আমাদের ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য, যা মানুষকে সর্বপ্রথম উদার হবার শিক্ষা দেয় , চেতনার বিকাশ তো অনেক পরের ধাপ, তার সম্বদ্ধে এক ভয়ানক ধারণা সৃষ্টি এবং প্রচার করা হয় - কিছু উদভ্রান্ত অপরিণাম দর্শী মানুষের অতিসক্রিয়তায় যাদের না আছে নিজের সংস্কৃতি শেখা বা জানার ইচ্ছা বা প্রয়াস না আধ্যাত্বিক চর্চার অন্তরের তাগিদ। এখানে ইচ্ছে করেই হিন্দু ধৰ্ম লিখলাম না, হিন্দু Identity তো আমাদের সংস্কৃতিকে বিদেশ থেকে দেগে দেওয়া পরিচয়, এখন আর মেনস্ট্রিমের অজানা নয় যে আজ আমরা যেমন পাশ্চত্য সংস্কৃতি কে ওয়েস্টার্ন কালচার বলি সেই রকম সিন্ধু নদীর এই দিকের সংস্কৃতি কে পারসিয়ান আর তাদের থেকে শুনে রোমানরা হিন্দ বলত কারণ ওদের স উচ্চারনের ব্যবহার কম ছিল।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে যেই উদ্দেশ্য নিয়ে কমুনিজমকে ইমপ্লান্ট করা হয়েছে ভারতের মাটিতে তা অনেক অংশেই সফল। ব্রিটিশ কারাগারে অল্পবয়সি বন্দীদের এই সব পুস্তিকা এগিয়ে দেওয়া হত তারা যেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবন পন করতে বসেছিল তাকে কাউন্টার করতে । সেদিনের আঠার বছর বয়েসের ভাবাবেগের উর্বর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে যেই বীজ বসানো হয়েছে একশ বছর আগে তার প্রভাব আমাদের জীবনের প্রান্তভাগেও , এত জীবন দেখার পরেও রয়ে গেছে।
আমার তো মনে হয় এর থেকেও বড় কন্সপিরেন্সি হচ্ছে যে ভাবে হিন্দু নামে একটা স্ট্র ম্যান ( কাকতাড়ুয়া ) সর্বজনিত ভাবে মনে যে ভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। তার চরিত্রায়ন এই রকম করা হয়েছে যে - মনুস্মৃতি হচ্ছে তার ম্যানুয়াল, সে হচ্ছে সতীপ্রথার সমর্থক , সমাজের বড় অংশকে শূদ্র নাম দিয়ে তাদের শোষণ করে এসেছে যুগ যুগ ধরে , মেয়েদেরকেও শোষণ করে চলে ধর্মের নামে , সমস্ত রকম সাম্যের পরিপন্থী , কু সংস্কারগ্রস্থ , ব্যাকডেটেড, পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা আর রগচটা পৌরুষই সম্বল একটা ক্রিয়েচার। তার পারে আমাদের নামের সঙ্গে ধৰ্ম লিখতে হয়েছে হিন্দু। এরপর তাকে নিজের শিকড়ের বিরুদ্ধগামী করতে আর কিছু কি করতে হয়।
অথচ সত্য হচ্ছে হিন্দু নামটাও কেউ একটা দেগে দিয়েছে তাদের নিজেদের ভাবধারার ভিন্নতা প্রকাশ করার প্রয়োজনে।
রামমোহন আর সতীদাহ নিয়ে বাঙালী শিক্ষিত মানসিকতায় যে ন্যারেটিভে গেঁথে দেওয়া হয়েছে , তা খুবই ধংসাত্মক, আমি একটা আলোচনাতে এটা লিখেছিলাম - তুই কী চাস , আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও নিজেদের শিকড় সম্পর্কে এই ধারণাই পোষণ করুক ? রাম কী করেছিল আমার জানা নাই , রামমোহন কী করেছিল তা বইতে পড়েছি। কিন্তু নিজের বংশের ইতিহাসে বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে মাতৃসম করে আগলে রাখার আর অসময়ে পারলগকগত ভাইয়ের সন্তানদের নিজ সন্তানের সমান মনে করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলার দৃষ্টান্ত আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকটি আছে , কিছু রামমোহনের আগেরও ......আমি নিশ্চিন্ত তোদের পরিবারের মধ্যেও আছে "......সেটাই আমাদের গর্বের ইতিহাস.....আমাদের ভারতের ইতিহাস
এবার আসি ভারতীয় সমাজের জাতিভেদের প্রসঙ্গে , দূর্বলকে সামাজিক অত্যাচারের বাইরে আসার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে তার বিশ্বাস জাগ্রত করা সে দূর্বল নয়। তাহলে তার জন্য বাইরে থেকে কাউকে ন্যয় করে দিতে হবে না , সে নিজেই তার জীবন তৈরী করে নিতে পারবে , ভারতীয় আধ্যাত্বিকতা সেই শিক্ষাই দেয় , তুমি পাপী তাপী দুর্বল নয়........তুমি অমৃতের পুত্র , তোমার মধ্যেই অসীম শক্তি সুপ্ত তাকে জাগ্রত করার বিভিন্ন পথ, প্রকৃতি অনুযায়ী চিনে নেবার দিক দেখানোই সনাতন ধৰ্ম। সে তো শূদ্র আর ব্রাহ্মণ সম্বন্ধে এই কথা বলে যে :
जन्मना जायते शूद्रः संस्कारात् द्विज उच्यते।
शापानुग्रहसामर्थ्यं तथा क्रोधः प्रसन्नता ।|
তাহলে কী করে জাতিভেদ ভারতীয় সংস্কৃতিতে বংশানুক্রমে শোষণ করার একটা সামাজিক ব্যবস্থা হতে পারে ?