The 'IDEA' Does Matter
পলিসি নিৰ্ধারণে মানুষের অভিমতের গুরুত্ব আছে। স্বৈরশাসন ও বিগ মাউথ পরিবেশের মধ্যে শিশু জন্মিলে বা বেড়ে উঠলে সেখানে অবধারিতরূপে ধরে নেয়া হয় "ওর কথার কি দাম......?"
বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় বিশ্ব সমস্যার সমাধানের আলোচনায় মানুষ ব্যস্ত। আলোচনায় তথ্যের যোগান দিয়ে সহযোগীতার উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত প্রয়াস-
(নিম্নে বৰ্ণিত বিষয়গুলো বিশ্বে অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।)
কারণ ক্ষতির পরিমান নিৰ্নয় হয় অৰ্থের অংকে। এমনকি জীবনের মূল্যও নিৰ্ধারণ হয় অৰ্থের অংকে। তাই জীবনের মূল্য প্রাপ্তীর সৰ্বশেষ ঠিকানা হল জীবন বীমা। এই অৰ্থনৈতিক ক্ষতি বিভিন্নভাবে সংঘটিত হয়। অৰ্থনৈতিক ক্ষতির বহুমুখী কারণগুলো কখনও কখনও একটি অপরটিকে ছাড়িয়ে যায়। তাই সকল কারণ বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।
১ম বিষয়
প্রথম প্রশ্ন, মানুষ বাঁচতে চায় কিনা ?
এর উত্তর যদি "হ্যাঁ " হয়, তাহলে বিশ্বশান্তি সম্ভব।
কিভাবে সম্ভব - আমরা জানি ও বুঝি, মানুষ একা বাঁচতে পারে না। তাই নিজে বাঁচতে হলে অন্যকেও বাঁচাতে হবে, এই সূত্র ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের সূত্র বিজ্ঞানের সূত্রের চাইতে কোন অংশে খাট বা লঘু নয়। রসায়নের সূত্র না জেনে এসিড নিয়ে খেলা খেললে যেমন বিপদ অবশ্যম্ভাবী, তেমনি জীবন সূত্রও জানতে হয়, অন্যথায় মহাবিপদ।
২য় বিষয়
একেশ্বরবাদের আলোকে ধৰ্মীয় মতবাদের সমাধান করা।.............
৩য় বিষয়
বিশ্বে সবার অধিকার নিশ্চিত করা
৪ৰ্থ বিষয়
স্বধৰ্ম শ্রেষ্ঠ ও সঠিক, অন্যেরটা নরকমুখী বা অনুপযুক্ত এই মত রহিত করা.........
৫ম বিষয়
বিশ্বব্যাপী eugenics এর নীতিমালা বাস্তবায়ন করা। বাস্তব কাহিনী লিখব। ...............
প্রথমেই বলে রাখছি এই বৰ্ণনা কোন একক দেশের বিষয় নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা আছে তা অনস্বীকাৰ্য। আরও উল্লেখ করছি এই বৰ্ণনা কাউকে ছোট বা বড় করার উদ্দেশ্যে নয়।
৬ষ্ঠ বিষয়
জীবন নিৰ্বাহে stress ও বিরক্তি কমানো............
৭ম বিষয়
সমাজ নিয়ন্ত্রণ..............
৮ম বিষয়
অনৈতিক অৰ্থনীতির লাগাম টেনে ধরা
যেমন- এম.এল.এম ব্যাংকিং। ১ম লোনের কিস্তি পরিশোধের জন্য ২য় লোন প্রদান। বাংলাদেশে এটি কোন কোন প্রতিষ্ঠান বহু বছর আগে থেকে করেছে।মাইক্রো ক্রেডিটের মাধ্যমে উচ্চ সুদের ব্যবসা বন্ধ করা।
৯ম বিষয়
প্রযুক্তি ব্যবহারের পেছনে ব্যয় কমানোর ব্যবস্থা করা। প্রযুক্তির পেছনে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অযৌক্তিক কাজে সময় ব্যয় করছে।
এই ব্যাপারে অনেক কিছু বলার আছে। তবে এইটুকু অনুরোধ করব বিদেশ নিৰ্ভর কোন টেক এবং যন্ত্রপাতি আমদানী না করতে। কিভাবে দেশ ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে তা জানতে চাইলে জানাব । টেক বলতে মেকানিক্যাল, ইলক্ট্রনিক, ডিজিটাল, কম্পিউটার সংক্রান্ত কিছু, যান্ত্রিক এবং এনালগ সবগুলো রয়েছে। উদাহরণ দেব? অনেক বিষয় আছে। দীৰ্ঘ সময় ধরে এই শোষণ চলেছে। যারা ধনে বড় হয়েছে তারা কি এগুলো জানে না? অবশ্যই জানে, তাহলে হাতে সময় থাকতে থামালো না কেন? হয়তো ভেবেছে, আমি ঠিক থাকলেই হলো, দেশের কথা ভাবার দায়িত্ব অন্যের, সমস্যা fixed করা আমার দায়িত্ব নয়। একজন এসে ৩০ বছরের কথা বলে গেল। তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। এনালগ, ইলেকট্রণিক পণ্যগুলোর অনেকগুলো জাল এবং প্রতারণাপূৰ্ণ। আগামী কয়েক বছরে সবকিছু টেক নিৰ্ভর হয়ে যাবে বলে যে শ্লোগান শুনা যাচ্ছে এটাওতো টেকচিটারী বা প্রযুক্তি প্রতারণার বিজয়ের স্বপক্ষে যায়। এটা স্বদেশী টেক হলে ফল দাঁড়াতো ভিন্ন রুপ। নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মধ্যে থাকত। মনে হচ্ছে টেকচিটারী বা প্রযুক্তি-প্রতারণার মাধ্যমে একটি দেশকে দেউলিয়া করে দেয়ার মত অবস্থা তৈরী হচ্ছে। সত্য কথা বলার সুযোগ নেই, সুযোগদাতাও নেই। ব্যাখ্যা শুনার লোকও নেই।
১০ম বিষয়
মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা
শিশু শিখে মা-বাবার থেকে, পরিবার থেকে। তারপর শিখে পরিবেশ, পারিপাৰ্শ্বিক ও সমাজ থেকে। তারপর আরও বড় হলে শিখে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য ধৰ্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে। আমরা সেই মহামূল্যবান প্রবাদ বাক্যটি জানি- Charity begins at home. Home ঠিক থাকতে হবে প্রথম। যদিও হোম গড়ে তোলা রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে দেরী হলেও সুফল পাওয়া যাবে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদেরও পরিবার নিয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে। পরিবারের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যোগ্য মা-বাবার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে সন্তান বেপরোয়া হতে পরে কম। সন্তান সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে মা বাবাই যথাযথ কৰ্তৃপক্ষকে জানাবে। জন সমাজ যদি বনের মত লাওয়ারিশ প্রাণীর আশ্রয় কেন্দ্র হয় তাহলে মানবিকতার ঘাটতি ঘটতে পারে। বিভিন্ন স্থান নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরবে। মানুষ চলার পথে এমনিতেই নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে। এই লাওয়ারিশ মানুষকে ব্রেণওয়াশ করে তখন অন্যেরা কুপথে ব্যবহার করবে। যেমন জঙ্গী বানাবে, আত্মঘাতী বানাবে বা কোন বড় একটি আঘাত ঘটানোতে ব্যবহার করবে।
১১তম বিষয়
International amity প্রতিষ্ঠা করা
১২তম বিষয়
অঞ্চল ভেদে উচ্চ সুদ সম্পন্ন দাদন ব্যবসা বন্ধ করা ও অৰ্জিত অৰ্থ গরীবদের ফেরত প্রদান করা..........
১৩তম বিষয়
সুচেতনা বৃদ্ধির উপায় অন্বেষণ
১৪তম বিষয়
ধৰ্মীয় উস্কানী বন্ধ করা ও একে অপরকে সন্মান করা
১৫তম বিষয়
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা
১৬তম বিষয়
সত্যিকার অৰ্থে শান্তিকামী হতে চাইলে বা মঙ্গল চাইলে অন্যের অমঙ্গলের পথ সৃষ্টির উপায় অম্বেষণ না করা......
১৭তম বিষয়
ধৰ্মীয় উগ্রবাদ ও ধৰ্মান্ধতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রনয়ন করা
স্রষ্টার অস্তিত্ব আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি। হয়তো অপর জন বিশ্বাস করেন না। আমি বিশ্বাস করি বলে অবিশ্বাসীকে মুরতাদ বা শত্রু বলে মেরে ফেলব, এটাতো হতে দেয়া যায় না। নিজের ভুল/নিৰ্ভুল বিশ্বাস ও ভালো লাগা, না লাগা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার মনোভাব ছাড়ানো এবং লাঠি, পাথর নিয়ে উগ্রবাদী মিছিল বন্ধ করানো এবং এসব উগ্রতা চিরতরে ভুলিয়ে দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়া করানো দ্রুত গতিতে বন্ধ করতে হবে। এই বৰ্বরতা পূৰ্বে কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন কূৰ্দী ও ইয়াজিদিদের উপর অনুরুপ বৰ্বরতা শুরু হয়েছে। কিলিং লিষ্ট বানানো এবং দাফং'র কাপড় পাঠানো গোষ্ঠীদের থামিয়ে দিতে হবে। এরা সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়াচ্ছে৷ মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে হিংসা করতে শিখাচ্ছে৷ কোথাও কোথাও ঘর ভাড়া দিতে চায় না, ভাড়া দিলেও বলে দেয়া হচ্ছে শঙ্খ, ঘণ্টা ইত্যাদি বাজানো যাবে না৷ মঠ-মন্দিরের নিরীহ পুরোহিতদের কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে৷ এদের কাছে পরাজয় বরণ করা কাপুরূষতার সামিল৷ একদিন এক মৌলবাদী বলছিল স্পেসের মধ্যে যে সেটেলাইটগুলো ভাসছে - এগুলো কি বিশ্বাসযোগ্য? এদের জ্ঞান ও ধারণাশক্তি কত নিম্ন লেভেলে থাকলে এটা বলতে পারে৷ এরাই আবার জ্ঞানের কথা বলে৷ এই পৃথিবীর জ্ঞানসৃষ্ট কোন কিছু এদের ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়৷
১৮তম বিষয়
ভাষার সৰ্বজনীনতা প্রতিষ্ঠায় আন্তৰ্জাতিক আইন প্রনয়ন করা
আজ পৰ্যন্ত কেউ বলেনি যে, তুমি এই ভাষা শিখতে পারবে না। সুতরাং ভাষা সৰ্বজনীন বিষয়। অতএব কোন ভাষার কোন শব্দের ব্যাখ্যা নিয়ে জটিলতা বা অসন্তুষ্টি দেখা দিলে তখন উগ্রতা প্রদৰ্শন না করে আইনের আশ্রয় নেয়ায় ভদ্র লোকের আচরণ হওয়া উচিত।
১৯তম বিষয়
খাদ্যে ভেজাল দাতাদের ভয়াবহ সন্ত্রাস রোধ করা
খাদ্যে ভেজালের পরিণতিতে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিশাল জনগোষ্ঠী এর মাধ্যমে ভয়াবহতম পরিস্থিতির সন্মুখীন হচ্ছে। কঠোরতম সাজা, ক্ষতিপূরণ আদায়, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং law enforcement'র মাধ্যমে ভেজাল দেয়া বন্ধ করা আজ খুবই জরুরী। মসলাতে কাপড়ের রং মিশানো হয়, সেই মসলা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে এবং মানুষের পেটে যাচ্ছে। পৃথিবীর সৰ্বত্র এই নীরব ঘাতকদের বিচারের ব্যবস্থা থাকবে না কেন? ২০১৫'র শেষদিকে সংবাদে সবাই জেনেছেন ভোজ্য তেলে কোকেন পাওয়া গেছে। এর ফলে মানুষের যে কি ভয়াবহ ও বহমুখী ক্ষতি হতে পারে তা সাধারণ মানুষের অনেকেই জানে না।
২০তম বিষয়
মৈত্রীজোট গঠন ও আস্থার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা
যুদ্ধ, হানাহানি, খুন ইত্যাদি হয় হিংসা, অবিশ্বাস, ঘৃণা, স্বাৰ্থদ্ধন্ধ, লোভ, আধিপত্যবাদ, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি থেকে। সভ্য লোকদের মৈত্রীর পরিধি ব্যাপক হলে ব্যবসা, নিরাপত্তা, শান্তি, সহযোগিতা দরদ ইত্যাদি সবকিছুই আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। সভ্যদের শক্তির কাছে অশুভ শক্তি পরাজিত হবে। আর এটা বলাই বাহুল্য প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীকে এর অন্তৰ্ভূক্ত করা যাবে।
২১তম বিষয় (একবিংশতিতম)
আন্তৰ্জাতিক মানের মিডিয়ার ভূমিকা
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কি কি ঘটেছিল এবং এখনও ঘটে চলেছে তার উপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা।
২২তম বিষয়
রাষ্ট্রীয় জুলুম-বঞ্চনা বন্ধ করা
২৩ তম বিষয়
উগ্র ও মৌলবাদীদের প্রতিবাদের ভাষা ও সংজ্ঞা নিৰ্ধারণ ও আইন করা।
কারণ এদের আস্ফালন ও ঔদ্ধত্যপনা চরম ফৌজদারী অপরাধকেও হার মানায়।
প্রতিকার না করার অৰ্থ এই নয় যে মানুষ প্রতিকার করতে জানে না। উগ্রবাদ পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে৷ এটা না হলে এরা এতদূর এগোতে পারতো না৷ এদের অৰ্থের উৎস, অস্ত্রের উৎস বন্ধ করা জরুরী৷
চলবে-