১. রাসূল (সা:) বলেছেন,
'কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সুন্দর
আচরণের চেয়ে অধিক ভারী আমল আর কিছুই হবে না।
যে ব্যক্তি অশ্লীল ও কটু কথা বলে বা অশোভন আচরণ করে,
তাকে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘৃণা করেন।
আর যার ব্যবহার সুন্দর, সে তাঁর ব্যবহারের কারণে
নফল রোযা ও তাহাজ্জুদের সাওয়াব লাভ করবে।'
[সুনানে তিরমিযী]
২. রাসূল (স:) আরও বলেছেন,
'সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে,
তা হলো- মহান আল্লাহ্ তায়ালার ভয় এবং সুন্দর আচরণ।
আর সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবে,
তা হলো- (মানুষের) মুখ এবং লজ্জাস্থান।''
[সুনানে তিরমিযী, হাকিম আল মুসতাদরাক]
৩. রাসুল (স:) বলেছেন, ''সুন্দর আচরণ্ই নেক আমল।''
[সহীহ মুসলিম]
৪. রাসূল (স:) আরও বলেছেন,
'তোমাদের মধ্যে যার আচার-ব্যবহার সুন্দর,
সে আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং কিয়ামতের
দিন সে আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।'
[সুনানে তিরমিযী]
৫. রাসূল (স:) আরও বলেছেন,
'অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।
আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর।''
[মুসনাদে আহমদ]
৬. রাসূল (স:) আরও বলেছেন,
'যার আচার-ব্যবহার সুন্দর,
আমি তার জন্য সর্বোচ্চ জান্নাতে
একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি।''
[আবু দাউদ]
৭. রাসূল (স:) আরও বলেছেন,
'যদি কেউ বিনম্রতা ও নম্র আচরণ লাভ করে,
তাহলে সে দুনিয়া ও আখেরাতের পাওনা সকল কল্যাণই লাভ করল।
আর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা
এবং সুন্দর আচরণ বাড়িঘর ও জনপদে বরকত দেয় এবং আয়ু বৃদ্ধি করে।''
[আহমদ]
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত হাদীসগুলোর উপর আমল করে সবার
সাথে সুন্দর আচরণ ও সুন্দর ব্যবহার করার তাওফীক দান করুন,,, আমিন।