Page 176

ডক্টর মীডের ওড়াকান্দী পুনরাগমন ও স্থিতি

কথাবার্ত্তা স্থির করি মীড চলি গেল।

স্বজাতি -প্রধানে ডাকি প্রভুজী বলিল।।

স্বজাতি সভায় সব হ'ল নিরূপণ।

রাখিতে হইবে মীডে করিয়া যতন।।

অতঃপর হ'ল দেশে স্বদেশি প্রচার।

ইতিপূর্ব্বে করিয়াছি বর্ণনা তাহার।।

প্রভুর চেষ্টায় সবে ভুলে আন্দোলন।

প্রভু পুনঃ স্বজাতিকে করে আবাহন।।

স্বজাতি প্রধান সবে উপস্থিত হ 'ল।

সাহেবে আনিতে সবে মনস্থ করিল।।

সংবাদ পাঠালো সবে সাহেবের ঠাঁই।

ওড়াকান্দী সাহেবের শীঘ্র আসা চাই।।

আন্দোলন বার্ত্তা কিছু জানা'ল ইঙ্গিতে।

প্রভু বাক্য সাহেব না পারিল লঙ্ঘিতে।

প্রভুর নিকটে পুনঃ সংবাদ পাঠা 'ল।

শীঘ্র ওড়াকান্দী যাবে পত্রেতে লিখিল।।

পূর্ব্বভাগে পাঠাইল অক্ষয় সুজনে।

দেখিবে সে জমাজমি নিবে কোন্ খানে।।

প্রভুর গৃহের কাছে পশ্চিমের দিকে।

প্রভুর একটি ভিটা শূন্য পড়ি থাকে।।

প্রভু বলে ' আপাততঃ থাক এই স্থানে।

পরে আর দিব স্থান কিছু অন্য খানে।।

স্থান দেখি সে অক্ষয় পুনঃ চলি গেল।

সমস্ত বৃত্তান্ত তবে সাহেবে জানাল।।

শুনিয়া সাহেব বলে হয়ে খুশি মন।

বুঝিলাম গুরুচাঁদ অতি সৎজন।।

অতএব বিলম্বেতে আর কার্য নাই।

যত শীঘ্র পারি চল ওড়াকান্দী যাই।।

শুনহে অক্ষয় আমি মনে যাহা ভাবি।

নিত্য যেন আমি দেখি ওড়াকান্দী-ছবি।।

আমি ভাবি হেন ভাব কেন হয় মনে।

দিবারাত্রি মোরে যেন সেথা কেন টানে।।

গুরুচাঁদে ভাবি মনে বড় সুখ পাই।

ইহার কারণ আমি বুঝিয়া না পাই।।

জান ত ইংরাজ মোরা শহরেতে বাস।

পাড়াগাঁয়ে যেতে মনে পাই বড় ত্রাস।।

Page 177 start

ওড়াকান্দী বিলাঞ্চল সুযোগাদি নাই।

বহু কষ্ট হতে পারে মনে ভাবি তাই।।

কিন্তু তবু কেহ যেন বসিয়া অন্তরে।

ওড়াকান্দী যেতে মোরে সদা আজ্ঞা করে।।

গুরুচাঁদ নাহি হবে সামান্য মানুষ।

দেবতুল্য রূপ দেখি পরম পুরুষ।।

নিশ্চয় যীশুজী মোরে যাইবারে কয়।

চল চল শীঘ্র চল বৃথা কাল ক্ষয়'।।

মাস-কাল মধ্যে মীড ওড়াকান্দী এল।

প্রভুর ভিটার পরে তাঁবু বানাইল।।

সমাদরে প্রভু তাঁরে বসাল সেখানে।

দেশবাসী সুখী হ'ল মীড আগমনে।।

প্রথমে মীডের হাতে প্রভু দিল হাত।

রাজশক্তি ধরিবারে এই সূত্রপাত।।

পতিত তরাতে এল পতিত পাবন।

“হরি-গুরুচাঁদ “ধ্বনি কর সর্ব্বজন।।

---০---