আউট অফ বক্স
এদেশে ইসলাম ধর্মের আগমন পীর ফকিরদের হাত ধরে। আবার এদেশের ইসলাম ধর্মের ধ্বংসের সবচেয়ে বড় কারনও এই পীর ফকিররাই। বিতর্ক নিশ্চিত। আমি বলছিনা ইসলামের আলোয় এই দেশ যারা আলোকিত করেছিলেন তারা এই ক্ষতিটা করেছিলেন। যদিও এখানে কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছিল ভাষাগত কারনে। ধ্বংসটা শুরু তাদের মৃত্যুর পর থেকেই। ভন্ড নামধারী কিছু পীরদের আবির্ভাব ছিল সমস্যার মূল কারন। এই শয়তানের চেলারা মানুষের ইবাদাতের মাঝে অতী সুক্ষভাবে শিরক এবং বিদায়াত ঢুকিয়ে দেয়।তাদের অনুসারীরা সেটা প্রচার করতে থাকে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে দিয়ে। আর নব্য ইসলামধারীরা সেটা লুফে নিয়েছিল কোনরুপ সন্দেহ ব্যাতিরেকে।
অনেকে প্রমান ছাড়া কথা বিশ্বাস করতে চান না। প্রমান দিলেও সেটা মানতে পারেন না। ইসলামটাকে তারা প্রতিনিয়তই নিজেদের মতো করে কাষ্টমাইজ করে যাচ্ছেন। বিয়ে করা ফরয নাকি ওয়াজিব সেটা নিয়ে বির্তক আছে কিন্তু মোহরানা দেওয়া নিয়ে কোন বির্তক নাই। তাবিজ ঝুলানোর দূর্বল এবং সন্দেহপ্রবন হাদিসগুলো তাদের কাছে পাবেন যেখানে স্বয়ং বুখারী শরিফও তাদের কাছে দূর্বল।মাজার পূজার কথা আর নাইবা বললাম।আপনি কি মনে করেন তাদের মননে সেটা অটোমেটিক ঢুকে গেছে।অতান্ত্য স্লো মোশনে স্টেপ বাই স্টেপ সেই কাজগুলো করে গেছেন আমাদের ধর্মের লেবাসধারী ধর্ম ব্যবসায়ী ভাইয়েরা।
শীতকাল কিছু মানুষের ব্যাবসার মওসুম।আমাদের মোল্লা ভাইয়েরাও সেই সূযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। পাড়ায় পাড়ায় ওয়াজের প্রতিযোগীতা সত্যিই অবাক করার মতো। মানুষকে ধর্মের কথা শুনানোর জন্য যারা পারিশ্রমিক হাকায় নিশ্চয়ই ধর্মের সষ্ট্রাও তার ধর্মের জন্য কেয়ামতের ময়দানে তাদের কাছ পারিশ্রমিক দাবী করবেন। বলি ভাই এতো টাকা খরচ করার দরকার কি। বাজারে জাকির নায়েকসহ অনেক আলেমদের বাংলায় ডাবিংকৃত সিডি পাওয়া যায় তাও আবার নাম মাত্র মূ্ল্যে। ওয়াজের আয়োজন যদি করতেই চান তবে তাদের একটা সিডি চালিয়ে দিতে পারেন। নিন্চয়ই অপয়কারী শয়তানের ভাই।