Page 503

ভক্ত তারিণী ডাক্তারের জীবন কাহিনী


“And who tha stand and wait-”-Milton

নমস্তে তারিণী বাবু ডাক্তার সুজন।

গুরুচাঁদ পদে ভক্তি যার অনুক্ষণ।।

বার শত অষ্টাত্তর সালে জন্ম নিল।

পিতামাতা তারে পেয়ে আনন্দিত হ’ল।।

গোপালগঞ্জের মধ্যে কৃষ্ণপুর গ্রাম।

নমঃ বংশে জন্ম নিল সেই গুণধাম।।

শ্রীঈশ্বর নামে পিতা উপাধিতে ‘বল’।

জ্ঞানী গুণী পঞ্চ ভাই হইল সকল।।

তারিণী, উমেশ, দুই মহেশেতে তিন।

বিরাজ, ত্রৈলোক্য যার আগেতে বিপিন।।

আদি শিক্ষা আড়পাড়া স্কুলেতে হ’ল।

তারপরে ঘোনাপাড়া সুখে পাঠ নিল।।

ওড়াকান্দি মান্য করে শ্রীঈশ্বরচন্দ্র।

সরল বিশ্বাস রাখে নাহি কোন দ্বন্দ্ব।।

ঘোনাপাড়া পাঠ শেষ করিল তারিণী।

মনে মনে চিন্তা করে সে ঈশ্বর গুণী।।

ওড়াকান্দি মধ্য বাংলা বিদ্যালয় আছে।

তারিণী লভিবে শিক্ষা সেই স্কুলে পাছে।।

Page 504 start

এত ভাবি ওড়াকান্দি করিল গমন।

প্রভুর নিকটে করে সব নিবেদন।।

আপন মনের কথা বলিল খুলিয়া।

কথা শুনি প্রভু তাহে বলিল হাসিয়া।।

“ওড়াকান্দি এসে যদি তব পুত্র পড়ে।

তারে বাসস্থান দিব আমার এ ঘরে।।”

প্রভুর বচন শুনি কান্দিল ঈশ্বর।

বলে “বহু দয়া কৈল আমার উপর।।”

শুভ দিনে পুত্র সহ এল মহাশয়।

তদবধি সে তারিণী সেই গৃহে রয়।।

নিজ পিতা সম মানে প্রভু গুরুচাঁদে।

মাতা বলে প্রণমিল সত্যভামা পদে।।

বহু যত্নে প্রভু তারে করিল পালন।

ভক্তিভাবে সে তারিণী থাকে সচেতন।।

প্রভাতে জননী তারে ডাক দিয়া কয়।

“প্রভুর প্রভাতী খাদ্য লহ এ সময়।।”

খাদ্য লয়ে সে তারিণী দাঁড়াইয়া কয়।

তার হাতে প্রতিদিন মহাপ্রভু খায়।।

নিজ পুত্র সম রাখে স্নেহেতে বাঁধিয়া।

কৃষ্ণপুরে গেলে দিন কাটে যে কাঁদিয়া।।

এইভাবে ছাত্র বৃত্তি করিলেন পাশ।

ক্রমে মনে জাগে তার উচ্চ অভিলাষ।।

প্রভুর নিকটে তবে করে নিবেদন।

“এবে কোন কার্য আমি করিব এখন?”

প্রভু কয় “আমি বলি পড় গে’ ডাক্তারী।

পরে পেতে পার বটে রাজার চাকুরী।।”

আজ্ঞা পেয়ে সে তারিণী চলিল ঢাকায়।

বহিলেন গুরুচাঁদ তার যত ব্যয়।।

যেই কালে যত টাকা হয় প্রয়োজন।

সে তারিণী চাহে তাহা প্রভুর সদন।।

দয়াময় দয়া করি সব অর্থ দেয়।

তাহাতে তারিণী বাধ্য রহে সর্বদায়।।

প্রভুর কৃপাতে দেখ পরে সেইজন।

করিল ডাক্তারী পাশ হ’য়ে একমন।।

পাশ করে ঢাকা হ’তে আসিলেন বাড়ী।

প্রভুর নিকটে বলে করজোড় করি।।

“এবে কোন কার্য করি বল দয়াময়।”

প্রভু বলে “হে তারিণী নাহি কোন ভয়।।

প্রভুর কৃপায় বাঁধা কিছু নাহি হ’বে।

এক কথা তব ঠাই বলি আমি তবে।।

ডাক্তারী পরীক্ষা তুমি দিয়েছ যখন।

কি কি প্রশ্ন এল আমি জানি সর্বক্ষণ।।”

এত বলি সব প্রশ্ন বলে দয়াময়।

তারিণী সে সব শুনে হতবাক হয়।।

তারিণীরে ডাক দিয়া প্রভু পুনরায়।

বলে “যাও ঘরে যাও নাহি কোন ভয়।।”

ঘোনাপাড়া, ঘৃতকান্দি, গোপালগঞ্জেতে।

ডিঃ বিঃ ডাক্তারখানায় ছিল বহু মতে।।

পরে গেল বরিশাল জিলার ভিতর।

ভাণ্ডারিয়া হ’তে পিরোজপুরের শহর।।

এখানে স্বাধীন ভাবে করিল ডাক্তারী।

তারপরে পেল সে সরকারী চাকুরী।।

যেই ভাবে সরকারী চাকুরীটি পায়।

সব বলিয়াছি তাহা পূর্বের অধ্যায়।।

গুরুচাঁদ কৃপা বলে মীডের চেষ্টায়।

নমঃশুদ্র রাজকার্যে নিয়োজিত হয়।।

প্রথম চাকুরী পেল শ্রীশশিভূষণ।

পরে পরে কার্য পায় আর বহুজন।।

দ্বিতীয় দলের মধ্যে তারিণী ডাক্তার।

গুরুচাঁদ পদে নিষ্ঠা বহু জানি তার।।

কার্য পেয়ে গেল চলি লক্ষ্ণৌ শহরে।

কিছুকাল সেইখানে চাকুরীটি করে।।

কিন্তু জলবায়ু তার সহ্য নাহি পায়।

দিনে দিনে তনুক্ষীণ স্বাস্থ্যের চিন্তায়।।

Page 505 start

পত্র যোগে সব কথা জানা’ল প্রভুরে।

প্রার্থনা করিল “প্রভু রক্ষা কর মোরে।।”

দয়াময় প্রভু তারে বহু দয়া করে।

মীডেরে ডাকিল প্রভু আপনার ধারে।।

তারিণীর কথা সব তাহারে শুনা’ল।

সাহায্য করিতে তবী মীডেরে বলিল।।

প্রভুর আদেশ মীড নাহি করে হেলা।

সাধ্য মত করে কাজ শেষে কি পহেলা।।

প্রভুর বচনে মীড বহু চেষ্টা করে।

বদলী করিল তারে ব্রহ্মের ভিতরে।।

ব্রহ্মদেশে “শনিরাজ্যে” বহুকাল রয়।

কালো, থোজী, মিওদা, ছিল মান্দালয়।।

মিওদা নগরে হ’ল শেষের শয়ন।

সেইখানে মহামতি ত্যজিল জীবন।।

সমাধি মন্দির সেথা আছে দাঁড়াইয়া।

তারিণীর পুণ্যস্মৃতি বক্ষেতে ধরিয়া।।

তেরশত ছত্রিশ সালে কার্ত্তিক বেলায়।

নশ্বর জীবন ছাড়ি স্বর্গলোকে যায়।।

চাকুরী করিয়া তেঁহ বহু ধন পায়।

জন্মভূমি কৃষ্ণপুরে দালান উঠায়।।

তের শ’ চব্বিশ সালে শ্রীহরি মন্দির।

গড়িল আপন অর্থে সেই ভক্ত বীর।।

শ্রীহরি মন্দির গড়ি ভাবে মনে মন।

এ মন্দিরে পূজা পা’বে কোন কোন জন।।

“আদি গুরু পিতা মোর সাধক সুজন।

দুই শক্তি গুরুচাঁদে হইল মিলন।।

তাহার কৃপায় মোর ধন জন মান।

ত্রি-ভুবনে গুরু নাই তাহাঁর সমান।।

নরাকারে জানি তিনি আপনি ঈশ্বর।

মন্দিরে আনিয়া পূজা করিব তাহাঁর।।

তিনি মোর ব্রহ্মা বিষ্ণু তিনি মোর হরি।

আপদে বিপদে বন্ধু বাঞ্ছাপূর্ণকারী।।

তিনি ভিন্ন কেহ কোথা নাহি ভগবান।

হৃদয় মন্দিরে সদা আছে অধিষ্ঠান।।

অন্তরে রেখেছি যারে গভীর নিরালে।

বাহির বসা’য়ে অর্ঘ দিব পদতলে।।”

এত ভাবি উপনীত হ’ল ওড়াকান্দি।

প্রভুর চরণে পড়ি উঠিলেন কাঁদি।।

প্রভু কয় “কি তারিণী! কান্দ’ কি কারণ?

অকপটে সব কথা কর নিবেদন”।।

কান্দিয়া তারিণী কয় ‘ওগো অন্তর্যামী!

সব তুমি জান’ বাবা! কি বলিব আমি?’

তোমার কৃপায় হ’ল শ্রীহরি মন্দির।

দিবানিশি হ’বে যেথা হরিনাম ভীর।।

‘বিগ্রহ দেবতা’ মোর মন্দিরেতে নাই।

যাঁহার মন্দির আমি তারে নিতে চাই।।

দেবতা-বিগ্রহ মোর আর কেহ নাই।

আমার সকলি তুমি জগত গোঁসাই।।

তোমার মন্দিরে বাবা! চল দয়া করে।

দেখিব মোহন রূপ দু’নয়ন ভরে।।

ভকতের টানে প্রভু থাকিতে কি পারে?

স্বীকার করিল প্রভু যেতে কৃষ্ণপুরে।।

দিন স্থির করি দিল প্রভু দয়াময়।

মহানন্দে সে তারিণী নিজ গৃহে যায়।।

দেবতা পূজার লাগি যত দ্রব্য লাগে।

তারিণী জোগাড় করে সব পূর্বভাগে।।

জোগাড় করিল সাধু এই সঙ্গে সঙ্গে।

পুণ্যময় মহোৎসব মন্দির প্রসঙ্গে।।

দেশে দেশে মতুয়ার হ’ল নিমন্ত্রণ।

দিন মত সবে আসি দিল দরশন।।

প্রভুকে আনিতে নিজে সে তারিণী যায়।

তাঁর সঙ্গে আসিলেন প্রভু দয়াময়।।

প্রভু যবে গৃহে আসি হইল উদয়।

দিকে দিকে ওঠে ধ্বনি ‘জয়’ ‘জয়’ ‘জয়’।।

Page 506 start

নরনারী সবে যেন হারা’য়েছে দিশে।

সকলে প্রভুরে বেড়ে বাঁধা দিবে কিসে?

কতই আপন আহা! কত যে দরদী।

মনে হয় রূপ দেখি বসে নিরবধি।।

সকলের যেন সে যে একা কা’র নয়।

তাই সবে চারিদিকে ঘিরিয়া দাঁড়ায়।।

এমন আপন বন্ধু কোথা পাবি আর?

যারা দেখে তারা বলে “আমার” “আমার”।।

সকলের সকল বন্ধু আছে সকলেতে।

সকলে চাহে গো তাই তাঁহারে দেখিতে।।

হুড়াহুড়ি পড়াপড়ি কত ভাবে হয়।

ভ্রূক্ষেপ নাহিক তা’তে দেখিতেই চায়।।

কিবা দেখে? কিবা পায়? কেবা তাহা জানে?

প্রাণে বলে তাই দেখে দুইটি নয়নে।।

বারে বারে দেখে তবু নাহি মিটে সাধ।

মনে হয় কি যেন কি র’য়ে গেল বাদ।।

পুনরায় দেখে তাই, তবু তাই, তাই।

দেখিবার সাধ তার কিছু মিটে নাই।।

এভাবে পাগল করে’ যত নরনারী।

খেলিছে প্রেমের খেলা প্রেমময় হরি।।

তারিণীর গৃহে হ’ল তেমন প্রকার।

ভাবে মুগ্ধ নরনারী সবে একাকার।।

পঞ্চ ভাই তারিণীরা সবে করজোড়ে।

প্রভুর বন্দনা করে নয়নের নীরে।।

অতি হৃষ্ট দয়াময় তারিণীরে কয়।

“তোমার ভক্তিতে বাধ্য আমি সর্বদায়।।”

অতঃপর সে তারিণী করে নিবেদন।

“মন্দিরের দ্বার প্রভু কর উদ্ঘাটন।।”

প্রভু বলে “তাই হোক কর আয়োজন।

সঙ্গে সঙ্গে কর সবে নাম সংকীর্তন।।”

প্রভুর আদেশে তবে মতুয়ারা সব।

হরি! হরি! বলে সবে করে উচ্চরব।।

ডঙ্কা, সিঙ্গা সঙ্গে সঙ্গে বলে হরিবোল।

নামের আনন্দে মেতে মতুয়া বিভোল।।

তারিণীরা পঞ্চ ভাই অতি সযতনে।

প্রভুকে করাল স্নান স্নিগ্ধ বারি দানে।।

পিতামাতা দুই জনে সিনান করায়।

মূল্যবান বস্ত্র আনি প্রভুরে সাজায়।।

শ্রীমন্দিরে পাতিয়াছে দুইটি আসন।

পট্ট বস্ত্রাবৃত তাহা অতি সুশোভন।।

মঙ্গল কলসি রাখে সম্মুখে তাহাঁর।

ধূপ দীপ চন্দনাদি বিবিধ সম্ভার।।

সুগন্ধ পূরিত মাল্য রাখে ডালি ‘পরে।

ধান্য দূর্বে পুষ্পরাজি আছে থরে থরে।।

পঞ্চ প্রদীপের আলো জ্বলে ঘৃত দিয়া।

কুম্কুম চন্দন কত আনিল বাটিয়া।।

ব্রহ্মদেশ হ’তে আনে সু-শ্বেত ব্যজন।

এই রূপে করিলেন বহু আয়োজন।।

স্নান অন্তে প্রভুজীরে কহিছে তারিণী।

“মন্দিরেতে চল এবে প্রভু গুণমণি।।”

দয়া করি দয়াময় গেল মন্দিরেতে।

তারিণীর পিতামাতা যায় তার সাথে।।

সযতনে তিনজনে বসা’ল আসনে।

চরণে প্রলেপ দিল কুম্কুম চন্দনে।।

গলে দিল ফুলহার পদে দূর্বাদল।

তারিণীর আঁখি ভরে ঝরিতেছে জল।।

নৈবেদ্য সাজা’য়ে রাখে বিবিধ বিধানে।

জুড়া’ল প্রভুর দেহ চামর ব্যজনে।।

পঞ্চ প্রদীপের আলো করেতে ধরিয়া।

তারিণী আরতি করে ঘণ্টা বাজাইয়া।।

ধূপ দীপ চন্দনাদি ভরা যেই ডালি।

বরণ করিয়া পদে দিল পুষ্পাঞ্জলি।।

একেত দয়াল প্রভু গৌরাঙ্গ বরণ।

শ্রীঅঙ্গে করেছে তাহে চন্দন লেপন।।

Page 507 start

শোভাময় ফুলহার গলে দোলে ধীরে।

ভাবমগ্ন মহাপ্রভু আপন ভিতরে।।

জ্বল জ্বল ঝলমল রূপের ঝলক।

হেরিলে নয়ন কোণে পড়ে না পলক।।

সারা অঙ্গ হতে যেন আলোকের ধারা।

ছুটিয়া চলিছে যেন রূপের ফোয়ারা।।

পুষ্পাঞ্জলি দিয়া পরে তারিণী সুজন।

শঙ্খধ্বনি যোগে পরে করে আবাহন।।

রামাগণে বামা কণ্ঠে করে হুলুধ্বনি।

ডঙ্কা শিঙ্গা রবে যেন ভেদিল মেদিনী।।

“শ্রীগুরুচন্দ্রায়ঃ নমঃ” মন্ত্রে পুষ্পাঞ্জলি।

করিলেন পঞ্চ ভাই মিলিয়া সকলি।।

এইভাবে শ্রী মন্দির প্রতিষ্ঠা হইল।

তারিণীর ভাগ্যগুণে প্রভু পূজা নিল।।

তারিণীকে ডাক দিয়া প্রভু তবে কয়।

“শুনহে তারিণী আমি বলি যা তোমায়।।

মন্দির প্রতিষ্ঠা হল বড়ই সুন্দর।

বাসের দালান তুমি কর এই বার।।

রাজশক্তি বিনা কেহ দালানে না থাকে।

সকলের মান কিন্তু দালানে রাখে।।

আমি বলি এবে গৃহে দালান গড়াও।

দিনে দিনে ধন মান সকলি বাড়াও।।”

তারিণী কান্দিয়া বলে “দয়াল আমার।

ভিক্ষা চাই পূর্ণ হোক যে ইচ্ছা তোমার।।”

তুষ্ট মনে প্রভু তবে গৃহেতে ফিরিল।

সঙ্গে সঙ্গে সে তারিণী শ্রীধামে আসিল।।

মন্দির প্রতিষ্ঠা লাগি যত দ্রব্য কিনে।

উপস্থিত করে তাহা শ্রীধামেতে এনে।।

মহালক্ষ্মী সত্যভামা জগত জননী।

তাঁরে বস্ত্র আনি দিল ভকত তারিণী।।

বিদায় মাগিয়া তবে ব্রহ্মদেশে যায়।

তেরশ একত্রিশ সালে আসে পুনরায়।।

প্রভুর আজ্ঞায় করে দালান নির্মাণ।

দশভুজা দুর্গা পূজা করে মতিমান।।

প্রভুর আজ্ঞায় পূজা করে মহাশয়।

যাহা করে সব করে প্রভুর ইচ্ছায়।।

দুর্গা পূজা যেই কালে করে মহাশয়।

সত্যভামা-গুরুচাঁদে আনিবারে যায়।।

পড়ে পদে বলে কেন্দে “ওগো দয়াময়।

মাতা নাহি গেলে মোর পূজা বৃথা যায়।।

যার পূজা তাঁর যদি দেখা নাহি পাই।

কার পূজা করি আমি বসে ভাবি তাই।।”

ভক্তাধীন দয়াময় ভক্তে দয়া করে।

যুগল রূপেতে গেল তারিণীর ঘরে।।

মনোবাঞ্ছা পূর্ণ তার হইল তখন।

প্রেমানন্দে সে তারিণী করিছে নর্তন।।

বারে বারে বলে “এই শেষ পূজা মোর।”

প্রলাপ কতই কহে ভাবেতে বিভোর।।

প্রভু ও মাতাকে তবে গৃহেতে রাখিয়া।

ব্রহ্মদেশে গেল চলি বিদায় মাগিয়।।

যেই যাত্রা শেষ যাত্রা আর ফিরে নাই।

মিওদা নগরে দেহ পুড়ে হল চাই।।

পরম পবিত্র সাধু তারিণী ডাক্তার।

ভকতের পদে করি কোটি নমস্কার।।

---০---