সময়ের ভাবনা
বাংলাদেশলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটির জন্য আফসোস হচ্ছে। বুঝতে পারছিনা দেশের গন্তব্য কোথায়। কোন মিরাকল না ঘটলে অনির্বাচিত সরকারের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ। প্রতিনিয়ত মিথ্যা বুলি শুনার জন্য প্রস্তুত আমাদের কর্নদ্ধয়। দেখেও না দেখার ভান করার ইনষ্টাকশন ইতিমধ্যে পৌছে গেছে চোখের কাছে। মুখের প্রাইভসি অনলী মি করে রাখা। বাকী শুধু অন্তর যেটার প্রাইভেসী সেটিংসের কোন দরকার পড়েনা।
আমার বন্ধু নবীল। বেচারা ঘোর সমর্থক জাতীয়তাবাদী দলের। জানিনা তার উদ্দেশ্য কি ছিল কিন্তু সে সফল।ঘরোয়া রাজনীতির মাঠে আমার বন্ধুটি মুঠোমুঠি জনপ্রিয় ছিল। বিনিময়ে একদিন গোলাপী ম্যাডামের একখানা ঈদ কার্ড এসেছিল তার ঠিকানায়।সেই ঈদ কার্ডের সুভেচ্ছা নিয়ে বন্ধুটি আমার আজ ফ্র্যান্সের লীগ্যাল। বিএনপির বর্তমান অবস্থা দেখে সে অনেকটাই হতাশ। কেন্দ্রীয় নেতাদের রহস্যজনক আচরনে দলকে বিশাল মহাসমুদ্রের সাথে তুলনায় সান্তনারত তার মন।সর্বশেষ সংবাদ তারই এলাকায় দলের অফিস আজ ভেঙ্গে চুরমার। প্রবল ব্যাথায় বন্ধুটি আমার হতবাক।
প্রসঙ্গ এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে। জনপ্রিয় মেয়র আরিফুল ইসলামের মেয়র হবার নেপথ্যে কাহিনীতে। একদম শুরুতে বিপরীত মাঠের খেলোয়াড় যখন একজন তখন আমরা অবাক নয়নে প্রত্যক্ষ করলাম কিছু মানুষের মধ্যে প্রবল জাতীয়তাবাদ জেগে উঠেছিল। মেয়র আরিফুলের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য তারই জাত ভাইয়েরা একে অপরের গোসত খেতে লাগলো। অবশেষে গোলাপী ম্যাডামের হস্তক্ষেপে এই নগ্ন খেলার প্রকাশ্য ভার্সনটা বন্ধ হল। জোটের কথা ভেবে জামায়াত-শিবিরও তাদের তাদের একমাত্র প্রার্থীকে বসিয়ে রেখে আরিফুল ইসলামের পক্ষে কাজ করলো।নির্বাচনের পর নব্য মেয়র জনাব আরিফুলকে আবিষ্কার করা হল জামায়াত-শিবির বিরোধী মঞ্চে।
কাক কখনোই কাকের মাংস খায়না। নিজ প্রজাতীর জন্য ভালবাসা প্রানী জগতে সর্বত্র বিরাজমান। দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে জাতীয়তাবাদীদের জাতীয়তাবাদে এই চাপ্টারটি অনুপস্তিত।যুদ্ধপরাধ মামলায় যখন তাদেরই অন্যতম শরীক জামায়াত অভিযুক্ত তিনারা তখন তালীয়া বাজানোয় মগ্ন। দলীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যাক্তিস্বার্থে লিপ্ত টপ টু বটম প্রতিটি কর্মী।কেন্দ্রীয় নেতাদের কাহিনী আর না বলাই উত্তম।প্রতিদান হিসাবে বালু কিংবা ইটের চেয়ে উত্তম উপহার আর কি আশা করে তারা।