সুন্দরবন যেতে চাইলে
সুন্দরবন ! সুন্দরী গাছের নামে নামরকরণ করা সুন্দর একটি বন। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে অবস্থিত এই বনটি বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর মধ্যে অন্যতম।প্রকৃতি প্রেমিক সকল মানুষের গন্তব্যস্থল সুন্দরবনে যাবার আছে বেশ সহজ একটি মাধ্যম। হ্যাঁ সেটি হল ট্রেন। তো চলুন দেখে নেই কেমনে যাবেন সুন্দরবন।
ঢাকা থেকে খুলনা
মাধ্যম: ট্রেন। চাইলে বাসে করেও যেতে পারেন অথবা সদরগাট থেকে লঞ্চে করে।
ট্রেন: ট্রেন আছে ২ টা। চিত্রা আর সুন্দরব।
চিত্রা ছাড়ার সময়: চিত্রা কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে সন্ধা ৭টায়।
খুলনা পৌছাবে: সকাল ৫টায়
ভাড়া: ৫০৫ টাকা শোভন চেয়ার জনপ্রতি
বন্ধ থাকে: সোমবার।
সমস্যা: বৃহস্পতিবার এড়িয়ে চলবেন ওই দিন প্রচুর মানুষ থাকে।
সুন্দরবন ছাড়ার সময়: সকাল ৬.২০ এ
খুলনা পৌছাবে: বিকাল ৪টায়।
ভাড়া: ৫০৫ টাকা শোভন চেয়ার জনপ্রতি
বন্ধ থাকে: বুধবার।
সিলেট থেকে খুলনা
মাধ্যম: আছে ২টা মাধ্যম। হয় ট্রেনে করে প্রথমে ঢাকা যেতে পারেন। তারপর ঢাকা থেকে আবার ট্রেনে/বাসে/লঞ্চে করে খুলনা। নতুবা সিলেট থেকে সরাসরী হানিফ বাসে খুলনা।
হানিফ বাস ছাড়ার সময়:
খুলনা পৌছাবে:
ভাড়া: ৯০০টাকা জনপ্রতি
সময় লাগে:
খুলনা টু সুন্দরবন
রেল স্টেশন বা বাস স্টেশন থেকে লঞ্চগাটে যেতে অটোতে মাত্র ১০ টাকা জনপ্রতি ভাড়া দিয়ে ১০ মিনিটে পৌছে যান জেলখানা রোড ঘাটে। সেখানে পাবেন আপনার পূর্ব নির্ধারিত শীপের ট্রলার। জাহাজ তাদের প্যাকেজ অনুযায়ী ঘুরে দেখাবে:
করমজল: হরিন আর কুমিরের চিড়িয়াখানা
হারিবাড়িয়া: বিভিন্ন গাছ, হরিণ, মিঠা পানির পুকুর দেখতে পাবেন।
কটকা: হরিণ, জামতলা সি বিচ এবং সেখানে
দুবলার চর: শুটকি আর জেলেদের বাসবভন
হিরণপয়েন্ট: কাকড়া, হরিন।
কচুখালি: হরিন
বেড়ানোর উত্তম সময়: বর্ষা তথা বন্যার সময় ছাড়া যেকোন সময় যেতে পারেন।তবে শীতকালই পারফেক্ট সময় বেড়ানোর।
যে যে বিষয়ে সর্তক থাকবেন
০. যাওয়ার আগে অবশ্যই কোন ট্যুর অপারেটরের সাথে বিস্তারিত কথা বলে চুক্তি করে যাবেন।
১. জাহাজের ছবি দেখে নিবেন। সাথে আপনার রুমের ছবিও।
২. টাকা একটু বেশি দিয়ে হলে কাপল রুম নিবেন। সিঙ্গেল রুমে ৪ জনের বেড থাকে। আরামদায়ক না ওটা।
৩. খাবারের মেনুটাও অবশ্যই আপনার ট্যুর অপারেটরের কাছ থেকে নিতে ভুলবেননা।
৪. কোনদিন কি দেখাবে সেটারও লিষ্ট নিবেন।
৫. শীতে গেলে অবশ্যই ভারী কাপড় নিয়ে যাবেন
৬. বর্ষায় গেলে রেইন কোট বা ছাতা নিবেন
৭. কেডস নিবেন শীতে। অনান্য সময় ট্র্যাভেলিং জুতাই যথেষ্ট।
৮. টিসু নিবেন বেশি করে।
৯. কাপড় নিবেন একাধিক।
১০. নিত্যপ্রয়োজনী ওষুধ নিতে অবশ্যই ভুলবেননা।
১১. নেটওয়ার্ক পাওয়া কঠিন। জিপি সীমই সঙ্গে রাখুন। টেলিটকে নেট দেখালে কল করা যায়না।
১২. বেশ কয়েকটা পলিথিন সঙ্গে নিবেন।
১৩. ছোট বাচ্চা সঙ্গে থাকলে সী সিকনেসে বমি হতে পারেন। ওষুধ রাখবেন মাষ্ট।
১৪. রাতে দেখার কিছু নাই তখন খেলার জন্য লুডু বা দাবার বোর্ড সাথে নেওয়া যায়।
১৫. পানি পান করতে সর্তক থাকবেন। কারন নদীর পানি খাওয়াতে পারে।
১৬. গোসল না করাই উত্তম যেহেতু নদীর পানি।
১৭. শীপ থেকে মধু কিনবেননা। এইগুলি আসলনা।
১৮. সব সময় গ্রুপে হাটবেন। বাঘ মামা একা পেলে আক্রমন করে বসতে পারে।
১৯. শুটকী কেনার জন্য কিছু টাকা নিতে পারেন। জাহাজে কিছুই কিনতে পাবেননা।
২০. হাটতে হবে বেশির ভাগ সময় তাই ছোট বাচ্চা বা বৃদ্ধ মানুষ নিয়ে না যাওয়াই উত্তম।
২১. শীপে মোবাইল/ক্যামেরা চার্জ দিতে পারবেন তাই পাওয়ার ব্যাংক নেওয়ার দরকার নাই।
২২. বাইনোকুলার নিতে পারেন।
কিনতে পারেন
শুটকি: দুবলার চর থেকে
মধু: সাবধানে কিনবেন। না চিনলে কেনার দরকার নাই।
চু্ইঝাল: খুলনা থকে।
মিষ্টি: খুলনা থেকে।
খুলনা থেকে ঢাকা
চিত্রা ছাড়ার সময়: চিত্রা ৮.৪০ এ খুলনা থেকে ছাড়বে ঢাকার উদ্দেশ্য।
ঢাকা পৌছাবে: সকাল ৭টায়।
ভাড়া: ৫০৫ টাকা শোভন চেয়ার জনপ্রতি
বন্ধ থাকে: সোমবার।
#sundorbon #sundarban #sundarbon #sundarban jete #sundarban tips #sundarban berano
সুন্দরবন ছাড়ার সময়: চিত্রা রাত ৮.৩০ এ খুলনা থেকে ছাড়বে ঢাকার উদ্দেশ্য।
ঢাকা পৌছাবে: সকাল ৬ টায়।
ভাড়া: ৫০৫ টাকা শোভন চেয়ার জনপ্রতি
বন্ধ থাকে: বুধবার।