Page 163

ডক্টর মীডের ওড়াকান্দী স্থিতি সম্বন্ধে স্বজাতি সভায় আলোচনা

মীড সহ ঠাকুরের হ'ল পরামর্শ।

জানিয়া স্বজাতি সবে মনে বড় হর্ষ।।

গ্রামে গ্রামে সমাচার পলকেতে যায়।

নেতৃবৃন্দ ওড়াকান্দী হইল উদয়।।

জিকাবাড়ী বালাবংশ প্রভুর মাতুল।

মহামান্য নমঃকুলে সম্পদ অতুল।।

চৌধুরী প্রধান বংশ ওড়াকান্দী বাস।

ঠাকুরের পদে রাখে অটল বিশ্বাস।।

শ্রী বিধুভূষণ হ'ন সেই বংশ পতি।

ছুটিয়া প্রভুর কাছে আসে শীঘ্র গতি।।

দাস বংশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই কমলাকান্ত।

তাঁর ভ্রাতা ভীষ্ম দেব অতীব সুশান্ত।।

সূচীডাঙ্গা,মল্লকান্দি, রাউৎখামার।

ঘোনাপাড়া,ঘৃতকান্দী,আড়কান্দী আর।।

তারাইল, খাগাইল, তিলছড়া গ্রাম।

এই রূপ যত গ্রাম কত কব নাম।।

প্রধান প্রধান সবে উপনীত হ'ল।

সবারে দেখিয়া প্রভু আনন্দে কহিল।।

“ভাই বন্ধু যতজন আসিয়াছ হেথা।

মন দিয়া সবে আজি শুন মোর কথা।।

Page 164 start

দরিদ্র জাতির ঘরে সবে জন্মিয়াছি।

শিক্ষা বিনা বড় হ'য়ে ঘৃণিত রয়েছি।।

দেহে বল এ জাতির কম কিছু নাই।

বিদ্যাহীন বলে মনে সাহস না পাই।।

এই দুর্ব্বলতা যাহা জানে অন্য জাতি।

ছলে বলে সুকৌশলে ঘটায় দুর্গতি।।

তাই যদি শিক্ষা নিতে মোরা কোথা যাই।

দূর করে দেয় মোরা স্থান নাহি পাই।।

কিন্তু দেখ বিধাতার বিধান সুন্দর।

চিরদিন কোথা নাহি থাকে অন্ধকার।।

আজি অন্ধকারে যেবা কালি সে আলোকে।

আলোকের জীব কাল অন্ধকারে থাকে।।

ভিন্ন দেশি রাজা বটে জাতিতে ইংরাজ।

কিন্তু ন্যায় দণ্ড হাতে করে সব কাজ।।

জাতি-গর্ব্ব ধন-গর্ব্ব তাঁর কাছে নাই।

'প্রজা পাবে সম দৃষ্টি 'রাজা বলে তাই।।

মোদের দুঃখের কথা রাজার নিকটে।

কেহ বলে নাই তাহা কভু অকপটে।।

রাজ-পুরোহিত যারা পাদ্রী নামধারী।

খৃষ্ট -ধর্ম্ম দেয় লোকে দেশে দেশে ঘুরি!

এই জেলা পরে তার মধ্যেতে প্রধান!

মীড নামে পুরোহিত অতি মতিমান।।

এ জাতির দুঃখ বার্ত্তা তাঁরে জানায়েছি।

দুঃখ দূর করি দিবে ভরসা পেয়েছি।।

এই গ্রামে ঘর বাড়ী সে করিতে চায়।

তার লাগি জমাজমি কিছু দিতে হয়।।

সেই যে সাহেব তবে সেই জমি পরে।

উচ্চ বিদ্যালয় দিবে চিরস্থায়ী করে।।

আমি বলিয়াছি তবে সাহেবের কাছে।

স্বজাতির কাছে শুনি জমি দিব পাছে।।

এ-কারণ সকলেরে আহ্বান করেছি।

জাতিকে উঠা'ব বলে সাহেবে ধরেছি।।

কিবা মত কিবা মন বল অকপটে।

ভাল মন্দ সবে মিলি করি একজোটে”।।

এত যদি মহাপ্রভু বলিলেন কথা।

ক্ষণকাল সবে রহে নোয়াইয়া মাথা।।

অতঃপর ধীরে ধীরে সবে কথা কয়।

কেহ বলে ঠিক নহে কেহ দেয় সায়।।

এই ভাবে মত মধ্যে দ্বি-ভাব হইল।

শ্রী বিধু চৌধুরী তবে কহিতে লাগিল।।

পরম তেজস্বী জ্ঞানী শ্রীবিধু চৌধুরী।

ঠাকুরের পদে তার নিষ্ঠা ছিল ভারী।।

কর্ত্তব্য বলিয়া যাহা করিতেন মনে।

অকপটে সেই কথা বলে সর্ব্বস্থানে।।

কর জোড় করি বিধু দাঁড়াইয়া কয়।

“শুন প্রভু এ ব্যাপারে যাহা মনে হয়।।

তব আজ্ঞা শিরোধার্য অবশ্য করিব।

মানিবার পূর্ব্বে তাহা বুঝিয়া মানিব।।

রাজ পুরোহিত বটে পাদ্রীর সমাজ।

দীন -পক্ষে এই দেশে করে কত কাজ।।

কিন্তু আমি যাহা জানি সব বলিতেছি।

কার্য মধ্যে স্বার্থ আছে প্রমাণ পেয়েছি।।

স্ব-ধর্ম্ম ত্যজিয়া যেবা যীশুখৃষ্ট ভজে।

তার লাগি চেষ্টা করে পাদ্রীর সমাজে।।

উপকার ছলে করে ধর্ম্ম - পরচার।

খৃষ্ট -ধর্ম্মে নিতে চায় জগত সংসার।।

এই লাগি মোর মনে বড় ভয় লাগে।

বিহিত করিব চিন্তা কার্য-পূর্ব্ব-ভাগে।।

যদ্যপি খৃষ্টান আসে আমাদের দেশে।

বসতি করিবে তারা প্রতিবেশী বেশে।।

অজ্ঞান নরের দেখ শুদ্ধ - বুদ্ধি নাই।

অজ্ঞানে ছলিয়া নিবে মনে ভয় পাই।।

ভয় হয় কালে কালে অপূর্ব্ব ঘটনা।

হিন্দু ধর্ম্মে এই দেশে কেহ থাকিবে না।।

Page 165 start

ধর্ম্ম ছেড়ে বড় হ'তে আমি নাহি চাই।

ধর্ম্ম রেখে বড় হব মনে বাঞ্ছা তাই”।।

'শ্রী বিধুভূষণ যদি বলে এই কথা।

বহু জনে সায় দিল করিয়া একতা।।

কেহ বলে এই ঠিক্ কথা হইয়াছে।

কভু না যাইব মোরা খৃষ্টানের কাছে।।

যে আচারে খৃষ্টানেরা করে সব কাজ।

হিন্দু মোরা তাই দেখে পাই বড় লাজ।।

শ্রাদ্ধ শান্তি, পূজা আদি কিছু মাত্র নাই।

বিলাসিতা মাঝে ডুবে রয়েছে সবাই।।

আচার ব্যভারে যেন তারা মুসলমান।

হিন্দু - রক্তে সহ্য নাহি হবে সে বিধান।।

বহু পুরুষের ধর্ম্ম মানিতেছি সব।

কি জন্য ছাড়িব মোরা এ-হেন গৌরব।।

কালচক্রে দুঃখে আছি তা'তে সন্দ নাই।

বিধি দিলে দিন মোরা পাইব সবাই।।

কাজ নাই ধর্ম্ম ছেড়ে বড় হইবারে।

ধর্ম্ম ছেড়ে বড় হয়ে কিবা কাজ করে?

এই মত কথা সবে বলাবলি করে।

সবে এক - মত যেন সভার ভিতরে।।

কথা শুনি ভাব দেখি গুরুচাঁদ হাসে।

সভাজন প্রতি কয় সু-মধুর ভাষে।।

হস্ত উত্তোলন করি প্রভু বলে কথা।

দৃষ্টি মাত্র সভাজনে নোয়াইল মাথা।।

'প্রভু বলে বন্ধুবর্গ সবে কথা লও।

আমি যাহা বলি শুন পরে কথা কও।।

যে-কথা বলেছে বিধু সত্য এক দিকে।

সত্য কিন্তু সর্ব্বব্যাপী জানে সব লোকে।।

খৃষ্টানে খৃষ্টান করে সেই তার ধর্ম্ম।

ব্রাহ্মণ সকলে বলে ব্রাহ্মণের মর্ম্ম।।

যার যার ধর্ম্ম সে করে পরচার।

আমি দোষ নাহি দেখি ইহার ভিতর।।

ধর্ম্মেতে স্বাধীন মত জানিবে সকল।

ধর্ম্মেতে রাখিলে নিষ্ঠা সেই মহাবল।।

এক ধর্ম্ম ভিন্ন দুই ধর্ম্ম দেখ কোথা।

হিন্দু-ধর্ম্ম খৃষ্ট-ধর্ম্ম বলা শুধু বৃথা।।

এক মূল তত্ত্ব রহে সর্ব্ব-ধর্ম্ম-মাঝে।

প্রণালী পৃথক শুধু রীতি নীতি কাজে।।

তাই বলি কার ধর্ম্ম কেবা ছেড়ে দেয়।

ধর্ম্ম-নিষ্ঠ লোক কম দেখি এ ধরায়।।

দলাদলি করি করে ধর্ম্মের ছলনা।

ধর্ম্ম পক্ষে নাই কিছু পুরুষ ললনা।।

যে-জন ধার্ম্মিক ভবে তাঁর চিন্তা নাই।

তাঁর পক্ষে নাই ধর্ম্ম ছাড়ার বালাই।।

ধর্ম্ম ছেড়ে বড় হ'তে কেবা কারে কয়।

ধর্ম্মেতে থাকিলে মন সবে বড় হয়।।

এই ধর্ম্মতত্ত্ব দেখ বড়ই কঠিন।

মুখে'ধর্ম্ম' 'ধর্ম্ম' করে যত অর্ব্বাচীন।।

আরো দেখ ধর্ম্ম-চিন্তা অতীব সুসার।

কেমনে পালিব ধর্ম্ম অন্ন-চিন্তা যার।।

এই দেশে উচ্চ বর্ণ যত জাতি আছে।

'অভাব' না যায় কভু তাহাদের কাছে।।

শিক্ষাগুণে অর্থশালী আছে ঘরে ঘরে।

অভাব না জানে তারা কোন দিন তরে।।

সত্য বটে মুষ্টিমেয় সংখ্যাতে তাহারা।

কিন্তু শিক্ষা গুণে দেখ এই দেশে 'সেরা'।।

এই শিক্ষা সবে তারা কোথায় পাইল।

ইংরাজে দিয়াছে শিক্ষা সেখানে লভিল।।

আদিপর্ব্বে তারা যবে শিক্ষা নিয়াছিল।

কিছু কিছু লোক তা'তে খৃষ্টান হইল।।

কিজন্য খৃষ্টান তারা সাজে তাই বলি।

ধর্ম্ম তরে কদাচিৎ অধিকাংশ কলি।।

সজ্জন ধীমান যারা তারা দেখ বুঝে।

এই শিক্ষা লাগাইব মোরা কোন্ কাজে।।

Page 166 start

জড়ত্ব সমাজ - দেহে বাঁধিয়াছে বাসা।

কাল ঘুমে ঘিরিয়াছে অতি সর্ব্বনাশা।।

ইংরাজ কর্ম্মী'ষ্ঠ জাতি রজঃ-ধর্ম্ম-ধারী।

অলস -তামস -পুর্ণ -কর্ম্মে ব্যভিচারী।।

ইংরাজের শিক্ষা তাই রজস প্রধান।

সে শিক্ষা লভিলে জাতি-জাগিবে পরাণ।।

এই চিন্তা মণীষীরা মনে করি ধ্যান।

ইংরাজের শিক্ষা নিতে গড়ে প্রতিষ্ঠান।।

তাই বর্ণ হিন্দু যত সেই শিক্ষা গুণে।

এই দেশে শ্রেষ্ঠ সবে ধনে কিংবা জ্ঞানে।।

পরিণাম ভাবি তারা মিথ্যা ভয়ে ভীত।

নিজ সমাজেতে শিক্ষা রাখিল বেষ্টিত।।

কাল গুণে যারা সবে দরিদ্র কাঙ্গাল।

তারা নাহি পেল শিক্ষা - ফলের নাগাল।।

সেই হেতু অনুন্নত যারা বঙ্গ দেশে।

কাল ঘুমে অচেতন কাঙ্গালের বেশে।।

এক কথা সভা মাঝে বলিয়াছ সবে।

কালের বিধানে দিন আপনি আসিবে।।

কিন্তু এক প্রশ্ন আমি করি সভা ঠাঁই।

কালাভাগে ভাগ কিছু আছে নাকি ভাই?

যে কালে আপনাপনি ঘটিবে সকল।

কোথায় নিশানা তার পাবে তাই বল।।

আজও কাল,কালও কাল, কাল -পরিচয়।

নিজে বুঝিবারে লোকে আজ কাল কয়।।

কাল বুকে নাহি সীমা নাহি কোন রেখা।

কালাকাল, আছে শুধু নর -শাস্ত্রে লেখা।।

যে -কাল ঘটিবে সব সেত নহে দূর।

কাল আছে সর্ব্বক্ষণে নিজে ভরপুর।।

আজ -কাল ভাগাভাগি নরে করিয়াছে।

ভাগাভাগি নাহি কিছু কাল গতি কাছে।।

কালেতে হইবে সব বলিলে বচন।

কাল -পর্ব্বে আছে নাকি এখন-তখন।।

কালে কিছু নাহি করে নরে সব করে।

আজি কালি করি তারা বৃথা কাল হরে।।

আর যদি বল হবে বিধির বিধানে।

বিধি কবে ইচ্ছা করে কেবা তাহা জানে?

তুমি আমি ভাবি বুঝি কাল আসে নাই।

এলো কিনা এলো শুধু বিধি জানে তাই।।

আজ যে সাহেব আসে শোনে দুঃখ বার্ত্তা।

মনে ভাব এর মূলে সাহেব কি কর্ত্তা?

বিধি যদি ইচ্ছা নাহি করে থাকে মনে।

বিদেশী সাহেব হেথা আসিল কেমনে?

ইথে বুঝি বিধাতার ইচ্ছা হইয়াছে।

তাঁহার ইঙ্গিতে তাই পাদ্রী আসিয়াছে।।

আর ভয় দিল সবা শ্রী বিধুভূষণ!

সকলে খৃষ্টান -করা পাদ্রীর মনন।।

সে উদ্দেশ্য সত্য বলে আমি মানিলাম।

আমাদিগে 'ভুলাইবে কিসে বুঝিলাম।।

যে -বিপদ আসে নাই তারে কেন ডরি?

মরনের ভয় দেখে কেন ভয়ে মরি।।

বীর ধর্ম্মে নাহি কিছু ভয়ের আশ্রয়।

কাপুরুষের মৃত্যু -পূর্ব্বে শত-মৃত্যু হয়।।

“ Cowards die many timesbefore their deaths “---Shakespeare

ভয় না আসিতে ভয়ে করিতেছ ভয়।

ভীত -জন হয়ে রহে ভূতের আশ্রয়।।

আর কথা বলি সবে শুন ভাল মনে।

মোদের খৃষ্টান পাদ্রী করিবে কেমনে?

শিক্ষা লাগি খৃষ্টানের চেয়েছি সাহায্য।

শিক্ষা নিয়ে নিজ-ধর্ম্ম করিব কি ত্যজ্য?

পর -ধর্ম্ম নমঃশূদ্রে নিবে কি লাগিয়া?

নমঃশূদ্রে ধর্ম্ম গেছে হরিচাঁদ দিয়া।।

Page 167 start

সত্য অবতার ছিল শ্রী হরি ঠাকুর।

এসেছিল উদ্ধারিতে অনাথ আতুর।।

অনাথ আতুর অন্য-ধর্ম্মে কদাচন।

আপাততঃ এই বঙ্গে নাহি প্রয়োজন।।

ক্রমে ক্রমে আসিবেক যুগ' ধরাতলে।

হরিচাঁদ ধর্ম্মমতে মাতিবে সকলে।।

এসব কল্পনা নহে জেন সত্য-বাণী।

হরি-ধর্ম্ম উদ্ধারিবে যত নর - প্রাণী।।

অধিক কহিব কত নহে বেশী দূরে।

শ্রী হরির পুত্র যবে আমি এ সংসারে।।

সত্য সত্য বলি আমি সবাকার ঠাঁই।

খৃষ্টানে আমারে গ্রাসে হেন শক্তি নাই।।

শ্রী হরির পুত্র আমি তাঁর কৃপা বলে।

নিশ্চয় সাহেবে টানি নিব মোর দলে।।

খৃষ্টান না হ'ব আমি জানিও নিশ্চয়।

সাহেবে মতুয়া করি দেখা'ব সবায়”।।

মহাতেজে এই কথা প্রভু যবে বলে।

জয় ধ্বনি করে সবে সেই সভাস্থলে।।

অগ্রণী হইয়া তবে শ্রী বিধু চৌধুরী।

বজ্র কণ্ঠে বলে উঠে “কারে শঙ্কা করি?

কাণ্ডারী যদ্যপি বলে কোন ভয় নাই।

ত্রিজগতে মোরা আর কাহাকে ডরাই?

যথা আজ্ঞা করে প্রভু তাহা মানি সার।

বুঝিলাম এ জাতির শঙ্কা নাহি আর।।

যে হোক সে হোক তা'তে ভয় নাহি করি।

শঙ্কাহারী নিজে যবে সেজেছে কাণ্ডারী।।

শুন নমঃশূদ্র ভাই এই করি পণ।

অবশ্য করিবে সবে প্রতিজ্ঞা পালন।।

যেই পথে গুরুচাঁদ চালাইবে সবে।

দ্বিধা শূন্য মনে সবে অবশ্য চলিবে।।

এই কথা বিধু যবে উচ্চারণ করে।

সবে সমর্থন করে আনন্দ অন্তরে।।

এক যোগে সবে বলে গুরুচাঁদ কাছে।

“আমাদের দ্বন্দ্ব যত সব ঘুচিয়াছে।।

দয়া করে আমাদের ভার লহ হাতে।

অভয় পেয়েছি মোরা আজিকে তোমাতে “।।

প্রভু বলে “শুন সবে স্ব -জাতির গণ।

আমি সব স্থান দিব পাদ্রীর কারণ।।

আপন করিয়া তাঁরে রাখিব নিকটে।

দেখি পাদ্রী ধরা দেয় নাকি অকপটে।।

কিন্তু এক কথা মম আছে সবা ঠাঁই।

সৎ কর্ম্মে দান কিন্তু পাছে করা চাই।।

স্কুল যবে এই দেশে সাহেব করিবে।

সাধ্য মত টাকা কড়ি সবজনে দিবে”।।

প্রভুর বাক্যেতে সবে স্বীকার হইল।

হরি -গুরুচাঁদ প্রীতে হরি হরি বল।।

---০---