হঠাৎ পেছন থেকে কারো গলার শব্দ শুনে ঘুরে তাকালো মেয়েটা।দেখলো,একটা ছেলে, প্রায় তারই সমবয়সী,অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।কপালের উপর নামিয়ে দেয়া চুল,গালে হালকা খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি।মেয়েটা অবাক হল,যখন দেখলো তাওসীফ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা কি তাকেই দেখছে?ডেকেও আবার চুপ করে আছে কেন!!!আচ্ছা পাগল তো!
...
মেয়েটার পাশে দাঁডিয়ে থাকা বান্ধুবীটা হঠাৎ তাওসীফকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-"এই যে ভাইয়া,আপনি আমাদেরকে ডাকছেন?"
এতক্ষণ পর হুঁশ ফিরে পেল তাওসীফ। মেয়েটা ঘুরে তাকানোর পর থেকেই মেয়েটার দিকে মুগ্ধভাবে তাকিয়ে আছে সে।আহা!চোখগুলো যেন সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে বাঁধাই করে দিয়েছেন মেয়েটার মাঝে। বেগুনী রংয়ের ক্লিপ,এক পাশে কাঁধ পর্যন্ত নেমে আসা চুল,চোখের সেই চাহনি, যেদিকে তাকিয়ে তাওসীফ সারাজীবন কাটিয়ে দিলেও এই মুগ্ধতা শেষ হবেনা...
হঠাৎ মেয়েটার বান্ধুবীর কথায় ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরে এলো তাওসীফ।এতক্ষণ সে শুধু মেয়েটাকেই দেখছিল অবাক হয়ে। আশেপাশে কি হচ্ছে সেসব নিয়ে কোনো খেয়ালই ছিল না তার!
-"এই যে ভাইয়া,হ্যালো...আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি"
-"ও হ্যা।কি যেন বললেন আপু?"
-(মাথাটা ঠান্ডা রেখেই বললো বান্ধুবীটা)-"আপনি কি আমাদেরকে ডাকছিলেন?"
-"না মানে,আ-আ-আপনাকে না,আপনার পা-পা-পা...." :v
-"কি!আমার পা?" :o
-"মানে আপনার পা-পাশের মেয়েটাকে ডা-ডাকছিলাম"
-"ও আচ্ছা।শায়মা,এই ভাইয়াটা তোকে ডাকতেসে।চিনোস উনাকে?পরিচিত?"
(তাওসীফের হার্টবিট প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এখন)
মেয়েটা আস্তে আস্তে মাথা নাড়ে,বান্ধুবীটা আবার জিজ্ঞেস করে,"ভালো করে চিন্তা করে দেখ তো।হয়তো তোর কাছে কোনো প্রয়োজনে এসেছে।"
মেয়েটা আগের মতই মাথা নাড়ে।না,সে এই ছেলেটাকে চিনতে পারছে না।এই ছেলেটা তো তার কোনো বন্ধুও না,হঠাৎ এমনভাবে ডাকলো কেন সেটাও বুঝতে পারছে না মেয়েটা।মিতুর(তার বান্ধুবী) দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নাড়লো।
.
-"ভাইয়া,আপনি মনে হয় কোনো ভুল করছেন।শায়মা আপনাকে চিনতে পারছে না।আপনি হয়তো অন্য কাউকে খুঁজছেন।"
.
কি বলবে তাওসীফ?সে কিভাবে বুঝাবে যে সে এই মেয়েটাকেই দেখেছিল ক্যাফেটেরিয়ার বাইরে।কিভাবে বুঝাবে বসন্তের এক দুপুরে এই মেয়েটার দিকে প্রথম দেখাতেই সে মুগ্ধভাবে তাকিয়ে ছিল! সাহস করে বলেই ফেললো,
-"আপু,আমি ওকেই খুঁজছিলাম।আচ্ছা আপনারা কোন সেমিস্টারে?"
-সেটা জানা কি খুব দরকার আপনার? শায়মার কাছে কেন আসছেন এইটা বলে বিদায় হন।"
...
মিতুর কথা শুনে তাড়াতাড়ি হাত ধরে তাকে থামালো শায়মা।মিতু মেয়েটা সবসময়ের সঙ্গী ওর,কিন্তু ভারি প্রেকটিকাল মাইন্ডের।কোথায় কখন কি বলবে বুঝেনা।ওকে থামানো দরকার। অপরিচিত মানুষের সাথে এইভাবে কথা বলা ঠিক হচ্ছেনা।হয়তো কোনো দরকারে কাউকে খুঁজছে ছেলেটা।
.
থতমত হয়ে তাওসীফ শুধু বললো,
-"আসলে আপু,শায়মাকে আমি গতকাল প্রথম দেখি।আমি যখন ক্যাফেটেরিয়াতে চা খাচ্ছিলাম,বাইরে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি এই মেয়েটাকে।প্রথমে নিজের চোখকে বিলিভ করতে পারিনাই একটা মেয়ে এতটা সুন্দর হয় কিভাবে!ভাবছিলাম আমি কি ঠিক দেখছি,নাকি এটা কোনো স্বপ্ন!তাই আজ পুরো ক্যাম্পাসে শায়মাকে খুঁজে গেলাম শুধু এই কথাটা বলার জন্য।"
এক নিঃশ্বাসে সবগুলো কথা বলেই এইবার শায়মার চোখের দিকে সোজা চোখ রেখে বললো,"আমি জানিনা তুমি কথাটা বুঝছো কিনা।কিন্তু আমি যা বলছি,সবটুকু সত্য"
.
শায়মা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।সে কি শুনছে এইসব! একটা ছেলে এভাবে সামনে এসে সব বলে দিলো,তাও আবার চোখে চোখ রেখে বললো,"যা বলছি,সবটুকু সত্য"!
তাওসীফ অপেক্ষায় থাকে কোনো উত্তরের। আচ্ছা,মেয়েটা একটা কথাও বলছে না কেন!
.
পাশ থেকে মিতু হঠাৎ বললো,"এই যে, আপনাকে সিনিয়র ভেবে সম্মান দিয়ে কথা বলেছি,রেসপন্স করেছি তার মানে এই না যে আপনি যা ইচ্ছা তাই বলবেন। শুনেন,এইরকম রোড-সাইড রোমিওদেরকে ভালোই চেনা আছে আমাদের।চলে আয় শায়মা,এইখানে আর এক সেকেন্ডও থাকিস না।চল তোকে বাসায় নামায় দিয়ে আসি।যত্তসব বজ্জাতের দল।"
.
বলেই আর দেরি করলো না মিতু।শায়মার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো।শায়মা কিছুই বুঝতে পারছে না।ছেলেটাকে তো খারাপ মনে হয় নাই তার।মিতুটা আসলেই বড্ড বেশি প্রেকটিকাল মাইন্ডের।না বুঝেই কতগুলো কথা শুনিয়ে দিলো!যেতে যেতেই একটাবার পেছনে তাকালো শায়মা।কি আশ্চর্য! ছেলেটা এখনো সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে! আহারে,ছেলেটা হয়তো কষ্ট পেয়েছে কথাগুলো শুনে।মিতুটা আর ঠিক হবে কবে!সারাদিন দারোগার মত কথা বলে,মনে হয় যেন স্কুলের রাগী একটা হেডমিস্ট্রেস।আচ্ছা,মিতুর যখন বিয়ে হবে,ওর হাজব্যান্ডও কি এভাবে বকা শুনবে প্রতিদিন?মেয়েটা কি একটুও বদলাবে না!!
...
শায়মা আর মিতু একদম পিচ্চিকালের বান্ধুবী।স্কুল লাইফ,কলেজ লাইফ,এমনকি ভার্সিটি লাইফে এসেও তারা একসাথেই আছে।খুব ছোটবেলায় শায়মা কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে সে।মেয়ের চিকিৎসার কোনো কমতি রাখেন নাই মাহমুদ কবীর ও তানিয়া কবির।কিন্তু সবক্ষেত্রেই ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছেন।ছোটবেলায় শায়মার এই ব্যাপারটায় একটু কষ্টই হত,আশেপাশের সবাই কথা বলতে পারে আর সে চাইলেও পারেনা,এটা নিয়ে তার মন খারাপ থাকতো খুব।এখন অবশ্য মেনে নিয়েছে ব্যাপারটা।নিজেকে বুঝিয়েছে, সৃষ্টিকর্তা হয়তো তাকে এই জিনিসটা দেন নাই।হয়তো এটার বদলে তার জীবনে অন্য কোনো কিছু রেখেছেন,তিনি তো কাউকে খালি হাতে ফেরান না কখনো...
.
অবশ্য একটা ব্যাপারে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করে সে।খুব ভালো কিছু বন্ধু আছে তার,একদম স্কুল লাইফ থেকেই।বাবা-মায়ের পর এরাই বলতে গেলে তার সবকিছু।মিতু তো তার আপন বোনের চেয়েও বেশি।সেই ক্লাস থ্রি থেকে প্রতিটা ব্যাপারে শায়মাকে আগলে রাখে। বান্ধুবীদের মধ্যে সে একটু নেতা টাইপের। সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে সেলফিতে সবার সামনে তার স্থান সবসময় নির্ধারিত।অন্য সবার চেয়ে শায়মাকে তো একটু বেশিই কেয়ার করে সে।স্কুল লাইফে, কলেজ লাইফে সবাই মিলে কত মুভি দেখেছে,রাত জেগে একজন আরেকজনকে ডিস্টার্ব করা,কোনো হরর মুভি দেখতে গিয়ে সবাই মিলে একসাথে ভয় পাওয়া, কোনটা করেনাই তারা! ছয়জনের ছোট্ট ফ্রেন্ড সার্কেলটা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শায়মার বাসায় একত্রিত হত।ছাদে বসে মিতু গিটার বাজাতো,শায়মার লেখা গান। ইরা,নিশাত,মুমু,রিজওয়ানা বসে বসে গলা মেলাতো।আহা!কি সুন্দরই না ছিল কলেজ লাইফের সেই বিকেল গুলো!
.
ইন্টারের পর একেকজন একেকজায়গায় চলে যায়।ইরার বাবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করেন বলে তার এইবারের ট্রান্সফারের পর ভাবলেন ফ্যামিলির সাথে মেয়েকেও নিয়ে যাবেন কানাডায়।ইরা একদমই যেতে চায়নি,এত বছরের ফ্রেন্ডশিপ,আড্ডাগুলো ফেলে কিভাবে যাবে সে!তাও যাওয়ার দিনটা দ্রুতই চলে আসে।এয়ারপোর্টে তাকে বিদায় জানাতে আসে পাঁচ বান্ধুবী।নিশাত তো খুব কাঁদছিল,আগামী দুইবছর যে দেখা হবে না ইরার সাথে!মিতু গম্ভীর টাইপের হলেও সেদিন তার চোখেও পানি এসেছিল।শায়মাকে জড়িয়ে ধরে ইরা কানেকানে বললো,"ভালো থাকিস দোস্ত।প্রতিদিন কল দিবি আমাকে,ভালো মত খাওয়া-দাওয়া করবি,একা ঘর থেকে বের হবি না।আমি তো আসবোই দুই বছর পর।দেখিস এর মধ্যে বিয়ে করে ফেলিস না যেন!!" :p
...
নিশাত,মুমু,রিজওয়ানা ইন্টারের পর অন্য শহরে চলে গেলেও ভার্সিটি লাইফে মিতু আর শায়মা একসাথেই আছে।মিতুটা রাগী টাইপের হলেও শায়মার লাইফে ওর অবদান অনেক।শায়মার চোখ দেখেই সে বুঝে যায় তার মনের অবস্থা।সবাই অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পরেও তাই মিতু শায়মাকে বলেছিল,
"তুই হচ্ছিস আমার বাচ্চা,আমার মেয়ে।আমার মেয়েকে ছেড়ে আমি কক্ষনো কোত্থাও যাবো না,যাবো না,যাবো না। দরকার হলে বিয়েও একসাথে করবো, কেমন?" :v
...
শায়মা জীবনে বলতে গেলে প্রায় সবই পেয়েছে।এত অসাধারণ কিছু ফ্রেন্ড, চমৎকার ফ্যামিলি,বাবা-মা তো সবদিক দিয়েই শায়মাকে খুব হেল্প করে।কথা বলতে না পারা ছাড়া শায়মার আর কোনো সমস্যা নেই।দেখতে মোটামুটি অসম্ভব সুন্দরী, চোখগুলোর দিকে একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায় না।জন্মের সময় তার দাদি তাকে প্রথমে কোলে নিয়েই তার মাকে বলেছিলেন,"তানিয়া,এইটা মানুষ না,একটা পরী জন্ম দিছো তুমি"।পড়ালেখার ব্যাপারেও সে খুব ভালো রেজাল্ট করে এসেছে।হলিক্রস কলেজে ওদের সেকশনে সবসময়ই এক থেকে তিনের মধ্যেই ছিল।সেখান থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্কাল্পচার ফ্যাকাল্টিতেও তার ভালোই রেজাল্ট।
সবমিলিয়ে জীবনে ভালোই চলছিল সবকিছু।
মাহমুদ কবীর তার মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে প্রায় ছয় মাস ধরে চিন্তাভাবনা করা শুরু করেছেন,যদিও শায়মার মতামতের চেয়ে মিতুর মতামতটাই তাদের শুনতে হচ্ছে। মিতু কোনোভাবেই শায়মাকে ছাড়তে রাজি না।একবার তো বলেই দিয়েছিল, "আংকেল,আমার মেয়েটাকে আমার কাছে দিয়ে দেন।আমি ওকে সারাজীবন রেখে দিবো যত্ন করে,কারো কাছে যেতে দিবো না।" :D
.
তানিয়া কবির ও মাহমুদ কবির দুজনেই খুব হেসেছিলেন সেদিন।মেয়ে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে,বিয়ে তো দিতেই হবে।মাহমুদ কবিরের বন্ধু ছেলে সাদমান,লন্ডনে এফ আর সি এস করতে গেছে,বেশি ভালো ছেলে, সামনের সপ্তাহেই দেশে আসবে,মাহমুদ সাহেব ঠিক করেছেন একদিন তার বন্ধুর পুরো পরিবারকে বাড়িতে ডিনারের দাওয়াত করবেন।এই ফাঁকে সাদমানের সাথে শায়মার যদি পরিচিতিটা হয়ে যায়,তাহলে তো ভালোই হয়!
.....
মিতু শায়মাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেছে। তখন একটু বৃষ্টি শুরু হয়েছিল,এখন সেটা বেড়েছে।বিকেলে বারান্দায় বসে বাইরের বৃষ্টি দেখছিল শায়মা,ল্যাপটপে মিতুকে একটা গান পাঠিয়ে দেখল সে অনলাইনে আছে কিনা।না,নেই।হয়তো বাসায় গিয়ে ঘুমোচ্ছে এখন।ল্যাপটপটা বন্ধ করে বাইরে তাকালো শায়মা।
...
অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে,বাসার সামনের রাস্তাটায় একটু একটু পানিও জমতে শুরু করেছে।ইরাকে খুব মনে পড়ছে তার,মেয়েটা বৃষ্টি হলেই শায়মাকে একটানে ছাদে নিয়ে যেতো।কতদিন যে তারা বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়েছে,তার কোনো হিসাব নেই!
.
বারান্দায় চেয়ারে বসে বৃষ্টি দেখছে শায়মা। মা গেছেন খালার বাসায়,বাবার অফিস থেকে ফিরতে রাত হবে।শায়মার একটা অভ্যাস আছে,সারাদিন কি কি হয় সবকিছু ডায়েরিতে লিখে রাখে।রুম থেকে ডায়েরিটা নিয়ে এসে বারান্দায় লাইটটা জ্বালিয়ে বসলো।বৃষ্টির শব্দের সাথে লিখতে ভালোই লাগে তার।
সারাদিনের সবকিছু লিখতে গিয়ে একটা জায়গায় এসে থেমে গেল সে।আচ্ছা,মনে পড়ছে এখন,ঐ তো ক্যাম্পাসে একটা ছেলে এসেছিল হঠাৎ তার সামনে,পেছন থেকে ডাক দিয়েছিল।মিতুটার জন্য তো বেশিক্ষণ থাকাই গেলো না সেখানে!মিতুটা কেন যে এমন করে! টেনে টেনে বাসায় নিয়ে গেছে শায়মাকে।ছেলেটাকে দেখে তো তার খারাপ কিছু মনে হয়নাই।আচ্ছা,ছেলেটা কি তাকেই খুঁজছিল?এক নিঃশ্বাসে কি যেন বলছিল ছেলেটা?ও হ্যা,সে বলছিল শায়মাকে গতকাল দেখেছে ক্যাফেটেরিয়াতে।কিন্তু এর পর সে বললো,"নিজের চোখকে বিলিভ করতে পারিনাই একটা মেয়ে এতটা সুন্দর হয় কিভাবে!ভাবছিলাম আমি কি ঠিক দেখছি,নাকি এটা কোনো স্বপ্ন!"
ছেলেটা এমন বললো কেন!
শেষে তো চোখের দিকে তাকিয়েই বললো,
"আমি জানিনা তুমি কথাটা বুঝছো কিনা।কিন্তু আমি যা বলছি,সবটুকু সত্য!"
..
ছেলেটা কেমন করে যেন তাকিয়েছিল। আচ্ছা,ছেলেটার নাম কি?ও কোথায় পড়ে?কিছুই তো জানলো না।উফফ! মিতুটাকে আচ্ছামতো বকা দিতে হবে,কেন যে তখন টেনে নিয়ে আসলো!
...
ডায়েরিতে লিখে চলেছে এসব।শায়মা ভাবছে,চলে যাওয়ার সময়ও অনেক দূর থেকে একবার পেছন ফিরে তাকিয়েছিল সে,ছেলেটা তখনো দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে, তাকিয়ে ছিল তার দিকে।
আচ্ছা,ছেলেটা চোখের দিকে তাকাতেই এমন লেগেছিল কেন শায়মার?ওর তাকানোর মধ্যে কি তাহলে স্পেশাল কিছু ছিল?
.
এইটুকু লিখে ডায়েরিটা বন্ধ করে বাইরে তাকালো সে।বৃষ্টি পড়ছে অঝোর ধারায়,কেমন যেন চমৎকার একটা বাতাসও হচ্ছে।কোথায় যেন পড়েছিল,"সব বৃষ্টিতে কাল-বৈশাখী হয়না,সব বৃষ্টিতে বন্যা হয়না,কিছু বৃষ্টি হয় শুধুই উপভোগের,কিছু বৃষ্টি হয় মন ভালো করে দেয়ার..কিছু বৃষ্টি,শুধুই ভালো-লাগার..."
আচ্ছা,এটাই কি সেই বৃষ্টি?
............
(চলবে)
__________________
লেখা:রাহবার-এ-দ্বীন
গল্প:অস্ফুট নীল বিভাবরী(৩য় অংশ)