ডাক্তার সফদার
আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা একদম ওষুধের উপর নির্ভরশীল। পান থেকে চুন খসলেই তাদের ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তাররা তো আরেক ধাপ এগিয়ে। সাধারন একটি সমস্যায় হাজার টাকার টেষ্ট এবং এন্টিবায়োটিক দিতে কোন সমস্যা বোধ করেন না। অথচ এই টেষ্ট এবং ওষুধ যে কোন কোন ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হচ্ছে তা বুঝে কয়জনে। যেকোন রোগে তাই প্রথমে উচিত ওষুধ না খেয়ে নিজে নিজে প্রাকৃতিক ওষুধের উপর জোর দিয়ে রোগের সমাধানের জন্য চেষ্টা করা। যদি একান্তই প্রাকৃতিক ওষুধে কাজ না হয় তবে ডাক্তারের কথা মতো ওষুধ খাওয়া। চলুন দেখে নেই কিছু কমন রোগের ঘরোয়া সমাধান।
সাইনাস: গরম পানিতে মেনথল মিশিয়ে শ্বাস নেওয়া এবং কমলা বা লেবুর শরবত খাওয়া।
কানে ব্যাথা: রসুন গরম করে কানের ভিতর তার উত্তাপ নেওয়া।
মাথা ব্যাথা, গলা ব্যাথা, কাশি, হাপানি: আদার চা।
জ্বর: চিকেন স্যূপ
পেটের সমস্যা: বেল বা পেপের জুস অথবা ইসুবগুলের ভুসি
হাটের্র সমস্যা: অর্জুনের রস
ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল: রসুন
বদহজম: টক দই
টনসিল: লবন গরম পানিতে গড়গড়া
পরিশ্রম জনিত হাতে, পায়ে বা শরীরে ব্যাথা: হালকা গরম পানিতে গোসল
মুখে ঘা (প্রাথমিক অবস্থা): পানের রস
চর্মরোগে: নিম পাতার গুড়া খাওয়া এবং নিমের পাতার গরম পানিতে গোসল করা
অতিরিক্ত ঘাম: পানিতে ফিটকিরি ভিজিয়ে কয়েকদিন গোসল
গলা ভেঙ্গে গেলে: গরম দুধের সাথে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে হবে
কান বন্ধ হলে: চুইনগ্রাম আর নাক মুখ বন্ধ রেখে শ্বাস নিতে হবে
সোর থ্রোড: আপেল সাইডার ভিনেগার দুই চা চামচের সাথে এককাপ গরম পানি খেতে হবে।
উল্লেখ্য এই গুলি হচ্ছে সাইড এফেক্ট বিহীন একদম প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য ওষুধের পাশাপাশি তা অনুসরন করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।