Page 575

তিনি কি গড়িলেন?

“বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি”

“মতুয়া-আত্মভোলা বীর সাধু।”

শ্যামল বাংলার কোলে

বাঁধিয়া প্রেমের জালে

ঘরে ঘরে বাজে তাঁর

ডঙ্কা শিঙ্গা রোল।

বলরে হরিবোল!

আনন্দের শিহরণ,

নাচে বুকে ঘন ঘন

মরা প্রাণে জেগে ওঠে,

আনন্দেরি দোল!

বলরে হরিবোল!

Page 576 start

এনে সঞ্জীবনী সুধা

মিটা’ল প্রাণের ক্ষুধা,

জেগে ওঠে গুরুভক্ত

মতুয়ার দল।

বলরে হরিবোল!

প্রেমে আঁখি ছল ছল

বুকে শক্তি দেহে বল

বজ্রসম রুদ্র পুনঃ

কুসুম-কোমল।

বলরে হরিবোল!

হরিপ্রেমে মাতোয়ারা

গুরুপদে রহে মরা

কীর্তনের কালে ধরা

করে টলমল।

বলরে হরিবোল!

ব্যথিতের বেদনায়

গলে যায় করুণায়

তার দুঃখে দুঃখী সেজে

ফেলে অশ্রু জল।

বলরে হরিবোল!

নারী জাতি জানে মাতা,

শ্রদ্ধায় নোয়ায় মাথা

নতশিরে দেখে মাত্র

চরণের তল।

বলরে হরিবোল!

নারীর সম্মান লাগি,

হ’তে পারে সর্বত্যাগী

দিতে পারে পলকেতে

ধরা রসাতল।

বলরে হরিবোল!

সে জানে দেবতা নাই

মানুষে মানুষ পাই

মানুষ সবার শ্রেষ্ঠ

মানুষেই বল।

বলরে হরিবল!

সরল অকুতোভয়

মরণেতে নাহি ভয়,

হরি গুরুচাঁদে জানে

পথের সম্বল।

বলরে হরিবল!

আপনার বুক চিরে,

প্রমথরঞ্জনে ধরে

মতুয়ার করে করে

দিল সিদ্ধি ফল।

বলরে হরিবল!

করিলেন লীলাসাঙ্গ

গড়িয়া মতুয়া-সঙ্ঘ

প্রমথরঞ্জন বলে

এস হে সকল।

বলরে হরিবল!

জীবনের কুরুক্ষেত্রে

‘অনন্ত বিজয়’ পত্রে

প্রথম দিতেছে বাণী

অভয় সকল।

বলরে হরিবল!

মতুয়ার মহাসঙ্ঘ

বলিতেছি সে প্রসঙ্গ

কোন কোন দেশে আছে

কোন মহাবল।

বলরে হরিবল!