Page 526

শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ কর্তৃক লক্ষ্মীখালীতে কালীপূজা


“তারিণী দুর্গ সংসার সাগরস্যাচলোদ্ভবে।রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জাহি।।”---- অর্গলা স্তোস্ত্রম (শ্রীশ্রীচণ্ডী)

পরদিন প্রাতঃকালে গোপালেরে ডাকি।

বলিছেন গুরুচাঁদ প্রভু কমলাখি।।

“মোর মনে এক ইচ্ছা হয়েছে গোপাল।

আয়োজন কর তাই সকাল সকাল।।

অদ্য দেখ অমাবস্যা অতি শুভ তিথি।

ঘরে ঘরে কালী পূজা হ’বে এই রাতি।।

আমরাও কালীপূজা করিব আজিকে।

আমাদের পূজা মাতা নিবেন পুলকে।।”

প্রভুর বচনে সবে পাইল আনন্দ।

কাঞ্চন জননী তা’তে তুলিলেন দ্বন্দ্ব।।

মাতা কয় “এই কার্য মনে নাহি লয়।

মতো’ বাড়ী অন্য পূজা কবে কোথা’ হয়?

অবশ্য প্রভুর বাক্য মান্য রাখি তার।

তবু এক ভাব মনে উঠেছে আমার।।

ইচ্ছাময় যাহা ইচ্ছা করিবারে পারে।

তাঁর ইচ্ছা মাঝে কেহ বাধা দিতে নারে।।

ভক্তের ভকতি শুধু প্রভুর উপরে।

প্রভু-ছাড়া ভক্ত নাহি চেনে আর কা’রে।।

সত্য বটে রামচন্দ্র পূজিল অম্বিকে।

কিন্তু ভক্ত হনুমান কোনভাবে থাকে।।

অম্বিকা দূর কথা নিজে কৃষ্ণধন।

হরিতে পারে না সেই হনুমান-মন।।


“শ্রীনাথো জানকীনাথো অভেদ পরমাত্মনি।জীবন সর্ব্বস্ব মম শ্রীরাম কমললোচনঃ।।”

কালীপূজা করিবারে প্রভু করে মন।

সবে মিলি করি মোরা তার আয়োজন।।

Page 527 start

কিন্তু কালীপূজা মোরা কিছুতে না করি।

আমরা পূজিব মাত্র গুরুচাঁদ হরি।।”

জননীর কথা শুনে দ্বিগুণ আনন্দ।

কাটিলা জননী তবে ভক্ত-মন-সন্দ।।

সবে মিলে আয়োজন করে দিন ভরি।

ইতোমধ্যে প্রভু এল আড়ংঘাটা ঘুরি।।

মণ্ডল শ্রীকালীচরণ নাম মহাশয়।

“ঠাকুর” বলিয়া তারে বহুজনে কয়।।

দয়া করি প্রভু তবে গেল তার বাড়ী।

পাদ্য অর্ঘ দিল আর দিল টাকা কড়ি।।

সন্ধ্যার পূর্বেতে প্রভু ফিরে লক্ষ্মীখালী।

কথা আছে পূজিবেন জগদম্বা কালী।।

সন্ধ্যাকালে হ’ল মহা নাম সংকীর্তন।

আনন্দে মতুয়া সব করিল নর্তন।।

পঞ্চ সহস্রাধিক হবে লোক পরিমাণ।

নেচে নেচে সবে তারা করে নাম গান।।

এদিকে দয়াল প্রভু মন্দিরে বসিল।

আলোকে ঝলকে যেন যামিনী হাসিল।।

সংকীর্তন হ’ল ক্ষান্ত বসে ভক্তগণ।

আরম্ভ করিল প্রভু পুরাণ কথন।।

নারী সবে বসিলেন মন্দির চত্বরে।

বসিলেন নর সবে ক্রমে পরস্পরে।।

কালীপূজা কথা প্রভু বলিছেন সুখে।

ঠিক যেন পঞ্চানন বলে পঞ্চ মুখে।।

শক্তিপূজা তত্ত্ব প্রভু করি নিরূপণ।

ডাক দিয়া বলে সবে “শুন ভক্তগণ।।

আদ্যাশক্তি মহামায়া জগত জননী।

খরখড়গ হস্তে যার অসুর নাশিনী।।

শক্তির আধার তিনি মনে জান’ সার।

হরিভক্তে রক্ষা মাতা করে অনিবার।।

শক্তিরূপে আছে মাতা সর্ব জীব দেহে।

কুণ্ডলিনী বলি তারে নর প্রাণী কহে।।

নিদ্রিতা আছেন মাতা আপন স্বভাবে।

জীবগণে রক্ষা করে তবে কোন ভাবে?

মাতার সেবিকা আছে ‘ভক্তি’ নামে নারী।

মাতারে জাগাতে মাত্র শক্তি আছে তারি।।

ভক্তিকে আশ্রয় যবে করে নর প্রাণী।

কুণ্ডলিনী শক্তি সেথা জাগেন আপনি।।

বাহিরে অসুর কোথা অসুর ভিতরে।

অসুর নাশিনী নাম কেন মাতা ধরে?

জীব-চক্রে সর্বদায় চলিতেছে রণ।

সুরাসুর দ্বন্দ্ব যাহা শোন বিবরণ।।

অশুভ মানবে ক্ষয় করিছে সদায়।

শুভ-শক্তি তাই তারে বাধা দিতে চায়।।

পরস্পর পরস্পরে বলে শুধু মন্দ।

মানব জীবনে এই সুরাসুর দ্বন্দ্ব।।

পুরাণে লিখেছে যত দেবতা নিচয়।

অসুর নাশিতে তারা পূজে চণ্ডিকায়।।

যোগনিদ্রামগ্ন মাতা দেবের ক্রন্দনে।

জাগিয়া অসুর নাশ করে মহারণে।।

মানব জীবনে আমি দেখি সেই ভাব।

রূপক করিয়া লেখা করিব স্বভাব।।

কুণ্ডলিনী শক্তি আছে মানবের দেহে।

নিদ্রিতা রয়েছে মাতা সবে তাই কহে।।

আধি ব্যাধি জরা-মৃত্যু সবার কারণ।

কুণ্ডলিনী শক্তি নাহি হয় জাগরণ।।

ভক্তিগুণে এই শক্তি জাগরূক হয়।

কুণ্ডলিনী জাগে যদি নাহি থাকে ভয়।।

সূর্য দরশনে যথা আঁধার পলায়।

অশুভ শক্তির নাশ সেই ভাবে হয়।।

ভক্তি যদি রাখ তবে শক্তি পাবে বুকে।

ভক্তিমানে রক্ষা করে আপনি অম্বিকে।”

Page 528 start

করিলেন প্রভু আর বহু আলাপন।

গ্রন্থ বৃদ্ধি ভয়ে নাহি করিনু লিখন।।

প্রভু যবে করিলেন বাক্য সমাপন।

কাঞ্চন জননী পূজা করিল তখন।।

মঙ্গলা আরতি করে ধূপ দীপ জ্বালি।

চরণে চন্দন দিল ‘শিব’ ‘শিব’ বলি।।

চরণ বরণ করে দূর্বাদল দিল।

ধান্য দূর্বা এক সঙ্গে শিরেতে রাখিল।।

অবিরাম নারীগণে দিল হুলুধ্বনি।

কংশ, কাশ, ঝাঁঝ সঙ্গে বাজিল অমনি।।

নয়নের জলে দেবী বয়ান ভাষায়।

‘বাবা’ ‘বাবা’ বলে আর কিছু নাহি কয়।।

পূজা সারি মহাদেবী প্রণাম করিল।

সঙ্গে সঙ্গে নরনারী মাটিতে পড়িল।।

পূজা অন্তে প্রভু ডেকে কহে গোপালেরে।

“এই পূজা ক’রো তুমি প্রত্যেক বছরে।।”

তদবধি লক্ষ্মীখালী কালীপূজা দিনে।

“ঠাকুর উৎসব” করে মিলি ভক্তগণে।।

তারপর দিনে হ’ল সভার শোভন।

এবে শুন বলি কিছু সেই বিবরণ।।

পর দিন হ’ল বটে সভা আয়োজন।

বাগেরহাটবাসী ছাত্র ছিল যতজন।।

পুরাণ বাজারে থাকি করে পড়াশুনা।

“হরি-গুরুচাঁদ” নামে করে উপাসনা।।

গোপালের বহু দয়া তাহাদের প্রতি।

মাঝে মাঝে সেইখানে করেন বসতি।।

দীন গ্রন্থকার ছাত্র ছিল একজন।

“দাদা” বলে ডাকে তারে সব ছাত্রগণ।।

ভক্তিমান সবে তারা তারে ভক্তি করে।

ভাগ্যহীন গ্রন্থকার ম’ল অহংকারে।।

কত যে মধুর স্মৃতি জাগে আজি মনে।

হায়! হায়! ভাই সব! আজি কোনখানে।।

কোথা ভাই শিবানন্দ! ভক্তিরসে পোরা।

অনুক্ষণ চোখে যার ছিল প্রেমধারা।।

গোপালচাঁদের প্রিয় ছিলে তুমি ভাই।

সেবা ধর্মে তব সম আর দেখি নাই।।

অকালে কালের কোলে পড়িলে ঝরিয়া।

আর কি তোমারে ভাই পাইব ফিরিয়া।।

ক্ষণিকের তরে এলে ক্ষণিক-অতিথি।

রেখে গেছে বুকে মোর মর্মভেদী স্মৃতি।।

শিবানন্দ যজ্ঞেশ্বর অতুল সুজন।

শ্রীযুত কুবের চন্দ্র সঙ্গী একজন।।

বড়ই তেজস্বী এই কুবের সুজন।

পবিত্র চরিত্রে তেহ আছে সর্বক্ষণ।।

বহু কষ্টে অধ্যয়ন করিল জীবনে।

শিক্ষক রূপেতে ছাত্র শিখায় এখনে।।

নিজ হাতে গড়িয়াছে কয়টি স্কুল।

সত্য ছাড়া মিথ্যা নাহি বলে একচুল।।

গোপালের কৃপা সদা আছে তার প্রতি।

দীন গ্রন্থকার সদা ছিল তার সাথী।।

পাঠকালে শ্রীগোপাল সাহায্য করিল।

মতুয়ারা বহুজনে বহু অর্থ দিল।।

এক শক্তি দেখি আমি মতুয়া ভিতরে।

মতুয়া মারিলে মারে জনমের তরে।।

একবার এই দলে যদি কেহ আসে।

দল-ছাড়া হ’লে কোন দলে নাহি মেশে।।

কতবার কতজনে আসে আর যায়।

ঘুরে ঘুরে কোথা গিয়ে শান্তি নাহি পায়।।

এইরূপ দেখি কত ঘটে সর্বদায়।

ফিরে ঘুরে এসে বসে আপন জাগা’য়।।

তাহার প্রমাণ এই দীন গ্রন্থকার।

শ্রীযুত কুবের বাবু একজন আর।।

গ্রন্থ-বৃদ্ধি ভয়ে আর অধিক না ক’ব।

মোট কথা ধন্য দেখি মতুয়ারা সব।।

Page 529 start

লক্ষণ শরৎ ছিল ভাই দুইজন।

জগবন্ধু রায় আর শ্রীকান্ত সুজন।।

একসঙ্গে মিশি তবে এই ছাত্রগণ।

ছাপা’য়ে আনিল এক সু-অভিনন্দন।।

বহুলোক উপস্থিত হইল সভায়।

প্রথমে উঠিল ধ্বনি “গুরুচাঁদ জয়”।।

অভিনন্দন পাঠ করি প্রভু হস্তে দেয়।

গ্রহণ করিল তাহা গুরু দয়াময়।।

প্রভুর সঙ্গেতে জ্ঞানী ছিল যতজন।

বক্তৃতা করিল সবে অতি হৃষ্ট মন।।

নমশূদ্র জাতি কথা করে আলোচনা।

কার গুণে এ জাতির মিলিল নিশানা।।

ওড়াকান্দি কোন ধর্ম কিসে অবতার?

বলিল বক্তারা সবে করিয়া বিস্তার।।

সকলের বলা শেষে প্রভু বলে কথা।

অপূর্ব কাহিনী সব মধুর বারতা।।

প্রভু বলে “শোন সবে নমশূদ্রগণ!

ধর্ম শক্তি বিনা জাতি জাগে না কখন।।

এতকাল নমশূদ্র বল কোথা ছিল?

বল দেখি কার গুণে এ জাতি জাগিল।।

মম পিতা হরিচাঁদ ক্ষীরোদ ঈশ্বর।

ওড়াকান্দি এসে হ’ল পূর্ণ অবতার।।

দয়া করে এ জাতিকে দিল পদছায়া।

নমশূদ্র উদ্ধারিল করে বহু দয়া।।

যে যে কথা মোর কাছে তিনি বলে গেছে।

সেই কথা বলি আমি সকলের কাছে।।

বিদ্যা ছাড়া এ জাতির দুঃখ নাহি যা’বে।

গ্রামে গ্রামে পাঠশালা কর তাই সবে।।

ধনহীন জনে দেখ নাহি কোন মান।

সৎপথে কর সবে ধনের সন্ধান।।

“বাণিজ্যে বসতেলক্ষ্মীঃ” শাস্ত্রে তাই কয়।

বর্তমানে সবখানে পাই পরিচয়।।

বাণিজ্য কারণে সব দেশে দেশে যাও।

যথা তথা হ’তে আন যত ধন পাও।।

কৃষিকার্যে কভু কেহ করিও না হেলা।

মদ গাঁজা খেয়োনারে ছাড় জুয়া খেলা।।

বালক বালিকা দোঁহে পাঠশালে দাও।

লোকে বলে ‘‘মা’র গুণে ভাল হয় ছা’ও’।।

পবিত্র চরিত্র থাক সব নরনারী।

মিথ্যা কথা বলিও না করিও না চুরি।।

ব্যভিচারী হ’লে কিন্তু সব হ’বে নষ্ট।

ধন মান সব যা’বে হবে মহাকষ্ট।।

দেবতা-মন্দির সবে গড়’ ঘরে ঘরে।

নিত্য পূজা কর সেথা সরল অন্তরে।।

এইখানে আমি বলি এক সমাচার।

দেবতা-মন্দিরে পূজা করিবে কাহার?

বিশ্ব ভরে এই নীতি দেখি পরস্পর।

যে যা’রে উদ্ধার করে সে তার ঈশ্বর।।

ক্ষত্র গণে রামচন্দ্র রক্ষা করেছিল।

রামকে ঈশ্বর বলি ক্ষত্রিয় মানিল।।

খ্রিষ্ট আসি জনমিল খ্রিষ্টানের ঘরে।

যতেক খ্রিষ্টান তারা তাঁর পূজা করে।।

এইরূপ খ্রিষ্ট কৃষ্ণ কিংবা মুহম্মদ।

বিভিন্ন জাতির তারা পরম সম্পদ।।

তোমাদের এই কুলে হরি অবতার।

দয়া করে নমশূদ্র করিল উদ্ধার।।

তাঁর পূজা কর সবে তাঁর ভক্ত হও।

নিজ ঘরে ভগবান ফেলে কোথা যাও?

বাল্যকালে পুত্র কন্যা বিয়া দিবে।

পথঘাট ঘর দ্বার পবিত্র রাখিবে।।

একা একা যথা তথা নারী নাহি যাবে!

পতি ভিন্ন অন্য নর স্পর্শ না করিবে।।

অলসতা ত্যাগ করে কর্মী সাজা চাই।

অলসের ঘরে অন্ন নাহি থাকে ভাই।।

Page 530 start

বিবাহ শ্রাদ্ধেতে সবে কর ব্যয় হ্রাস।

শক্তির চালনা সবে রাখ বার মাস।।

আত্মরক্ষা শক্তি সবে অবশ্য রাখিবে।

অগ্রভাগে কভু কা’রে আঘাত না দিবে।।

বিদ্যার কারণে দান দানের প্রধান।

বিদ্যাহীন নর দেখ পশুর সমান।।

ঘরে ঘরে এম.এ. বি.এ. হোক ছেলেমেয়ে।

চাকুরী করুক সবে আনন্দিত হ’য়ে।।

কিন্তু মোরা নাহি হ’ব গোলামের জাতি।

চিরকাল হাল গরু রাখ, সবে সাথী।।

হাল গরু ছাড়া কিন্তু বুদ্ধি সর্বনাশ।

সকলের রক্ষা কর্তা হাল-চষা চাষ।।

কৃষিকার্য ছিল পূর্বে আর্য ব্যবসায়।

কায়স্থ ব্রাহ্মণ সবে ভুলে গেছে হায়।।

তাহারা যাদের প্রজা সে ইংরাজ জাতি।

হাল গরু আছে তাঁর যিনি লক্ষ পতি।।

বিদ্বান হইলে চাষা ফল পাবে বেশী।

করজোড়ে ক’বে কথা সকলেই আসি।।

তবে যে চাকুরী করা লাগে কি কারণ?

শোন সবে বলিতেছি সেই বিবরণ।।

দেশের শাসন যন্ত্র যে যে ভাবে চলে।

কিছু নাহি বোঝা যায় চাকুরী না পেলে।।

তা’তে বলি রাজকার্যে ভাগী থাকা চাই।

সকলে চাকুরী লবে তাহা বলি নাই।।

শক্তি না থাকিলে কেহ করে না সম্মান।

শক্তিশালী হ’তে সবে হও যত্নবান।।

‘নমশূদ্র বীর জাতি’ হোক পরিচয়।

বিলাস ব্যাসনে তাহা সম্ভব না হয়।।

সহজ জীবন পথে চলিবে সকলে।

দুর্বলতা থাকে কিন্তু বিলাসিতা কোলে।।

“গড়া-সিদ্ধ চাল খাও চাটায়ে শয়ন।

সে বীর্যে জন্মিবে যত তেজস্বী নন্দন”।।

অধিক বক্তৃতা আমি কি করিব আর?

“যথা ধর্ম তথা জয়” এই জান সার।।”

প্রভুর বচন শুনি যাহারা সভায়।

বারে বারে বলে সবে “গুরুচাঁদ কী জয়।।”

তিমির বসনে ধরা ঢাকে নিজ অঙ্গ।

হেনকালে হ’ল সেই মহা সভা ভঙ্গ।।

প্রেমানন্দে প্রভু সেথা রজনী বঞ্চিল।

পরদিন শুভ প্রাতে বিদায় মাগিল।।

বিদায় মাগিয়া প্রভু চলিল পশ্চিমে।

কোথা কোথা যায় প্রভু বলি ক্রমে ক্রমে।।

শ্রীগুরু চরিত কথা সুধা-হতে সুধা।

পিও সবে বিশ্ববাসী যাবে ভব ক্ষুধা।।

---০---