Page 499 start

জীবনে বীতস্পৃহা ও গোস্বামীর দেহত্যাগ


``Woman! Thou art the worstNecessity of Life.''-P.R. Thrkur-

কাম-বাঞ্ছা হীন সাধু হরিনাম-প্রেম মধু

আনন্দ অন্তরে করে পান।

নারী বাধা নহে তায় পুত্র বাঞ্ছা প্রাণে রয়

নিতি নিতি করে তাই ধ্যান।।

কতই বিনয় করে গোস্বামীরে বারে বারে

বলে ‘‘মোরে এক পুত্র দাও।।’’

গোস্বামী তাহারে কয়, ‘‘জানিলাম সুনিশ্চয়

আমার মরণ তুমি চাও।।

কিবা হতে পুত্র দিয়ে দেখ চারিদিকে চেয়ে

পুত্ররূপে কত শত্রু রয়।

হরিপদে মন দাও পুত্ররূপে তাঁরে চাও

জন্মান্তরে পাইবে নিশ্চয়।।’’

নারী তাহে নহে বাধ্য বলে ‘‘প্রভু দেহ’’ সদ্যঃ

কেবা জানে পরে কিবা হবে?

পুত্র লাগি’ নারী সঙ্গ তাতে যদি ব্রত ভঙ্গ

বিবাহ করিলে কেন তবে।।’’

গোস্বামী কহিল ‘‘নারী! দেখরে বিচার করি

পুত্র কিংবা স্বামী তুমি চাও?

যদি পুত্রে অভিলাষ ছাড়হে স্বামীর আশ

বিদায় করিয়া মোরে দাও।।’’

নারী কথা নাহি কয় অশ্বিনী গোঁসাই তায়

মনে মনে বহু দুঃখ পেল।

মহাদুঃখে ছাড়ে হাই মনে ভাবে কেহ নাই

বন্ধু মোর কেহ না হইল।।

নারী হয়ে হল কাল আনিলাম কেটে খাল

কামিনী রূপিণী কুম্ভীরিণী।

কর্ম্মফল আছে যাহা অবশ্য ফলিবে তাহা

ইচ্ছা বুঝি করে চিন্তামনি।।

‘‘হরি লীলামৃতে আছে আপন রমণী কাছে

ঋণী ছিল প্রভু হীরামন।

পুত্রে জন্ম দিয়া তাই আর ঘরে ফিরে নাই

মোর ভাগ্যে তাহাই লিখন।।’’

নারী-বাঞ্ছা পূর্ণ করে গোস্বামীজী বলে তারে

‘‘তব গর্ভে হইবে নন্দন।

বংশরক্ষা হ’ল বটে বলি আমি অকপটে

শেষ হ’ল আমার জীবন।।’’

বীতস্পৃহা এল প্রাণে তাই ঘোরে নানাস্থানে

শেষ গান করিল রচনা।

‘‘দেখিলাম এই ভবে কোনরূপে কোন ভাবে

বন্ধু মোর কেহ ত হ’ল না।।

জীবন ত্যজিবে বলে হেথা সেথা সাধু চলে,

আঠার বাঁকীর তীরে এল।

সধুমতী ত্রি-মোহনা যেন নাহিক সীমানা

বারি মধ্যে বাঁপা’য়ে পড়িল।।

শিকারী কুম্ভীর সেথা জাগাইয়া ছিল মাথা

শিকার পড়িল ভাবে মনে।

তীরবেগে ছুটে এল গোস্বামীর কাছে গেল

চেষ্টা করে ধরিতে চরণে।।

গোস্বামী বড়ই সুখী বলে ‘‘তুই আয় মাসি।

তোর গর্ভে আমি যেতে চাই।

দেখিলাম ভবার্ণবে কোনরূপ কোনভাবে

আমার বান্ধব কেহ নাই।।’’

প্রভু কি যে খেলে খেলা কেবা বোঝে তাঁর লীলা

ইচ্ছাময় পূর্ণ সনাতন।

সাপে বাঘে কি কুম্ভীরে কভু কোন দিন তরে

তাঁর ভক্তে করেছে নিধন?

বারে বারে তিনবার সে কুম্ভীর অগ্রসর

গোস্বামীর কাছে বটে হল।

হরিভক্ত দেখে শেষে দূরে চলে গেল ভেসে

গোস্বামীর বাঞ্ছা না পূরিল।।

Page 500 start

আঠার বাঁকীর জলে গোস্বামী আসিয়া চলে

ভেসে রয় ডোবে না কখন।

তেরখাদা গিয়া ওঠে একটা মুচির ঘাটে

সেই গৃহে রহে কতক্ষণ।।

অন্নজল সেথা খায় পরে সেথা হতে ধায়

অনির্দ্দিষ্ট পথের সন্ধানে।

কভু জলে কভু কুলে এই ভাবে ছুটে চলে

উপস্থিত হ’ল বাদাবনে।।

বনের মধ্যেতে যায় দেখে এক গৃহরয়

বনমধ্যে অতি নিরালায়।

সন্ধ্যার আগম দেখি ভাবে এই গৃহে থাকি

দেখি ভাগ্যে কি আছে কোথায়।’’

গভীর হইল রাত্রি নিরালার পথ যাত্রী

সেই গৃহে একা বসি রহে।

গৃহবাসী ছায়ামূর্ত্তি দেখিয়া গভীর রাত্রি

গৃহমধ্যে প্রবেশিতে চাহে।।

কিন্তু হ’ল একি দায় গৃহ মধ্যে কেবা রয়

অগ্নি যেন জ্বলে তার অঙ্গে।

দখল করিতে ঘর ছাড়ামূর্ত্তি পরস্পর

উৎপাত করে এক সঙ্গে।।

গোস্বামী নির্ভীক চিতে চেয়ে দেখে চারিভিতে

ছাড়ামূর্ত্তি অতি ভয়ঙ্কর।

গোস্বামী ভাবিছে মনে এরা কেন মোরে টেনে

এতক্ষণে করেনা সংসার।।

ছায়ামূর্ত্তি সবে পরে অবশ্য বুঝিতে পারে

হরিভক্ত এই মহাজন।।

তাই ডেকে তাঁরে কয় ‘‘শুন ওগো মহাশয়

তব পদে করি নিবেদন।।

শুনুণ মোদের কথা মোরা বাস করি হেথা

এই গৃহ করি অধিকার।

আপনার আগমনে শক্তি নাই কোনজনে

গৃহমধ্যে যাবে অতঃপর।।’’

এ বাক্য শুনিয়া কাণে আনন্দে গোস্বামী ভণে

‘‘শুন সবে ছাড়ামূর্ত্তি ভাই।

তোমাদের গৃহ এই আগে তাহা বুঝি কই

এবে তবে আমি চলে যাই।।’’

এতেক কহিলা গুণী করি হরি! হরি! ধ্বনি

অরণ্যের মধ্যেতে চলিল।

অতি বৃদ্ধা এক নারী এক বোঝা কক্ষে করি

গোস্বামীর সম্মুখে আসিল।।

গোস্বামীরে ডেকে কয় ‘‘শোন ওগো মহাশয়

একে নারী তাহে আমি ক্লান্ত।

দয়া করে নিলে বোঝা আমি কিছু হই সোজা

ধর যদি হয়ে কৃপাবন্ত।।’’

শুনিয়া নারীর বাণী তারে ভাবিয়া দুঃখিনী

তার বোঝা নিজ শিরে নিল।

কত দূরে গেলে পরে সে নারী জিজ্ঞাসে তাঁরে

‘‘কোন বর চাহ’’ তাই বল।।

গোস্বামী ভাবিলা মনে ‘বর দিতে চাহে কেনে

এই নারী কভু নারী নহে।

আমারে ভুলাবে বলে বোঝা নিয়ে এল কোলে

তাই বুঝি বর দিতে চাহে।।

এত ভাবি মনে মনে চাহিয়া নারীর পানে

গোস্বামীজী কহিলেন কথা।

‘‘কিবা বর দিতে চাও সেই কথা খুলে কও

মোরে বর দেয়া হবে বৃথা।।’’

হাসিয়া রমণী কয় ‘‘রহ যাহা ইচ্চা হয়

ধন জন অথবা রাজত্ব।

যাহা চাহ তাহা দিব বেশী আর কিবা কব

দিতে পারি ইন্দ্রের ইন্দ্রত্ব।।’’

কথা শুনি সে-অশ্বিনী ভাবে কেবা এল ইনি

মনে হয় হরের ঘরণী।

কিবা চাব তাঁর কাছে চাহিবার কিবা আছে

জীবনের শেষ এই জানি।।

Page 501 start

এই জন্ম বৃথা গেল আর কিবা চাহি বল

পর জন্মে পুনঃ যদি আসি।

জননীর কাছে তাই আমি ‘‘হরিভক্ত’’ চাই

‘‘হরিভক্তি’ আমি ভালবাসি।।’’

এ কথা ভাবিয়া মনে চাহিয়া জননী পানে

বারিচক্ষে কহিছে গোঁসাই।

দয়া যদি হয়েছে মা কহি আমি হর-রমা

হরিভক্তি চাহি তব ঠাঁই।।’’

জননী হাসিয়া কয় ‘‘বাবা তাহা সাধ্য নয়

হরিভক্তি পাইব কোথায়?

আমি আর মোর স্বামী ত্রিভুবনে সদা ভ্রমি

হরিভক্তি পাবার আশায়।।

শুন বলি এক কথা হরিভক্তি যথা তথা

মিলিবে না এই ধরা পরে।

হরিভক্তি যদি চাও ওড়াকান্দী চলে যাও

হরিভক্তি পাবে তথাকারে।।’’

এমত কহিয়া বাণী চলে গেলে সে-জননী

গোস্বামীজী ভাবিল অন্তরে।

মহা ব্রত নষ্ট করে ওড়াকান্দী কি প্রকারে

যাব আমি প্রভুর গোচরে?

তাতে আর কার্য্য নাই এত ভেবে ছেড়ে হাই

গোস্বামীজী চলিল পশ্চিমে।

কয়দিন পরে বটে আসি নবদ্বীপ ঘাটে

মত্ত হল শুদ্ধ হরি নামে।।

কোকিল-নিন্দিত স্বরে যে সময়ে গান করে

নর নারী যেন মূর্চ্ছা যায়।

সকলে কান্দিয়া কয় ‘‘কোথা হতে মহাশয়

দয়া করে আসিলে হেথায়?’’

গোস্বামী কহিছে হাসি ‘‘শোন নবদ্বীপবাসি

ওড়াকান্দী হরি অবতার।

তোমাদের গোরা রায় ছাড়িয়া গৌরাঙ্গ কয়

ধরিয়াছে নব কলেবর।।

শ্রীহরি ঠাকুর নামে এল ওড়াকান্দী ধামে

‘‘হরিচাঁদ’’ বলি ভক্তে কয়।

কায়া ছাড়ি পুনরায় নিজ পুত্র-দেহে রয়

‘‘গুরুচাঁদ’’ নামে পরিচয়।।

করিয়াছি মহাপাপ তাই এই নমস্তাপ

তাঁরে ফেলে আসিয়াছি দুরে।

শাস্তি যদি হয় শেষ ফিরিব আপন দেশ

প্রভু যদি মোরে ক্ষমা করে।।’’

তাঁর বাণী শুনি কাণে নবদ্বীপ বাসী জনে

বহু যত্ন করিল তাঁহারে।

মন যার উদাসীন সে কি বল কোনদিন

এক স্থানে থাকিতে কি পারে?

দুই দিন পরে তাই চলিলেন সে-গোঁসাই

একা একা বৃন্দাবন পথে।

বহু কষ্টে তথা যায় মনে ভাবে সর্ব্বদায়

আর নাহি ফিরিব গৃহেতে।।

এক দিন কুঞ্জ বনে বসি রহে আন মনে

হেনকালে এল এক নারী।

গোস্বামীর কাছে আসি কহিতেছে হাসি হাসি

‘দুটি কথা বলিতে কি পারি?’’

গোস্বামী তাহারে কয় ‘‘তাতে বাধা কিবা রয়

নারী জাতি মানি আমি মাতা।

পুত্রের নিকটে মাতা বলিবারে পারে কথা’

পদে আমি নত করি মাথা।।’’

নারী বলে ‘‘শোন-বাপ! অনর্থক মনস্তাপ

বহিতেছ আপন অন্তরে।

করিয়াছ যেই কাজ দোষ নাহি তার মাঝ

এই ধর্ম্ম গৃহীর ভিতরে।।

ব্রত-ভঙ্গ মহাপাপ প্রভু করিয়াছে মাপ

এবে তুমি ফিরে যাহ ঘরে।

গৃহীকে করিতে শুদ্ধ ওড়াকান্দী হরি-বুদ্ধ

আসিয়াছে বহু যুগ পরে।।

Page 502 start

দেশে তুমি ফিরে যাও আর কেন কষ্ট পাও

যাঁর লোক যাহ তাঁর ঠাঁই।

কি লাগি আসিলে হেথা হেথা তাঁরে পাবে কোথা

সে-মানুষ আর হেথা নাই।।

আমি তাই বলি সন্ধী চলে যাও ওড়াকান্দী

ধর গিয়া প্রভুর চরণে।

আপনি সে গুরুচান মনে কত ব্যথা পান

তোমাকে ডাকিছে মনে মনে।।’’

এত বলি সেই নারী বাতাসেতে ভর করি

পলকের মধ্যে লুকাইল।

তাঁহার বচন শুনি শ্রীঅশ্বিনী মহাগুণী

পুনর্যাত্রা স্বদেশে করিল।।

যত কাছে কাছে আসে বক্ষ তাঁর যায় ভেসে

গুরুচাঁদে করিয়া স্মরণ।

মনে হয় সেই ক্ষণে যদি কেহ দিত এনে

গুরুচাঁদ হৃদয়-রতন।।

নাহি করে দৃষ্টি পাত পদে লাগে শিলাঘাত

ক্ষত হ’ল চরণ তাহার।

কোন দিকে লক্ষ্য নাই শুধু সদা ছাড়ে হাই

দেখা চাই প্রভু মহেশ্বর।।

এই ভাবে কিছু পরে আসি ওড়াকান্দি পরে

গোস্বামীজী দিল দরশন।

গুরুচাঁদে দেখা পায় কান্দিয়া পড়িল পায়

প্রভু বলে মধুর বচন।।

গোস্বামীরে ডেকে কয় ‘‘বল ঠেকে কোন দায়

গৃহ ছেড়ে গেলে বৃন্দাবন?

মনে মনে ভেবে পাপ পেলে কত মনস্তাপ

ইচ্ছা করে আপন মরণে।।

এক কথা পুরাতন শোন তুমি দিয়ে মন

আমার পিতার জীবকালে।

গোলকের নামে নামে ছিল বোড়াশিয়া গ্রামে

দ্বিতীয় গোলক একজন।

নামে নামে যে-সমতা তাই ডাকে ‘মিতা’ ‘মিতা’

মহা রাগে চলে দুই জন।।

গোলক পাগল যিনি মহা ভাবময় তিনি

হুঙ্কারিয়া চলে বীর রাগে।

দ্বিতীয় গোলক ভাবে আমি কবে কোন ভাবে

গোলকে ছাড়া’ব অনুরাগে।।

এত ভাবি মহাশয় নারী সঙ্গে নাহি রয়

মনে ভাবে রিপু জয়ী হবে

বংশ রক্ষা করিবারে তার পিতা বলে তারে

সাধু বলে ‘‘কে তাহা করিবে?’’

দিনে দিনে পিতা তাঁর বলিলেন বারে বার

বংশ রক্ষা করহে সুধীর।

পরিশেষে অনিচ্ছায় নারী সঙ্গ করে হায়

পিতৃ-আজ্ঞা করিল পালন।

গোলক পাগল বলে ‘‘বল মিতা কোন ছলে,

হারাইলে পরম রতন?’’

প্রাণে দুঃখ হল ভারী তাই গেল রশি পরি’

সে গোলক ত্যজিল জীবন।

সেই কথা শুনি কাণে পিতা মোর দুঃখী প্রাণে

বলে ‘‘বোকা বড় অভাজন।

এতটুকু পাপ করে কেন তুই গেলি মরে

এই পাপ-পাপ নহে বেশি।

নিত্য নিত্য নিজ ঘরে নর নারী পাপ করে

তবু তারা মুখে রাখে হাসি।।

সংসারী করিয়া পাপ পেতে বটে পারে মাপ

যদি প্রাণে জাগে অনুতাপ।

আর কত চা’স তোরা? এমন দয়ার ভরা

শুনি নাই কাহার আলাপ।।’’

Page 503 start

গুরুচাঁদ বলে তাই শুনে অশ্বিনী গোঁসাই

দগ্ধ প্রাণে পেল শান্তি জল।

জীর্ণ শীর্ণ দেহে তার দেখা গেল অতঃপর

এল যেন নব শক্তি বল।।

বিধির বিধান যাহা অবশ্য ফলিবে তাহা

বাধা দিতে কেহ নাহি পারে।

ব্রত-ভঙ্গে প্রাণ তাঁর মুলোচ্ছেদ হ’ল যার

পুনঃ তারে নাহি পেল ফিরে।।

পদতলে ক্ষত তার বৃদ্ধি হয় নিরন্তর

শেষ যেন আসিল নিকটে।

শেষ গান রচি তাই ছাড়িলেন দুঃখে হাই

বাজে কথা মনের কপাটে।।


‘‘আপন বলিতে মোরকেই হ’ল না ভবে।যারে এত ভাল বাসিসে ও ডুবায় গৌরবে।।’’-অশ্বিনী গোঁসাই

দিনে দিনে তনু ক্ষীণ আসিল শেষের দিন

গোস্বামীজী বুঝিলেন মনে।

কাছে কাছে ছিল যারা কান্দিয়া সকলে তারা

জিজ্ঞাসিল গোস্বামীর স্থানে।।

‘‘যদি কোন বাঞ্ছা মনে থেকে থাকে সঙ্গোপনে

দয়া করে বলহে হে গোঁসাই।’’

গোস্বামী ডাকিয়া কয় ‘‘অন্য কোন বাঞ্ছা নাই

এক বাঞ্ছা আছে বলি তাই।।

যবে দেহ হবে লয় নারীকেল বাড়ী গাঁয়

মহানন্দ পাগলের ধারে।

আমার জারিতে দেহ রাখিও করিয়া স্নেহ

শান্তি পা’ব বসে পরপারে।।’’

অতঃপর মহাকবি সহজ সরল ছবি

দেহ ছাড়ি করিল প্রয়াণ।

আজ্ঞা মতে দেহ তাঁর নারিকেল বাড়ী পর

রাখে সবে হয়ে আগুয়ান।

আর কি আসিবে কবি সাধকের পুণ্য-ছবি

মধুগীতি করিবে কি গান?

দীন মহানন্দ কয় ‘‘অসম্ভব কিছু নয়

ইচ্ছা যদি করে ভগবান।।

মতুয়ার গুণ গাঁথা অমিয় পুরিত কথা

প্রাণ ভরে পিও সাধু জন।

মূঢ়মতি মহানন্দ, চিত্তে ভরা ঘোর সন্দ

জন্ম তার হ’ল অকারণ।