি কবি চেহারায় তুলে এনেছেন । অনেকেই কবিতার ইতিহাস জানেন না, অগ্রজ, কিংবা সমসাময়িক কারো কবিতাই বিশেষ পড়েন না। কবিতার ছন্দ-মাত্রা বোঝেন না, না বুঝেই বর্জন করতে চান ছন্দকে। গদ্য কবিতার অজুহাতে নিছক গদ্যকেই কবিতা বলে চালিয়ে দিতে চান কেউ কেউ। নিজের একেবারে ব্যক্তিগত আবেগকে, অন্যের কাছে মূল্যহীন বক্তব্যকেও কবিতা নাম দিয়ে প্রকাশ করেন এরা। আবেগ কিংবা বক্তব্যকে কবিতা করে তুলবার কোনো প্রয়াস ল্য করা যায় না। একটি কবিতা যখন বেশ পাঠযোগ্য মনে হয়, অনুভূতিতে সাড়া দিতে চায় দু-একটা পঙক্তি; তখন এমন একটা-দুটো শব্দ প্রয়োগ করেন যে তার কবিত্বশক্তি সম্পর্কে সন্দেহ জাগে। যখন দেখি, সামান্য একটু সচেতন হলেই কবিতাটি সুন্দর ও ছন্দায়িত হতো; তখনই বুঝি, ইচ্ছে করে নয়, আসলে ছন্দ-মাত্রা এবং কবিতার শিল্পটাকে ঠিকমতো জানেন না তিনি। কেউ কেউ আবার অদ্ভূত ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য প্রকাশ করতে গিয়ে অগোছালো, অসম্পূর্ণ, এমনকি অপরের কাছে অর্থহীন, অবোধ্য বক্তব্যের ইট-পাথর ছড়িয়ে রাখেন। কবিতা দূরের কথা প্রকৃত কবির সততাও নেই অনেকের। মানুষ হিসেবে যে মূল্যবোধ এবং মুক্তদৃষ্টি থাকবার কথা, তারও অভাব রয়েছে কারো কারো। নিজের, এবং নিজের গোষ্ঠীভূক্ত কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে এরা কবি ভাবতেও দ্বিধাবোধ করেন; তাদের কবিতা পড়েও দ্যাখেন না। সবচাইতে অবাক হই, একজন কবি কিংবা কবিযশঃপ্রার্থী, যার কবিতা নিয়মিত-অনিয়মিত ছাপা হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, তার ভেতরে যখন ভুল উচ্চারণ, ভুল বানান, এমনকি কবিতা ও কবি সম্পর্কে ভুল ধারণার অস্তিত্ব অনুভব করি। এতদ্বসত্ত্বেও এসময়ের কয়েকজন কবির কিছু কিছু কবিতা আমাকে আকৃষ্ট করেছে কখনও কখনও। তবে এমুহূর্তে কারো নাম বলতে চাই না, আরও সময় অতিবাহিত না হলে বলা ঠিকও নয়। আবার একথাও উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে এদের কয়েকজনকে নিয়ে শূন্যের কাব্যস্বর : মৃদু পর্যালোচনা শিরোনামে আমি একটা গদ্যও লিখেছি, যেখানে বেশ শক্ত ভাষাতেই অনেককে বলেছি অনেক কথা।

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক কাদের কবিতা আপনার ভালো লাগে না এবং কেন ?

কুমার দীপ : এ প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই আগের উত্তরের ভেতরে আছে। যারা কবিতা চর্চা করেন বা করবার চেষ্ট করেন, কিন্তু কবিতা কী জানেন না; বাংলা কবিতার ঐশ্বর্য ও দারিদ্রের খবর রাখেন না; ছন্দ-মাত্রাসহ অন্যান্য আঙ্গিক বিষয়কে একেবারে থোড়াই কেয়ার করেন; কবি ও কবিতার অনিবার্য গুণাবলী কী তা জানেন না বা জানার চেষ্ট করেন না--- তারা দু-চারটে উপভোগ্য পঙক্তির জন্ম দিতে পারেন, এমনকি কোনো কোনো গোষ্ঠী কর্তৃক প্রশংসিত ও পুরস্কৃতও হতে পারেন কিন্তু তাদেরকে আমি কবি বলে মনে নিতে পারি না।

দুপুর মিত্র: নব্বই ও শূন্য--এই দুই দশককে আপনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী ?

কুমার দীপ : নব্বইয়ের কবিতার একটা মান ইতোমধ্যে স্বীকৃত হয়েছে, শূন্যের ক্ষেত্রে তা এখনও লক্ষ্যণীয় নয়। নব্বইয়ে কয়েকজন কবিকে আমরা পেয়েছি, যাদের কবিতার শিরা-উপশিরা রয়েছে। শূন্য দশক সম্পর্কে এরকম কথা বলবার সময় এখনও আসেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি নব্বইয়ের রহমান হেনরী, টোকন ঠাকুর, শিমুল মাহমুদ, পাবলো শাহী, অলকা নন্দিতা, শামীম রেজা, শামীম নওরোজ, ওবায়েদ আকাশ, কুমার চক্রবর্তী, হেনরী স্বপন, আমিনুল ইসলাম, চঞ্চল আশরাফ-সহ আরও কয়েকজনের কবিতা পছন্দ করি। তবে আমার পড়ার সীমাবদ্ধতার বাইরেও দু-চারজন কবি আছেন যাদের কবিতা ভালো লাগতে পারে। নব্বইয়ের কবিদের কাব্যবোধ বেশ মানসম্পন্ন বলেই মনে হয় আমার। বাংলাদেশের কবিতার ধারায় নব্বইয়ের কবিতার অবস্থানটা ইতোমধ্যেই যেখানে অগ্রজ-অনুজ অনেকের কাছেই গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়েছে, শূন্যের কবিরা সেখানে অস্থির, অনৌদার্র্যের আকর, একে অপরের প্রতি উস্মাপ্রবণ; কবিতাকে সময় দেয়ার মতো সময়ই নেই এদের অনেকের ! মাঝে মাঝে কবিতা কবিতা খেলা এইসব তরুণদের অনেকেই বিভিন্ন সাহিত্যপাতা ও পত্রিকার সাথে যুক্ত থাকলেও সত্যিকার কবিতার প্রতি এদের কেউ কেউ কতটুকু দায়বদ্ধ তা সন্দেহাতীত নয়। এদের কেউ কেউ শুরু করেছিলেন বেশ; একুশ শতকের জীবন বাস্তবতায় হয়তো কবিতার সুরটাই হারিয়ে ফেলেছেন। তবে একটা কথা পরিস্কারভাবেই বলতে ইচ্ছে হয়, শূন্যেরই হোন আর নব্বইয়ের হোন, এমনকি অধিকতর বয়োজ্যেষ্ঠই হোন; অধিকাংশ কবিদের কাছেই কবিতা কেবলই শব্দব্যায়াম, অসম্পূর্ণ অনুভূতির চর্চামাত্র।

দুপুর মিত্র: পশ্চিম বঙ্গের কবিতা আর বাংলাদেশের কবিতার ফরাকটা কোথায় ?

কুমার দীপ : প্রথমেই স্বীকার করি, পশ্চিমবংলার বর্তমান কবিতার সঙ্গে আমার তেমন পরিচিতি নেই। যে অতিসামান্য হাতে পেয়েছি, তা পড়ে মনে হয়, বাংলাদেশের কবিতা ও পশ্চিমবাংলার কবিতা একই ভাষার হলেও একই সুরের নয়। স্বভাবেও আলাদা। আসলে অভিন্ন ভাষিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হলেও নিকট ঐতিহাসিক ও সমকালিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অনেকটা আলাদা হওয়ায় দু-বাংলার কবিদের চিন্তা-চেতনায়ও এসেছে অনেক পরিবর্তন।

দুপুর মিত্র: ব্লগ, সাহিত্যকে কি বিশেষ কিছু দিচ্ছে ?

কুমার দীপ : ব্লগসাহিত্যের বয়স এতই কম যে কী দিচ্ছে আর কী দিচ্ছেনা তা পরিস্কার করে বলবার সময় এখনও আসেনি। তবে সত্য কথাটি এই যে, সময়ের প্রোপটে মুদ্রিত সাহিত্যের তুলনায় ব্লগসাহিত্যের ব্যাপক প্রসারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সুবিধাও অনেক। সারা বিশ্বের মানুষ একই সাথে পাঠ করতে পারে একমাত্র ইন্টারনেট বার্তাই। ইন্টারনেটকে মূলধন করে গড়ে ওঠা ব্লগ সাহিত্য একদিন তাই বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে সাহিত্যের অগ্রগতিতে।

দুপুর মিত্র: লিটলম্যাগের চাইতে ব্লগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় কি ? হলে কেন ? না হলেও তার কারণ কী ?

কুমার দীপ : না। এখনই লিটলম্যাগের চাইতে ব্লগসাহিত্যকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববার সময় আসে নি। একটা লিটলম্যাগ যেভাবে জন্ম নেয়, যেভাবে সেটা পঠিত হয়, এক হাত থেকে অন্যহাতে পৌঁছে যায়, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা ও করানো যায়; ব্লগসাহিত্য আমাদের মতো গরিব দেশের মানুষের কাছে এখনও; সেরকম কিছু নয়। একটি মুদ্রিত সাহিত্য অনেকের হস্তান্তরিত ও ইচ্ছেমতো পঠিত-আলোচিত হওয়ার যে সুযোগ তা ব্লগের ক্ষেত্রে এখনও প্রত্য নয়। তাছাড়া সবচাইতে বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো, যে যার ইচ্ছে মতো ব্লগ খুলছেন, সম্পাদক হচ্ছেন, কোনো বাচ্-বিচার না করেই নিজের ও নিজপছন্দসই লোকের যে কোনো লেখাই ব্লগে ছেপে দিচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতি অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ লেখা ও মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। কখনও কখনও মনে হয়, ইন্টারনেট বুঝি কতিপয় রুচিহীন মানুষের আবেগের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে !

তারপরও যুগের চাহিদা ও প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধাকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারলে ব্লগসাহিত্যই একদিন প্রধান সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে।

দুপুর মিত্র: দৈনিকে সাম্প্রতিক সাহিত্য বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী ?

কুমার দীপ : দৈনিক বলুন আর অদৈনিক বলুন, সাম্প্রতিক সাহিত্যের ভেতরে ভালো-মন্দ দুয়েরই প্রভাব রয়েছে। সবচাইতে বেদনাদায়ক মন্দটা হলো লেখা অপেক্ষা লেখককে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা। এই কাজটা সবচাইতে বেশি করে দৈনিক পত্রিকাগুলো। সেখানে বড় বড় লেখক নামের গুরুত্ব এত বেশি যে, তাদের খড়-কুটোও খুব আদরের সাথে ছাপা হয়, কিন্তু একজন নতুন কিংবা অখ্যাত লেখকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখাকেও ফেলে দেয়া হয়। আর ভালো দিকটা হলো, উপযুক্ত হোক আর না হোক, যার লেখাই ছাপুক, যতো অকবিতা আর অগল্পই বুকে নিক; প্রত্যেক সপ্তায় তারা যে এই অলাভজনক (পত্রিকার শিল্পপতি মালিকদের কাছে) বিষয়টির জন্য তিন-চারটি পাতা বরাদ্দ রাখছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার।