সহজিয়া
কথা কম কাজ বেশি..
তুমুল জনপ্রিয় CMS ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানতে হবে বেসিক তিনটি বিষয়।
১. www.wordpress.com – এটা একটা ওয়েব সাইট যেখানে আপনি তারা আপনাকে ফ্রি একটা সাব ডোমেইন এবং কিছু জায়গা দিবে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলার জন্য। এখানে সুবিধার পাশাপাশি বেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
২. www.wordpress.org – এটাও একটা ওয়েব সাইট। এই ওয়েব সাইটের মূল আকর্ষন হচ্ছে এখানে আপনি পাচ্ছেন ওয়ার্ডপ্রেসের থীম, প্লাগিনসহ আরো অনেক কিছু।
৩. Wordpress – অনেকে উপরোক্ত দুটো সাইটের সাথে এটাকে গুলিয়ে ফেলেন। শুধু ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটা সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমরা একটা সাইট develop করে থাকি।
আমি কোথায় কাজ করবো?
শুরুতেই বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেলেন। আপনি কনফিউজড! কোথায় কাজ করবেন www.wordpress.com নাকি wordpress এ? চলুন ক্লিয়ার করে নেই ব্যাপারটা।
আপনার যদি নিজস্ব কোন ডোমেইন এবং হোষ্ট না থাকে এবং শখের বশে আপনি যদি কোন সাইট বানাতে চান তবে আমি রিকোমেন্ড করবো www.wordpress.com এ কাজ করতে।
আর আপনি যদি সিরিয়াসলি ওয়ার্ডপ্রেসে কাজ শিখতে চান তবে আপনার জন্য wordpress সফটওয়্যার।
কিভাবে শুরু করবো?
(এই অংশটা যারা শুধু Wordpress এ সিরিয়াসলি কাজ শিখতে চান তাদের জন্য)
কিভাবে শুরু করবেন সেটা নির্ভর করছে কিছু বিষয়ের উপর। আপনার যদি পয়সা দিয়ে কেনা ডোমেইন এবং হোষ্ট থাকে তবে আপনি চাইলে সরাসরী আপনার সার্ভারে wordpress সফটওয়্যারে ইনষ্টল করে লাইভ কাজ করতে পারবেন অথবা পিসিতে Xamp অথবা Wamp ইত্যাদি সফটওয়্যার ইনষ্টলের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
আর যদি আপনার ডোমেইন এবং হোষ্ট না থাকে তবে আর আপনার অপশন পচন্দ করার কোন সুযোগ নাই। এক্ষেত্রে আপনাকে পিসিতে কাজ করতে হবে এবং Xamp অথবা Wamp ইনষ্টল করে।
টিউটোরিয়াল টিউটোরিয়াল
কিভাবে Xamp বা Wamp এবং wordpress ইনষ্টল দিতে হয় সেটা জানানোর জন্য বাংলা এবং ইংরেজিতে অসংখ্য টিউটোরিয়াল অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। কিভাবে কি করবেন তা ওই টিউটোরিয়ালে দেখে নিন। অনন্ত নিজে নিজে হলেও কিছু কাজ করুন।
কমন কনফিউশন
ধরে নিচ্ছি আপনি আপনার পিসিতে অথবা লাইভ সার্ভারে Wordpress ইনষ্টলেশনের কাজটা সম্পন্ন করে ফেলছেন। এখন অপেক্ষায় আছেন কাজ শুরু করার। প্রথমে আপনার কিছু কনফিউশন দূর করে দেই।
কনফিউশন -১
Post বনাম Page: নবীনদের ওয়ার্ডপ্রেসের কাজের শুরুতেই এই দুটো বিষয় নিজে কাজ করে রাজ্যের কনফিউশন। পোষ্ট কি এবং পেইজ কি তা লিখে সার্চ দিতে দিতে হয়রান। চলুন জেনে নেই পোস্ট এবং পেইজের পার্থক্য।
Post:ব্লগের সাথে যাদের পূর্ব আত্মিয়তা আছে তাদের কাছে পোষ্ট ব্যাপারটা একদম পানির মতো ক্লিয়ার। আমার এই লেখা যারা পড়ছেন ধরে নিচ্ছি তারা ব্লগ কি জিনিস তাও জানেন না। সমস্যা নাই শুধু ফেসবুক চিনলেই হবে। চলুন ফেসবুক থেকে ঘুরে আসি। কোন কিছু আপনার ওয়ালে লিখে Post অপশনে ক্লিক করুন। বুঝা যায় নি তাইনা। একবার না পারিলে দেখ শত বার। এবার আরো কিছু লিখে আরেকটা পোষ্ট দিন ফেসবুকে।
আমি - আরে ভাই আপনার প্রথম পোষ্টের লেখাগুলো নিচে চলে গেল যে।
আপনি – যাবেই তো এটাই নিয়ম।
আমি – আমিও তো তাই বলি এটাই তো পোষ্ট।
আপনি – মানে?
আমি – পুরতন পোষ্ট নিচে যায় এবং নতুনটা সবার উপরে থাকে।
আশা করছি বিষয়টা এবার পানির মতো ক্লিয়ার। বলে রাখা ভাল পানির কিন্তু নিজস্ব কোন রঙ নাই।
Page: পোষ্ট জিনিসটা তো ক্লিয়ার বাট পেইজ আবার কেন। জানি আপনার মনে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সিডরের মতো। আসলেই তো তাই পোষ্ট থাকলে আর পেইজের দরকার কি। চলুন এই প্রশ্নটা না হয় ওয়ার্ডপ্রেসকেই করি।
আমি – ভাই আপনার মাঝে পোষ্ট আছে তবে পেইজ কেন?
ওয়ার্ডপ্রেস – ভাই সাহেব শুরুতে আমার জন্ম হয়েছিল ব্লগ সাইট বানানোর জন্য। আর আপনি তো নিশ্চয়ই পানির মতো ক্লিয়ার ব্লগ সাইটে একটা একটা করে পোষ্ট দিয়ে মানুষ আজকাল ঝগড়া করে।
আমি – তো পেইজ অপশন কেন নিয়ে আসলেন?
ওয়ার্ডপ্রেস – ডিজিটাল যুগ সবাই ফাষ্টফুড খেতে চায়। কম সময় কম খাবার বাট উদরপূর্তি। মানুষ এখন আর আমাকে দিয়ে শুধু ব্লগ সাইট বানায় না তারা ওয়েব সাইটও বানাতে চায়। জানেন নিশ্চয়ই প্রতিটা ওয়েব সাইট কতগুলো ওয়েব পেইজের সমন্বয়। যদি পেইজ অপশন না থাকে তবে ওর ওয়েব সাইট বানাবে কি করে।
কনফিউশন -২
Category বনাম Tag: বাপরে বাপ কি জটিল দুইটা ওয়ার্ড। শব্দ দুটো যতই জটিল হোক না কেন আসলে বাস্তবে তারা কিন্তু খুব সহজ। আবার ভাবার দরকার নাই পানির মতো সহজ। আগেই বলছি পানির কিন্তু কোন কালার নাই। ওকে তবে শুরু হোক পোষ্ট মর্ডেম –
Category: ধরে নিচ্চি আপনার বাবার কোটি কোটি টাকা। হঠাৎ একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখতে পেলেন আপনি একটি বড় সুপার স্টোরের মালিক হয়েছেন। অনেক বড় সুপার স্টোর। নাম তার স্বপ্ন সুপার স্টোর। কত আইটেম আপনার সুপার স্টোরে। পোষাক, আসবাব পত্র, মাংস, স্টেশনারী আর কত কি। প্রতিটা আইটেম আলাদ আলাদা করে একটি নিদির্ষ্ট জায়গায় রাখা। আবার উপরে বড় বড় করে লেখা আইটেমের নাম। যেমন যেখানে শুধু মাংস পাওয়া যায় সেখানে লিখে রাখলেন মাংস। যেখানে পোষাক সেখানে পোষাক।
Tag: আর পারছিনা গুরু সেই প্রাইমারী থেকে শুরু বলতে বলতে একটি লোক আপনার স্বপ্ন সুপার স্টোরে এসে হাজির। বেচারা মাংস কিনবে খাবার জন্য। হ্যাঁ সবাই মাংস খাবার জন্যই কিনে থাকে। বেচারা দেখতে পেল সুপার স্টোরের পশ্চিম মাথায় বড় করে লেখা ক্যাটগরি মাংস। আপনাকে বিরক্ত না করে সে ওখানে চলে গেল। আরে মাংসের প্যাকেটের উপর আবার আপনি কি জানি হাবিজাবি লাগিয়ে রেখেছেন। আরে এটা তো গরুর মাংসের Tag. এই তো পেয়ে গেছি মুরোগের মাংস। ভাই সাহেব ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। ক্যাটাগরি মানে যে মাংস আর ট্যাগ মানে যে গরুর/মুরোগের মাংস তা কিন্তু সবাই বুঝে গেছে। বলে রাখা ভাল ট্যাগ মানে ছাগলের মাংসও হতে পারে।