উনষত্তর বছর আগের সেই বসন্তেও নতুন ফুল ফুটেছিল,
প্রেমিকার রাঙা হাতের স্পর্শের অপেক্ষায় ছিলো কেউ,
তোমাদের সেই বসন্তের গল্প শোনাবো আজ।
ফাল্গুনের যে সকালে,
শুভ্র রজনীগন্ধা হয়েছিলো রক্ত-রাঙানো।
গল্পের মত লাগছে?
হ্যা গল্পই তো, পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম বিজয়ের গল্প শোনাবো তোমাদের।
স্মৃতি হয়ে আছে সেক্রেটারিয়েট রোড,
স্মৃতি হয়ে আছে দোয়েল চত্বর
কিংবা ঢাকা মেডিকেলের ফটক,
ভাষার জন্য রক্ত দেয়া,
মুখের জবানের জন্য জীবন দেয়া বাঙালি,
আমাদের সাহসীকতার মহাকাব্যের এক অনন্য স্তবক।
প্রেমিকার খোঁপায় লাল গোলাপ গুঁজে দেয়া যুবকের
রক্তে লাল হয়ে গেল রাজপথ।
মায়ের চিকিৎসায় মেডিকেলের আউটডোরে ছোটাছুটি
করা যুবকের বুক পকেট হলো রক্তে রঞ্জিত।
পৃথিবীর বুকে কোনো জাতি প্রথম তার ভাষার জন্য রক্ত দিল,
হ্যা, তোমাদের সেই বসন্তের গল্পই বলছি
উনষত্তর বছর আগের একটা বসন্ত এসে আমাদেরকে প্রথম বিজয়ের গল্প শুনিয়েছিলো,
মায়ের ঘরের ছেলে হয়তো ঘরে ফেরে নি,
মাতৃভাষা হিসেবে তাদের আত্নত্যাগ ফিরেছে
অযুত কিংবা সহস্র কন্ঠে,
মায়ের কোলে শিশুর প্রথম কথায়,
প্রেমিকার প্রেমপত্রের ভাঁজে স্নিগ্ধ গোলাপে,
কিংবা দূরে হারিয়ে যাওয়া কারো নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে..
বাংলা হারিয়ে যাবে না,
বেঁচে থাকবে বহুদিন,
নেপথ্যের একুশ যে অনেক বেশি মমতায়
আঁকড়ে রাখবে বাংলাকে!
বেঁচে থাকুক একুশ