গোসলের বিবরণ
প্রথমতঃ নিয়ত করিবে, উহার পর দুই হাত কব্জা পর্যন্ত তিনবার ধৌত করিব, তৎপর লজ্জাস্থান ধূইয়া ফেলিবে। শরীরে বা কাপড়ের কোন জায়গায় নাপাক থাকিলে তাহা ধূইয়া ফেলিবে। ইহার পর অজু করিবে, কিন্ত পা ধুইবারপ্রয়োজন নাই। তৎপর ডান ও বাম কাঁধে পানি ঢালিবে। গোসল শেষ হইলে অন্য জায়গায় যাইয়া পতত্য় থৌত করিতে। কিন্ত চৌকি বা কোন উচ্চ স্থানে বসিয়া গোসল করিলে সেইখানে বসিয়া পা ধূইবে।
গোসলের ফরজ তিনটি
(১) কুলি করা, (২) নাকের ভিতর পানি দেওয়া, (৩) সমস্ত শরীর ভালরুপে ধৌত করা। স্ত্রীলোকের গহনার ছিদ্রে এবং নীচে পানি প্রবেশ না করিলে সিদ্ধ হইবে না।
গোসলের সুন্নত ছয়টি
(১) হাত ধৌত করা, (২) শরীরের নাপাকী ধুইয়া ফেলা, (৩) লজ্জাস্থান ধৌত করা, (৪) সর্ব শরীর তিনবার ধৌত করা, (৫) অজু করা, (৬) গোসল শেষ হইলে অন্য স্থানে যাইয়া পা ধৌত করা।
গোসলের দোয়া
বাংলা উচ্চারণ ঃ নাওয়াইতুয়ান গোছলা লিরাফিল জানাবাতি ।
অজুর নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ- নাওয়াইতু আন্ আতওয়াদ্দাআ লিরাফইল হাদাছি ওয়াস্তিবা হাতাল্লিচ্ছালা-তি ওয়া তাকাররুবান ইলাল্লা-হি তা’আলা।)
অজুর দোয়া
বাংলা উচ্চারণ ঃ (বিছমিল্লাহিল আ’আলীইয়্যিল আজীমি ওয়ালহামুদ লিল্লা-হি আলা দীনিল্ ইসলামি। আল ইসলামু হাক্কক্কুউ ওয়াল কুফরু বাতিলুন, আল ইসলামু নূরুওঁ ওয়াল্ কুফরু জুলুমাতুন।
তায়াম্মুম
পানি ব্যবহারে অসমর্থ হইলে কিম্বা পানি না পাওয়া অবস্থায় অজু ও গোসলের কাজ শরীয়তের আদেশ মত মাটি জাতীয় কোন বস্তু দ্বারা সমাপণ করাকে তায়াম্মুম বলে।
নিুলিখিত কারণে তায়াম্মুম করা দুরস্ত হইবে।
১। এক মাইলৈর মধ্যে পানি পাওয়া না গেলে; ২। পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির আশংকা থাকিলে; ৩। ক’প হইতে পানি তুলিবার কোন ব্যবস্থা না থাকিলে; ৪। সঞ্চিত পানি খরচ করিলে নিজে কিংবা পালিত পশু পিপাসার্ত থাকিলে; ৫।হিংস্র জন্তু বা শত্র“র ভয়ে পানির নিকট পৌছিতে অক্ষম হইলে; ৬। বিক্রয়ের পানি খরিদ করিতে অসমর্থ হইলে; ৭। কাহারও পানি বিনা মূল্যে দিতে অস্বীকার করিলে; ৮। উভয় ঈদের বা জানাযার নামায অজু করিয়া জামাআত নাপাইবার ভয় হইলে।
তায়াম্মুম করিবার নিয়ম
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন আতাইয়াম্মামা লিরাফিল হাদাছি ওয়াছতিবা হাতাল্লিচ্ছালা-তি ওয়ায়ফ তাকাররুবান ইলাল্লা-হি তাআলা।)
তায়াম্মুমের ফরজ তিনটি
১। নিয়ত করা ২। মুখমন্ডল মাছেহ করা ৩। উভয় হস্ত মাছেহ করা (দ্বিতীয় বার মাটিতে মারিয়া)
বিঃ দ্রঃ তায়াম্মুমের মধ্যে অজুর ন্যায় কুলি, নাকে নাকে পানি দেওয়া ও পা ধুইবার পরিবর্তে কিছুই করিতে হয় না। গোসল এবং অজুর জন্য একবার তায়াম্মুম করিলেই চলিবে। কিন্তু নিয়ত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করিতে হইবে। যে সমস্তকারণে অজু নষ্ট হয়, সে সমস্ত কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়।
এস্তেন্জা করিবার নিয়ম
পায়খানা বসিবার সময় উত্তর বা দক্ষিণ দিকে মুখ করিয়া বসিবে। কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়া বসা নিষেধ। মাটির ঢিলা/ টয়লেট পেপার লইয়া পায়খানার দরজার বাহির থাকিতে নিুলিখিত দোয়া পড়িবে।
বাংলা উচ্চারণ ঃ (বিছমিল্লা- হি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়িছি।
জায়নামাজের দোয়া
বাংলা উচ্চারণ ঃ (ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাওঁ ওয়ামা আনা মিনাল মোশরিকীন।)
ছানা
বাংলা উচ্চারণ ঃ (ছুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারা কাসমুক ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা।)
আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বয়ানির রাজিম।
তাকবীরে তাহরীমা
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লা-হু আকবার)
বিস্মিল্লাহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ বিস্মিল্লা- হির রাহমা-নির রাহীম
রুকুর তাসবীহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ ছুবহানা রাব্বিয়াল আজিম।
রুকু হইতে উঠিবার তাসমি
বাংলা উচ্চারণ ঃ (ছামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ।)
সোজা হইয়া পড়িবার তাহমীদ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (রাব্বানা লাকাল হামদ)
সেজদার তাসবীহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (সোবাহানা রাব্বিয়াল আলা)
তাশাহ্হুদ( আত্তাহি:ই:য়াতু )
আত্তাহি:ইয়াতু লিল্লাহি ওয়া ছ^ ছ^লাওয়াতু ওয়াত্ব ত্বই:য়িবাতু আসসালামু আ’লাই:কা আই:য়ুহান নাবিই:য়ু ওয়া রহ:মাতুল্ল-হি ওয়া বারঅ কাতুহ্। আসসালামু আ’লাই:না ওয়া আ’লায়ি বাদিল লাহিছ ছ-লিহ:ী-ন্। আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহ:াম্মাদান আ’বদুহূ ওয়া রসূলুহ্।
দরুদ শারীফ্
আলাহুম্মা ছ^ল্লি আ’লা মুহ:াম্মাদিওঁ ওয়া য়’ালা আলি মুহ:াম্মাদিং কামা ছ^ল্লাই:তা আ’লা-ইবরা-হীমা ওয়া য়’ালা আলি ইব্রঅ-হী-ম্। ইন্নাকা হ:ামীদুম্ মাজী-দ্। আল্ল-হুমা বারিক আ’লা মুহ:হাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিমুহ:াম্মাদিং কামা বারাক্তা আ’লা ইর্বঅ-হীমা ওয়া আ’লা আলি ইবরঅ-হী-ম্। ইন্নাকাহ:ামীদুম মাজী-দ্।
দুয়া’ মাসূরঅ
আল্ল-হুমা ইন্নী জ্বলামতু নাফসী জুলমাং কাছীরও ওয়ালা ই:য়াগ্ফিরুযযুনূূবা ইল্লা-আংতা ফার্গ্ফিলী মাগফিরঅতাম্ মিন্ য়ি’ংদিকা ওর্য়া হ:াম্নী ইন্নাকা আংতাল গফুর্রু রহ:ীম্।
দোয়া’ কুনুৎ
আল্ল-হুম্মা ইন্না নাসতায়’ীনুকা ওয়ানাস্তাগফিরুকা ওয়ানুঅ্মিনুবিকা ওয়ানাতা ওয়াক্কালু আ’লাইকা ওয়া নুছনী আ’লাই:কাল খঈর্-। ওয়ানাশ কুরুকা ওয়ালা নাক্ফুরুকা ওয়ানাখলায়ু’ ওয়ানাত রুকুমাই: ই:য়াফ্ জুরুক্। আল্ল-হুম্মা ইই:য়াকা নায়’বুদু ওলাকা নু ছ^ল্লী ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাই:কা নাস্য়’া। ওয়ানাহ্:ফিদু ওয়ানারজূ রহ্:মাতাকা ওয়ানাখশা আ’যাবাকা ইন্না আ’ যাবাকা বিল্ কুফফারি মুল্হি:ক্ব।
আয়াতুল কুরছি
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইউল কাইউম লা তাখুজুহু ছিনাতুউ ওয়াল নাওম, লাহু মা- ফিচ্ছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি, মান্জাল্লাজী, ইয়াসফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহী ইয়ালামু মা বাইনাআইদিহিমওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শা- আ ওয়াছিআ’ কুরছিইউ হুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা, ওয়াহুয়াল আলিয়্যুাল আজিম।
সালাম
বাংলা উচ্চারণ ঃ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লা হ। )
মোনাজাত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাওঁ ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাওঁ ওয়াকিনা আজাবান্নার। ওয়া সাল্লাল্লাহু- তাআলা আলা খাইরি খালক্বিহী মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ-লিহি ওয়াআছহাবিহী আজমায়ীন।বিরাহমাতিকা ইয়া আরিহামার রাহিমীন।)
ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্বার।)
ফজরের ২ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
বিশেয় দ্রষ্টব্যঃ ইমামতি করিতে-আনা ইমামুল্লিমান হাজারা ও মাইয়্যাফজুরু সহ মুতাওয়াজ্জিহান বলতে হবে আর ইমামের পিছনে নামাজ পড়িতে হলে বলতে হবে(এক্তাদাইতু বিহা-যাল ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান...)
জোহরের নামাজ
জোহরের নাময মোট ১২ রাকাত। সূর্য মাথার উপর হইতে পশ্চিম্ দিকে একটু হেলিয়া পড়িলেই জোহরের নামাযের ওয়াক্ত আরম্ভ হয় এবং কোন কিছুর ছায়া দ্বিগুণ হইলে জোহরের ওয়াক্ত শেষ হইয়া যায়।
জোহরের ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। )
জোহরের ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তাআলঅ মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
জোহরের ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতাই সালাতিজ জোহরি সুন্নাতি রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
জোহরের ২ রাকায়াত নফল নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল নাফলি মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
আছরের নামাজ
আছরের নামায মোট ৮ রাকাত। কোন লাকড়ির ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর হইতে সূর্যাস্তের ১৫/২০ মিনিট পূর্বে পর্যন্ত আছরের নামাযের সময় থাকে।
আছরের চার রাকায়াত সুন্নাত নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
আছরের চার রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইত ুআন্উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকায়াতি সালাতিল আছরি ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
মাগরিবের নামাজ
মাগরিবের নামায মোট ০৭ রাকায়াত। সূর্যাস্তের পর হইতে মাগরিবের নামাযের সময় হয় মাগরিবের ওয়াক্ত অতি অল্পকাল স্থায়ী।
মাগরিবের ৩ রাকায়াত ফরজ নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
মাগরিবের ২ রাকায়াত সুন্নাত ফরজ নামাযের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
উক্ত দুই রাকায়াত সুন্নত নামায শেষ হইলে দুই রাকয়াত নফল নামাজ পরিবেন।
এশার ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
এশার চার রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইত ুআন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা আরবাআ রাকয়াতি এশায়ি ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
এশার দুই রাকায়াত সুন্নাত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকায়াতি সালাতিল এশায়ি সুন্নাতু রাসুূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
তিন রাকায়াত বেতের নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা ছালাছা রাকায়াতি সালাতিল বিতরি ওয়াজিবুল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
বিঃ দ্রিঃ কেহ যদি ভুলিয়া কেবলা ঠিক করিতে না পারে তবে নিজের বিবেক যেই দিকে সাক্ষ্য যে, সেই দিকে মুখ করিয়া নামায পরিবে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাসবিহ
১। ফজরের নামাজের তাসবিহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।)-তিনি চির জীবিত ও চিরস্থায়ী।
২। জোহরের নামাজের তাসবিহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (হুয়াল আলিইয়্যাল আজীম)-তিনি শ্রেষ্ট্রতর অতি মহান।
৩। আছরের নামাজের তাসবিহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (হুয়ার রাহমা- নুর রাহীম)-তিনি কৃপাময় ও করুনা নিধান।
৪। মাগরিবের নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (হুয়াল গাফুরুর রাহীম)- তিনি মার্জনাকারী ও করুণাময়।
৫। এশার নামায পড়ে পরিবার তাসবিহ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (হুয়াল্ লাতিফুল খাবীর)- তিনি পাক ও অতিশয় সতর্কশীল।
জুমআর নামাজ
প্রতি শুক্রবার জোহরের সময় জোহরের নামাযের পরিবর্তে জামায়াতের সহিত দুই রাকায়াত ফরজ নামায মসজিদে পড়িতে হয়। মোসাফির, ব্যধিগ্রস্ত, খোড়া গোলাম, উম্মাদ, নাবালেগ ও অন্ধের জন্য ইহা ওয়াজেব নহে। যদি ইচ্ছাকরিয়া তাহারা পড়ে তাহা দুরস্ত হইবে। জুম্ আর পূর্বে খুৎবা পড়া ও ইমাম ছাড়া তিনজন লোক হওয়া প্রয়োজন। উহার ব্যতিক্রম হইলে জুম্আর নামায দুরস্ত হইবে না।
জুম্আর নামায মোট ২০ রাকয়াত। প্রথম- তাহিয়্যাতুল অজু ২ রাকায়াত। দ্বিতীয়- দুখুলুল মাসজিদ ২ রাকাত। তৃতীয়-কাবলাল জুম্আ ৪ রাকায়াত। চতুর্থ-ফরজ ২ রাকায়াত। পঞ্চম-বাদাল জুম্ আ ৪ রাকায়াত। ষষ্ঠ- আখেরজোহর ৪ রাকায়াত। সপ্তম- ওয়াক্তে সুন্নত ২ রাকয়াত।
তাহিয়্যাতুল অজু ২ রাকায়াত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসল্লিয়া লিল্লাহি-তাআলা রাকাতাই সালাতিত্তহিয়্যুাতুল ওজুয়ি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
দুখলুল মসজিদ ২ রাকায়াত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসল্লিয়া লিল্লাহি-তাআলা রাকাতাই সালাতিদুখলুল মাসজিদে সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
ক্বাবলাল জুম্আর ৪ রাকায়াত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াতু আন্ উসল্লিয়া লিল্লাহি-তাআলা আরবাআ রাকয়াতি সালাতিকাবলাল জুমুআতি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
জুমুআর ২ রাকায়াত ফরজ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসকিতা আন জিমমাতি ফারজুজ জুহরি বিআদায়ি রাকায়াতাই ছালাতিল জুমুআতি ফারজুল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাদাল জুমুআর ৪ রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উসল্লিয়া লিল্লাহি-তাআলা রাকাতাই সালাতিল বাদল জুমুআ’তি সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
সুন্নাতিল ওয়াক্তি দুই রাকায়াত সুন্নত নামাজের নিয়্যত।
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াতু আন্ উসল্লিয়া লিল্লাহি-তাআলা রাকাতাই সালাতিল ওয়াক্তি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
ক্বাজা নামাযের নিয়ত (ফরজ)
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াতু আন্ উকদিয়া লিল্লাহি-তাআলা আরবাআ রাকায়তাই সালাতিল ফাজরিল ফাওতি ফারজুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
জোহরের নামায ক্বাজা হইলে “আরবাআ’ রাকাতি সালাতিজ জোহরে” আছর হইলে আরবাআ’ রাকায়াতি সালাতিল আছর” মাগরিব হইলে “ছালাছা রাকয়াতি সালাতিল মাগরিব” ও এশার হইলে “আরবাআ রাকয়াতি সালাতিলএশায়ে” বলিতে হইবে।
অসুস্থ ব্যক্তির নামায
যে অবস্থায়ই হউক না কেন, নামায আদায় করিতে হইবে, অজু করিলে যদি পীড়া বৃদ্ধি পায়, তবে তায়াম্মুম করিয়া নামায পড়িতে হইবে। দাঁড়াইতে অসমর্থ হইলে বসিয়া এবং তাহাতেও যদি অক্ষম পশ্চিমদিকে পা রাখিয়া চিৎঅবস্থায় মাথার ইশারায় নামায আদায় করিতে হইবে। যদি রুকু সেজদা করিতে না পারে তবে বসিয়া ইশারায় নামায পড়িতে হইবে। ইহাতে পীড়িত ব্যক্তির নামায আদায় হইবে।
রোজার নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ ( নাওয়াইতু আন্ আছুমা গাদাম মিন শাহ্রি রামজানাল মুবারাকি ফারজাল লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাছ ছামিউল আলীম।)
ইফতার করিবার নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ ( আল্লা-হুম্মা ছুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্বালতু আলা রিজিক্বিকা ওয়া
আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরাহামার রাহিমীন।)
তারাবীহ নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা আলা রাকয়াতাই সিলাতিৎ তারাবীহী সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
(প্রত্যেক চারি রাকায়াত নামায পরিবার পর নিুলিখিত দোয়া তিনবার পড়িবে।)
তারাবীহ নামাজের দোয়া
(সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা জিল্ ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদানসুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ।)
(প্রত্যেক চারি রাকয়াত নামাযের পর এই মোনাজাত পড়িতে হইবে।)
তারাবি নামাজের মোনাজাত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির না মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু ইয়া মুজিরু, বিরাহ্মাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
ঈদুল ফিতরের নামাজ
ঈদ গাহে যেতে ও আসতে নিচের তকবীর মনে মনে পড়তে হবে।
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলা- হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহুু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হাম্দ।)
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ (নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লা-হি তায়ালা রাকয়াতায় সালাতিল ঈদিল ফিৎরে মাআ’সিত্তাতে তাকবীরাতে ওয়াজিবুল্লা-হি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)
ঈদুল আযহার নামাজ
ঈদুল আযহা নামাযের নিয়ত ঈদুল ফিৎরের নামাযের মতই শুধু মাত্র “ঈদুল ফিৎরের” পরিবর্তে “ঈদুল আযহা” পড়িতে হইবে।
মৃত ব্যাক্তিকে গোসল দিবার নিয়ম
মৃত ব্যাক্তি পুরুষ হইলে পুরুষে এবং স্ত্রী হইলে স্ত্রীলোকে গোছল দিবে। অবশ্য স্ত্রী জীবিত থাকিলে সে তাহার মৃত স্বামীকে গোছল করাইতে পারে। কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে পারিবে না। স্বামীর জন্য মৃত স্ত্রীকে শুধু দেখা যায়েজ, স্পর্শ জায়েযনহে। মুরদারকে প্রথম অজু করাইবে। ইহাতে নাকে পানি এবং কুলী করাইতে হইবে না।
সর্বপ্রথম শরীরে নাপাক থাকিলে উহা ভাল করিয়া ধূইয়া ফেলিবে। পানিতে কুল বা বরই পাতা ছাড়িয়া ঈষৎ গরম করিয়া লইবে; যে ব্যক্তি গোছল দিবে তাহার হাত একখন্ড কাপড় দ্বারা জড়াইয়া লইবে। গোসলের পূর্বে তুলা দ্বারামুর্দ্দারের নাক ও কানের ছিদ্র বন্ধ করিয়া দিবে। তিনবার নূতন নূতন নেকড়া দ্বারা দাঁত ও দাঁতের মাড়ি এবং নাক পরিস্কার করিয়া ফেলিবে। মাথার চুল এবং দাড়িতে সাবান লাগাইয়া ধুইয়া মাইয়্যাতকে বাম কাতে শোয়াইয়া ডানপার্শ্বে ধুইবে, তৎপর ডান কাতে শোয়াইয়া বাম পার্শ্ব ধূইবে। মাথা হইতে পা পর্যন্ত পানি ভালরুপে তিনবার বহাইয়া দিবে। অতঃপর মাইয়্যেতকে আধা আধি বসাইয়া বা কোথাও হেলান দিয়া পেটে আস্তে আস্তে দাড়াইবে। এতে মলমূত্রকিছু বাহির হইলে ধুইয়া ফেলিবে। পুনঃ অজু গোসলের দরকার হইবে না।
গোসল শেষ করিয়া শুকনা কাপড় দ্বারা উত্তমরুপে মুছিয়া ফেলিবে এবং মাথঅর চুলে দাড়িতে আতর এবং সেজদার জায়গায় কর্পুর লাগাইয়া কাফন পরাইবে।
কাফন পরাইবার নিয়ম
পুরুষের জন্য কাফনের কাপড় তিনটিঃ -১। লেফাফা- ইহা মাথা হইতে পা পর্যন্ত ঢাকিয়া দিবে। ২। ইজার – ইহা মাথা হইতে পায়ের টাখ্নু পর্যন্ত । ৩। পিরহান-ইহা গলা হইতে পায়ের গিরা পর্যন্ত।
মেয়েলোকদের জন্য আরও দুইখানা অতিরিক্ত কাফন দিতে হইবে। ৪। সিনাবন্দ -ইহা বগল হইতে জানু পর্যন্ত ৫। উড়না অর্থ্যাৎ চুল বাঁদার জন্য অতিরিক্ত একখানা কাপড় এই মোট ৫ খানা কাপড় দিয়া কাফন দিতে হইবে।
পুরুষের জন্য প্রথমে লেফাফা বিছাইবে, তৎপর ইজার , তারপর পিরহান। মৃতব্যাক্তিকে তার উপর শোয়াইয়া প্রথম পিরহান পরাইবে তারপর ইজার বামদিক হইতে প্রথমে উঠাইয়া তারপর ডান দিক হইতে উঠাইয়া আবৃত করিবে।ইহার পর লেফাফা দ্বারা মুড়িয়া ফেলিবে। মেয়েলোকদের জন্য সর্বপ্রথম সিনা বন্দ বিছাইবে। তারপর পুরুষের যে ভাবে লিখা হইয়াছে তদ্রুপ করিবে এবং শেষে লেফাফা দ্বারা মুড়িয়া ফেলিবে।
জানাযার নামাজের নিয়ত
বাংলা উচ্চারণ ঃ “নাওয়াতু আন্ ওয়াদ্দিয়া আরবায়া তাকবীরাতি সালাতিল জানাযাতি ফারজুল কেফায়াতি আচ্ছানাউ লিল্লা-হি তাআলঅ ওয়াচ্ছালা-তু আলান্নাবিয়্যি ওয়াদ্দুয়াউ লিহা-যাল মাইয়্যিতি মুতাওয়াজজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
মৃত লাশ স্ত্রীলোক হইলে লিহাযাল মাইয়্যিতি না বলিয়া লিহাযিহিল মাইয়্যাতি বলিতে হইবে। নিয়ত করিয়া প্রথম তাকবীর বলিয়া তাহরীমা বাঁধিয়া এবং ইমাম ও মোক্তাদি সকলেই দোয়া ছানা পড়িবে।
জানাযার নামাজের ছানা
বাংলা উচ্চারণ ঃ (ছোবাহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারা কাছমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ও জাল্লা ছানাউকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা।)
ছানার পর তাহ্রীমা না ছাড়িয়া সশব্দে দ্বিতীয় তাকবীর বলিয়া নিুের দরূদ শরীফ পড়িতে হইবে।
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লা- হুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ওয়া ছাল্লামতা ওয়া বারাকতা ওয়া তারহামনা আলা ইব্রা-হিম ওয়া আলা আ-লি ইব্রা-হিম ইন্নকা হামিদু মাজীদ”)
তারপর তৃতীয় তাকবীর বলিবে (হাত না উঠাইয়া)। পূর্ণ বয়স্ক লোকের জন্য নিুলিখিত দোয়া পড়িবেনঃ
বাংলা উচ্চারণ ঃ (আল্লাহুমাগফির লি-হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়িতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িবিনা ওয়া ছাগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উনসানা আল্লাহ হুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইছলামী ওয়ামান্ তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ঈমানি বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
এই দোয়ার পর চতুর্থ তাকবীর বলিবে (হাত না উঠাইয়া) এবং নিয়মানুসারে ছালাম ফিরাইয়া নামায শেষ করিতে হইবে।
জানাযা নাবালেগ ছেলের হইলে উপরোক্ত দোয়ার পরিবর্তে নিুের দোয়া পড়িবেঃ
“আল্লা-হুম্মাজ আলহু লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলাহু লানা আজরাওঁ ওয়া জুখরাওঁ ওয়াজ আলহু লানা শাফিয়াওঁ ওয়ামুসাফফিয়ান।”
মৃত নাবালেগা মেয়ে হইলে পূর্ব দোয়ার প্রত্যেক ‘হু’ শব্দের পরিবর্তে ‘হা’ শাফিয়াঁ স্থলে শাফিয়াতাঁ আর মুশাফফিয়ান এর স্থলে মুশাফিয়াতান পড়িতে হইবে।
লাশকে কবরে রাখার দোয়া।
বাংলা উচ্চারণঃ বিস্মিল্লাহা ওয়া আলা মিল্লাতি রাছুলিল্লাহা।
কবরে মাটি দেয়ার দোয়া
বাংলা উচ্চারণঃ (মিন্হা খালাক্ক্না কুম অফীহা নুঈদুকুম অমিন্হা নুখরিজুকুম তা -রাতান ওখ্রা ।)
কবর জিয়ারতের দোয়া
বাংলা উচ্চারণঃ “আসসালামু আলাইকুম মিররাব্বিকুম ইয়া আহলাদ দিয়ারি মিনাল মু’মিনিনা ওয়াল মুমিনাতু ওয়াল মুছলিমিনা ওয়াল মুছলিমাতি ইয়ার হামাল্লা-হু বি কুমুল লা-হিকুনা নাছ আলাল্লাহি লানা ওয়ালা কুমুলঅফিয়্যাতা।”
উপরোক্ত দোয়া পড়ার পর একবার আয়তুল কুরছি ও একবার ইজাজুল জিলাতিল সূরা পড়িতে হইবে।