আদালতে আখিরাতে মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে যারা শাফাআত করবেন তারা হচ্ছেন, নবীগণ, ফিরিশতাবৃন্দ, শহীদগণ, আলেম-ওলামাগণ, হাফেজে কোরআন এবং নাবালগ সন্তান। তাঁদের শাফাআত কোরআন-হাদীসের অকাট্য প্রমাণাদি দ্বারা প্রমানিত।
তাদের মধ্যে সায়্যিদুশ শুফাআ বা শাফাআতকারীদের সর্দার হলেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । যেমন তিনি বলেছেনঃ-
أَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَ أَوَّلُ مُشَفَّعٍ (متفق عليه)
“আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার শাফাআতই প্রথম গ্রহণ করা হবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
তিনি আরও বলেছেন,,,,,,
يَشْفَعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَةٌ : اَلْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْعُلَمَاءُ ثُمَّ الشُّهَدَاءُ (رواه ابن ماجة والبيهقي والبزار)
“তিন শ্রেণীর লোক কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবেন, নবী-রাসূরগণ, আলেম-ওলামা ও শহীদগণ”। (ইবনু মাজাহ, বাইহাকী ও বাজ্জার শরীফ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন ,,,,,,
يَشْفَعُ الشَّهِيْدُ فِي سَبْعِيْنَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِه (رواه مسلم)
“শহীদ তার পরিবারের সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করবে”। (মুসলিম শরীফ)
হুজুর পূর নূর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন ,,,,
اِقرءوا القرآن فإنه يأتي يوم القيامة شفيعا لأهله (رواه مسلم)
“তোমরা কোরআন পাঠ কর। কেননা এ কোরআন তার পাঠকারীর জন্য কিয়ামতের দিন সুপারিশকারী হয়ে আবির্ভূত হবে”। (মুসলিম শরীফ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন হাজরে আসওয়াদ কে যারা চুমু দিয়েছে তাদের কে সুপারিশ করবে ঃ মিশকাত শরীফ ২২৭পৃঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে, (তিরমিজি , ইবনে মাজাহ , দারেমী শরীফ)
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ আক্বিদা বুঝার এবং বাতিল আক্বিদাকে প্রত্যাখান করার তাওফিক দান করুন। আমিন,