হিন্দু কুশপুত্তলিকা

আমাদের ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য,  যা মানুষকে সর্বপ্রথম  উদার হবার শিক্ষা দেয় , চেতনার বিকাশ তো অনেক পরের ধাপ ( ইচ্ছে করেই হিন্দু ধৰ্ম লিখলাম না, হিন্দু  Identity আমার  মনে হয় বিদেশ থেকে দেগে দেওয়া পরিচয়, এখন আর মেনস্ট্রিমে  অজানা নয় যে  আজ আমরা যেমন পাশ্চত্য সংস্কৃতি কে ওয়েস্টার্ন কালচার বলি সেই রকম সিন্ধু নদীর এই দিকের সংস্কৃতি কে পারসিয়ান আর তাদের থেকে শুনে রোমানরা হিন্দ বলত কারণ ওদের স উচ্চারনের ব্যবহার কম ছিল ) তা কিছু উদভ্রান্ত অপরিণাম দর্শী মানুষের অতিসক্রিয়তায় ( যাদের না আছে নিজের সংস্কৃতি শেখা বা জানার ইচ্ছা বা প্রয়াস না আধ্যাত্বিক চর্চার অন্তরের তাগিদ ) এক বিকৃত ভয়ানক ধারণা  সৃষ্টি করছে।

আমার তো মনে হয় এর থেকেও বড় কন্সপিরেন্সি হচ্ছে যে ভাবে হিন্দু নামে একটা স্ট্র ম্যান ( কাকতাড়ুয়া ) সর্বজনিত ভাবে মনে যে ভাবে  গেঁথে দেওয়া হয়েছে।  তার চরিত্রায়ন এই রকম করা হয়েছে যে -  মনুস্মৃতি হচ্ছে তার ম্যানুয়াল, সে হচ্ছে সতীপ্রথার সমর্থক ,  সমাজের বড় অংশকে  শূদ্র নাম দিয়ে তাদের শোষণ করে এসেছে যুগ যুগ ধরে , মেয়েদেরকেও  শোষণ করে চলে ধর্মের নামে , সমস্ত রকম সাম্যের পরিপন্থী , কু সংস্কারগ্রস্থ , ব্যাকডেটেড, পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা আর রগচটা পৌরুষই সম্বল একটা ক্রিয়েচার।  তার পারে আমাদের নামের সঙ্গে ধৰ্ম লিখতে হয়েছে হিন্দু।  এরপর তাকে নিজের শিকড়ের  বিরুদ্ধগামী করতে আর কিছু কি করতে হয়।  

অথচ সত্য হচ্ছে হিন্দু নামটাও কেউ একটা দেগে দিয়েছে তাদের নিজেদের দলের ভিন্নতা প্রকাশ করার প্রয়োজনে।