Bandhu Ki Khabor Bol

বন্ধু কি খবর বল..................

Sharing some memories from my Engineering College ( Bengal Engineering College)  Life 

প্রথমটা র‌্যগিং পিরিওডের।

বড়ালদা বড় বড় লাল কঠিন চোখের একটা ভাব করে আমার মাথা থেকে পা অবধি এক বার মেপে নিলো। তারপরে গম্ভীর গলায় বল্লো " একটা অভদ্রের মতো চেহারা নিয়ে এত বড় একটা engineering কলেজে চলে এসেছিস বা* '। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমি আগে কখনো shave করিনি, গোঁফ দাড়ি একটু বড় হলে কাঁচি দিয়ে ছেঁটে নিতাম। তারপরে বলে, 2nd time তোর ঐ থোবরা দেখব তখন যেন ওগুলো না থাকে।

তারপরে প্রথম দিনের কলেজের 1st half করে আসার পরেই প্রথম কাজ করেছিলাম, গোঁফ দাড়ি নামিয়েছিলাম, কোথায় জানেন ? 2nd gate এর সামনে যেই ইটালিয়ান সেলুন গুলো অছে, যেখানে Mess Stuff রা normally চুল দাড়ি কাটে তার একটাতে। আশাকরি ইট alian সেলুন ব্যপারটা বোঝাতে হবে না।

ওখানে যাবার কারন টা এবার বলি, সরাক্ষন খোরাক আর মুর্গি হতে হতে মনে হচ্চিল কিছুক্ষন শান্তিতে থাকার জন্য ওটাই বেস্ট জায়গা, অন্য যে কোন সেলুনের থেকে।

আইডিয়াটা কজে দিয়েছিলো।

 

আমাদের সময় Surgical precision এর দক্ষ্যতার ব্যাপারে B E C কলকাতার সব মেডিকাল কলেজকে হরিয়ে দিতে পারতো, সেটা যে কোনো হস্টেল মেসের কাটা মাছের size দেখেই বলে দেওয়া যেত। BEC র সব হস্টেলেই সারা বছরই কিছু জন্ডিস রুগি থাকত, তাই ৫-১০ টা জন্ডিস প্লেট রোজই রাখা থাকত।আমরা মাঝে মাঝে খাবারের quality ভাল করার ব্যর্থ চেষ্টায় বট ঠাকুরের কাছে গিয়ে বাওয়াল দিতাম।

তাই একবার হস্টেল ৮ এর বটকে ধরেছিলাম মুর্গির মাংসে এত তেল কেন ভাসে, তাই নিয়ে হুল্লাট বাওয়াল। তা সব শুনে ঠুনে জনতা একটু ঠান্ডা হলে, বট বল্লো, তেল অমি কমই দেই, কিন্তু যে মাংস supply হয় ততে এত চর্বি থাকে যে রন্নার পরে তেল ভেসে ওঠে। জনতা হুব্বা ........

আরেকটা বাওয়াল এর কথা মোনে আছে, Mac এ, রান্না continuous খারাপ হচ্ছে, এই বাহানাতে বটর কাছে গিয়ে বাওয়াল। Mac এর বট ঠিক হস্টেল ৮ এর মত ছিল না, তার ছিল offense is the best defense । তা জনতাও চেচঁআয় আর বট দ্বিগুন চেচঁআয় । বইরে থেকে হঠাৎ শুনলে মনে হবে থানা পুলিস করার মত কিছু চলছে। finally বট তার trump card মারে, আজকের রাতের রান্না ঠিক মত হবে, ওতে আছে ladies finger.....

 

বি ই কলেজের ভুতের গল্প আমার কাছে কয়েকটা আছে, তার একটা বলি। তখন কোন একটা study leave চলছিলো,সাধারণত দূরের ছেলেরই শুধু study leave এ কলেজে থেকে যায়। হস্টেল গুলো একদম ফঁআকা, বি ই কলেজের সবাই জানেন, বড় ছুটির সময় এমনিতেই হস্টেল গুলো কিরকম ভুতুড়ে লাগে। আমাদের ব্যাচের পাড়িয়াল ছিলো জলপাইগুড়ির ছেলে, হস্টেল ৭ এ তিন তলাতে থাকত, সেই দিন পুরো ফ্লোরে একা পাড়িয়াল ই ছিলো। সারাদিন ধরেই প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছে, সন্ধের পরেও একই রকম ভাবে বৃষ্টি পড়ে চলেছে, পাড়িয়াল আর বেশি চাপ না নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। হঠাৎ কোনো একটা আওয়াজে ওর ঘুমটা ভেঙে গেলো,তখন রাত প্রায় মধ্য রাত্রি, ঘুমের ভাবটা কেটে গিয়ে একটু হুশ এলে মনে হলো, কেউ যেন সিড়ি দিয়ে নিচের তলা থেকে উপরে উঠে আসছে। তার পরে স্থান, কাল, পাত্র সম্বন্ধে একটু সজাগ হলে, একটু ঘাবড়েই গেলো, এতো রাতে কে উঠে আসবে উপরে ? চুপচাপ বিছানায় মটকা মেরে, কান খাড়া করে পড়ে থাকল, মনে হল তিন তলার floor এ উঠে আওয়াজটা ওর রুম এর উল্টো দিকের wing এর দিকে যেতে থাকলো, চলার শব্দটা কোনো চপ্‌প্‌ল বা বুটের চলার আওয়াজ নয়, সিমেন্টের floor এর উপর দিয়ে ক্র্যচ ধরনের শক্ত কিছু চলার শব্দ। পাড়িয়াল escape রুট ভাবতে থাকলো, এতো রাতে জানালা দিয়ে চেচালে,বৃষ্টির আওয়াজের মধ্যে করো কানে যাবার chance খুব কম, তাই বাইরে থেকে কোনো help পাবার chance নেই। আর বেরোতে হলে, সামনের বারান্দা দিয়েই বেরোতে হবে। তাই যে বা যা আছে তার মুখোমুখি হতেই হবে। একটু পরে আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেলো। তখন Pariyal মোটমুটি দম বন্ধ করে শুয়ে আছে।

কিছুক্ষন পরেই আবার আওয়াজটা হতে লাগলো, এবার এই wing এর দিকে এগিয়ে আসতে লগলো শব্দটা। পাড়িয়াল অন্য কোনো উপায় না দেখে, বিছান ছেড়ে উঠে ঘরের কোনা থেকে একট bed rod নিয়ে দরজার পাশে দাড়ালো।

আওয়াজটা যখন দরজার একদম সামনে চলে এসেছে, তখন চোখে পড়লো, বৃষ্টিতে সপসপে ভেজা একটা নেড়ি কুকুর, মনে হয় একটু শুকনো জায়গা খুজছিলো শোবার জন্য, ওটার পায়ের নখের থেকেই হচ্ছিল শব্দটা।

এই গল্পের স্থান কাল পাত্র সবই বাস্তব থেকে নেওয়া .....

এবার BEC পরীক্ষায় চোথা শিল্প নিয়ে দু-একটা কথা মনে করার চেষ্টা করব। এখনকার কথা জানি না, আমদের সময়, বি ই তে ঢোকা বেশির ভাগ জনতারই BEC র আগে কোনো পরীক্ষায় নিজে কখোনো চোথাতো করেই নি, উপরন্তু পরীক্ষায় ঐসব এর ঘোরতর বিরোধী ছিলো। কলেজে আসার অল্প দিনেই এই শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে যায় এখানে চোথা না করে উপায় নেই। 

সবথেকে common চোথা ছিলো,প্লাস্টিকের set square এর উপরে পেনসিল দিয়ে লিখে নিয়ে যাওয়া, ওটা ডেস্ক এর উপরে ফেলে রাখলে সহজে চোখে পরবে না, কিন্তু সাদা কাগজের উপরে ফেললেই পড়া যাবে। তারপরে ছোটো ছোটো কাগজে  microscopic  লেখার ধ্রুপদী চোথা তো ছিলই, সেগুলো নান পকেটে করে নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু হলে problem হত, কোন পকেটে কি আছে মনে থাকত না। তাই এবার থেকে হাতের পামে লিখে নেওয়া হত,চোথা index।

একটু কম্পু শেখার পরে, একজনকে,চোথার নৈতিক সমর্থনে বলতে শুনেছি, আমাদের মাথাটা হচ্ছে RAM আর hard drive, চোতা হচ্ছে floppy drive সব কিছু তো hard drive এ রাখার মানে হয় না। 

যাই হোক এইভবে কয়েক বছর চলতে চলতে জনতা  microscopic  চোথা লেখার এন্থ্রুও হারিয়ে ফেলতো। তারপরে কয়েক জন মিলে লিখে, paper এর টুকরো গুলো একটা সাদা A4 কাগজে স্টিক করে, সেটাকে Xerox করে নিয়ে  distribute  করা হত। সেগুলো আবার পিস পিস করে পকেটে চালান হত। কিন্তু তার  problem  টা ছিলো, একে অন্যের   microscopic  লেখা, তারপরে xerox আবার অনেক সময় সাইজ reduce করে xerox করা হত floppy drive এর memory size বাড়ানোর জন্য, তাই লেখার সময় ঠিক মত পড়া যেত না। তাই exam এর শেষে hostel মেসে যে চোথা বনিয়েছে তাকে গন বাওয়াল দেওয়া চলতই পরীক্ষার সময়।

আমাদের বি ই কলেজ দিনগুলোর সাথে, একটা দারুন অভিজ্ঞতা জরিয়ে আছে যেটা আমাদের আগের বা পরের নেই, সেটা হল আমরা আমাদের চোখের সামনে 2nd হাওড়া ব্রিজ একটু একটু করে জুড়তে দেখেছি। অনেক অনেক স্মৃতি আছে এইটা নিয়ে, কয়েকটা মনে করার চেষ্টা করব। 2nd হাওড়া ব্রিজের approach এর flyover গুলো ছিলো, আমাদের বিকেলে হাটতে হাটতে ঘোরার অরেকটা জায়গা, গরমকালে, ঐ ফাকা flyover এ দাড়িয়ে দারুণ হাওয়া খাওয়া যেত। ঐ রকম gigantic constructions, প্রায় জনমানব শূন্য, উপরে ঊঠে দুর দুর পর্যন্ত দেখা যায়, আমাদের প্রচুর উৎসাহ ছিলো ওখানে যাবার। জীবনে প্রথম বার 3 level flyover criss-cross করে চলে যাচ্ছে চর্মচক্ষে দেখলাম, অবাক হয়ে দেখতাম আর রাস্তার puzzle solve করার চেষ্টা করতাম।

অনেক সময় আমরা হাটতে হাটতে যতদুর হেটে যাবার মত অবস্থায় ছিলো বা কেউ আটকাতো না, চলে যেতাম। একবার তো roommate এর এক বন্ধু এসেছিলো তাকে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে হাওড়া দীনবন্ধু কলেজের ওখান থেকে flyover এ উঠে, হাটতে হাটতে ব্রীজ এর এই বাহুর construction এর প্রায় end এ গিয়ে ছবি তুলে এসেছিলাম। সেইদিন বৃষ্টি বৃষ্টি ছিলো, কোনো কারনে কাজ হচ্ছিল না, মনে হয় কোনো strike বা কিছু ছিলো, গার্ডও চোখে পরেনি।

আমাদের SM এর প্রফেসর ছিলো AB , আমার one of the favorite প্রফেসর in BEC । তার সব পাঠ ভুলে গেছি, একটা বাদে, একদিন স্যার ক্লাসে বলছিলেন, সবাই বলে আপনি ছাত্র মহলে exceptionally এত popular তো পিকসা হয়ে যান না। কিন্তু আমি চাই 'নিরাপদ দূরত্ব রেখে ভাল সম্পর্ক রাখতে'। আজও জীবনের পদে পদে এই শিক্ষাটা স্মরণ করি। দারুন মজা করে তার সাথে অসম্ভব যত্ন দিয়ে পড়াতেন উনি। যাইহোক স্যার মাঝে মাঝেই 2nd হাওড়া ব্রিজের reference দিতেন Strength of Materials পড়াতে পড়াতে।

লেখাটা শেষ করব একটা unique অভিজ্ঞতা দিয়ে, আমাদের সময় বিকেলে BEC থেকে ধর্মতলা যাবার সবথেকে ভালো mode of transport ছিলো, লঞ্চে করে, গঙ্গার হওয়া খেতে খেতে যেতে দরুন লাগতো, একবার কয়েক বন্ধু মিলে এই রকম যাচ্ছি, তা ব্রিজ্‌টা তখনো জুড়ে যায়নি, ঠিক মাঝখানে এসে লঞ্চটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো, বলে axel ভেঙ্গে গেছে। উপরে construction চালু ছিল, টুকটাক পাথর, জল কয়েকশ ফুট উপর থেকে পড়ছে, আর আমরা গঙ্গায় free float করছি। আমরা গলায় যত জোর আছে, সব এককরে চেচাচ্ছি, finally আরেকটা লঞ্চ এলে তার সাথে এটাকে দড়ি দিয়ে বেধে আমাদের উদ্ধার করা হয়।

 

আমার বি ই কলেজের স্মৃতির সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জরিয়ে আছে বি গার্ডেন, কোনো রকম আঁতলামো না করেই বলছি, সেটা ঝারি মারার স্বর্গরাজ্য বলে যে আলাদা পাবলিসিটি আদায় করে নিয়েছিলো বি ই কলেজে তার জন্য নয়, কারণটা একদম ব্যক্তিগত। না না কোনোরকম nonveg কিছু expect করবেন না। আমার শৈশব-কৈশর কেটেছে একটা মফস্বল শহরে,আমাদের পাড়ার লাগোয়া একটা বিশাল বাগান বড়ি ছিলো সেই সময়। আগেকার দিনের জমিদার বা বড়োলোকদের বাগান বড়িতে যেই রকম হতো, তারা শখ করে নানান রকম গাছ পালা বানাত, যা স্থানীয় নয়, সেইরকম অনেক গাছগাছালি নিয়ে রিতিমত একটা মিনি জঙ্গল ছিলো বাগানটা, এমনিতে চারিদিক দিয়ে ৭' ঊচু পাচিল দিয়ে ঘেরা ছিলো, কিন্তু আমাদের পড়ার দিকের একটা কোনে একটু ভাঙ্গা জায়গা ছিলো, সেখান দিয়ে আমরা বন্ধুরা ডুকতাম আমাদের জঙ্গল adventure এ, কিছুটা অচেনা বাস্তব, গাছপালা যা সচরাচর দেখা যায় না, আর কিছুটা কিশোর সাহিত্যে পড়া adventure এর সাথে মিলিয়ে কল্পনা করে দারুণ এক-একটা adventure করে ফিরতাম আমরা, Memory of those adventures still hunt me....

BEC তে আসার পরে, আমার ঐ 'অচেনার আনন্দ'র স্থান খুজে পেয়েছিলাম বি গার্ডেনে। ভেতরে ঢোকার পরেই তিন দিকে তিন টে কালো পিচের রাস্তা চলে গেছে, বাম দিকের রাস্তা বিশাল বিশাল গাছের ছায়ায় সারাদিনই অন্ধকার অন্ধকার, সন্ধেবেলায় হাজার হাজার পাখির ডাকে মুখর হয়ে থাকে। কিছু দুর এগিয়ে গেলেই বাম দিকে গঙ্গা আর ডান দিকে সুন্দর landscape করা খোলা বাগান মাঝে মাঝে কয়েকটা মাঝারি গাছ, কত রকম ফুলের গাছ। কত কত সন্ধেবেলা গঙ্গার ঐ সিমেন্ট দিয়ে বাধানো ঘাটে বন্ধুদের সাথে বসে কটিয়েছি, বা ঐ কখোনো না ব্যবহার করা জেটিতে দাড়িয়ে সূর্‌য়াস্ত দেখেছি। ঐ বট গছ, palm house ,lakes,green house , অনেক মাথাওয়ালা পাম গছ, রস্না .. সব এখনো চোখের সামনে দেখতে পাই, ১৯৯৪ এর পরে আর কখোনো যাই নি ওখনে, কিন্তু সব এখানো মনের মধ্যে সবুজ হয়ে আছে।

আমাদের একটা ছোট দল ছিল যাদের ক্যাম্পাস এর বাইরে ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ছাত্র পরিচয় দেবার জন্য মনে হয় ID কার্ড লাগত। যাই হোক তিন বছর আনন্দে কাটানোর পরে চতুর্থ বছরে বোধ বুদ্ধি এলো Aptitude আর GD ক্লিয়ার করার বিদ্যা আয়ত্ব না করলে সামনে কঠিন সময়।

Aptitude টেস্ট কিছুটা ক্র্যাক করা গেলেও GD ব্যাপারটা পুরো কেলো। একে তো ইংরেজি তে নাম জিজ্ঞেস করলে বাপের নাম বেরিয়ে আসে তারপরে যাদের জীবন গাঁথা সুই ধাগার 'sab badiya hay  ji ' র থেকে খুব আলাদা নয়, তাদের যদি nuclear non-proliferation treaty ভাল না খারাপ India র জন্য , সেই আলোচনা তে,  শুরু কর  বলার মুহূর্ত থেকেই বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে , যুক্তির তলোয়ারে গ্লাডিয়েটরের মত সব প্রতিপক্ষকে কচুকাটা করে , জজদের নজর কারতে হয় , ব্যাপারটা আরেকটা GD র টপিক। কিন্তু চাকরী পাওয়া যে খুবই দরকার... আর আমরা বাঙালির ছেলে তাই সব করতে পারি এই ভরসায় বুকে বেঁধে লেগে গেলাম।

তাই আমরা খোরাক আর গন বাওয়ালীর আঁচ বাঁচিয়ে রাতের অন্ধকারে কম্পেটিশন সাকসেস এর রেফারেন্স নিয়ে বসতাম। খুব তাড়াতাড়ি বোঝা গেল ' Being die hard supporter of globalization and open economy is the sign of the right candidate ' and showing our own opinion matches very closely with today's 'Accidental' minister is an indication of possessing thought process above average. তাই তাঁর বাক্য আমার বাক্য করার চেষ্টা চলতে থাকল। সেই সময় তাঁর মত একটা পাগড়ী লাগানোর নানাবিধ সুবিধার বিশ্লেষন করেছিলাম আমরা :

১. Vertically challenged ( উচ্চতা কম থাকলে ) Make Up হবে

২. টাক পড়ে গেলে 'No প্রব্লেম"

৩.গোফঁ দাড়ি কম থাকার ব্যাপার টাও cover হয়ে যাবে, পাগড়ী আটকে রাখার strap দিয়ে

৪.গায়ের রং টাও কন্ট্রাস্টিং color দিয়ে Make Up হবে

এবং আরও কিছু

 

সময়টা 3rd ইয়ার বা 4th ইয়ার মনে পরছেনা ঠিক, সুমন চ্যাটুজ্জে institute হলে এসে গেয়েছিলো , সেরকম বড়ো কিছু ছিলো না, just একটা departmental বা hostel function এ। অনেক গুলো গানের মধ্যে একটা গান বেশ দাগ কেটেছিলো মনে, "বন্ধু কি খবর বল" গানটা তখনো মনে হয় cassette হয়ে বাজারে অসেনি বা এলেও খুব একটা প্রচারে আসেনি তখনও। গানটা অনেকের মত আমারও মন ছুয়ে গিয়েছিলো। সেই সব দিন গুলোতে সুমন চ্যাটুজ্জের গানের একটা অন্য রকম আবেদন পেতাম, সেদিন কেন আজও বিদেশে বিভুইএ যখন একা গড়ি চালাতে চালাতে, গড়িয়াহাটার মোর শুনি, প্রথম বারের মতই একটা অদ্ভুত ভালোলাগা একটা পাগল করা অনুভুতি নিয়ে আসে, সে তো শুধু কলকাতার nostalgia নয় , গানটা যখন শেষ হয় এখানে খুজছি আমি জীবনের মানে দিয়ে .... মনটা স্থান কাল পাত্র ছেড়ে জীবন দর্শনের একটা অন্য level এ চলে যায় .... যাই হোক এখানে কথা বলবো বি ই কলেজ নিয়েই, সুমন চ্যটুজ্জে কে নিয়ে নয়, প্রসঙ্গে ফিরে অসি, সেই দিন রাতেই বা পরের দিন রাতে আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে শালিমার তিন নম্বর gate এর থেকে হাটতে হাটতে 1st গেট এর দিকে আসছিলম আর কল্পনা করার চেষ্টা করছিলম আজ থেকে ১৫ বছর পরে বন্ধুদের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলে কেমন লাগতে পারে। আজ অবাক হয়ে ভাবি সেদিনের wild imagination কত তাড়াতাড়ি বস্তব এর দর্জায় দাড়িয়ে গেছে। আজকাল মাঝেমাঝে খুব মনে হয়, আমাদের সেই group টার সবাই হঠাৎ দেখা হয়ে গেলে কেমন হয়, যদি আমরা সবাই মিলে বসে চুপ করে গানটা আরেকবার শুনি, আজকাল আমাদের সেই tape recorder যুগ চলে গেছে, যেখানে এক বন্ধুর cassette থেকে সবই blank cassette এ copy করে নিতম ভালোলগা গান, তাই হয়তো শুনবো কোনো একজনের mobile এর hand set বা করো laptop এর speaker থেকে, তবুও ঐ কয়েক বন্ধু মিলে চুপ করে গান টা শুনবো .... বন্ধু কি খবর বল ....

 

If you like the articles, please forward the website link to your other friends, if few more people read and likes it, my effort of writing will get some meaning.

Please don't forget to send your feedback to : partho.mridha@gmail.com