মহানবী (দ:)-এর সীরাতে হযরত ইবনে আব্বাস (রা:)-কে উদ্ধৃত করা হয়েছে, তিনি বলেন:
সূরা নসরের ’যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে’ - আয়াতটি নাযেল হলো, তখন রাসূলুল্লাহ (দ:) হযরত মা ফাতেমা (রা:)-কে তলব করেন এবং তাঁকে বলেন, ’আমার জানাযা এইমাত্র ঘোষিত হয়েছে।’ এ কথা শুনে মা ফাতেমা (রা:)কান্নাকাটি করেন। এমতাবস্থায় হুযূর পূর নূর (দ:) তাঁকে বলেন, ’কেঁদো না, কেননা তুমি-ই সর্বপ্রথম আমাকে অনুসরণ করবে (পরলোকে)।’ এ কথা শুনে মা ফাতেমা (রা:) হাসেন। নবী পাক (দ:)-এর কতিপয় স্ত্রী তাঁকে এ অবস্থায় দেখেজিজ্ঞেস করেন, ’ওহে ফাতেমা (রা:)! আমরা তোমাকে প্রথমে কাঁদতে তার পর হাসতে দেখলাম কেন?’ তিনি উত্তর দেন, ’মহানবী (দ:) আমাকে বলেছিলেন যে তাঁর জানাযা এইমাত্র ঘোষিত হয়েছে, তাই আমি কেঁদেছিলাম। অতঃপর তিনি আমাকে বলেন যে আমি-ই তাঁকে সর্বপ্রথম অনুসরণ করবো (পরলোকে); এ কারণে আমি হেসেছি’।
নোট
বিশুদ্ধ সনদে হযরত আব্বাস (রা:) থেকে এটা বর্ণনা করেছেন
আদ্ দারিমী,
আত্ তাবারানী নিজ ‘আল-আওসাত’ কেতাবে (১:২৭১ #৮৮৩), এবং
আংশিকভাবে আল-বুখারী ও ইমাম আহমদ;
হযরত ইবনে উমর (রা:) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন
আল-বাযযার ও
আল-বায়হাকী;
দেখুন - ইবনে কাসীর কৃত তাফসীর (৪:৫৬২)।
নির্ভরযোগ্য রওয়ায়াতসমূহ অনুযায়ী মা ফাতেমা (রা:) এই ঘটনার ছয় মাস পরই বেসালপ্রাপ্ত হন।
মহানবী (দ:)-এর অদৃশ্য জ্ঞানবিষয়ক ৮০টি হাদীস-[ইমাম কাজী ইউসুফ নাবহানী (রহ:)-এর ৯০০ পৃষ্ঠাব্যাপী গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহি আ’লাল আ’লামীন ফী মো’জেযাতে সাইয়্যেদিল মুরসালীন (১৩১৭ হিজরী/১৮৯৯ খৃষ্টাব্দ) হতে সংগৃহীত]-মূল: শায়খ ড: জিবরীল ফুয়াদ হাদ্দাদ দামেশকী-অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন