বাংলা ভাষা নিজেই নিরীক্ষার জায়গায় অবস্থান করে বলে আমার মনে হয়: ঋক সৌরকের নিরীক্ষা নিয়ে বিশ্লেষণ

Post date: Sep 20, 2017 12:51:14 AM

Vaughan Rapatahana এর মতে Experimental poetry then, is anything that breaks away/breaks up/brakes the usual suspects, that not only explodes the page per se, but also gets away from any pages anyway in any way, shape or form.

এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে উনার এই মন্তব্যটি বেশ ক্ষুরধার।

ঋক সৌরকের কবিতার এক্সপেরিমেন্ট বিষয়ে আসা যাক। কথা হচ্ছিল তার এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে। আমরা এক একটি কবিতা ধরে জানতে চাইছিলাম,কোন কবিতায় কি ধরনের এক্সপেরিমেন্ট উনি করেছেন।

উনি বলছিলেন-দেখুন নিরীক্ষা করতে হবে এভাবে কখনো ভাবিনি,বা,নিরীক্ষা করা আমার প্রধান উদ্দেশ্য না। আমার প্রধান লক্ষ্য লেখা। এবং বাংলা ভাষায় লেখা। এখন বাংলা ভাষা নিজেই অন্যান্য ভাষাদের তুলনায় বৈশিষ্ট্যগত ভাবে নিরীক্ষার জায়গায় অবস্থান করে বলে আমার মনে হয়। কারণ এই ভাষা ভার্বসেন্ট্রিক (অপরদিকে ইংরেজি ভাষা লোগোসেণ্ট্রিক); অর্থাৎ বাংলায় যেকোনো একটি শব্দকে আপনি তুলে আনুন - তার উৎস কিন্তু একটি ক্রিয়াপদ। ফলে একটি শব্দ থেকে অন্য শব্দে গমনের পথটি অনেক বেশী লজিক্যাল। তাছাড়া বাংলা ভাষা বহুবর্ষযাবৎ বিভিন্ন ভাষা-উপভাষা-শ্রেণী সমবায় দ্বারা ঋদ্ধ হয়েছে। ফলে এর রূপান্তরণ, বৈচিত্র এবং বাঁক গুলি এর মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা তৈরি করে রেখেছে। যে কারণে বাংলা এখন শুধু একটি তথাকথিত ভাষা নয়, বরং একটি কালচার বা সংস্কৃতি বলে আমার মনে হয় - যা কিন্তু সতত পরিবর্তনশীল এবং পরিবর্তনকামী। আর এই পরিবর্তন তার নিজস্বগুণেই অনিবার্য কথা বলছিলাম বাংলাভাষায় অজস্র সম্ভাবনা বা প্রোবাবিলিটির... ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে বাংলা ভাষায় যেমন কিছু আদি প্রোটোকল আছে, সেভাবেই এর মধ্যে অসম্ভব কিছু পাগলামো বা রেবেলপনা আছে... অর্থাৎ হুটহাট নিপাতনে যাবার রীতি, যেখানে কি এবং কেন এই প্রশ্নসমূহ নিতান্তই অবান্তর এবং কদর্য তো আমি যেটা বলতে চাইছি, নির্বাচিত ভাবে নিরীক্ষা করবার জন্য আমাকে আলাদা ভাবে বসতে হয়নি। আমি বাংলাতে ভাবতে এবং লিখতে চেয়েছি মানেই প্রোবাবিলিটি এবং পারম্যুটেশন কম্বিনেশনের পাওয়ার কণ্ট্রোল আমার হাতে... কিন্তু পাওয়ার থাকলেই তো হয়না, তাকে নিয়ন্ত্রণও ঠিকভাবে করতে জানতে হয়... তাই আসি প্রতিটি কবিতার কথায়।

(ক্যারিবিয়ান প্রজাপতি ও ফ্লাইং ব্লেণ্ডার্স)

গভীর সমুদ্রের প্রজাপতি

ফেনিল আলোর কেশদামে থেঁতলে গেলো গো মুখ

সুগন্ধের একমুখী পথ সুগন্ধের উষ্ণতা তলে শায়িত

প্রজাপতিটি আমাদের পথ ওই, আত্মহারা নাবিকের ভাষা

সহস্র নটিক্যাল বেগে এসো চুমু এসো ভাষা খাই অনিন্দ্য

প্রজাপতে: গভীরম সমুদ্রে

দাঁড়াবার জায়গা-য় দাঁড়িও না, ভেসে যাও ভেসে যাও

ছোঁয়াচ লাগলেই রঙিন হয়ে ওঠে নুন - নুনের দণ্ডিত টিলা

আলো দিয়ে মোড়া পাখনা নেড়ে নেড়ে অন্ধকারগুলি ওড়ে

এ জলযাত্রা তবু, তোমার প্রশ্নের ভেতর নেমে শুদ্ধ হই ক্রমশ

সমুদ্রের প্রজাপতি : গভীর

না চেয়েও চেয়ে আছি না-না-রকম জলের প্রণিধান

আদলের নিরাকার ওড়নাটি মিথের মত দুরুদুরু মিথ্যুক

তবু আকাশকুসুম প্রজাপতিদের ভয়েজ প্রলিপ্ত হচ্ছে

হে রাধে! অপরাধ নিও না! দিকচক্রবাল খুলি?

উনি জানালেন-ক্যারিবিয়ান প্রজাপতি ও ফ্লাইং ব্লেণ্ডার্স - কবিতাটিতে বাক্যের বিভিন্ন পদগুলি (বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়া ইত্যাদি) নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। "ফেনিল আলোর কেশদাম.... এসো ভাষা খাই অনিন্দ্য" চারটি লাইন লক্ষ্য করুন। প্রতিটি লাইনের এক-একটি শব্দ দ্বিতীয় লাইনে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুন:প্রয়োগ হয়েছে। কতটা সচেতন ভাবে এই শব্দের পুনপ্রয়োগ বিভিন্ন রূপে করলে তা মনোটোনাস লাগে না, তার একটি চেষ্টা করেছি। আবার, "এসো চুমু এসো ভাষা খাই অনিন্দ্য".... এখানে অনিন্দ্য শব্দটি ব্যবহারের গুণে বিশেষ্য অথবা বিশেষণ দুভাবেই প্রতিভাত হতে পারে।

"গলিতে গলিতে বিগলিত" কবিতায় ভবিষ্যত গলির টুংটাং - এই বাক্যবন্ধটি কে এম্ফাসাইজ করার জন্য বারংবার কবিতায় ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন আদলে! অর্থাৎ একই কথা ভিন্নভাবে বললে কতখানি বদলে যায় তার অভিঘাত তা কবিতায় আনার প্রচেষ্টা, যেহেতু কবিতা নিজেই কথা বলে অথচ তার কোনও ভয়েস মডিউলেশন নেই, তাই শব্দের বিবিধ প্রয়োগ সেখানে কখনো ঘন এবং লঘু-র কন্ট্রাস্ট তৈরী করে... এভাবেই ভাবছিলাম। আবার এখানে আগাগোড়া একটি বিশেষ্য পদ "মীনাক্ষী" কে গন্তব্য-র বিশেষণ হিসেবে নবরূপে প্রকাশ করা হল।

(গলি তে গলি তে বি-গলিত)

ভবিষ্যত গলির টুংটাং

গলির টুংটাং ভবিষ্যত

সেই গলি বেয়ে পালিয়ে যাচ্ছে ঝিমগন্ধরাজপথ -

বিকেলের নরম আলো চষে চোখের ভেতর ঢোকে চোখ

কতদিন তার বাঁক ঘুরিয়ে আদর দেয়া হয় নাই

আমাদের শুভেচ্ছা ফিরে আসে সে বাঁকের ছায়ামোল চুমে

টুংটাং গলির ভবিষ্যত

টুং গলির টাং ভবিষ্যত

সাইকেলের মূঢ হর্ন সাবধান করে সাবধানতা কে

কে আর ভেবেছে এসব ঘূর্ণনের মীনাক্ষী গন্তব্য

ভবিষ্যতের য-ফলায় ঝুলছে মরা প্রেমের ফিকশান

উড বি কেল কঁকিয়ে ওঠে হর্ন ডলার মতো হা-গোপন

গলির ভবিষ্যত টুংটাং

টুংটাং ভবিষ্যতের গলি

যা কিছু মাটি - মাটির গাছ - কথা দিয়ে রাখা কথা

স্তনের ভাঁজে অনুদিত চিঠি, আমাকেও দিত তোমাকেও দিত

যে বর্ণমালায় পা রেখে রেখে এতটাও নীচে নামা যায়

সেকি আমার আবিষ্কারক এর আকরিক সময়ের হা-হাতে দিলো?

(ন্যাস্টি ঊ্যূম্যান)

কত নিরাপদে উঠে পড়ছো শরশয্যায়

মৌনউতল

ভেট চড়াচ্ছো হাট পরাধীনতা

তোমার খোলাচুল আর খামখেয়াল

যেভাবে অল্পবয়সোচিত অভিনয় অতীব লাগে

যেন খোলাবই ফেলে কেউ গেছে মনোরোম

কোনও পেজমার্ক নেই ; নেই বিশুদ্ধ বিন্যাস

অপার্থিব হাওয়া চটিয়ে যায়

বাদুড়ে মলাট

এমদ কদাকার বিভঙ্গ পরস্ব ঝংকারে আপতিত

অথচ প্রেমপত্র লেখার কথা ছিলো, এখন,

কোনো মন্ত্রমুগ্ধ সাপের মতোই তোমার পোড়নবিষ

ঠোঁটের ডগা থেকে গিলে নিচ্ছে

স্ব-শরীর অনাহুত পূরক ক্রম

অথবা সেই জাতমুর্গা, হিসেব টপকাতে গিয়ে

ছিটকে পড়েছে ক্ষুধার্তদের অন্দরমহলে

একপশলা শরীর নিয়ে কি যান্ত্রিক ছিনিমিনি -

এ রঙ্গিলাতপ্ত এ সুগন্ধ দাউদাউ ডায়াস

কারো হাঁড়িকাঠ

কারো পাতিখাট

ও মেয়ে,

বাড়ি যাও ... মুড নেই ।।

"ন্যাস্টি ঊম্যান" কবিতাটিতে আমি খুব কম পরিসরে একটি নাটুকে প্রেক্ষিতকে তুলে ধরতে চেয়েছি। মনোলগ, ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে ছুঁতে চাওয়া এক্সট্রিম পয়েণ্ট বা জেনিথ, সেখান থেকে থৈ থৈ অবতরণ নাদির-এ, বর্ণনার ভেতর রাখা সাসপেন্স এবং সাসপেন্স ক্রাইসিস ইত্যাদি... এবং এবং এবং অবশ্যই খু উ ব ক্যাজুয়াল এণ্ডিং এক প্রেম, বিরহ,প্রতিশোধ, শব্দের উদ্দাম আলোড়নের ভেতর যেতে যেতে হঠাৎ খুবই সাদামাটা ঘরোয়া এক যবনিকা... এই যে কণ্ট্রাস্ট, ধবধবে সাদা দেয়ালে মিশকালো একটিই বিন্দু... যাকে অপছন্দ করা যায়,কিন্তু অস্বীকার করা যায় না... ভেবে দেখলাম সেটা করলে কেমন হয়! পরিশেষে বলি, আমি জানি, কম-বেশী সব বাঙালি তরুণ বা যুবক প্রেমিকই কখনো বা কখনো সম্পূর্ণ নি:শেষ হয়ে এই কথাটা বলেছে, এটা আমার কথা বা কবিতা না, এটা সকল ব্যর্থ প্রেমিকের কথা... "ও মেয়ে, বাড়ি যাও... মুড নেই।।"

(অমৃতস্য রেসিপি)

অটোগ্রাফের অনতি দূরে দুটি সমান্তরাল লাইন,

“যে যাবার সে যাবেই -

তাকে আটকাবে কি দিয়ে ”

কেউ হত্যে দেয় নি সামনে এসে

দাঁড়ায়নি গন্তব্য হয়ে

উবে যাওয়া কর্পূরের মত

বাহির টা হঠাতই ভিতর হয়ে ওঠে নি আর

পথ এবং চলে যাবার পথ

ঊনিশ-বিশ

কোনো “ফিরে তাকাবো না” গোছের সুপার-ইগোহীন

অথচ দূর থেকে বহুদূর

একটিও ছায়া নেই

নির্মম আলোয় মুখ ভ্যাংচানো ইথার সমাজ

ওদের অফুরন্ত গার্গেল পাক দিয়ে যায় মৃত কবির ব্যক্তিগত বিপ্লব

সেই নিয়ে মহোৎসব যেন ঠিকরে আসা সংস্কৃতির জিভ

যেন পবিত্র শিশুকে হিস্‌স হিস্‌স বলে ওস্কাচ্ছে কেউ

ওরা সবাই জীবনানন্দ কে নিয়ে মলয় কে নিয়ে লেগে পড়েছে

ওরা সবাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিনয়কে নিয়ে চোব্য করছে

ওরা কেউ আমার কথা বলছে না -

আমি কি মোরে জাবো ?

"অমৃতস্য রেসিপি" লেখাটি আদ্যন্ত অতিফ্যাণ্টাসিত লেখা। যেখানে এক উঠতি কবি বায়না করে খ্যাতির জন্য... যত ভালো রাঁধুনিই হোক না কেন, সেতো আর অমৃত রান্না করতে পারবে না... তো সেই যে কবিতার জগতে বিখ্যাত ও মৃত কবিদের নিয়ে এককেন্দ্রিক হরিবোল এই অতিভক্তি নিয়ে আপত্তি ও বিরক্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু কবিতার নিজস্ব ভয়েস মডিউলেশন নেই, শব্দের প্রয়োগই এর ভয়েস এবং মডিউলেশন তাই বিরক্তির ব্যঞ্জনা প্রকাশ করার জন্য ভাষার বিকৃতি ঘটানো হয়েছে (যা কিনা আরোপিত না, স্বতঃস্ফূর্ত) "আমি কী মোরে জাবো?" একজন অনুভূতিশীল মানুষই এই বিকৃতির আবেদন অনুভব করতে পারেন... আমি যেহেতু আমার ভাষাকে অফিসিয়াল লোগোলাগানো ফর্মাল সহকর্মী মনে করিনা; ভাষা আমার বাড়ির লোক - তাকে নিয়ে আমার গর্বের শেষ নেই, আবার খিস্তিখাস্তা চুলোচুলিও তার সাথেই... যেখানে তৃতীয়পক্ষের অনুমতিবিহীন উপস্থিতি আমি পছন্দ করি না... আমার কাছে আমার ভাষার সাথে প্রতিটি ভালো ও মন্দের অভিজ্ঞতাই এক একটি অলংকার...

(খুন একটা আর্ট)

আন্দাজে ছুঁড়ে দেওয়া ঢিল

আপনাকে আরোও খানিকটা অন্ধকারে নিয়ে যায় -

পরিণত হবার আগেই সমূলে ধৌত

আহত প্রতিফলনের আশাব্যঞ্জনা

গাঢ শ্যাওলায় ভাসতে ভাসতে অপেক্ষা ... অপেক্ষমান

যেভাবে পরমাণুদের ঋতুবিদ্বেষী দূরত্ব নিভে যায়

তারায় তারায় ছড়িয়ে পড়ে জলতরঙ্গসিঁড়ি

খুন শুধু গণিত নয় ; দূরদৃষ্টির বিশ্লেষণ

ঘটনার লভ্যতাকে দর্শকের চোখে পুঁতে দেওয়া

একটার পর একটা রুবিক – কো-অর্ডিনেট আর অপেক্ষা

বিকটশিথিলঅপেক্ষা

উতরাইয়ের শেষ ধাপে শিকার ও খুনী মুখোমুখি

খুনী শিকারকে সম্মোহন করে,

খুনের আবেশে, অবশ করে দেয় ; এই সম্মোহনই

খুনীর বিশেষ পরিচয়

কোনোরকম অবদমন ছাড়া

শিকারকে খুশী খুশী আত্মসমর্পনের সুযোগ করে দেওয়া

‘খুন একটা আর্ট সিরিজের’ এটি অন্যতম একটি কবিতা। এই সিরিজটি যে সমস্ত লিটলম্যাগ বা অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যথেষ্ট আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে... "খুন কিভাবে একটি আর্ট " - হতে পারে? সেতো বে-আইনি ব্যাপার। অবশ্যই... কিন্তু মানুষ বাদ দিয়ে দৈনিক কত ঠুনকো ঠুনকো বিষয় খুন হয়ে যাচ্ছে তার খবরের কেও পরোয়া করে না। অথচ খুনী একজন দক্ষ পরিচালক। একটা ম্যানেজমেণ্ট প্রোগ্রামকে এক্সিকিউট করতে যতটুকু মাথা,স্ট্র‍্যাটেজি,রিস্ক অ্যাসেসমেণ্ট এবং ক্রিয়েটিভিটি লাগে তা তার আছে... সুতরাং, সেটুকু কে আমি অস্বীকার করতে পারি না। তবে এভাবে আমিও আমার কবিতার সম্ভাবনাকে খুন করি...কেন করি? আমার এক্সপেরিমেণ্ট করতে ভালো লাগে,বহতি গঙ্গা মে হাত ধোনে বালা মানুষ আমি না। খুন আমার কাছে একটা গবেষণা,পরিমিত সীমার ভেতরেই জীবন ও মৃত্যুর, সৃষ্টি ও ধ্বংসের, তাণ্ডব ও লয়ের বহুবিধ প্রবণতাগুলিকে জীবনবোধে জারিত করার আসক্তি... তাই আমি খুনকে একটা আর্ট মনে করি, বিশেষ করে একটি সম্ভাব্য কবিতাকে... যাতে করে সাক্ষীদের মধ্যে থেকে কেও কেও এগিয়ে এসে সেই অপূর্ণ সম্ভাবনাকে কুড়িয়ে নেয় এবং কখনো কোথাও অন্যভাবে আরো অভিনব রূপে রূপায়িত করতে পারে।

প্রতিটি কবিতার বিশ্লেষণ, ভাবনা ও তাকে নির্মাণ করা আমাকে মুগ্ধ করেছে।পাঠক আপনাকেও নিশ্চয়ই বিমোহিত করেছে।