আমার পঞ্চম কনে দেখা
প্রথম যে ঘটক কনে দেখতে নিয়ে গিয়েছিল সেই ঘটকের আবার আগমন। এবার নাকি জুড়ির কোন এক স্থানে কন্যা দেখে আসছে। সেই
ঘটককে আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলামনা। কারন সে আসলে প্রফেশনাল কেউ ছিলনা। তার কথার মাঝে সত্য এর চেয়ে মিথ্যা দ্বিগুন/তিনগুন পরিমানে ছিল। একদিন সে সত্যি সত্যি কনের বড় ভাই এবং আত্মিয়কে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলো। যেহেতু কনের ভাই বাড়িতে এসে দেখে গেছে তাই ব্যাপারটা আমরা বিশ্বাস করলাম এবং কন্যা দেখতে যেতে সম্মত হলাম। আমি জানতাম এটা জাষ্ট যাওয়ার জন্য যাওয়া। তারপরও যেহেতু কনে দেখতে যাচ্ছি তাই একটু মজা পেলাম। আসলে প্রথম দিকে ভয়, লজ্জা কাজ করলেও একটা সময় এটা উপভোগ করার বিষয় হিসাবে দাড়ায়। বুঝলাম আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। দ্রুত আমাকে একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে। যাহোক, কোন এক রবিবার সকাল সকাল নাস্তা করে চলে যাই কন্যা দেখতে। যেহেতু জুড়ি কাছেই তাই আমি, আব্বু, ঘটক আর আমার বন্ধু সাইদ চলে যাই সেখানে।
জুড়ি বাজারে গিয়ে মিষ্টি কেনা হয়। তারপর বাজার থেকে তাদের বাড়ি কাছে থাকায় অল্প সময়ে সেখানেই পৌছাই। সেখানে পৌছানোর পর তাদের বাড়ির অনান্য সদস্যদের সাথে পরিচিত হই। তারপর চলে যাই খাবার টেবিলে। হরেক রকম নাস্তার আয়োজন সেখানে। সব কিছু একটু একটু মুখে দেই। খাবার শেষ হলে আবারো ড্রয়িং রুমে চলে আসি। বাড়িতে পিচ্ছি কয়েকটা ছিল। তাদের সাথে দ্রুত আমার সখ্যতা গড়ে উঠে।
এবার ডাক পড়ে অন্য ঘরে যাবার। অন্য ঘরে গিয়ে দেখি কনে একটা খাটে বসা। আমার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা আছে সামনে। অভিজ্ঞ মানুষ তাই গিয়েূ কথা বলা শুরু করলাম। কনের সাথে বেশ কিছুক্ষন কথা হল। তারপর কনের বাড়ির কিছু মেয়ে মানুষ রুমে ঢুকলেন। তারা আমাকে কিছু প্রশ্ন করলেন। অবশেষে ঘটক এসে আমাকে সেই রুম থেকে উদ্ধার করলো।
কনে দেখার পর দ্রুত আমরা তাদের বাড়ি থেকে বের হলাম। বলতে খারাপ লাগলেও সত্যি আমরা হতাশ হলাম। বিশেষ করে তাদের বাড়ির দমবন্ধ একটা পরিবেশ এই খারাপ লাগার পেছনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল। সিদ্ধান্তটা তাদের বাড়ি থেকে আসতে আসতেই ফাইনাল হয়ে গেল।
কনে দেখতে যাওয়ার টিপস - খাওয়ার সময়
১. খাওয়ার সময় খাওয়ার আদব মেনে চলুন।
২. প্রথমে নাস্তা দেওয়া হলে সেটা অল্প পরিমানে খাবেন যদি ভাত খাওয়ার প্ল্যান থাকে।
৩. নাস্তার আইটেল হিসাবে টেবিলে দেওয়া সব কিছু ট্রাই করবেন তবে অল্প পরিমান।
৪. ভাত খাওযার সময় অবশ্যই অল্প খাবেন এবং আস্তে ধীরে খাবেন।
৫. খাওয়ার সময় গল্প করা যাবেনা।
৬. জোরাজুরি করে খাওয়াবে তাই যাই দিবে অল্প পরিমানে নিবেন।
৭. খাওয়া শেষ হবার পর যেখান থেকে উঠে খাবার খেতে গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে বসবেন।
সবগুলো পর্ব