নবজাতকের যত্ন
প্রশ্ন : নবজাতক কি?
উত্তর : জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পযর্ন্ত একটা বাচ্চাকে নবজাতক বলে।
প্রশ্ন : অপরিনত নবজাতক কি?
উত্তর : কোন শিশু যদি ৩৬ সপ্তাহের আগে জন্ম নেয় তবে তাকে অপরিনত নবজাতক বলে।
প্রশ্ন : কম ওজনের নবজাতক কি?
উত্তর : কোন শিশু যদি ২.৫ কেজির কম ওজন নিয়ে জন্ম গ্রহন করে তবে তাকে কম ওজনের নবজাতক বলে।
প্রশ্ন : সুস্থ নবজাতক বলতে কি বোঝায়?
উত্তর : -
১. ৩৬ সপ্তাহের পর জন্ম নেওয়া
২. ওজন ২.৫ কেজি হওয়া
৩. শ্বাস প্রস্বাস ৩০ থেকে ৬০ এর মধ্যে
৪. বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
৫. হৃদস্পন্দন থাকবে ১০০ থেকে ১৬০ বার প্রতি মিনিটে।
৬. নবজাতকটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পায়খানা করবে।
৭. প্রস্রাব না হলে ৪৮ ঘণ্টা নয় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন : বাচ্চার জন্মের পর কি করতে হবে?
উত্তর : -
১. জন্মের পর পরই শিশুর নাক ও মুখের মধ্যে জমে থাকা মিউকোনিয়াম নামক পিচ্ছিল তরল সাকশন বের করে দিতে হবে।
২. নাভী কাটতে হবে
৩. হালকা গরম কাপড় দিয়ে পুরো শরীরটা মুছতে হবে
৪. যত তাড়াতাড়ি সম্বভ মায়ের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। আধা ঘন্টার ভিতর হলে ভাল হয়।
প্রশ্ন : জন্মের পর পরই কি কি করানো নিষেধ?
উত্তর : -
১. গোসল করানো যাবেনা
২. মধু, চিনি, পানি কোন কিছু মুখে দেওয়া যাবেনা।
নবজাতকের নাভি
প্রশ্ন : নবজাতকের নাভির যত্নটা কীভাবে করতে হবে?
উত্তর : এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কথা হলো নাভিটা তো পড়ে যেতে একটু সময় লাগে। মায়ের ফুল কাটার পর এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত নাভিটা পড়ে যায়। কিন্তু মায়েরা এটা জানে না। যখনই নাভিটা পড়ে গেল, তখন নাভির চারপাশের যে এলাকাটা রয়েছে, এটা কিন্তু কাঁচা থাকে। ওটা ত্বক নয়। ওই জায়গাটা কিন্তু খুব ঝুঁকিযুক্ত। সেখান থেকে কিন্তু সংক্রমণ হতে পারে। এই জন্য দিনে চারবার পরিষ্কার করতে হবে। কিছু না হলেও একটু ফুটানো পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি পারে তাহলে হেক্সিসল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নাভিটা পড়ে গেলে চিন্তাটা একটু কম। তবে এর পরও জায়গাটা কাঁচা থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সম্পূর্ণ না শুকায়, মা যেন ওই জায়গাটার যত্ন নেয়; দিনে তিন-চারবার পরিষ্কার করে।
প্রশ্ন : নাভি কতদিনে শুকিয়ে যায়?
উত্তর : একটি নাভি সাধারণত সাত থেকে আট দিনে শুকিয়ে যায়। আপনা আপনি শুকিয়ে যায় এবং আপনা আপনি পড়ে যায়। আরো একটি জিনিস দেখি আমরা, নাভি পড়ে যাওয়ার পর অনেকে এখানে স্যাঁক দেয়, তেল দেয়। আমার মনে হয়, এগুলো করার দরকার নেই। এটা যদি দেন, তাহলে কিন্তু সেটি রক্তে চলে যেতে পারে। এটা কখনোই করা যাবে না।
দুধ সেকশন
প্রশ্ন : নবজাতক কে দৈনিক কত বার বুকের দুধ দিতে হবে?
উত্তর : বাচ্চা কাদঁলেই বুকের দুধ দিতে হবে। কমপক্ষে ৮ বার দিতে হবে।
প্রশ্ন : কত ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে?
উত্তর : বাচ্চারা জন্মের সময় ক্ষুধার্ত থাকে না, এবং তাদের ক্ষুধা শুধুমাত্র তৃতীয় দিনের মাথায় বৃদ্ধি পায়। অতএব, প্রাথমিকভাবে, চাহিদা কম হবে এবং আপনাকেই প্রক্রিয়াটিকে শুরু করতে বা ঠেলে শুরু করতে হবে।
প্রশ্ন : বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় কি?
উত্তর : বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় হচ্ছে দুধ খাওয়ানো। শিশু যত দুধ টানবে তত দুধ বাড়বে।
প্রশ্ন : কিভাবে দুধ খাওয়াতে হবে?
উত্তর : একটি দুধ ১৫ মিনিট খাওয়ানোর পর আরেকটি দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথম দিকে দুধে পানির পরিমান বেশি থাকে আর শেষের দিকে ঘন দুধে পুষ্টি বেশি থাকে। তাই তাড়াতাড়ি বদলালে শিশু সঠিক পুষ্টি পায়না।
প্রশ্ন : শিশু ঠিকমত দুধ পাচ্ছে কিনা তা কি করে বুঝবো?
উত্তর : -
১. ঢোক গিলে খাবে। ঘন ঘন টান দিবে।
২. শিশুটি সন্তুষ্ট থাকবে।
৩. শিশু ২৪ ঘন্টায় ৬ বারের চেয়ে বেশি প্রসাব করবে। যদি কম করে তবে বুঝতে হবে শিশু দুধ কম পাচ্ছে।
প্রশ্ন : বুকের দুধ কমে যাওয়া কারণ কি?
উত্তর : -
১. শিশুকে ঠিকমত দুধ না খাওয়ালে দুধ কমে যাবে।
২. চা, কফি, চকলেট কলা খেলে দুধ কমে যেতে পারে।
প্রশ্ন : দুধ খাওয়ানোর আগে বা পরে কি করতে হবে?
উত্তর : প্রত্যেকবার দুধ খাওয়ানোর আগে স্তন ম্যাজাজ করতে হবে। স্তনের কালো অংশের পিছনে ম্যাজাস করবেন। খাওয়ানো পরেও করবেন। আর যেসকল মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ান তারা প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে।
প্রশ্ন : দুধ খাওয়ানো অবস্থায় শিশু ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে?
উত্তর : কখনও কখনও, যখন শিশুকে তাদের মা খাওয়ান তখন সে ঘুমায়। যদি এমন হয়, তবে ফিডের সময় তাকে জাগানোর জন্য বাচ্চার হাত, পা, ঘাড় বা কানে সুড়সুড়ি দিন। আপনি স্তন পালটাতে পারেন এবং শিশুকে ঝাঁকিয়ে নিতে পারেন যাতে সে না ঘুমায়।
প্রশ্ন : দুধ খাওয়ার পর ঢেকুঁর তোলা কি জরুরী ?
উত্তর : হ্যাঁ দুধ খাওয়ানোর কিছুক্ষন পর বাচ্চা ঢেকুঁর তুললে তার পেটে গ্যাস হয়না। এক স্তন থেকে অন্য স্তনে নিয়ে দুধ খাওয়ানোর আগে ঢেকুঁর তোললে ভাল হয়।
প্রশ্ন : কিভাবে ঢেকুঁর তোলতে হবে?
উত্তর : বাচ্চাকে কোলে বসিয়ে পিঠে হালকা মেসেজ বা চাপলাড়ে ঢেকুঁর উঠে।
নবজাতকের গোসল
প্রশ্ন : নবজাতককে জন্ম নেওয়ার কত সময় পরে গোসল করানো প্রয়োজন?
উত্তর : নবজাতককে জন্মের ২ বা ৩ দিন পর গোসল করানো প্রয়োজন। এতে বাচ্চার পরিবেশগত সমন্বয় এসে যায়। আর বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে কুসুম গরম পানিতে, যেখানে বাতাস কম থাকবে এমন জায়গায় করাতে হবে।
প্রশ্ন : সাবান দিয়ে বা বেবি ওয়াশ দিয়ে অনেকে অনেক সময় বাচ্চাকে ঘষামাজার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে আপনার কী পরামর্শ?
উত্তর : এটা করা যাবে না। বাচ্চাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়। বাচ্চাদের ত্বকের মধ্যে কোনো জিনিস যদি লাগায়, তাহলে কিন্তু সেটি খুব প্রতিক্রিয়া করে।
প্রশ্ন : নবজাতককে গোসল কিভাবে করাতে হবে?
উত্তর : গোসলের আগে যিনি গোসল করাবেন তার হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।একটু হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। কোন জীবানুনাশক জাতীয় জিনিস পানিতে মেশানো যাবেনা। প্রথমে মাথাটা ধোয়ার পর মাথা মুছে ফেলবেন। তারপর সারা শরীরে পানি দিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যে গোলস করিয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন : কয়দিন পর পর গোসল করতে হবে?
উত্তর : আসলে প্রতিদিনই গোসল করাতে হবে তার দরকার নেই। যদি বেশি গরম থাকে তাহলে প্রতিদিনই গোসল করাতে পারেন। আর যদি না করাতে পারে, তাহলে দুদিন/ তিন দিন পর গোসল করাবে। তবে প্রতিদিনই মুছিয়ে দিতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীরকে মুছিয়ে দিতে হবে।
নবজাতকের প্রসাব-পায়খানা
প্রশ্ন : বাচ্চা জন্মের পর প্রস্রাব-পায়খানা কতবার হলে তা স্বাভাবিক?
উত্তর : একটা বাচ্চা যদি ২৪ ঘন্টায় ৬ বার প্রস্রাব করে তবে বুঝতে হবে সে ঠিকমত দুধ পাচ্ছে। আর যে বাচ্চাটি বুকের দুধ খায় সে বার বার পায়খানা করতে পারে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ বারও করতে পারে।
প্রশ্ন : শিশুর পায়খানা কি রকম হয়?
উত্তর : শিশুর মল সোনালি, হলুদ অথবা কখনো জলপাই সবুজ রঙের হয়। পায়খানা যদি দানার মতো হয়, সঙ্গে সামান্য পানি, মিউকাস এবং ফেনা থাকে, তাহলে একে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে হবে। এ অবস্থাকে ডায়রিয়া মনে করে ভুল হবে।
প্রশ্ন : নবজাতক শিশুর ডায়াপার কখন বদলাতে হবে?
উত্তর : যখনই বাচ্চা প্রসাব কিংবা পায়খানা করতে সাথে সাথে ডায়াপার বদলাতে হবে। দেরী করলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : ডায়পার ব্যাবহারের আগে কি করতে হবে?
উত্তর : ওই স্থানে বেবি ওয়েল লাগিয়ে দিলে আর সমস্যা হয়না। না হলে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। তাছাড়া ডায়াপার বদলে দেওয়ার সময় কিছুক্ষন শিশুর ওই স্থান খোলা রাখতে হবে যাতে বাতাস লাগতে পারে।
নবজাতকের ঘুম
প্রশ্ন : একটি নবজাতক কত ঘন্টা ঘুমায়?
উত্তর : একটি বাচ্চা ০ থেকে ২ মাস পযর্ন্ত ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমাবে দিনে এবং রাতে মিলিয়ে।
প্রশ্ন : শিশু পিঠ নাকি পেট কিসের উপর ঘুমাবে?
উত্তর : বাচ্চাদের সবসময় তাদের পিঠের উপর ভর করে ঘুমাতে হবে এবং কখনো পেটের উপর ভর করে নয়। পেটের উপর ভর করে শিশুদেরকে ঘুমাতে দিলে তার SIDS বা আকস্মিক শিশু মৃত্যুর সিন্ড্রোম এর ঝুঁকি থাকে । সুতরাং, সব সময় তাকে তার পিঠের উপর ভর করে ঘুমাতে দিন।
প্রশ্ন : অনেক সময় অনেকে অভিযোগ করে, শিশু রাতে ঘুমায় না, দিনে কখনো কখনো ঘুমায়। সেই ক্ষেত্রে শিশুটির রাতে অতিরিক্ত কান্না করার কারণ কী? এই যে তার ঘুমের চক্র এটিকে কীভাবে ঠিক করা যায়?
উত্তর : আসলে শিশু নিজের ঘুমের চক্র নিজেই তৈরি করে। এই চক্র ভাঙা একটু মুশকিল। ওরা ১৮ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমাবে। এটি ওদের চাহিদা। ওরা যখন খুশি তখন ঘুমাবে, যখন খুশি তখন আবার জেগে ওঠবে। তবে প্রথম তিন থেকে চার মাস কিছু কিছু শিশু বিকেল, সন্ধ্যা, রাতে একটু বেশি কাঁদে। এর প্রধান কারণ হলো পেটে একটু গ্যাস হয়, এটি হরমোনজনিত। পুরো কারণটি এখনো উদঘাটন হয়নি। একে বলা হয় ইনফ্যানটাইল কলিক। প্রথম তিন/ চার মাস শিশুর এই কান্নাটা পরিবারকে ব্যস্ত করে রাখে। সেই সময় আমি পরামর্শ দেব, একটি ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করতে হবে। বারপিন বলি একে। খাওয়ার পরপরই যেন মা ঢেকুর তোলায়। তাহলে গ্যাসটা কম জমবে। তাহলে হয়তো কিছুটা কম কাঁদবে।
নবজাতকের রোদ পোহানো
প্রশ্ন : নবজাতককে রোদে রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : নবজাতকের রোদ পোহানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি বাচ্চা জন্মের সময় তার মায়ের রক্ত নিয়ে জন্ম গ্রহন করে। তারপর ধীরে ধীরে মায়ের রক্ত নষ্ট হয়ে তার নিজের রক্ত গঠন হয়। যদি বাচ্চা জন্মের প্রথম ৪ দিন তাকে রোদে না নেওয়া হয় তবে ৫ নাম্বার দিন থেকে তার জন্ডিস হবার সম্বভনা প্র্রচুর থাকে।
প্রশ্ন : কতটুকু সময় রোদে রাখবে?
উত্তর : এক ঘণ্টা /দুই ঘণ্টা খুব জরুরি। সকালের দিকে।
প্রশ্ন : কখন রোদে নিবে?
উত্তর : সকাল ৮ থেকে ১০টা এই ২ ঘন্টার রোদটা ভালো। দুপুরের দিকে না হলে ভালো।
নবজাতকের কান্না
প্রশ্ন : শিশু কাঁদে কেন?
উত্তর : -
১. ক্ষুধা পেলে
২. ডায়াপার ভেজা হলে
৩. বেশি গরম বা বেশি ঠান্ডা লাগলে
৪. একাকিত্ব বোধ হলে।
পরিস্কার পরিচ্ছনতা
প্রশ্ন : শিশুর ঠোটে চুমু খাওয়া যাবে কি?
উত্তর : না, তাতে করে ভাইরাস বড় মানুষের শরীর থেকে শিশুর শরীরে যাবে। শিশুর শরীর খারাপ করবে।
প্রশ্ন : নবজাতকের নাক এবং কানের ময়লা কিভাবে পরিষ্কার করবো?
উত্তর : কটন বাডের বদলে পরিস্কার সুতি কাপড় মুড়িয়ে নাক এবং কানের ময়লা পরিস্কার করতে হবে। এমনকি জিহ্বা তথা মুখের ময়লাও সুতি কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে।
প্রশ্ন : শিশুর চোখ কিভাবে পরিস্কার করবো?
উত্তর : শিশুর চোখে হাত লাগনো যাবেনা। একটি নরম কাপড় কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে শিশুর চোখ পরিষ্কার করতে হবে।
প্রশ্ন : শিশুর নোখ কিভাবে কাটতে হবে?
উত্তর : শিশু সাধারনত ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় নোখ কাটতে হবে। এতে করে শিশু নড়াচড়া করবেনা। নেইল কাটার দিয়ে নোখ কাটার আগে অবশ্যই ওই নেইল কার্টার জিবানুনাশক পানিতে ধুয়ে (ডেটল বা সেভলনের পানিতে ধুয়ে) কাটতে হবে।
প্রশ্ন : শিশুকে কি পাউডার মাখানো যেতে পারে?
উত্তর : না এটা করা উচিত নয়। কারন এতে করে শিশুর শ্বাসপশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : বাইরে থেকে কেউ এসে কি নবজাতক কে কোলে নেওয়া উচিত?
উত্তর : বাইরে থেকে কেউ এসেই নবজাতককে কোলে তুলে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, বাইরে থেকে কেউ এলে তার শরীরে অনেক ময়লা–জীবাণু থাকতে পারে। শিশুকে হাত দিয়ে ধরার ফলে সেগুলো নবজাতককে আক্রান্ত করতে পারে। তাই নবজাতককে কোলে না নেওয়াই উচিত। আর যদি নিতে হয়, তাহলে কোলে নেওয়ার আগে ব্যবহার করতে পারেন জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ অথবা ইনস্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ ছাড়া হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত শিশুর ডায়াপার বা প্রস্রাব-পায়খানা করা কাপড়-কাঁথা পাল্টানোর পরে।
নবজাতকের কমন সমস্যা
১. নাভীতে পূজ: নাভীতে ইনফেকশন হলে পূজ আসতে পারে। এক্ষেত্রে Bactrocin 2% মলম দিনে ৩ বার ৪/৫ দিন লাগাতে পারেন।
২. পেটে গ্যাস: পেটে গ্যাস হওয়া নবজাতকের কমন একটি সমস্যা। পেটে গ্যাস হলে নবজাতক কান্না করবে। এ জন্য Flacol ১০ ফোঁটা করে দিনে ৩ বার খাওয়ান ১৪ দিন।
৩. চোখে ময়লা আসা: চোখে যদি ময়লা আসে তবে Mexlo ড্রপ ১ ফোঁটা করে দুই চোখে তিনবার দিবেন।
৪. জীব্বায় আস্তর পড়া: নবজাতকের জীব্বায় আস্তর পড়ে। এটা দূর করার জন্য Nystat ১৫ ফোঁটা করে ৪ বার জীব্বায় দিবেন।
৫. নাক বন্ধ হওয়া: নবজাতকের নাক যদি সর্দির কারণে বন্ধ হয় তবে N-sol ২ ফোঁটা ২ নাকে ২ বার দিবেন।
ডাউনলোড সেকশন
৪. এসিসষ্ট্যান্ট প্রফেসর এম. এ হাই