আমার সপ্তম কনে দেখা
শেষ পর্বটা কিভাবে শুরু করবো সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। বুজতেই পারছেন এটাতে উল্টোপাল্টা কিছু লিখলে সমস্যা। যা লিখতে
হবে সব সত্য আর পজেটিভ লিখতে হবে। নাহ, এটার ভাবার কারণ নাই যে আমি আগের পর্বগুলো মিথ্যা কিছু লিখছি। অনেক কিছু ভুলে যাওয়ার কারনে হয়তো পুরোপুরি লিখতে পারিনি কিংবা ঘটনার ধারাবাহিকতায় উল্টোপাল্টো হতে পারে এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। কারন এখানে সত্য বা মিথ্যা যেটাই লিখিনা কেন কোনটার জন্য আমার ফাঁসি হবার চান্স শুন্য। সুতরাং স্মৃতিকে সংরক্ষন করার খাতিরে যা সত্য সেটাই লিখছি। কিন্তু এই পর্বে সব কিছু সত্য লেখাটা সত্যি কঠিন হবে। যাহোক আগের কনে দেখার সাথে সাথে মনির চাচা এই প্রস্তাবটিও নিয়ে আসেন। আমরা তখনো আগের প্রস্তাবে না করে দেই নি। চাচা বললেন দু’টো দেখে যেটা ভাল হয় সেটির সিদ্ধান্ত নিতে। ঠিক হয় কনে দেখতে যাবার। এবার আর আমাকে নেওয়া হয়না। প্রথমে আমার বোন আর আব্বু মিলে কনে দেখে আসেন। তারা বাড়িতে এসে বেশ ভাল ফিডব্যাক দেন। তাদের ফিডব্যাক অনুযায়ী ঠিক হয় এবার আমার দেখতে যাবার কথা। দিনক্ষন ঠিক করে একদিন চলে যাই কনের বাড়িতে।
সেদিন খুব সম্বভত দুপুরের দিকে আমরা বাড়ি থেকে রওয়ানা দেই। জুড়ি পৌছে সেই রেগুলার কর্ম মিষ্টান্ন কেনা হয়। আব্বু , আমি আর মনির চাচা সেখানে যখন পৌছাই তখন জুহরের আযান হচ্ছিল মসজিদে। গিয়ে সেখানে নামায আদায় করে নেই। তারপর হালকা নাস্তা খাওয়া হয়। অবশ্য হালকা বলছি এই কারনে যে একটু পর দুপুরের খাবার খেতে হবে বলে।
কনে দেখতে যাওয়ার টিপস - কনে দেখার পর
১. কনে পচন্দ হোক আর না হোক কনে বাড়ির সবার সাথে ভাল ব্যবহার করবেন।
২. কনে পছন্দ হলে কনের কাছে ভুলে মোবাইল নাম্বার কিংবা ফেসবুক আইডি আবার চেয়ে বসবেননা।
৩. কনে পছন্দ না হলেও কনে বাড়িতে সবার সামনে সেটা বলা যাবেনা।
৪. কনে অপছন্দ হলে ঘটক কিংবা আপনার সাথে যার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাকে বলবেন।
৫. আসার সময় সম্বভ হলে কনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসবেন।
৬. কনের বাড়ির বুয়াদের কিছু টিপস দিয়ে আসবেন। এতে করে বুয়াদের মনও পাবেন। 😊
৭. যদি কনে পছন্দ না হয় তবে কনের ছবি আপনার ফেসবুকে আপলোড কিংবা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেননা।
৮. আখতের আগে কিংবা বিয়ের তারিখ ঠিক হবার আগ পযর্ন্ত কনে সাথে বা কনে বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ করবেননা। এটা অভিবাবকের বিষয়।
সবগুলো পর্ব