Page 412

অসহযোগ আন্দোলন ও অনুন্নত সমাজ

শুভক্ষণে বারশত অষ্টাদশ সালে।

অবতীর্ণ হরিচাঁদ নমঃশূদ্র কুলে।।

দলিত পীড়িত যারা ব্যথিত অন্তরে।

সামাজিক অত্যাচারে ধর্ম্মত্যাগ করে।।

মোহে অন্ধ ব্রাহ্মণাদি উচ্চ হিন্দু যত।

নিজ অস্ত্রে নিজ দেহ করে নিজে ক্ষত।।

উভয়েরে রক্ষা করি বাঁচাতে হিন্দুরে।

আসিলেন দয়াল হরি নমঃশূদ্র ঘরে।।

তাঁর সেই ব্রত ধরি তাঁর পুত্র যিনি।

‘‘গুরচাঁদ’’ নামে খ্যাত হইল অবনী।।

অনুন্নত হিন্দু যত আছে বঙ্গ দেশে।

ধর্ম্ম সূত্রে সবে মিলে তাঁর কাছে আসে।।

অনুন্নত সমাজে সূহ্ম পরিচয়।

গুরুচাঁদ বিনা অন্যে নাহি জানে হায়।।

অনুন্নত সমাজের যত কিছু আশা।

তাহাদের মনে জাগে যত কিছু ভাষা।।

তাঁর মর্ম্ম গুরুচাঁদ জানে ভাল মতে।

এখানে পার্থক্য তাঁর বর্ণ হিন্দু হতে।।

বর্ণহিন্দু নাহি জানে সব সমাচার।

সেই জন্যে মাঝে মাঝে ভুল হয় তার।।

‘‘দেশসেবা’’ ‘‘দেশমাতা’’ তাহা যাহা বুঝে।

সেই অর্থ নাহি বুঝে দলিত সমাজে।।

বিশেষতঃ অবিশ্বাস উচ্চবর্ণ প্রতি।

দলিত সমাজ বুকে আজে আছে সাথী।।

তাই যবে কোন কাজে তারা ডাক দেয়।

পীড়িত জাতির প্রাণে সন্দেহ ঘনায়।।

তাই তারা এতকাল উচ্চবর্ণ সাথে।

ভয় পায় কোন কাজে যোগদান দিতে।।

তাই তারা নিজেদের মনোমত তালে।

রাজনীতি ক্ষেত্রে সবে এক সাথে চলে।।

অবশ্য এসব ভাব বিংশ বর্ষ আগে।

অনুন্নত সমাজের বুকে ছিল জেগে।।

সেই দেশ সেই কাল আজি বটে নাই।

অনেক প্রভেদ আজি দেখিতেছি তাই।।

অদ্য হতে শতবর্ষ গত হলে পরে।

যদি কেহ এই গ্রন্থ বসে পাঠ করে।।

হতে পারে এই প্রশ্ন হৃদয়ে উদয়।

এই নীতি কথা কিসে বলে মহাশয়?

দেশ মাতৃকার সেবা শ্রেষ্ঠ নাহি মানে।

তাঁরে মান্য করে লোকে বল কোন গুণে?

অথবা বিভিন্ন এক ভাবের উদয়।

হতে পারে পাঠকের উন্নত হৃদয়।।

অনুন্নত জাতি যারা দিত পরিচয়।

গন্ডীবদ্ধ বুদ্ধি লয়ে রহিত সদায়।।

শতবর্ষ পরে মোর এই মনে হয়।

‘‘স্বাধীন ভারতবর্ষ’’ হইবে নিশ্চয়।।

Page 413 start

স্বাধীন দেশের লোকে স্বাধীন পরাণে।

স্বাধীনের মত কথা কবে সর্ব্বক্ষণে।।

অধীনতা পাষাণের কেমন পেষণ?

স্বাধীন দেশেরে লোকে বুঝেনা কখন।।

বৃদ্ধ ভাবে শিশু শুধু করে বসে খেলা।

অর্থহীন ভাবে হয় তার পথে চলা।।

কিন্তু হায় ভুলে যায় সেই বুদ্ধিমান।

বৃদ্ধের আদিম ছবি শিশুর পরাণ।।

শিশু জন্ম নিল বলে বৃদ্ধ এল পরে।

শুশু বৃদ্ধ, মূল্য এক ভেদ শুধু স্তুরে।।

তাই বলি অনাগত হে পাঠক মোর।

শুধু নিন্দাবাদে যেন করিওনা সোর।।

তোমাদের কালে যাহা সহজে সম্ভব।

আমাদের কালে ছিল অতি অসম্ভব।।

তার জন্যে দায়ী মোরা নহিত কখন।

কালগতি দায়ী বটে আছে সর্ব্বক্ষণ।।

তাই বলি এ অধ্যায়ে গুরুচাঁদ নীতি।

না জাগাতে পারে বটে তব প্রাণে প্রীতি।।

কিন্তু তাহা সত্য ছিল আমাদের কালে।

আমাদের রক্ষা হল সেই নীতি বলে।।

তাই বলি অবহেলা করিও না তাঁরে।

সত্য নীতি পাবে তুমি মানিলে বিচারে।।

থাক খাক সে কথার এইখানে শেষ।

যা হবার হবে পরে তাতে নাহি ক্লেশ।।

এবে সবে বলি শুন এই বিবরণ।

কি কারণে গুরুচাঁদ করিল বারণ।।

আন্দোলনে যোগ দিতে নিষেধ করিল।

আজ্ঞা মানি অনুন্নত নির্লিপ্ত রহিল।।

‘‘দেশবন্ধু’’ আখ্যাধারী সে চিত্তরঞ্জন।

শ্রীবীরেন্দ্র শাসমল আর একজন।।

মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে করে আলোচনা।

‘‘অনুন্নত জাতি ডাকে সাড়াই দিল না।।

ইহার কারণ মোরা বুঝিতে না পারি।

তাহাদিগে দলে নিতে কি উপায় করি?’’

মহাত্মা গান্ধীজী বলে তাঁহাদের ঠাঁই।

‘‘তাঁহাদের মধ্যে নেতা কেহ কিগো নাই?

নেতা যদি থাকে সবে তাঁরে গিয়ে ধর।

তাঁরে দলে আন’ শীঘ্র যেইভাবে পার।।’’

দেশবন্ধু বলে ‘‘আছে এক মহাজন।

ওড়াকান্দীবাসী নাম শ্রীগুরুচরণ।।

ঠাকুর উপাধীধারী জানি নমঃশূদ্র।

কুলে শীলে ধনেমানে তিনি অতি ভদ্র।।

তাঁহার পিতার নাম শ্রীহরি ঠাকুর।

‘‘ধর্ম্মগুরু’’ বলি ছিল প্রতিষ্ঠা প্রচুর।।

বহুলোক তাঁর বাধ্য আছে বলে জানি।

তাঁরে যদি দলে পাই ভয় নাহি গনি’’।।

মহাত্মা বলেন ‘‘শুন দেশবন্ধু দাস।

সেই ব্যক্তি শক্তিধারী আমার বিশ্বাস।।

তাঁহার নিকটে আগে পত্র লিখি দাও।

কোনজন্য আন্দোলন সকলি জানাও।।

কি উত্তর করে তিনি আমারে জানাও।

কিংবা শীঘ্র করে তুমি ওড়াকান্দী যাও।।’’

সেই আজ্ঞামতে তবে সে চিত্তরঞ্জন।

গুরুচাঁদ ঠাঁই পত্র করিল লিখন।।

বহু কথা তার মধ্যে লিখিলেন তিনি।

অল্প কিছু বলি যাহা লোক মুখে শুনি।।

পত্রে লেখে ‘‘নিবেদন করি মহাশয়।

আপনার সাথে পূর্ব্বে নাহি পরিচয়।।

আপনার গুণকীর্ত্তি বহু শুনিয়াছি।

আপনার গুণসঙ্গে পরিচিত আছি।।

এবে বলি এই পত্র লিখি কি কারণে?

আলোচনা করিয়াছি গান্ধীজীর সনে।।

কি উদ্দেশ্যে আন্দোলন করিতেছি মোরা।

আপনাকে লিখিতেছি সেই সব ধারা।।

Page 414 start

পরাধীন এ ভারতে সবে সহি দুঃখ।

স্বাধীনতা কিনা কভু নাহি হবে সুখ।।

স্বাধীন যতেক জাতি আছে ভুমন্ডলে।

বিদ্যা, বুদ্ধি, ধনে, জনে, উন্নত সকলে।।

স্বাধীন হইলে দেশ দুঃখ নাহি রবে।

স্বাধীন ভারতে সবে মহাসুখী হবে।।

অসহযোগের পথে আসিবে সুদিন।

দুরে নহে নিকটেতে সেই শুভদিন।।

অনুন্নত জাতি মধ্যে আপনি প্রবীণ।

শ্রেষ্ঠ নেতা বলি মান্য আছে চিরদিন।।

স্বাধীনতা যজ্ঞে তাই করি আমন্ত্রণ।

জাতি নিয়ে এই পথে আসুন এখন।।’’

পত্র যবে ওড়াকান্দী হইল উদয়।

প্রভু বলে ‘‘পত্র পড়ি শানাও আমায়।।’’

পত্র শুনি কিছুকাল স্তব্ধ হয়ে রয়।

কিছুক্ষণ পরে তবে বলে দয়াময়।।

‘‘কাগজ কলম কালী আনহ সত্বর।

এই পত্রে দিব আমি যোগ্য প্রত্যুত্তর।।’’

কাগজ কলম কালী আনিল যখনে।

প্রভু বলে ‘‘যাহা বলি সব রাখ মনে।।

বলা শেষ হলে পরে লিখিব সকল।

দেরীতে জবাব দিলে কিবা হবে ফল”?

এতবলি দয়াময় বলিতে লাগিল।

উপস্থিত সবে তাহা নীরবে শুনিল।।

প্রভু কয় ‘‘মহাশয়’’ করি নিবেদন।

পত্রযোগে পাইয়াছি তব আমন্ত্রণ।।

আমন্ত্রণ পেলে বটে মান্য দিতে হয়।

কিন্তু বর্ত্তমান ক্ষেত্রে আমি অতি নিরুপায়।।

বহু জীবনের ভার যারে দেছে বিধি।

অকস্মাৎ কার্য্য তার বড়ই অবিধি।।

বহুমতে বহুভাবে দেখিনু ভাবিয়া।

নিমন্ত্রণে যেতে নাহি বলে মোর হিয়া।।

অবস্থা সকল আমি বলিব খুলিয়া।

দোষগুণ বলিবেন বিচার করিয়া।।

অনুন্নত বলি যত কাটে বেহালের বেশে।

কোনভাবে দিন কাটে বেহালের বেশে।।

বিলাসিতা বলি তারা কিছু নাহি জানে।

কোন ক্রমে কায় ক্লেশে বাঁচি’ছে পরাণে।।

বিদ্যাশিক্ষা বেশী কিছু তারা শিখে নাই।

রাজকার্য্যে অধিকার তাতে নাহি পাই।।

রাজনীতি ক্ষেত্রে তারা কভু নাহি ছুটে।

স্বাধীনতা কি পদার্থ বোঝে না’ক মোটে।।

রাজনীতি সঙ্গে যার যোগাযোগ নাই।

অসহযোগের প্রশ্ন তার কিবা ভাই?

সত্যকথা দেশবন্ধু! করি নিবেদন।

এই পথে স্বাধীনতা আসেনা কখন।।

সমাজের অঙ্গে আছে যত দুর্ব্বলতা।

আগে তাহা দূর করা আবশ্যক কথা।।

এই যে দলিত জাতি যত বঙ্গদেশে।

ইহাদের দুঃখ কেহ দেখে নাকি এসে?

কিবা খায়? কোথা পায়? কোন কার্য্য করে?

সন্ধান রাখেনা কেহ কোনদিন তরে।।

দিনে দিনে এরা সবে হয়েছে হতাশ।

উচ্চবর্ণ হিন্দুগণে করেনা বিশ্বাস।।

আর এক মহাদুঃখ ইহাদের মনে।

উচ্চ হিন্দু ইহাদিগে ‘‘অস্পৃশ্য’’ বাখানে।।

কি কব দুঃখের কথা তোমার গোচরে।

দেবতার ভাগ হিন্দু করেছে মন্দিরে।।

অস্পৃশ্য বলিয়া যারা পাইয়াছে আখ্যা।

মন্দিরে ঢুকিলে তার নাহি থাকে রক্ষা।।

পশু হতে এই মত হীন ব্যবহার।

অস্পৃশ্য জাতিরা সহে দেশের ভিতর।।

মাতৃপূজা যজ্ঞ যদি করে আয়োজন।

একেলার পক্ষে তাহা সম্ভব কখন?

Page 415 start

মাতৃপূজা দেবীতলে সকলে মিশিবে।

যারে দিলে দূর করে সে কিসে আসিবে?

রাজা করে রাজসূয় যজ্ঞ আয়োজন।

কাঙ্গালের স্থান সেথা মিলেনা কখন।।

রাজা থাকে সিংহাসনে দীন থাকে দূরে।

কোলাকুলি মেশামিশি হবে কি প্রকারে?

অর্থনীতি, রাজনীতি, বিদ্যা কিংবা মানে।

উচ্চ হিন্দু জুড়ে বসে আছে সবখানে।।

সাহিত্যে, বিজ্ঞানে কিংবা শিল্প সাধনায়।

বাংলায় উন্নত হিন্দু শীর্ষস্থানে রয়।।

এই সব গুণে হীন অনুন্নত জাতি।

তাহারা কেমনে হবে তোমাদের সাথী?

আর কথা স্পষ্ট করে লিখি মহাশয়।

অসহযোগের পথে কতজনে ধায়?

একভাই কর্ম্মচারী অপরে উকিল।

ব্যবসায়ী অন্য জনে মূলে রাখে মিল।।

উকিল ছেড়েছে কর্ম্ম স্বদেশী সাজিয়া।

কর্ম্মচারী ভাই আছে আসনে বসিয়া।।

ব্যবসায়ীভাই রহে দোকান পাতিয়া।

বহুলাভ করে তিনি খদ্দর বেচিয়া।।

মোট কথা অন্ন চিন্তা করা নাহি লাগে।

উকিল স্বদেশী সেজে ধন্য হয় ত্যাগে।।

তোমাদের পক্ষে নাই সে সব বালাই।

কোন ক্রমে কায়ক্লেশে সংসার চালাই।।

স্বদেশী সাজিয়া যদি করি আন্দোলন।

অন্ন-বস্ত্র তাতে ঘরে আসেনা কখন।।

ইংরাজের সাথে যোগ আমাদের কই?

হাল গরু নিয়ে মোরা পাড়াগায়ে রই।।

চাকুরী করি না মোরা কাছারী না যাই।

অসহযোগের প্রশ্ন আমাদের নাই।।

উচ্চ হিন্দু কর্মচারী যত সঙ্গে আছে।

এই মত কথা ক’ন তাহাদের কাছে।।

আমাদের কাছে ইহা বলা হবে বৃথা।

অবশেষে বলি আমি গুটি কত কথা।।

এক পথে সকলেরে নিতে যদি মন।

আমার এ বাক্যগুলি করুণ গ্রহণ।।

দলিত পীড়িত যত পিছে পড়ে আছে।

শুদ্ধ বুদ্ধি নিয়ে যান তাহাদের কাছে।।

প্রকৃত দরদ যদি জেগে থাকে মনে।

কুলেতে উঠান সবে হাতে ধরে টেনে।।

‘অস্পৃশ্যতা মহাপাপ’ করুন রটনা।

প্রকৃত দরদ দিয়ে জাগান চেতনা।।

শিক্ষা, দীক্ষা অর্থ কিংবা সম্মানাদি দানে।

অনুন্নত জনে দিন সরল পরাণে।।

সকলে সরল এরা কুটিলতা নাই।

খাঁটি প্রাণে ইহাদিগে ভাই বলা চাই।।

ভাবিয়া দেখুন মনে দুই কোটি লোক।

চিরকাল বহিতেছে অবহেলা-শোক।।

বেদনার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে দিবারাতি।

এরা কিসে হতে পারে উচ্চবর্ণ সাথী?

সাজিয়া দরদী বন্ধু হইবে ডাকিতে।

চেতনা জাগিলে এরা পারে সাড়া দিতে।।

মহাত্মা গান্ধীকে তাই জানাই বারতা।

ভাবিয়া দেখেন যেন তিনি মোর কথা।।

আন্দোলনে যত শক্তি হইতেছে ব্যয়।

দলিত জাতির কাজে দেয়া ভাল হয়।।

ভারত পল্লীর দেশ পল্লীতে পরাণ।

শহর ছাড়িয়া সবে পল্লীগ্রামে যান।।

পল্লী যদি জাগে তবে জাগিবে ভারত।

অবশ্য সুগম হবে স্বাধীনতা পথ।।

আমি তাই আমন্ত্রণ করি আপনারে।

আসুন শহর ছেড়ে পল্লীর মাঝারে।।’’

এই ভাবে পত্র লিখি পাঠাইয়া দিল।

যথাকালে দেশবন্ধু সেই পত্র পেল।।

Page 416 start

পুনরায় মহাত্মার নিকটেতে যায়।

আমূল সকল কথা তাঁহারে জানায়।।

মহাত্মা বলে ‘‘সত্য এই সব কথা।

ইহা ভিন্ন আন্দোলন সব হবে বৃথা।।

প্রকৃত তত্ত্বের বাণী শুনিলাম আজ।

এরপরে এই ভাবে কর সবে কাজ।।

আর এক কথা আমি বলি মহাশয়।

ওড়াকান্দী একবার চলুন ত্বরায়।।’’

দেশে ফিরে দেশবন্ধু ভাবিলেন মনে।

ওড়াকান্দী যাইবে সাঙ্গোপাঙ্গ সনে।।

বিধির বিধানে তাহা পূর্ণ নাহি হয়।

রাজদ্রোহ অপরাধে কারাগারে যায়।।

আন্দোলন ধারা ক্রমে ভিন্ন পথে গেল।

আইন সভায় সভ্য দেশবন্ধু হ’ল।।

নীতিক্ষেত্রে মহাত্মার সঙ্গে মতান্তর।

করিলেন দেশবন্ধু অতি ঘোরতর।।

ক্রমে ক্রমে মহাত্মাজী বুঝিয়া অন্তরে।

অনুন্নত জাগাইতে বহু কার্য্য করে।।

সেই নীতি আজ তাঁর কার্য্যের প্রধান।

এই কার্য্যে তিনি বটে বহু শান্তি পান।।

ওড়াকান্দী দেখিবারে তাঁর ইচ্ছা ছিল।

কার্য্যান্তরে সেই ইচ্ছা পূর্ণ নাহি হল।।

কাঙ্গালের বন্ধু মোর প্রভু গুরুচাঁদ।

তাঁরে পেয়ে কাঙ্গালের কতই আহলাদ।।

দিনে দিনে দীন জনে পাইল উদ্ধার।

মহানন্দ দেখে শুধু চোখে অন্ধকার।।