Spiritual Mathematics

-Searching for Mathematics behind the Spirituality

- এক অন্ধের হস্তী দর্শন 

ভারতীয় দর্শন আধ্যাত্মিকতা নিয়ে একটু লিখতে ইচ্ছে হল। ধৰ্ম আর  ভগবানকে  নিয়ে  এত  বিশৃখলার মধ্যে আমার একটা জিনিস খুব মনে হয়, আমরা সবাই যেন  অন্ধের হস্তিদর্শন করছি আর সেই  দর্শন নিয়েই  মারামারি  করে চলেছি । খুব ভালকরে স্মরণ করে যে , নিজের এই বিষয়টায়  পড়াশুনা, জ্ঞান দুটো ই সামান্য , এখান ওখান থেকে যতটুকু ভাল লেগেছে এক জায়্গায় করার চেষ্টা করলাম ।

আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির ঈশ্বর সন্ধানের সর্বপ্রথম সোপান  হচ্ছে নিজেকে জানা।ভগবান খোঁজার  প্রথম ধাপ হচ্ছে আমি কে তাকে খোঁজা ? আর তা শেষ হয় ভগবান কে নিজের মধ্যে  উপলব্ধি  করা দিয়ে। ঈশ্বরকে বোঝার  ( understand করা ) অনেক রকম হতে পারে কিন্তু উপলব্ধি  স্থান কাল পাত্রে অভিন্ন, শুধু তাই নয় সমস্ত ধর্মেও একই ।  আর সমস্ত ধৰ্ম নিয়ে মারামারির মূল কারণ যখন উপলব্ধির চেয়ে আমার বোঝা বা আমি যাকে নিজের ধর্ম মানি তার বোঝানোটাই প্রাধান্য পেয়ে যায়। ব্যাপারটা আরও  মারাত্ম্যক হয়ে ওঠে যখন সেটা নিয়ে দলতন্ত্র ( politics ইচ্ছে করেই রাজনীতি লিখলাম না ) শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ধৰ্ম চর্চার অবহেলিত সত্য এই যে , ঈশ্বরকে উপলব্ধির মধ্যেই যে কোনো ধর্মের সার্থকতা , অন্যথা সব  ধৰ্মই  অপ্রাসঙ্গিক। 

অন্যভাবে বলা যায় আমাদের সবার মধ্যেই ভগবান আছে। অথবা এই জীব জগতের সবার আমিই হচ্ছে ভগবান।তাই যদি হবে তাহলে দুটো প্রাণীর মধ্যে বক্তিত্যর ভিন্নতা কেন ? জন্তু জনোয়ার তো দূরে দুটো মানুষ এক রকম নয় কেন ?

তার করণ, আমাদের উপরে প্রকৃতির  প্রভাব আছে, সেই আমির উপরে প্রকৃতির আবরণ পড়ে গেছে ।  এই আবরণ প্রত্যেক প্রাণীর unique , আমাদের সবার মধ্যের ভগবান সেই প্রকৃতির আবরনের ভেতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করছে। তাই বাইরে থেকে সবাই আমার প্রকৃতি কেই আমি বলে জানে, আরও আশ্চর্যের ব্যাপার আমি নিজেও সেই প্রকৃতিকেই আমি বলে মনে করি। তো সেই প্রকৃতি কি জিনিস এলই বা কোথা থেকে ? খুব সরল ভাবে বল্লে , পূর্বে ক্রিত কর্ম থেকে। এখন  আমদের মধ্যে যে প্রবনতা ( এই মুহূর্তে কিছু করার ইচ্ছা ) তৈরী হয় বা  আমার এই মুহুর্তে কি করার ইচ্ছে জাগবে তার অনেকটাই প্রভাবিত হয় আমার প্রকৃতির দিয়ে। 

কিন্তু একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখব , আমার  ইচ্ছে জাগলেই যে আমি নিজেকে তাই করতে দেব তাই কিন্তু নয়। তাহলে  আমার প্রকৃতিই যে আমি তা তো নয়। আরেকটু এগোলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে , এক জীব থেকে আরেক জীবের বা মানুষের মধ্যেও গুনগত পার্থক্য, বা চেতনার বিকাশের পার্থক্য হচ্ছে কে প্রকৃতির তাড়নাতেই চলে আর কে কতটা  নিজের  প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ  করতে পারে।

 

আবার সময় এর সঙ্গে সমস্ত  প্রানীর ( মানুষ, জন্তুজনোয়ার সবার ) প্রকৃতি বদ্লায়। তবে প্রশ্ন হল আজ আমার  যে প্রকৃতি এটা এলো কোথা থেকে। একটু ভাবলেই দেখা যাবে এর বড় অংশ  এসেছে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা  থেকে। আমাদের পরিবারের , আমাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সংশ্রব  থেকে। কিন্তু কিছুটা যেন এর বাইরের, যেটাকে ধারণা করা হয় আমাদের পূর্ব জন্ম থেকে প্রাপ্ত । 

 

আমাদের জাগতিক কর্ম জীবনের লক্ষ, যা একসময়  ( Graduation Party) উপনয়ন এর সময় কানে কানে স্মরন করিয়ে দেওয়া হত তা ছিল सो हम्  (সোহম ),  in other word express your inner god for others and realize your inner god for yourself। আর আমদের আধ্যত্মিক জীবনের লক্ষ হচ্ছে আমাদের প্রকৃতিকে বিলিন করে দেওয়া সেই ঈশ্বর এর প্রকাশ নিজেদের ভিতর থেকে করা ।

জীব আর ঈশ্বর এর ব্যাখ্যার এই শ্লোকটা আমার খুব পছন্দের , এটা দিয়েই লেখাটা শেষ করি 

ॐ पूर्णमदः पूर्णमिदम् पूर्णात् पूर्णमुदच्यते |

पूर्णस्य पूर्णमादाय पूर्णमेवावशिष्यते ||

ॐ शान्तिः शान्तिः शान्तिः ||

Om Poornamadah, Poornamidam

Poornaad Poornamudachyate;

Poornasya Poornamaadaaya

Poornamevaavashisyate

Om, Shanti, Shanti, Shanti !

- Om, whatever we are seeing ( here seeing may not be very correct word, it is not what we are seeing outside, it is something what we see as me) is complete, whatever is beyond of our comprehension ( what people describe as God) is also complete, 

যাঁকে আমরা সম্পূর্ণ ধারণা করে উঠতে পারিনি এখনো অর্থাৎ ঈশ্বর তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ , কিন্তু আমরা যাকে আমি বলে জানি , সেও  স্বয়ং সম্পূর্ণ...আমার মনে হয় আধ্যাত্ম জগতের the  most powerful statement is this.......ওই অনন্তের অংশ আমরা, আমাদের মধ্যে অনন্তের সমস্ত গুন  ঠিক ততটা পরিমান বিরাজমান যতটা সেই ঈশ্বর, যাঁকে সমস্ত আস্তিক বিশ্বাস আরাধনা করে  এমনকি সমস্ত নাস্তিক বিশ্বাস ব্যক্তিগত ভাবে  যেই গুনের অধিকারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে , তা আমাদের নিজের মধ্যেই আছে ......... পার্থক্য শুধু অনুভূতি আর প্রকাশে  ...... অন্য ভাবে বললে  আমাদের  মধ্যে আছে তবে   সুপ্ত ....তাঁকে জানা আর প্রকাশ করাতেই জীবনের সার্থকতা।

From that completeness only this completeness appeared.This completeness is like infinity in mathematical concept, no matter whatever way we distribute it, only completeness remains. And then finally it reminds..

Om, Peace peace peace