সিলেট ভ্রমন প্ল্যান
প্ল্যান শিরোনাম (ইচ্ছেমত কাস্টমাইজ করে নিন)
১ম দিন – শীতকাল হলে শ্রীমঙ্গল আর বর্ষাকাল হলে মাধবকুন্ড+হাকালুকি দেখে রাতে সিলেট ব্যাক করা।
২য় দিন - শীতকাল হলে সুনামগঞ্জ আর বর্ষাকাল হলে বিছনাকান্দি+রাতারগুল দেখে রাতে সিলেট ব্যাক করা।
৩য় দিন - শীতকাল হলে জাফলং + লালাখাল আর বর্ষাকাল হলে লোভাছড়া বা হামহাম ঘুরে রাতে ঢাকা ব্যাক করা।
ঢাকা থেকে আসলে: উপবন ঢাকা থেকে ছাড়ে রাত ৯.৫০ এ সিলেট পৌছে সকাল ৫টায়। বন্ধ থাকে কি বারে জেনে নিবেন। আপনি আসবেন শ্রীমঙ্গল।
ভাড়া: ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ২৪০ টাকা শোভন চেয়ার।
আর শ্রীমঙ্গল পৌছাবেন কিন্তু ভোর ৩টায়। সেটা মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং ভোরটা স্টেশনে কাটিয়ে দেন।
চট্রগ্রাম থেকে আসলে: উদয়ন চট্রগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত ৯.৪৫ এ সিলেট পৌছে সকাল ৬.৩০ মিনিটে। রবিবার বন্ধ থাকে।
ভাড়া: চট্রগ্রাম টু সিলেট ২৫০ শোভন সীট।
আর শ্রীমঙ্গল পৌছাবেন কিন্তু ভোর ৪টায়। সেটা মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং ভোরটা স্টেশনে কাটিয়ে দেন।
শীতকাল- ১ম দিন: চা বাগানের পথে
তারপর আলো ফুটার পর নাস্তা সেরে মানুষ ৫ জনের উপর হলে চান্দের গাড়ি একটা রিজার্ভ করে (সারদিনের জন্য) চলে যাবেন লাউয়াছড়া, তারপর চা-বাগান, শীতিশ বাবুর চিড়িয়াখানা। ভাড়া নিবে ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। আর মানুষ ৫ জন বা তার কম হলে সি.এন.জি রিজার্ভ করুন। তাতে ভাড়া পড়বে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার ভিতর। দুপুরের খাবারটা সেরে নিন যেকোন রেস্টুরেন্টে।
বিকালে জয়ন্তিকা ট্রেনে সম্বভত ওটা শ্রীমঙ্গল আসবে বিকাল ৫ থেকে ৬ টায়। ওটা দিয়ে চলে আসবেন সিলেট। শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট ভাড়া পড়বে ১২০ টাকা শোভন চেয়ার। সিলেট আসতে আসতে রাত ৮টা বেজে যাবে। স্টেশনে নেমে একটু সামনে মেইন রোডে এসে জনপ্রতি ১০ টাকা করে বন্দরবাজারে লোকাল সি.এন.জি করে তালতলা চলে আসুন। তালতলা গিয়ে হোটেল ইষ্ট এন্ড এ থাকবেন জনপ্রতি ২৫০টাকা করে একরাত। আশেপাশে আরো হোটেল আছে। গ্রুপে থাকলে ডাবল বেডে ৩ জন করে থাকবেন। হয়তো তখন ভাড়া একটু কম পড়বে। রাতের খাবারটা সেরে নিবেন হোটেল পানসীতে। তালতলা থেকে হেটে হেটে ওখানে যেতে পারবেন। যে কাউকে জিন্দাবাজারের রাস্তা বলতে দেখিয়ে দিবে। হেটে যেতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৭ মিনিট। রাতের খাবারটা ১২০-১৫০ এর মধ্যে সেরে নিবেন। আবার হেটে হেটে হোটেলে চলে আসবেন। রাস্তা সেইফ। চাইলে রিক্সা নিয়েও যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে ১০ টাকা।
খরচ (যাতায়ত): ২৪০/২৫০(ট্রেন)+২০০০ (চান্দের গাড়ি ভাড়া জনপ্রতি ভাগ হবে) +১২০ (ট্রেন)+১০ (সি.এন.জি)
খরচ (খাবার): ৪০+১৫০+১৫০
খরচ (হোটেল):২৫০ সিঙ্গেল রুম টিভি ছাড়া
টাইমিং:
ভোরে শ্রীমঙ্গল পৌছানো। সিলেটের টিকেট করে নেওয়া।
সকাল: ৬টায় নাস্তা সেরে নেওয়া
সকাল: ৭টায় চান্দের গাড়ি নিয়ে শীতিশ বাবুর চিড়িয়াখানা দেখতে যাওয়া তারপর লাউয়াছড়া, চা-বাগান দেখে বিকাল ৩টায় ব্যাক করা শ্রীমঙ্গল। ফ্রেস হয়ে দুপুরের খাবার সারা।
বিকাল: ৪ টায় ষ্টেশন চলে যাওয়া।
রাত: ৮টায় সিলেট চলে আসা। তালতলা আসতে ৮.৩০ বেজে যাবে।
রাত: ৮.৩০- ৯টার ভেতর হোটেলে উঠা।
রাত: ৯.৩০-১০ টার ভিতর রাতের খাবার সারা তারপর হোটেলে ফিরে নাক ডাকানো।
বর্ষাকাল - ১ম দিন: পাথারিয়ার বুকে
কাজ চলছে ....
শীতকাল - ২য় দিন: বাংলার কাশ্মীরে
ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আবারো চলে যাবেন পানসীতে। ওখানে নাস্তা জনপ্রতি ৪০ টাকার ভিতর সেরে চলে আসবেন হোটেলে। তারপর যে কাউকে বললে দেখিয়ে দিবে সুরমা মার্কেট। ওখানে হেটে হেটে চলে যাবেন সুরমা মার্কেট । হেটে যেতে ৩ মিনিট লাগবে তালতলা থেকে। ওখানে পাবেন কুমারগাও বাস স্ট্যান্ড যাবার লোকাল সি. এন.জি। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১৫ টাকা। ওখানে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। সি. এন.জি বাস স্ট্যান্ডের সামনে নামিয়ে দিবে। তারপর কুমারগাও বাস স্ট্যান্ড থেকে বিরতীহীন বাসের টিকেট কেটে চলে যাবেন সুনামগঞ্জ। সময় লাগবে ২ ঘন্টা। ভাড়া পড়বে ৯০ টাকা জনপ্রতি। বাস যেখানে থামবে তার ঠিক সামনে দেখবেন একটি সুন্দর নতুন ব্রিজ। হ্যাঁ এটাকেই নতুন ব্রিজ বলে। আপনি চাইলে হেটে হেটে ব্রিজ পার হতে পারবেন। ব্রিজের মধ্যভাগে পাবেন কিছু মটরবাইক। ওখান থেকে আপনি যাবার জন্য সাইকেল সিলেক্ট করতে পারেন। অথবা ব্রিজ থেকে পার হয়ে একটু জায়গা এগুলে দেখবেন সারি সারি মটরবাইক রাখা। চাইলে ওখান থেকেও নিতে পারেন। মটরসাইকেল আপনাকে একদম টেকেরঘাটে পৌছে দিবে। টেকেরঘাট যেতে সময় লাগবে ১.৩০ মিনিট। মটর বাইকে ভাড়া নিবে ৩০০ এক ডাউন ২ জন। সেখান থেকে চলে যান টেকেরঘাট বা নিলাদ্রী। বলে রাখা ভাল ওই ড্রাইভারকে বলে রাখবেন আপনাদের নিয়ে যেতে। নিলাদ্রী যাবার পথে পড়বে যাদুকাটা নদী। ওখানে ফটোসেশন করতে পারবেন। দুপুরের খাবারটা টেকেরঘাটে করে নিবেন। তেমন কিছু পাবেন না আগেই বলে রাখছি। তবে আপনাদেরকে সবকিছু দেখে অবশ্যই সুনামগঞ্জ ফিরতে হবে সন্ধা হবার আগেই। সুতরাং এখানে টাইমিং টা জরুরী। বিকালের বিরতীহীন বাসে করে আবারো সিলেট চলে আসুন। বাস আপনাদের নামিয়ে দিবে কুমারগাও বাসষ্ট্যান্ডে। সেখান থেকে লোকাল সি. এন.জিতে করে ১৫ টাকা জনপ্রতি চলে আসবেন তালতলা (ড্রাইভারকে বলে রাখবেন যে আপনার তালতলা নামবেন)। রাতের খাবারটা আবারো সেরে নিবেন হোটেল পানসী থেকে।
(যারা সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে চান তারা সুনামগঞ্জ গিয়ে চাইলে বাসের টিকেট কেটে নিতে পারেন। সুনামগঞ্জ থেকে কোন কোন বাস সার্ভিস আছে ঢাকার সেই সম্পর্কে বা ভাড়া এবং সার্ভিস সম্পর্কে আমার আইডিয়া নাই। অথবা আপনি চাইলে সিলেট ব্যাক করে রাতের ট্রেনে ঢাকা বা চট্রগ্রাম যেতে পারবেন।)
খরচ (যাতায়ত): ১৫(সি.এন.জি)+৯০(বাস)+৩০০(মোটরবাইক)+২০(ফেরি ভাড়া)+৯০(বাস)+১৫(সি.এন.জি)
খরচ (খাবার): ৪০+১৫০+১৫০
খরচ (হোটেল): থাকলে হোটেল ভাড়া ২০০ টাকা প্রযোজ্য হবে নতুবা বাদ যাবে।
টাইমিং:
সকাল ৬ থেকে ৬.৪৫ এর ভেতর নাস্তা
সকাল ৭ টায় সি. এন.জি তে চড়া ৭.৩০ এর ভিতর বাস স্ট্যাডে পৌছা
সকাল: ৮টার বিরতীহীন বাসে (যদি থাকে) উঠা
সকাল: ১০ টায় সুনামগঞ্জ
দুপুর: ১২ টায় নিলাদ্রী
ওখানে ২ ঘন্টা থাকা
দুপুর ২টায় ব্যাক ৩.৩০ এ সুনামগঞ্জ
বিকাল ৪টার বাসে সিলেট আসা এবং সন্ধা ৭ টায় তালতলা পৌছা।
(ওদিন চলে যেতে চাইলে রাতের খাবারটা সেরে নেওয়া ৮টার ভিতর। তারপর ৯টায় স্টেশনের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেওয়া।) নতুবা হোটেলে উঠে ফ্রেস হয়ে ৯টায় খাবার খাওয়া তারপর নাক ডাকানো।
বর্ষাকাল - ২য় দিন: রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই
ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আবারো চলে যাবেন পানসীতে। ওখানে নাস্তা জনপ্রতি ৪০ টাকার ভিতর সেরে চলে যান আম্বরখানা। জিন্দাবাজার থেকে পায়ে হেটে আম্বরখানা যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট। যে কাউকে বললে দেখিয়ে দিবে পথ। নতুবা একটা রিক্সা নিয়ে চলে যান। ভাড়া পড়বে ২০ টাকা। অর্থাৎ জনপ্রতি ১০ টাকা করে। আম্বরখানা গিয়ে গোল্ডেন টাওয়ারের সামনে নামবেন। ওখান থেকে রাতারগুলের গাড়ি যায়। লোকাল গাড়ি সরাসরি রাতারগুল যাবেনা। আপনাকে নামিয়ে দিবে মাদুরগাট। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৮০ টাকা। মাদুরগাট থেকে হেটে হেটে রাতারগুল যেতে পারবেন। তারপর রাতারগুলে
৩য় দিন: পিয়াইন নদীর বুকে
ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তটা সেরে নিন পানসীতে। তারপর রিক্সা নিয়ে চলে যান সোবহানীঘাট। তালতলা থেকে সোবহানীঘাট দু’জন ভাড়া নিবে ২০ টাকা। জনপ্রতি ১০ টাকা করে পড়বে। সেখানে গিয়ে যে কাউকে বললে দেখিয়ে দিবে জাফলং যাবার বাস স্ট্যান্ড (আসলে বাস স্ট্যান্ড না ওখানে বাস থামে)। বিরতীহীন বাসে উঠবেন অবশ্যই। জাফলং যেতে সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত (রাস্তা খারাপ)। বাস ভাড়া ৬০ টাকা জনপ্রতি। জাফলং গিয়ে বাস থামবে মামার দোকান। সেখান থেকে হেটে হেটে চলে যান জাফলং মেইন স্পটে। হেটে যেতে সময় লাগবে ৫ মিনিট। ভুলেও গাড়িতে উঠবেননা এইটুকু পথের জন্য। জাফলং গিয়ে যদি দেখেন পিয়াইন নদীতে পানি থাকে তবে নৌকা ভাড়া করবেন। চেষ্টা করবেন লোকাল নৌকায় যেতে অথবা অন্য কারো সাথে শেয়ার করে যেতে। তাতে আপনাদেরই লাভ। নৌকা ঘন্টা দু’য়েক জন্য ভাড়া নিবেন। মাঝি চাইবে আপনি সারাদিনের জন্য নিতে। নৌকা ভাড়া ৬০০-১০০০ এর ভেতর থাকবে (নির্ভর করছে পযর্টক সমাগমের উপর)। বলে রাখা ভাল শীত কালে কিন্তু হেটে হেটে জিরো পয়েন্টে যাওয়া যায়। নৌকা ভাড়া করা লাগেনা। তারপর সেখান থেকে ফিরে আবার মামার দোকান আসবেন। দুপুরের খাবারটা সেরে নিতে চান তবে মামার দোকানের ওখানে সেরে নিবেন। মেইন স্পটের আশেপাশে খাবার দামের তুলনায় খাবারের মান ভাল হবেনা। মামার দোকানের ওখানেই আবার বাস পাবেন। চলে আসুন সারিঘাট। ভাড়া হয়তো জনপ্রতি ৪০ টাকা নিবে (আমি নিশ্চিত নই)। সারিঘাট নেমে একটা নৌকা ভাড়া করে চলে যান লালাখাল। নৌকাভাড়া করবেন ৩ বা ৪ ঘন্টার জন্য। সারিঘাট থেকে মেইন স্পটে যেতে ৪০-৫০ মিনিট লেগে যাবে। যাওয়া আসা ২ ঘন্টা আর ওখানে ঘুরাঘুরি ১.৫ থেকে ২ ঘন্টা। ভাড়া পড়বে ১৫০০ থেকে ২০০০। তারপর বিকালে সিলেট ব্যাক করবেন সারিঘাট থেকে। সেখান থেকে বাস, চাদের গাড়ি যা পাবেন তাতে করে শহরে চলে আসুন। ভাড়া ৩০ বা ৪০ টাকা হবে। বাসে করে আসলে নামিয়ে দিবে যেখানে আপনারা প্রথমে উঠেছিলেন সেই সোবহানীঘাটে।
একটা রিক্সা ডেকে চলে যান আপনার হোটেল অথবা পানসী রেস্টুরেন্টে(যদি হোটেল ছেড়ে দেন) । ফ্রেস হয়ে খাবার সেরে চলে আসুন বন্দরবাজার। এবার কদমতলি যাবার সি.এন.জি বন্দরবাজার কুদরতউল্লাহ মার্কেটের সামনে পাবেন। সেখানে থেকে চলে যাবেন রেলস্টেশন। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ১০ টাকা করে। রেলস্টেশন যাবার পথে সেলফী ব্রিজ দেখতে পাবেন(যদি ওটা দিয়ে নিয়ে যায়) ।
গন্তব্য ঢাকা হলে: রাতের ট্রেন উপবনে করে সোজা ঢাকা চলে যাবেন। সিলেট থেকে উপবন ছাড়ে রাত ১০টায়। ভাড়া ৩২০ টাকা।
গন্তব্য চট্রগ্রাম হলে: রাতের ট্রেন উদয়নে করে সোজা চট্রগ্রাম। সিলেট থেকে উদয়ন ছাড়ে রাত ৯.২০ এ। রবিবার বন্ধ থাকে। ভাড়া ৩৭৫ টাকা।
(যদি কেউ প্ল্যানটাকে ছোট করতে চান বা শ্রীমঙ্গল দেখতে না চান তবে ১ম দিনের শ্রীমঙ্গল এর বদলে ৩য় দিনের প্ল্যান জাফলং আর লালাখালটা ১ম দিনে নিয়ে আসুন)
খরচ (যাতায়ত): ১০(রিক্সা) + ৬০ (বাস) + ১০০০ (জাফলং নৌকা ভাড়া জনপ্রতি ভাগ হবে তবে শীত কালে হেটে যাওয়া যায়) + ৪০ (বাস) + ১৫০০ (লালাখাল নৌকাভাড়া জনপ্রতি ভাগ হবে) + ৩০/৪০ (বাস//লেগুনা) + ১০ (রিক্সা) + ১০ (সি. এন.জি) + ৩২০/৩৭৫(ট্রেন)
খরচ (খাবার): ৪০+১৫০+১৫০
খরচ (হোটেল): থাকলে হোটেল ভাড়া ২০০ টাকা প্রযোজ্য হবে নতুবা বাদ যাবে।
টাইমিং:
সকাল ৬ থেকে ৬.৪৫ এর ভেতর নাস্তা করে সোবহানীঘাট চলে যাওয়া
সকাল ৭ টায় থেকে ৭.৩০ এর বাস চড়া সকাল: ১০.৩০ জাফলং এবং ওখানে ৩ ঘন্টা থাকা (দুপুরের খাওয়াসহ)।
দুপুর: ১.৩০ এর বাস ধরা এবং লালাখাল পৌছা ৩.৩০ এ
দুপুর: ৩.৩০ এ নৌকা চড়া লালাখাল পৌছা বিকাল ৪.১৫ তে ওখানে ঘন্টা খানেক থাকা
বিকাল: ৫ টায় ব্যাক করা ৬ টায় সারিঘাট পৌছানো।
সন্ধা: ৬ টায় বাসে উঠা এবং রাত ৭.৩০ এ সিলেট পৌছানো।
রাত: ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ এর ভেতর রাতের খাবার সেরে নেওয়া এবং ৯টায় স্টেশনের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেওয়া।
সর্বমোঠ খরচ জনপ্রতি:
খরচ (যাতায়ত): মানুষ অনুযায়ী নৌকা ভাড়াটা প্লাস চান্দের গাড়ি ভাড়াটা ভাগ করে নিন।
খরচ (খাবার): যতদিন থাকবেন নাস্তা ৪০ টাকা প্লাস দুপুর আর রাতের খাবার প্রতিবেলার জন্য ১৫০ টাকা করে হিসাব করবেন।
খরচ (হোটেল): ২০০ টাকা জনপ্রতি যত রাত থাকবেন।
বলে রাখা ভাল:
১. স্টুডেন্টদের জন্য কম টাকার প্ল্যান এটা। ফ্যামেলি বা মেয়ে মানুষ সাথে নিয়ে আসলে হোটেল খরচ বাড়বে প্লাস হেটে যাওয়া রাস্তায় রিক্সা ভাড়া যুক্ত হবে।
২. কিছু জিনিস যুক্ত করা হয়নি যেমন এন্ট্রি ফি, পার্কিং ফি।
৩. স্টুডেন্ট হলে সাথে আইডি কার্ড রাখবেন। কিছু জায়গায় স্টুডেন্টদের জন্য এট্রি ফি কম।
৪. ট্রেন বন্ধের দিনটা ভাল করে জেনে আসুন।
৫. আসার আগেই ট্রেনের যাওয়ার টিকেটটা করে নেবেন।
৬. লম্বা ছুটিতে বেড়াতে আসলে এক্সটা কিছু টাকা পকেটে রাখবেন।
৭. এটা প্রথম ভার্সন এবং শীতকালে লেখা তাই বর্ষাকালের জায়গা উল্লেখ করা হয়নি। বর্ষার সিজনে রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লোভাছড়া, হামহাম এবং মাধববকুন্ড, পরিকুন্ড, হাকালুকি হাওর যুক্ত হবে।
৮. শীতকালে দিনে খুব কম সময় পাওয়া যায় তাই টাইমিংটা মারাত্মকভাবে ফলো করতে হবে।
লিংক সেকশন:
২. গাড়ি
(এই ডকুমেন্টে কিছু ভেরিয়েবল ডাটা আছে যা যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে বদলে যেতে পারে)