আল-বুখারী (রহ:) ও মুসলিম (রহ:) হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে হুযূর পূর নূর (দ:) তাঁকে বলেন:
তোমার বাবা ও ভাই (আবদুর রহমান)-কে এখানে ডাকো যাতে আমি কিছু একটা লিখে দিতে পারি, কেননা, আমি আশংকা করি যে কেউ হয়তো কোনো দাবি উত্থাপন অথবা কোনো উচ্চাভিলাষ পোষণ করতে পারে; আর যাতে (ওই লেখার দরুণ) আল্লাহ ও ঈমানদাররা আবু বকর (রা:) ছাড়া অন্য কাউকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।
নোট
মহানবী (দ:)-এর পবিত্র হায়াতে জিন্দেগীর শেষ দিনগুলোতে ব্যক্ত হাদীস।
এটি হযরত আয়েশা (রা:)-এর কাছ থেকে ইমাম মুসলিম (রহ:), ইমাম আবু দাউদ (রহ:) ও ইমাম আহমদ (রহ:) বর্ণনা করেছেন।
আল-হাকিম সহীহ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (দ:) এরশাদ ফরমান:
"জান্নাতের বাসিন্দা এক ব্যক্তি এখনি তোমাদের সামনে দৃশ্যমান হতে যাচ্ছেন।” অতঃপর হযরত আবু বকর (রা:) আগমন করেন এবং তাঁদের মাঝে বসেন।
Script errorনোট
হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে ইমাম তিরমিযী (গরিব হিসেবে) এবং আল-হাকিম (৩:১৩৬=১৯৯০ সংস্করণ ৩:১৪৬) এটাকে সহীহ সনদ ঘোষণা করে বর্ণনাকরেছেন।
অনুরূপ বর্ণনায় এর সমর্থন পাওয়া যায় -
হযরত জাবের (রা:) হতে
চারটি সহীহ সনদে ইমাম আহমদ (রহ:);
ইমাম তাবারানী - দেখুন আল-হায়তামী (৯:৫৭-৫৮; ৯:১১৬-১১৭);
বেশ কয়েকটি সনদে ’আল-আওসাত’ পুস্তকে (৭:১১০ #৭০০২; ৮:৪১ #৭৮৯৭);
‘মুসনাদ আল-শামিয়্যীন’ (১:৩৭৫ #৬৫১);
‘আল-মু’জাম আল-কবীর’ (১০:১৬৭ #১০৩৪৩);
আল-হারিস নিজ ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে (২:৮৮৯ #৯৬১);
আল-তায়ালিসী তাঁর ‘মুসনাদ’ কেতাবে (পৃষ্ঠা ২৩৪ #১৬৭৪);
ইবনে আবি আসিম নিজ ‘আল-সুন্নাহ’ পুস্তকে (২:৬২৪ #১৪৫৩);
ইমাম আহমদ (রহ:) স্বরচিত ‘ফাযাইলুস্ সাহাবা’ বইয়ে (১:২০৯ #২৩৩; ২:৫৭৭ #৯৭৭) এবং
আল-মুহিব্বুল তাবারী তাঁর ’আল-রিয়াদুন্ নাদিরা’ গ্রন্থে (১:৩০১ #১৪৬);
হযরত আবু মাসউদ (রা:) হতে
ইমাম তাবারানী আপন ‘আল-মু’জামুল কবীর’ কেতাবে (১৭:২৫০ #৬৯৫); এবং
হযরত ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) তাঁর ‘ফযাইলুস্ সাহাবা’ গ্রন্থে (১:১০৪ #৭৬)
শেষোক্ত বই ও তিরমিযীতে আরও বর্ণিত আছে,
অতঃপর মহানবী (দ:) ওই একই কথা আবার বলেন এবং হযরত উমর (রা:) আগমন করেন; সকল বর্ণনাকারী এই ক্রমানুসারে হযরত আলী (ক:)-কে তৃতীয় আগমনকারী বল্লেও ইমাম তাবারানী একটি বর্ণনায় হযরত উসমান (রা:)-এর নাম উল্লেখ করেছেন, যদিও তাঁর অন্যান্য সব বর্ণনায় শুধু হযরত আলী (ক:)-এর নামই এসেছে
হযরত ইবনে মাসউদ (রা:)-এর সূত্রে ‘আল-মু’জামুল কবীর’ (১০:১৬৬-১৬৭ #১০৩৪২, #১০৩৪৪),
উম্মে মারসাদ হতে ‘আল-আহাদ ওয়াল মাসানী (৬:২৩৪ #৩৪৬৭) এবং ’আল-কবীর’ (২৪:৩০১ #৭৬৪);
ইবনে আব্দিল বারর, ’আল-এস্তিয়াব’ (৪:১৯৫৭ #৪২০৯), এবং
হযরত জাবের (রা:) থেকে ইমাম আহমদ (রহ:)-এর ‘ফযাইলে সাহাবা’ (২:৬০৮ #১০৩৮);
শেষোক্ত বইয়ে (১:৪৫৪ #৭৩২) হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে একটি বর্ণনায় শুধু হযরত উসমান (রা:)-এর নাম উল্লেখিত হয়েছে,
‘কানযুল উম্মাল’ (#৩৬২১১)
নবী পাক (দ.) বেহেশতী হিসেবে আরও যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা হলেন,
দশ জন বেহেশতী সাহাবী;
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা:);
বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাবৃন্দ;
সুনির্দিষ্ট কয়েকজন যেমন হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসের (রা:);
হোদায়বিয়াতে প্রতিশ্রুতি প্রদানকারীগণ;
হযরত জাফর ইবনে তাইয়ার (রা:);
হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ (রা:);
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভে কোনো কিছু যোগ না করার বা তা থেকে কোনো কিছু বাদ না দেয়ার অঙ্গীকারকারী এক বেদুঈন;
হিংসা থেকে মুক্ত আনসার সাহাবী;
ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা:) ও তাঁর ভাই ইমাম হাসান (রা:);
হযরত সাবেত ইবনে কায়েস (রা:);
হযরত মালেক (রা:);
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রহ:)-এর সম্মানিত পিতা;
হযরত মুআবিয়া [1]
হযরত হেলাল হাবাশী [2];
হযরত জারির [3];
হযরত শারিক ইবনে খুবাশা আল-নুমাইরী [4]; এবং
আল-দাহহাক ইবনে খলীফা আল-আনসারী [5]।
এ ঘটনার আগে মহানবী (দ.) ইতোমধ্যেই হযরত আবু বকর (রা:)-কে বেহেশতী হবার সুসংবাদ দিয়েছিলেন যখন তিনি এরশাদ করেছিলেন:
আবু বকর জান্নাতী, উমরও তাই, উসমানও, আলীও; তালহা, যুবাইর (ইবনে আওয়াম), আবদুর রহমান ইবনে আউফ, সা’আদ (ইবনে আবি ওয়াক্কাস), সাঈদ (ইবনে যায়দ ইবনে আমর) এবং আবু উবায়দা ইবনে জাররাহ সবাই জান্নাতী।
নোট
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রহ:) ও হযরত সাঈদ ইবনে যায়দ (রা:) হতে ’সুনান’ ও ইমাম আহমদে বর্ণিত।
· ’আল-ফেরদৌস’ ৫:৪৮২ #৮৮৩০ এবং ‘মিযানুল এ’তেদাল’ ২:২৪৩, ৪:৩৫৯
· · মওলা আল-মুগিরাহ ইবনে শু’বা হতে ‘আল-এসাবা’ ৬:৫৫০ #৮৯৯৬, দেখুন - ‘নওয়াদিরুল উসূল’ #১২৩ এবং ‘হিলইয়াত আল-আউলিয়া’ ১৯৮৫ সংস্করণ ২:৮১, শেষোক্ত বইয়েহযরত উয়াইস করনীর নামও উল্লেখিত হয়েছে
· · ’নওয়াদির’ #১২৮
· · এসাবা ৩:৩৮৪ #৩৯৮৭
· ’নওয়াদির’ ৩:৪৭৫ #৪১৬৬
মহানবী (দ:)-এর অদৃশ্য জ্ঞানবিষয়ক ৮০টি হাদীস-[ইমাম কাজী ইউসুফ নাবহানী (রহ:)-এর ৯০০ পৃষ্ঠাব্যাপী গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহি আ’লাল আ’লামীন ফী মো’জেযাতে সাইয়্যেদিল মুরসালীন (১৩১৭ হিজরী/১৮৯৯ খৃষ্টাব্দ) হতে সংগৃহীত]-মূল: শায়খ ড: জিবরীল ফুয়াদ হাদ্দাদ দামেশকী-অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন