জীবনের গল্প - কলেজ
হাই স্কুলের পথে ২০০৩
এস. এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর পারিববারিক ভাবে সবার ইচ্ছে ছিল আমাকে সিলেট পাঠিয়ে দেওয়ার কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল ভিন্ন। আমি চেয়েছিলাম বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে ভর্তী হতে। অবশেষে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সিলেট পলিটেকনিক কলেজে ভাগ্যগুনে ভর্তী না হতে পেরে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজে ভর্তী হই। প্রথম যেদিন কলেজে যাই সেদিন নিজেকে একটু বড় বড় হওয়ার ভাব লাগছিল। বাস যোগে বড়লেখা গিয়ে তারপর রিক্সা নিয়ে সোজা চলে যাই কলেজে। ইচ্ছা ছিল ভর্তী ফরম জমা দিয়ে আবার একই রিক্সায় চলে আসবো। আর তাই রিক্সা ভাড়া না মিটিয়ে ভর্তী ফরম জমা দিতে দোতালায় কলেজের অফিসরুমে চলে যাই। কিছুক্ষনের মধ্যে সবকিছু জমা দিয়েও দেই। কিন্তু একি ! ফিরে এসে দেখি আমার রিক্সা বা রিক্সাড্রাইভার কেউ নাই। আজো অবাক হই একথা ভেবে যে ওইদিনের আমার রিক্সা ভাড়াটা কে মিটিয়েছিল। তারপর ভিন্ন আরেকটি রিক্সায় ছড়ে বড়লেখা চলে আসি। বড়লেখা থেকে বাসযোগে আবারো বাড়ি।
ফাষ্ট ইয়ার
সেকেন্ড ইয়ার
এইচ.এস.সি- ২০০৫
২০০৩ এ এস.এস.সি পাস করার পর যে যেখানে ভর্তী হই:
বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ: আমি, রেজাউল, কাওছার, ছয়ফুল, ইস্পাক, ফারুক ভাই, রহমান ভাই
নারী শিক্ষা একাডেমি: শিপা, লাবনী, সুমেনা, জমিলা, নাজমা
সিলেট: ইমন, সাব্বির, সোহানা
২০০৫ সালে এইচ.এস.সিতে উত্তীর্ণ হয়
নতুন: আমি, রেজাউল, সোহানা, নাজমা, লাবনী
পুরাতন: ইস্পাক আর ফারুক ভাই
যাদের হাতে হাড়েখড়ি
বাংলা: নিয়াজ স্যার আর ফাতেমা ম্যাডাম
ইংরেজী: দিগেন্দ্র স্যার আর ছবুর স্যার
পৌরনীতি: জায়েদ স্যার আর অরুন চক্রবর্তী
সমাজ বিজ্ঞান: বিভুতি ভুষন দাস আর মাধবী লতা
যুক্তিবিদ্যা: বিধান স্যার আর রবিউল স্যার
নতুন বন্ধুবান্ধব সমগ্র
শিপার:
আলতাফ:
পূর্বানী:
রাভিনা:
সুব্রত:
সুমন:
অমিত:
মুসলেহ:
নুরুল:
সাধন:
সেলিম:
মুয়াজ্জেম:
কয়েছ:
রাসেল:
লেখাটি ক্রমবর্ধমান। অনেক বন্ধুর নাম ভুলে গেছি সাথে অনেকের চরিত্রও।ছোট বেলার ছোট ছোট স্মৃতিগুলো সহজে মনে করা সহজ নয়। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে খুশি হই।