গোলাপের বদলে কবিতার উত্তরীয় আমার সম্বল: শর্মিষ্ঠা ঘোষের সাথে অনলাইন আলাপ

Post date: Sep 20, 2013 7:01:28 PM

দুপুর মিত্র: আপনি কেন কবিতা লিখেন?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : কবিতা লিখি না , কবিতা আমায় দিয়ে লিখিয়ে নেয় । কিছুই যায় আসে না কারো কিছু শব্দ জঞ্জাল বাড়াই , জেনেশুনে বিষ পানের আনন্দে লিখি , যন্ত্রণায় মরে যেতে যেতে লিখি , অভিমানী ছায়াগুলি জল থেকে সরে গেলেও না লিখে উপায় নেই । ঘটমানবর্তমান , রাজনীতি , শ্লোগানে , সমব্যথায় , সহাবস্থানে ঝাণ্ডার বদলে, গ্রাফিতির বদলে, গোলাপের বদলে কবিতার উত্তরীয় আমার সম্বল।

দুপুর মিত্র: কবিতা লেখার জন্য একজন কবির কি ধরণের প্রস্তুতি দরকার?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : কবিতা লেখা শুরু হয় প্রেরণাভিত্তি আমি প্রথমে মনোযোগী পাঠক কবিতা লেখা শুরু হয় প্রেরণাভিত্তিক । ধরুন , আমি প্রথমে মনোযোগী পাঠক । অনেকদিন ধরে পড়ছি অনেকের লেখাই , বিখ্যাত , অখ্যাত , সমকালীন , পুরনো , ভবিষ্যতের , বিতর্কিত , সহজ , কঠিন । আমার তৈরি হচ্ছে কান, মন, মগজ; সর্বোপরি নড়ে যাচ্ছি , ভেসে যাচ্ছি , অবগাহন করছি , সঙ্গম করছি । এই করতে করতে প্রলুব্ধ হচ্ছি আমার কথাগুলো তুলে ধরতে , খুলে ধরতে । আমি ভয়ে ভয়ে কলম নিচ্ছি হাতে , তারপর সেটাই হয়ে উঠছে আমারঅভ্যাস। অনেকে শুরু করেন আক্যাডেমিক লাইন থেকে । তাদের কাছে তত্ত্ব কথার বাস্তব প্রয়োগ অজ্ঞানকে শেখানোর তাগিদ থেকে লেখা শুরু হয় । আমি ব্যাকরণকে টিটকিরি দিচ্ছি না, শুধু অতিরিক্ত গিটকিরি গাইতে বারণ করেছি !

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক কাদের কবিতাকে আপনার ভাল লাগে এবং কেন?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : সমসাময়িক মানে আমার কাছে কোন মুহূর্ত নয়। একটা মানুষের যাপিত জীবন জুড়ে এর পরিধি। আমার জন্ম আটের দশকে। কাজেই সাত , আট , নয়ের দশক জুড়ে তুমুল আলোড়ন তোলা কবি ও কাব্যপ্রভাব এড়িয়ে থাকা সম্ভব ছিল না । বিশেষত নির্মিতিপর্বে । এপার ওপার বাংলার স্বনামধন্য , প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সফল কবিরা ছাড়াও স্বল্পসময় চলা বা টিকে থাকার সংগ্রাম করা নানা বাঁকের প্রতিষ্ঠান বিরোধী কবিদের ভালমন্দ নিয়েই ভাললাগতো । নির্দিষ্ট কারুর নাম করে লাভ নেই , সেটা খানিক ব্যক্তিপূজার সামিলহবে , আবার পাইকারি হারে নামোল্লেখ করলে পাতাও ভারি হবে ! কার কি ভালো লাগে সেটা এক কথায় সারা অসম্ভব । আমি খুব ওপেনমাইন্ডেড এ ব্যাপারে । অবিশ্রান্ত ছন্দিল সহজিয়া দর্শনাক্রান্ত হবার পাশাপাশি হালের মুভমেন্ট অকবিতা , বিনির্মাণের এর ছাঁচে ফেলেডিফারেন্স আবিষ্কারের চেষ্টা ,আমি সকলেরই অল্পস্বল্প সঙ্গে আছি । আর এই খানেই বলেরাখি , নেটবিপ্লবের ফলে নিজভূম ছাড়াও ইচ্ছে হলেই পাড়াপ্রতিবেশীর হেঁশেলে ঢুকে পড়ছি , চেটেপুটে খাচ্ছি তাদের প্রয়াসসকল, সেও ত একরকমের ভালোলাগাজাত !

দুপুর মিত্র: সমসাময়িক কাদের কবিতাকে আপনার খারাপ লাগে এবং কেন?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : ওরে বাবা , মার খাবার যোগাড় ! কেউ এত সরাসরি বলে নাকি , অমুক অমুকের কবিতা আমার জঘন্য লাগে ? আর সেটা এ কারণেও বলা সমীচীন নয় যে , যে যাই লিখুক না কেন , তার পেছনে নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য বা বিধেয় আছে । তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি থেকেদেখলে , নিশ্চয় দেখবো , কোন অমোঘ , কোন অনুঘটক , কোন উদ্দীপক , কিছু প্রভাব , কিছু জলজ্যান্ত প্রতিক্রিয়া । কাজেই কাউকেই উড়িয়ে দেবার পক্ষপাতী নই আমি । কিন্তু কবিতায় কিছু একটা্র অভাব থাকলে সেটাও রাডারে ধরা পড়েযায় । যেমন , কেউ যদিতিরিশ চল্লিশ বছর আগের স্টাইলেই বাজীমাত করতে চায় , আমায় টানে না । কবিতার কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক । মানছি , বিষয় ভিত্তিক লেখার ক্ষেত্রে আমরা প্রপাগন্ডা এড়িয়ে যেতে পারি না । সময় , সমাজের দাবীর কাছে অনেকসময় আমাদের আত্মসমর্পণ করতেহয় । অনুরোধ আসে , অমুক টপিকের ওপর লেখা চাই । আর এজাতীয় লেখা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রাশ হয় । কেউ কেউ নিশ্চয় ব্যতিক্রম । আমি গড়পড়তা কথা বলছি । এর মানে এই না যে কবিতা লেখার ক্ষেত্রে আমি ওয়ার্ডসঅয়ারথ এর তত্ব কপচাবো , কিম্বা কোনএকটা বিশেষ জ্যঁ র প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখবো , সেটা একধরণের বাঁধা, যে কোন ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর ক্ষেত্রে , নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেন কবি , কারখানায় অর্ডার দিয়ে লেদ মেশিনে না হোক কম্পুটারে পারফেক্ট কবিতা বানানোর মত ব্যাপারটা । সুতরাং মৌলিকত্বকে সম্মানকরতে হবে , আবার বিশেষ কোন আন্দোলনের ভারবাহী খচ্চর না হয়ে , পঠন , বিশ্লেষণ , আত্তীকরণ এবং স্বতন্ত্র পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে সার্থক এবং কালজয়ী কবিতার জন্মহয় বলে আমার বিশ্বাস । অন্ধঅনুকরণ জাত কবিতা বা প্যারডি আমার ভালোলাগে না ।

দুপুর মিত্র: নব্বই ও শূন্য এই দুই দশককে আপনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : নব্বইএর দশক বিশুদ্ধ কবিতা আন্দোলনের যুগ । সাবজেক্টিভ ন্যারেটিভ , টিপিকাল গীতিকবিতা অনেক নামীদামী লেখকও লিখেছেন । আর একটা স্টাইল ছিল , কনভারসেসনাল । পোয়েটিক ডিকশান প্রাঞ্জল , অন্তর্দশী , অন্তঃস্পর্শী , রৈবিক স্টাইলের থেকেমুক্তহবার প্রাণপণ চেষ্টা আছে । রোলমডেল জীবনানন্দ , ফরাসী কবিতা । অনুবাদ কবিতার প্রতি বেশ ঝোঁক দেখতাম অনেকেরি । কম্যুনিস্ট চিন্তাধারা , নকশাল আন্দোলন , যুদ্ধবিরোধী প্রপাগন্ডা বেশ চলছে বাজারে । বার্লিন প্রাচীর ভাঙ্গা , পেরেস্ত্রইকার খোলা হাওয়া , উদার অর্থনীতি এগুলো বেশ উঠে এসেছে , প্রভাবিত করেছে কবিতার স্ফিয়ারটাকেও । শূন্যদশকের কবিতা টেক্সট এর চাইতে টেক্সচার কে বেশী প্রাধান্য দিয়েছে । মনন তথা মেধা হয়েছে পাঠক বাছার মাপকাঠি । এ যেন শুধু শুধু ভাল লাগে বলে পড়া বারণ । কেন লাগেজানতে হবে , বলতে হবে । দু একটা চুলের ডি এন এ বিশ্লেষণ করে জন্মপরিচয় খোঁজার মত ব্যাপারটা । ন্যারেটিভ খানিক লিন অ্যান্ড থিন । বাহুল্য বর্জিত , মেদহীন , টিনেজার । ছটফটে । ধরতে গেলে ফস্কে যাওয়ার রিস্ক আছে । আবার করায়ত্ত হলে অর্গাজমের তুরীয়আনন্দ । নব্বই দশকি কবিতার ঢলঢলে লাবণ্য চটকে দিয়ে করিনা কাপুরের সাইজ জিরো হয়ে ওঠার চেষ্টা যেন শূন্যদশক , আমার কাছে । পাঠক লিমিটেড । ম্যাঙ্গ পাব্লিক নব্বই দশকে দিব্যি মজে আছে সেখানে ।

দুপুর মিত্র: পশ্চিমবঙ্গের কবিতা আর বাংলাদেশের কবিতার ফারাকটা কোথায়?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : খোলামনে দেখলে যে কোন দেশের কবিতার ভালোত্বের মধ্যে উনিশ বিশ নেই । পশ্চিমবঙ্গের কবিতার ইতিহাস লেখা হলে অবধারিত ভাবে সেটা ছুঁয়ে থাকবে রবীন্দ্রপরবর্তী আন্দোলন গুলিকে । বাংলাদেশেও সিমিলার আন্দোলন এসেছে বলিষ্ঠ ভাষার হাতধরে , ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে । সেখানে সেই আন্দোলনের ব্যাটন শামসুর রহমানের হাত থেকে আপন মাহমুদ হয়ে নব্যযুবাদের জিন্সের পকেটে আর মাচো ইমেজের ফ্রেমে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে । আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে বাংলাদেশের কবিতা চর্চায়ভাষা অনেকবেশি মণিমাণিক্য সঞ্চয় করেছে । নেটমাধ্যমে বাংলাদেশের সমকালীন কবিতা যখন পড়ি , অনেক নতুন শব্দের আদুরে ব্যবহার দেখেছি । পাশ্চাত্য অনুকরণের ঝোঁকটা একটু কম ই লেগেছে , বরং আপন ঐতিহ্যের অহং অনেকবেশি লেগেছে খালিচোখে ।

পশ্চিমবঙ্গের কবিতা চর্চায় আবার গঙ্গার এপার ওপার বলে একটা অদৃশ্য বেড়া আছে । উত্তরবঙ্গের কবিতা যেমন খানিকটা মিথ , ম্যাজিক , ফোক কালচার এর কোলের সন্তান , দক্ষিণ বঙ্গে সেটা উন্নাসিক একটা বাতাবরণে ঢাকা । লিটিল ম্যাগ , ওয়েব বিস্তার ব্যবধানখানিক ঘোচালেও কফি হাউস , নন্দন চত্বর ইত্যাদি উপসর্গ না থাকার অপরাধে উত্তরের কবিতার যেন বাল্যকাল কাটছে না সমালোচকদের কাছে । জানি , অনেকে রে রে করে তেড়ে আসবেন , কাঁচা খিস্তি কয়েক কিস্তিও জুটে যেতে পারে মুফতে , কিন্তু প্রচার সর্বস্বতারযুগে এই ফারাকটা খুব দৃষ্টিকটু । এবার কাজের কথা বলি , সেদিক থেকে উত্তরের কবিতা কালচার বাংলাদেশের সলিড আপ্রচের সাথে বেশী যায় । দক্ষিণপন্থীরা চাডডি তত্বকথা না আউড়ে শান্তি পাননা সহজে ! এ মন্তব্যের দায় আমার একার নয় ! পশ্চিমবঙ্গের কবিতারইতিহাস সাংঘাতিক এক একটা আন্দোলনের সাক্ষী , কিছু তার বিবর্তিত , কিছু অঙ্কুরের বেশী দাঁড়ায় নি এখনো । সে কাজ গুগুল সার্চ করে দেবে । মোদ্দাকথাটি এই যে , ভালো কবিতা , অ্যাপিলিং কবিতা দু দেশের সীমা মুছে লেখা হচ্ছে , হৃদয়ের দরবারে সমানভাবে তারাসমাদৃত ।

দুপুর মিত্র: ব্লগ সাহিত্যকে কি বিশেষ কিছু দিচ্ছে?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : আমাদের এই মুহূর্তে প্রচলিত প্রতিটি মাধ্যমই তার নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পন্থায় বাংলা সাহিত্যের প্রচার , প্রসার , উন্নতি , ব্যাপ্তি র জন্য চেষ্টা করে চলেছে । এদের কোনটার চেয়ে কোনটাকে ছোট বা বড় ভাবার অবকাশ নেই । সাহিত্য সৃষ্টিরঅন্যতম উদ্দেশ্য যদি হয় বহুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনো , তাদের মতামত , সমালোচনা সরাসরি জানা , শোনা , গুরুত্ব দেওয়া , সর্বোপরি একটি আন্তর্জাতিক পাঠক গোষ্ঠীর কাছে সহজে পৌঁছনো , তবে ব্লগগুলির সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে । কে কবে আর্থিক , পারমার্থিক আনুকূল্যে আপনার লেখা ছাপবে, তারপর আপনি যদি অখ্যাত হন তো পয়সা খরচ করার আগে ট্যাঁস পাবলিক চারবার ভাববে , বইমেলায় আপনাকে ড্যাশি হতে হবে , এতসব ঝামেলা ছাড়াই , পাঠকের পকেটে চাপ না বাড়িয়ে এই যে ব্লগগুলি অকাতরে মণিমাণিক্য সোনা রূপো তামা পেতলের জন্ম দিয়ে চলেছে অকান্তভাবে সেটা অবশ্যই ভালোব্যাপার । এখন যেমন চিঠি না লিখে মানুষ এসেমেস করে , ছাপার বদলে ব্লগও তেমনি যুগের চাহিদা এবং ইন থিং । একে অস্বীকার করার জায়গা নেই ।

দুপুর মিত্র: লিটলম্যাগের চাইতে ব্লগ গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনার মনে হয় কি? হলে কেন না হলে কেন নয়?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : তুলনামূলক ব্যাপারটা আমার ঠিক আসে না। দেখুন যার কাছে যেটার সুবিধে সুযোগ সামর্থ্য আছে , তার কাছে সেটাই ভালো । পাঠক হিসেবে এর সুফল নিতে কারোর কোন সংস্কার থাকা উচিৎ নয় । গ্রামাঞ্চলেও আজকাল মোবাইল নেট আছে ।তথ্যসংস্কৃতির এই বিপ্লবের যুগে আমার মনে হয় লিটিল ম্যাগ ম্যামথে পরিণত হয়ে যাবে একদিন । এর বিপুল আর্থিক দায়ভার , এর লেখা পাঠানো , ম্যাগ এর লেখককপি পাঠানোর আদিম প্রাগৈতিহাসিক ঝামেলা থেকে মুক্ত ব্লগ বহুল প্রচলন এবং জনপ্রিয়তার ক্যাপাসিটিরাখে । আবার নস্টালজিয়া , ঐতিহ্য ইত্যাদির দোহাই দিয়ে কিছু শব্দসৈনিক ম্যাগ এর জন্য সাক্রিফাইস করে চলেছেন , তাদের ও কুর্ণিশ ।

দুপুর মিত্র: দৈনিকে সাম্প্রতিক সাহিত্য বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

শর্মিষ্ঠা ঘোষ : দৈনিকে সাম্প্রতিক সাহিত্য বলে যা প্রকাশিত হয়ে চলেছে , তার অনেক ঝাড়াই বাছাই দরকার । আসলে দৈনিকে অনেক চটজলদি অর্ডারি ( বেশিরভাগ সময়েই ) বিষয়ের ওপর লিখতে গিয়ে লেখক নিজের প্রতি সুবিচার করেন না , মানে , পেরে ওঠেন নাআরকি ! কখনো কখনো সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টায় লেখক নিজস্ব স্টাইলকেও সাক্রিফাইস করে বসেন । সেটা আদতে সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি, ক্ষতি মননশীল পাঠকের । পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ত এই উপসর্গ অনেকক্ষেত্রেই পীড়াদায়ক পর্যায়ের, অনেক নামী কলম এইফাঁদে পা দিয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেছে । আবার এর ব্যতিক্রমও আছে অনেক । আপনি কখনই স্বতঃসিদ্ধ বলে কিছু পাবেন না সাহিত্যের দুনিয়ায় । রিজিড রুল বলে কিছু নেই । অনেক উঠতি লেখকই আবার দৈনিকে ফাটিয়ে লিখছেন । তাদের কাছে এটা বেশ ভালোপ্ল্যাটফর্ম । সহজ পরিচিতির , একটা মাস রিডারের কাছে পৌঁছনোর । অনেক বিখ্যাত রচনা দৈনিকে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়ে লেখককে পরিচিতি দিয়েছে , পরে গ্রন্থহিসেবে সংকলিত হয়েছে । এসব নিয়ে তর্কের অন্ত নেই । তর্ক আছে । তর্ক থাকুক । আমাদেরআসল কনসার্ন ভাল লেখা পড়া । সেই শর্ত পূর্ণ হলেই অল ইস ওয়েল !