পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ পাক উক্ত উভয় দিনকে বান্দাদের জন্য রহমত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[সূরা মরিয়মের ১৫ নং আয়াতে] উল্লেখ আছে,'তাঁর প্রতি শান্তি, যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করবে ও যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে'। ★উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় [তাফসীরে কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান ৫৫৮ পৃঃ] বর্ণিত আছে : জন্ম, মৃত্যু হাশর মাঠে পুনরুত্থান এ তিনটি কঠিন দিনে আল্লাহ পাক হযরত ইয়াহিয়া(আঃ) কে নিরাপত্তা ও শান্তির সুসংবাদ দিয়েছেন। এটা তাঁর আগমন উপলক্ষে আল্লাহর পক্ষ হতে বান্দাদের প্রতি বিশেষ নেয়ামত হিসেবে গণ্য।তাই উক্ত দিনে নেয়ামতের শোকরিয়া আদায়ের নিমিত্তে আনন্দ করাই হল 'খোশরোজ'। ★[সূরা ইমরান ১৬৯/১৭০ নং আয়াতে] এরশাদ হয়েছে : যাঁরা আল্লাহর পথে নিহত হন তাঁদের মৃত মনে করো না, তাঁরা আল্লাহ হতে জীবন ও রিযিক প্রাপ্ত হয়।আল্লাহ নিজ দয়ায় তাঁদের যা দিয়েছেন তাতে তাঁরা আনন্দিত এবং তাঁদের পিছনে যাঁরা এখনো তাঁদের সাথে মিলিত হয়নি তারা যেন তাঁদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে এজন্য তাঁদের কোন ভয় নেই এবং তাঁরা দুঃখিত হবেনা। ★আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথি(রঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় [তাফসীরে মাযহারী ও তাজকেরাতে মাউতা] নামক কিতাবে লিখেন, ওলীগণ আল্লাহর তরফ হতে রিজিক পান। আসমান জমিন বেহেস্ত যেখানে ইচ্ছা যাওয়ার শক্তি এবং রুহে বাতেনী ফয়েজ লাভ করেন।এ সকল নেয়ামত ও রহমত তাঁরা তাঁদের বেছালের দিনে প্রাপ্ত হন। তাই এদিনে তাঁদের রওজায়ে পাকে উক্ত নেয়ামতের শোকরিয়া আদায়ে খতমে কুরআন, মিলাদ, নাত কাওয়ালী, ছেমা যিকির, মাজারে গিলাফ, ফুল, আতর প্রদানসহ গরু,মহিষ জবেহ করে তাবারুখের আয়োজনের মাধ্যমে শরীয়তসম্মত ভাবে আনন্দ উদযাপন করা হয়।একে 'ওরশ শরীফ' বলে।উক্ত দিনগুলোতে আশেকগণ মাজারে শায়িত বুযুর্গের উসিলায় আল্লাহর তরফ হতে ফয়েজ ও বরকত লাভে ধন্য হয়।