পৃথিবীর এই মুহুর্তের সবথেকে বড় সমস্যার সমাধান
পৃথিবীর বাকী সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ , অতি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা অপেক্ষা করতে পারে , কিন্তু এ এমন এক সমস্যা যা এই মুহুর্তে যেই সমাধান না হলেই নয় তা হচ্ছে - "হরি হর মাধব চান করব না গা ধোব ?" আজ্ঞে হ্যাঁ এই নিজের প্রাত্যহিক কার্মের সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই আজকে আমাদের সবার সামনে সবথেকে বড় সমস্যা। আমরা অন্যের কী করা উচিৎ তার ব্যাপারে একদম স্বচ্ছ ধারণা রাখি কিন্তু আমি নিজে কি করব তাতে এসেই সবসময়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। ব্যপারটা এই রকম যে কোনো দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিৎ তা দেশের প্রত্যেকটা মানুষের কাছে একদম জলের মত পরিষ্কার, শুধু যে ব্যাটা রাষ্ট্রপ্রধান হয় সে বাদে। তাই সব সময় ঠিক ভূল সিদ্ধান্ত নিয়েই সমস্ত দেশ চলছে ।
বিচার আমাদের মানুষের সবথেকে একটা ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাকাল্টি কিন্তু বেশীর ভাগ সময় আমরা এটা ভূল ভাবে ইউস করি , এটা দিয়ে আমরা জগতের বিচার করতেই সময় নষ্ট করি। অন্যের কি করা উচিৎ আর অনুচিৎ সেটা চিন্তা করেই আমরা দিন পাত করি। কিন্তু আমাদের বিচার তো করা উচিৎ হরি হর মাধব, আমি এখন চান করব না গা ধোবো।
তাই ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই বিচার শুদ্ধ রাখা আর রাখার প্রচেষ্টাকে অসম্ভব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে , কারণ এটা বিনা চেষ্টা আর সাধনায় পাওয়া বা রক্ষা সম্ভব নয়। কারণ এই জগতে কোন স্থানই শূন্য থাকে না , আমাদের মনের অন্তর্জগৎ ও তাই। অন্তর জগত কে সত্যম শিবম সুন্দরম দিয়ে পূর্ণ করার প্রচেষ্টা না থাকলে, আমরা বুঝে ওঠার আগেই তা অপ্রয়োজনীয় আর অবাঞ্ছিত ভাবধারায় পূর্ণ হতে থাকে। অচিরেই তার প্রতিফলন ব্যক্তির বিচারে প্রকাশিত হতে শুরু হয়। মোহের মেঘ যখন সত্যকে দেখতে দেয় না সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াও অসম্ভব হয়ে ওঠে।
কিন্তু নিজে কী করে বুঝব আমার বিচার ধোঁয়ায় ঢাকা নয়। যখন নিজের কর্তব্য সিদ্ধান্ত তৎপরতার সঙ্গে নিতে পারব , সারা পৃথিবীর সমস্ত বিষয়ে বিদগ্ধ মত দেবার চেয়ে নিজের কর্তব্য স্থির করতে যদি দেরী না হয়, তখনই বুঝতে পারব আমাদের বুদ্ধি-বিচক্ষণতা আছে , বিচার শুদ্ধ আছে আর প্রত্যেকের জীবনে সেটাই কাম্য আর অভিপ্রেত।
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি , বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি— , পৌরুষেরে করে নি শতধা.....
এই কারণেই আমাদের নিজেদের ইন্টেলেক্ট ধুলোর আবরণের বাইরে রাখার জন্য এত আকুতি আমাদের আধ্যাত্মিক পরম্পরায় আর সেই জন্যই গায়েত্রী মন্ত্রকে উচ্চ আরাধ্য বলা হয় যা সামাজিক অবক্ষয়ে উচ্চ বর্ণের বলে দেওয়া হয় ....সেই আরাধনা তো করতেই পারি নিজের জন্য সমাজের জন্য ...
ॐ भूर्भुवः स्वः तत्सवितुर्वरेण्यं भर्गो देवस्य धीमहि धियो यो नः प्रचोदयात् ॥
We meditate on that most adored Supreme Lord, the creator, whose effulgence (divine light) illumines all realms (physical, mental and spiritual). May this divine light illumine our intellect.