আমার একটা রং-পেন্সিলের বক্স ছিল,
আমি তোমায়, সব রঙ দিতে চাইতাম।
যতটুকু রঙ দিলে, তোমার ধূসর আকাশ হয় নীল,
যতটুকু রঙ দিলে, তোমার নীল আকাশে বৃষ্টি আঁকা যায়।
আমার একটা ছবি আঁকার ক্যানভাস ছিল,
আমি তোমায়, সব রঙে আঁকতে চাইতাম।
যতটুকু আঁকলে, তোমার মন খারাপের দিন মুছে যায়,
যতটুকু আঁকলে, তোমার ছাই রঙা স্কেচ হয় বর্ণিল।
আমার একটা হারমোনিকা ছিল,
আমি তোমায়, সব সুরে গাইতে চাইতাম।
যতটুকু গাইলে, কেউ শত মাইল দূরেও শুনতে পায়
যতটুকু গাইলে, কারো মধ্যরাতের ঘুম হারিয়ে যায়।
আমার একটা ফাউন্টেনপেন ছিল,
আমি তোমায়, কালো কালিতে লিখতে চাইতাম।
যতটুকু লিখলে, কারো প্রিয়তমেষুর গল্প লেখা হয়,
যতটুকু লিখলে, কারো অপেক্ষার গল্প সত্যি হয়।
তোমার শার্টের সাইজ কিংবা ফুড হ্যাবিট,
খুব সকালে ঘুম থেকে তুলে দেয়া,
কিংবা বিকেলে বাইরে যাওয়ার সানগ্লাস,
আমি শুধু তোমার অগোছালো পৃথিবীটা,
অল্প একটু গুছিয়ে দিতে চাইতাম।
তুমি কি খুব অভিমান করতে?
হয়তো তুমি না চাইতেই, অনেক বেশি কথা বলতাম,
তুমি কি খুব বিরক্ত হতে??
আমার একটা পুরোনো ডায়েরী ছিল,
পুরোনো একটা পৃষ্ঠার ভাঁজে,
রেখেছিলাম একটা যত্নে লেখা অপেক্ষার চিরকুট,
একদিন হয়তো পুরোনো চিরকুট টা হারিয়ে যাবে..
পৃথিবীতে কেউ বিরহের গল্প মনে রাখে না...