আমার বাবা..

ষাটের  দশকের যাদবপুরের একটি স্কুল। ছাত্রদের একটা বড় অংশই পূর্ববঙ্গ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা ঘরের , আর শিক্ষকতা তখনো অত্যন্ত সম্মানজনক জীবিকা। তার শাসন করার অধিকার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠতে পারে তা কল্পনাতীত।  

তখন মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পুর স্কুল বন্ধ না করে নীচু ক্লাস বন্ধ করে সেই ক্লাস রুমে পরীক্ষা হত।  একজন শিক্ষকের নজরে আসে একটা মোটামুটি সিনসিয়ার ছেলে বেশ কয়েক দিন স্কুলে আসছে না , বুঝলেন একটু শাসনের সময় এসেছে।  পরবর্তী ক্লাসে যখন তাকে পেয়ে গেলেন পুরো ক্লাশের সামনে করা করে শুধু ধমকে দিলেন না , সজোড়ে গালে এক থাপ্পড় কষালেন। 

ছাত্রটি নীরবই ছিল কিন্তু ক্লাসের এক অন্য ছাত্র রহস্যটা খুলে দিল, স্যার দীনেশ তো স্কুলের সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসা ছেলেদের ডাব বেচছিলো। স্যারের হাত থেমে গেলো।  হাত জোড় করে অশ্রুসিক্ত নয়নে সমস্ত ক্লাসের সামনে বলে উঠলেন , তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস .......

আজ সমাজ অনেক উন্নতি করে ফেলেছে সেই রকম মাস্টারমশায় ও নেই আর ছাত্র শিক্ষকের সেই সম্পর্কও নেই.......সেই ছাত্রটি ছিল আমার বাবা.......তার মাধ্যমিকের মার্কসীট এটা। 

नैनं छिन्दन्ति शस्त्राणि नैनं दहति पावक: |

न चैनं क्लेदयन्त्यापो न शोषयति मारुत:


न जायते म्रियते वा कदाचि न्नायं भूत्वा भविता वा न भूयः।

अजो नित्यः शाश्वतोऽयं पुराणो न हन्यते हन्यमाने शरीरे।।


আবার নতুন সময়ে নতুন স্থানে নতুন সম্পর্কে এই সানিধ্য  অনুভবের সুযোগ হবে..........মনে মনে  এই বিশ্বাস টা আঁকড়ে ধরে এগিয়ে চলার চেষ্টা করি .....আর প্রতিদিন যেন নতুন করে বুঝতে পারছি কত বেশিরকম তাঁর প্রভাব আমার সঙ্গে রয়ে গেছে.....ওঁম শান্তি