সিলেট টু কক্সবাজার
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতে আপনাকে স্বাগত। বলছিলাম কক্সবাজারের কথা। এই লেখাটি সিলেট টু কক্সবাজারের জন্য হলেও এটি সবার জন্য উপযুক্ত। বিশেষ করে টিপসগুলো বাচিয়ে দিবে আপনার পকেটের বেশ কয়েকটা টাকা। তবে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
ভ্রমনের উপযুক্ত সময়
কক্সবাজার যাবার সিজন সাধারনত দুইটা। একটা হল পিক সিজন আর আরেকটা অফপিক সিজন।
পিক সিজন: শীতের সময় হল পিক সিজন। বিশেষ করে লম্বা সরকারী ছুটি, ঈদের সময় আর ডিসেম্বরে প্রচুর ভিড় থাকে। তাই উক্ত সময় কক্সবাজার না যাওয়াই ভাল। আর হ্যাঁ, শীতে কিন্তু সাগরের পানি পরিস্কার থাকে এবং সাগর এরিয়ায় তেমন একটা ঠান্ডা থাকেনা।
অফপিক সিজন: বর্ষার সময় হল অফপিক সিজন। তখন পযর্টক খুব কম থাকে। খুব কম টাকায় হোটেল পাওয়া যায়। তখন সাগরের পানি বেশ ঘোলা থাকে। বড় বড় ঢেউ আসে। সাগর এরিয়ায় বৃষ্টি হলেও তা সিলেটের বৃষ্টির তুলনায় কিছুইনা। আমার দৃষ্টিতে ভ্রমনের এটি উপযুক্ত হবে। বিশেষ করে রাতের সমুদ্রের গর্জন কেড়ে নিবে আপনার মন।
#কক্সবাজার #Coxbazar #Sylhet 2 Coxbazar #Sylhet to Coxbazar #coxbazar #coxbazar jete #coxbazar tips
যাওয়ার পূর্বে যা যা লক্ষ্য রাখতে হবে
আবহাওয়া: রিকোমেন্ড করি গরমের সময় না যেতে। কক্সবাজারে খুব গরম থাকে। যদি গরমে যান তবে অবশ্যই এসিওয়ালা হোটেলে থাকবেন। আর বর্ষার সিজনে যখন বিপদ সংকেত দেয় তখন যাবেননা।
উপলক্ষ: ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ইংরেজী নববর্ষ, লম্বা সরকারী ছুঠি আর ডিসেম্বর মাসে প্রচুর ভিড় থাকে। তখন হোটেলে সীট পাওয়া যায় তবে রেট বেশি থাকে। তাই এ সময়টাতে কক্সবাজার গেলে পকেটে অতিরিক্ত কিছু অবশ্যই নিয়ে যাবেন।
#shillong #shillong tips #shillong jete #shillong travelling #shillong vromon
যা যা সাথে নিবেন: রোহিঙ্গা অধূষিত অঞ্চল হওয়ায় যেকোন সময় পুলিশ চেক করতে পারে। তাই নিজের ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট সঙ্গে নিতে ভুলবেননা।
জুতা এবং পোষাক: টি-শার্ট, থ্রিকোয়াটার, ট্র্যাভেলিং জুতা নিয়ে যান। না নিয়ে গেলেও সমস্যা নাই। ওখান থেকে কিনতে পারবেন।
পারফেক্ট কম্বিনেশন: ৪ জন হল পারফেক্ট। বিশেষ করে হোটেলে ৪ জনের রুম বেশি পাওয়া যায়।
সিলেট টু কক্সবাজার গাড়ি
প্রথমে আপনার বাসা থেকে রেলওয়ে স্টেশন।
তারপর সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্রগ্রাম - ট্রেনে সময় লাগে ৮/৯ ঘন্টা ভাড়া শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা। বাসে যাবার অপশন আছে। তবে লম্বা জার্নি হওয়ায় বাসে না যাওয়াই ভাল। ট্রেন আছে মাত্র ২টি। সকালে পাহাড়িকা। এটি ছাড়ে সকাল ১০.১৫ এ আর বন্ধ থাকে শনিবার। রাতে হল উদয়ন। এটি ছাড়ে রাত ৯.২০ এ। বন্ধ থাকে রবিবার। সকালে ট্রেন বেশিভাগ দিন লেট করে ছাড়ে। তাছাড়া চট্রগ্রাম পৌছাতে বেশি সময় লাগে।
স্টেশন বা রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে নতুন ব্রিজ - স্টেশনের সামনে থেকে সিএনজি পাবেন নতুন ব্রিজের ওখানে যেতে। সিএনজি সময় লাগে ১৫ মিনিট ভাড়া ১০ টাকা জনপ্রতি লোকাল সি. এন.জি ভাড়া। চাইলে রিজার্ভ করে নেওয়া যায়। ভাড়া ১০০ টাকার ভিতরে থাকবে।
নতুন ব্রিজের ওখান থেকে কক্সবাজার - বাসে সময় লাগে ৪ ঘন্টা ভাড়া ২৫০ (সাজেশন- সৌদিয়া বাস)। রাস্তায় জ্যাম থাকলে সময় আরো বেশি লাগতে পারে। বাস অবশ্যই সৌদিয়া বা ক্লোজ ডোর যেকোন নন এসি গাড়িতে যেতে পারেন। এসিতে গেলে গ্রিন লাইন, সৌদিয়া সিল্কি ওই রোডের সেরা গাড়ি।
টিপস: সিলেট থেকে বা যেখান থেকেই যান রাতের গাড়িতে যাবেন। হোটেল খরচ বেচে যাবে। সকালে নেমেই ফ্রি রাস্তায় এসি ছাড়া বাসে ঠান্ডা হাওয়া খেতে খেতে চলে যাবেন কক্সবাজার। ট্রেনের টিকেট কিন্তু অগ্রীম কিনে রাখবেন যাওয়া এবং আসার।
থাকবেন যেখানে
চট্রগ্রাম গিয়ে থাকতে চাইলে নিচের হোটেলে থাকতে পারেন। তবে ব্যাচেলররা চাইলে রিয়াজ উদ্দিন বাজারের (স্টেশনের ঠিক সামনে) ওখানে যেকোন কম টাকার হোটেলেও থাকতে পারেন।
হোটেল প্যারামাউন্ট
স্টেশন রোড, চট্রগ্রাম। নতুন স্টেশনের ঠিক বিপরীতে।
মোবাইল: 0312856771, 01713248754
ভাড়া: ১০০০ টাকা সিঙ্গেল রুম।
কাপলদের জন্য বা পরিবার নিয়ে গেলে অবশ্যই এটাতে থাকুন।
আর কক্সবাজার ব্যাচেলরদের জন্য কম টাকার বেষ্ট হোটেল হল আল জিয়া গেস্ট হাউস।
আল জিয়া গেস্ট হাউস
কলাতলী রোড, কক্সবাজার।
মোবাইল: 01830741736 (বাহার ভাই)
পিক সিজনে ৪ জনের রুম ভাড়া পড়বে ১২০০-১৬০০ টাকা। আর অফপিকে ৪০০ টাকা।
(এমরান সিলেট রেফারেন্স দিতে পারেন)
যদি ওখানে রুম না পান তবে আল জিয়া গেষ্ট হাউসের মালিক বাহার ভাইকে বললে তিনি ব্যবস্থা করে দিবেন। বলে রাখা ভাল সিঙ্গেলদের জন্য এটি একটি ভাল হোটেল।
টিপস: সিঙ্গেল হোন আর ডাবল হোন কলাতলীতে থাকার চেষ্টা করুন। কেন কলাতলীতে থাকবেন? লাবনী, সুগন্ধা আর কলাতলী তিনটা বীচের মধ্যভাগে অবস্থান। পৌষী রেস্টুরেন্টে যেতে মাত্র ১০ টাকা টমটম ভাড়া। হোটেল খরচসবচেয়ে কম থাকায় কলাতলী হল থাকার বেস্ট অপশন।
খাওয়া-দাওয়া
সকালের নাস্তা আপনার আশেপাশের যেকোন রেস্টুরেন্টে করে নিন। দুপুর আর রাতের খাবারটা অবশ্যই পউষী রেস্টুরেন্টে করবেন। পউষী রেস্টুরেন্টের ঠিকানা:
পউষী রেস্টুরেন্ট
মুক্তিযোদ্ধা স্মরণী (সায়মান রোড)
ঝাউতলা, কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৯৫৩৭৩৭০
স্পেশাল খাবার:
১. ডাব
২. লইট্রা ফ্রাই, কোরাল কারি এবং ফ্রাই, লবস্টার, ছুরি মাছ টেস্ট করুন।
৩. লইট্রা কারি খাবেননা। তেমন একটা মজা নাই।
৪. রুপচাদা নামের ৪০০ টাকা দিয়ে যে মাছ খাবেন সেটা নিশ্চিত কাঁলিচাদ খাবেন। সুতরাং রুপচাদাকে নো বলুন।
৫. লবস্টার গ্রাম হিসাবে দাম। খাবার আগে কত গ্রাম এবং দাম নিশ্চিত হয়ে খাবেন।
৬. মহেষখালীর পান অবশ্যই খাবেন।
মনে রাখবেন: খাবার খাওয়ার সময় আপনি যদি একা হোন তবে ভুলেও ২টা সামুদ্রিক মাছের আইটেম অর্ডার দিবেননা। বিশেষ করে ফ্রাইগুলো। ওখানে প্রায় প্রতিটা মাছের ফ্রাই দু’জন মানুষে খাওয়ার উপযোগী। আর ২ জন হলে তো ওকে ১টা অর্ডার করুন।
ক্রিং ক্রিং শপিং শপিং
চকলেট: কক্সবাজারে মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয় বার্মিজ আচার কিনতে। নকল এবং বালুময় বার্মিজ আচার খেয়ে অনেকে শরীর পযর্ন্ত খারাপ করে। ভাল চকলেট আর বার্মিজ আচার কিনতে চলে যান মুজাহিদ ভাইয়ের দোকানে। রেফারেন্স হিসাবে আমার নাম (ইমরান ভাই সিলেট) বলতে পারেন। আশা করি প্রতারনার শিকার হবেননা।
উনার নাম্বার: 01833618259
শুটকী: শুটকী কিনতে হলে কক্সবাজার বীচের ওখান থেকে না কিনে কিনবেন কক্সবাজারের বড় বাজার থেকে। বীচের ওখানে দাম বেশি রাখে এবং মানও তেমন ভাল না।
বড় বাজার শুটকী আডৎ
বার্মিজ মার্কেট, প্রধান সড়ক, কক্সবাজার।
অভি: ০১৮১১৯৭৫৯০১ (বিকাশ নাম্বার) চাইলে কুরিয়ারে শুটকী আনাতে পারবেন।
বার্মিজ সামগ্রী: বার্মিজ সামগ্রী কিনতে চলে যান কক্সবাজার শহরে। সেখানে পাবেন বেশ কয়েকটি বার্মিজ মার্কেট। ওখান থেকে কিনে নিন আপনার পছন্দের সামগ্রী। তবে বার্মিজ মেয়ে দেখে মুগ্ধ হবেননা কিন্তু।
অত:পর ঘুরাঘুরি
কক্সবাজারে জনপ্রিয় বিচ রয়েছে ৪ টি।
১. সুগন্ধা বিচ - সবচেয়ে জনপ্রিয় বিচ। চাইলে সারারাত এখানে থাকতে পারেন। আপনি যদি কলতলীতে থাকেন তবে এখানে হেটে হেটে যেতে পারবেন।
২. লাবনী বিচ - কলতলী থেকে লাবনী বিচে যেতে রিক্সা ভাড়া পড়বে ২০/৩০ টাকা। টমটমেও যাওয়া যায়।
৩. কলাতলী বিচ - কলাতলী বিচটি ডলফিন মোডে অবস্থিত। ডলফিন মোড় হল চট্রগ্রাম থেকে বাসে আসার দিন কক্সবাজারে বাস আপনাকে যেখানে নামিয়ে দিয়েছিল সেটি হল ডলফিন মোড়। আর সেই ডলফিন মোড়েই কলাতলী বিচ। কলতলী থেকে ওখানে যেতে ৫ টাকা টমটম ভাড়া।
৪. ইনানী বিচ - ইনানী বিচে যেতে মেরিন ড্রাইভের সড়ক দিয়ে যেতে হয়। কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৫ কি:মি দূরে অবস্থিত এই বিচে যাওয়ার জন্য ডলফিন মোড় থেকে লোকাল টমটমে কম টাকায় যাওয়া যায়।
হিমছড়ি: কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচে যাওয়ার পথে পড়বে হিমছড়ি। পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখতে চাইলে হিমছড়ি হল পারফেক্ট স্থান। যারা ইনানী যাবেন তারা প্রথমে ডলফিন মোড় থেকে হিমছড়ি চলে যাবেন। হিমছড়ি থেকে ইনানী যাবার টমটম পাবেন।
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড: সমুদ্রের মাছ একুরিয়ামের দেখতে চান? তবে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে চলে যান। জনপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা এন্ট্রি ফি এর বিনিময়ে স্বাদ নিয়ে আসুন সমুদ্রের তলের। যারা কক্সবাজারে ফিস বারবিকিউ করার চিন্তা করছেন তাদের জন্য এটা একটা উত্তম জায়গা। বাহিরের পচা মাছ বারবিকিউ করে না খেয়ে বরং রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের জীবন্ত মাছ ধরে পুড়ে খান।
ট্যুর প্ল্যান
যাত্রা শুরু: সিলেট থেকে যান আর যেখান থেকেই যান রাতের ট্রেন বা বাসে যাবেন। পরদিন দুপুরের মধ্যেই পৌছে যাবেন কক্সবাজার।
১ম দিন: কক্সবাজার পৌছে আপনার প্রথম কাজ হল হোটেলে উঠা। হোটেলে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা/দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন। তারপর বিশ্রাম নিয়ে বিকালে চলে যান সুগন্ধা বিচে। ওদিন আর পানি নামার দরকার নাই। নীল রংয়ের একটা চেয়ার (যেটা ফ্রি) নিয়ে বসে পড়ুন আর ঢেউ গুনুন। রাতের খাবারটা ঝাউতলাতে অবস্থিত পউষী রেস্টুরেন্টে সেরে নিন।
২য় দিন: প্রথমে যেতে পারেন দরিয়ানগর যদি আপনি প্যারাসেইলিং করতে চান। দরিয়ানগর হল হিমছড়ি যাবার আগে। আর যদি প্যারাসাইলিং না করতে চান তবে দরিয়ানগর না থেমে সরাসরি চলে যান হিমছড়ি। সেখানে পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখুন। তারপর চলে যান ইনানী।মনে রাখবেন ডলফিন মোড় থেকে ইনানী বিচে যেতে প্রথমে পড়বে দরিয়ানগর তারপর হিমছড়ি তারপর ইনানী। রাস্তা কিন্তু একটাই। ইনানী দেখে আবার চলে আসুন কলাতলী। দুপুরের খাবারটা সেরে বিশ্রাম নিন। চাইলে সাগরে ঝাপাঝাপিও করতে পারেন। বিকালে চলে যান লাবনী বিচ দেখতে। তারপর চাইলে যেতে পারে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড দেখতে। এটি ঝাউতলাতে অবস্থিত।সাগরের মাছ একুরিয়ামে লাইভ দেখে নিন। সন্ধায় চলে যান কক্সবাজার শহরে। বড় বাজার শুটকী আড়ৎ থেকে কিনতে পারেন শুটকী আর বার্মিজ মার্কেট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তারপর ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে চলে যান সুগন্ধা বিচে। মাঝ রাতের সাগরের গর্জন শুনুন প্রানভরে।
প্যারাসেইলিং: প্যারসেইলিং হল প্যারসূট দিয়ে উপর থেকে সমুদ্র দেখা। এতে সর্বনিন্ম খরচ পড়বে ১৫০০ টাকা জনপ্রতি ১৫ মিনিটের জন্য।
৩য় দিন: সকালটা কাটিয়ে দিন সুগন্ধা অথবা কলাতলী বিচে। তারপর ট্রেন যেহেতু রাত ৯টায় তাই ২/৩ টার বাসে করে চলে আসুন চট্রগ্রাম যদি আপনি সিলেট আসতে চান। অন্য বিভাগের হলে আপনার গাড়ির টাইম ফলো করে আসুন।হোটেলে চেক আউট টাইম দুপুর ১২টা হলেও আপনার ব্যাগ রাখতে পারবেন। এখানে মনে রাখা দরকার কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম আসতে পথে জ্যাম থাকলে ৬ঘন্টার বেশিও লাগতে পারে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিযে আসুন। তাছাড়া আপনি রাত্রের খাবারটা চট্রগ্রামে খাবেন তাই একটু সময় হাতে নিয়ে আসলে ভাল হয়।
কক্সবাজার টু সিলেট গাড়ি
পাহাড়িকা: পাহাড়িকা চট্রগ্রাম থেকে ছাড়ে সকাল ৯.০০ টায় সিলেট পৌছে সন্ধা ৫.৩০ মিনিটে। সোমবার বন্ধ থাকে।
উদয়ন: উদয়ন চট্রগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত ৯.৪৫ এ সিলেট পৌছে সকাল ৬.৩০ মিনিটে। রবিবার বন্ধ থাকে।
টিপস: রাতের ট্রেনে আসুন। ভীড় কম থাকে।
স্পেশাল টিপস
একা না গিয়ে চেষ্টা করবেন অন্তত ২জন যেতে। ৪ জন হল পারফেক্ট। বেশি হলে আরো ভাল হয়।
সিলেট থেকে চেষ্টা করবেন রাতের ট্রেনে যেতে এবং সকালে গিয়ে সরাসরি চলে যান কক্সবাজার।
কলাতলীতে হোটেল নিবেন।
হোটেলের ভাড়া যা বলবে তার অর্ধেক বলবেন। পারলে আরো কম।
খাবার হিসাবে ফাস্টফুড বা মাংস ছেড়ে শুধু মাছ খাবেন।
যেকোন জায়গায় যেতে সব সময় চেষ্টা করবেন রিক্সা না চড়ে টমটমে যেতে। অনেক খরচ বাচবে।
বীচে যাবার সময় সানগ্লাস, অতিরিক্ত একসেট পোষাক (শার্ট বা টি-শার্ট এবং পেন্ট), গামছা এবং লুঙ্গি নিবেন।
ভাটার সময় পানিতে নামবেননা।
জোয়ারের সময় পানিতে নামুন এবং অবশ্যই বেশি পানিতে যাবেননা।
স্থানীয় ক্যামেরাম্যান দিয়ে ছবি তোলালে ছবি নিজের মেমোরী কার্ডে তুলাবেন।
ক্যামেরাম্যান এর সাথে আগে থেকে চুক্তি করবেন যে, আউট অফ ফোকাস এবং খারাপ ছবি নিবেননা।
ঘোড়া, তিন চাকার বাহন থেকে সাবধান। এইগুলি না ছড়াই উত্তম।রাতে ১২টার দিকে সমুদ্রের গর্জন শুনবেন।
বার্মিজ মাকের্টে গেলে বার্মিজ মেয়েদের কথা শুনে মুগ্ধ হবেননা। এরা যত টাকা বলবে তার ৪ ভাগের একভাগ বলবেন।
যাওয়ার সময়ই আসার টিকেট করে নিবেন।
কক্সবাজার থেকে না কিনে চেষ্টা করবেন চট্রগ্রাম থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে।
বীচে শরীর মেসেজ করালে ২০/৩০ টাকা দিবেন। ভাংতি রাখবেন নতুবা যা দিবেন আর ফেরত পাবেননা।
বীচে বসা অবস্থায় স্থানীয় বাচ্চারা একসাথে ধরলে মোবাইল আর মানিব্যাগ সাবধান রাখবেন।
মহেষখালীর পান খেয়ে আসবেন পউষী রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার পর।
বাহিরের পচা মাছ দিয়ে বারবিকিউ করতে যাবেননা।
ডাউনলোড সেকশন
সাগরে বা যেখানে সেখানে অপচনশীল জিনিস যেমন পলিথিন বা প্লাষ্টিকের কিছু ফেলবেননা। কথা দিন আজ থেকে আপনি প্রকৃতিকে সুন্দর রাখবেন।
বি:দ্র: যেকোন ভাড়া, যাত্রার সময়সূচী, কোনকিছুর দাম এবং হোটেল বা রেস্টুরেন্টের মান সব সময় একই নাও থাকতে পারে। সুতরাং অবশ্যই যাচাই করবেন।