Indian Religious Tolerance

ভারতীয় ধর্মের উদারতা

সর্ব ধৰ্ম সম্বনয় এর প্রচার তখনি  গ্রহণ যোগ্য যখন তার উদারতার যুক্তি সব ধর্মই সমানেই  শেষ হয়ে যায় না, এটা   মুখে বলা খুবই সোজা যে  আমার উদার মানসিকতায় সব ধর্মই সমান দেখি । বা মুখে বলছি সব ধর্মই সমান এদিকে মনে বিশ্বাস ধৰ্ম মানেই বুজরুকি, এদিকে সময় সুযোগে নিজের ধর্মের কুৎসা গাওয়া। উদারতার যুক্তি তখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে যখন আমার ধর্মের কাছে আমি ঠিক থেকেও, যে যেভাবে যা বিশ্বাস করে তার কারণে আমার শত্রূ হতে হয় না, সব জীবজগৎ তার বিশ্বাস আর মতের  মধ্যে  সামঞ্জস্যতা  এবং সবাইকে  সমান দেখার রাস্তা পাই আর  আমার বিশ্বাস তাতে অন্তরায় হয় না পরন্তু  তাতে আমাদের উৎসাহিত করে At their worst they should Enable it And At their best they should Inspire it

সব ধর্মই সমান বলার তৎপরতার সঙ্গে একটা বিচার করার দৃষ্টিভঙ্গি অন্ধ করে রাখার প্রবণতা থেকে যায় সেটা ঠিক  বাঞ্ছনীয়  বা  শুভ  নয়। তার একটা কারণ অপরের ধর্মবিশ্বাসের সাথে সহমত না হতে পারাকে সেই ব্যক্তির বিপক্ষে যাওয়া বলে ভাবতে শেখার এক অগ ভীর মানসিকতা কাজ করে ।  আমার একটা ধর্মবিশ্বাস আছে  এবং তোমার ধর্মবিশ্বাস এর অনেক কিছুই আমার বিচারে ঠিক মনে হয় না কিন্তু তাও আমি তোমাকে ব্যক্তি শত্রূ তো মনে করিইনা বরং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি প্রয়োজনে দুজনে একসাথে অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করা সম্ভব, তাতে আমাদের দুজনেরই শুধু পার্থিব নয় আত্বিক উন্নতিও  হতে পারে । এই রকম একটা অবস্থান যে সম্ভব তা আমাদের তথাকথিত সেকুলার ভাবধারার ধারণার বাইরে। আর এখানেই ভারতীয় অধ্যাত্বিকতার সর্বধর্ম সমন্নয়ের  শক্তি , সেটা শুধু এটাকে  সম্ভব বলে না তার আঁধারে এটাই মানব জগতে একই স্থান , কাল পাত্রে দুই ধর্মমতের  স্বাভাবিক সহ অবস্থান, অন্যথা সংঘাত অবশ্যাম্ভাবী।  এবং  সমস্ত সঙ্গবদ্ধ ধর্মই হচ্ছে  কালের প্রবাহে  এক সময়িক সমষ্টিগত ভাবধারা , তা কোন বিপরীত শক্তির বিরুদ্ধের  কারণেও  হাতে পারে বা অন্য্ কোন কারণেও হতে পারে কিন্তু আবহমান প্রবাহ হতে পারে না। এবং  আধ্যাতিক চর্চার কিছু সিদ্ধান্ত এই আপাত বিরোধ সম্পন্ন ভাবনাকে এক সূত্রে বাঁধতে পারে। 

বিশ্বে খুব কম প্রচলিত ভাবধারাই  আছে যে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকে বলতে পারে যে আমার বিশ্বাস যেমন ঠিক সব জীব জগতের সবার  বিশ্বাসও ঠিক , না বাজারের প্রচারিত  সেকুলার বা atheist মতবাদও নয় ,সব ধর্মের অসারতা প্রচার করতে করতে আমরা নিজের অজান্তে ধৰ্ম না মানার ও একটা ধৰ্ম আর তার থেকে প্রসূত আরেকটা দল বানিয়ে ফেলি। ইচ্ছে করে নাস্তিকঃ বললাম না। 

In Indian spiritualism Nastik never considered as sinner how many other places we  do,  in the contrary Nastik has its own place of honor in Indian spiritualism. Nastik philosophy is not truly western atheisms , in atheist school of thought one will go against anything in name of god, but Nastik philosophy one try to justify what people are celebrating as God, He cannot be there! That’s of course true because very few can comprehend god or divinity at every single moment of one’s life, and its not possible to express true nature of God by literature or any other mean, so quite possible our personal god, can be a distorted form of god…so advocating and prescribing it for everybody cannot be acceptable…… so what true Nastik tries to express, is also a kind of seeking…so should have a place of respect in this spirituality. I intentionally did not use the word Hinduism, because this terminology saw the sunlight only after and by other religions to classify their identity.

এখানেই ভারতীয় অধ্যাত্বিকতার উৎকর্ষতা , where highest value has been given in seeking or self realization not practicing or adopting or preaching or converting.....যেটা অন্য ধর্মের মানুষকে টেনে  নিজের ভাবনার ( ধর্ম বা পন্থা ) দল বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করে না ……..বা  আমার রাস্তা আমার জন্য ঠিক তোমার রাস্তা তোমার জন্য বলে বিতর্ক থামিয়ে দেয়  না..…...পরন্তু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারে তুমি তোমার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস আর প্রকৃতি নিয়ে চলে যেই লক্ষে পৌঁছবে...আমারও  পথের অন্তিম লক্ষ্য  সেই একই।  যদি তোমার পথের ও সত্যিকারের লক্ষ্য তাকে বোঝা বা জানা অন্যথায় নিজেকে জানা ই হয়..অন্য কিছু নয়……...আমাদের পথের শেষ ও অভিন্ন। "তু না জানে আস পাস হ্যাঁয় খুদা " আর "আছো অনিল আনলে চির নভ নীল " এ ভাষায় ভিন্নতা আছে ভাবে নেই। সেই আধারেই বিবেকানন্দ বলতে পেরেছিলেন মানুষ সত্য থেকে সত্য তর্ তে যায় , অসত্য থেকে সত্যে নয়.

আর এটা শুধু রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ তেই শেষ নয় এই ভাবধারার আলকাজ্জিত  অগুন্তি  নামের মধ্যে গুরু নানক আছেন : কোই বোলে রাম কোই খুদায়ই … সান্টা ( google এটাই করে দিলো :) কবীর   আছেন…..আছেন সাই বাবা ….ঘরের কাছেই আছেন  লালন ফকির ……….

এই সর্ব ধৰ্ম সম্বনয় একান্ত ভারতীয় একে না জেনে বুঝে গুরুত্ব না দিয়ে  সমস্ত সর্ব  ধৰ্ম এক করার   প্রচেষ্টা হয়   অন্তস্বার  শূন্য  শিশুসুলভ অপরিণাম দর্শী  নয়তো কোন উদ্দেশ্য প্রণীত আন্দোলন………..