সমানো মন্ত্রঃ সমিতিঃ সমানী সমানং মনঃ সহ চিত্তমেষাম্।
সমানং মন্ত্রমতিমন্ত্রয়ে বঃ সমানেন বো হবিষা জুহোমি ।। ঋগ্ বেদ।
অৰ্থঃ- তোমাদের মন্ত্র সমান হোক, সমাজব্যবস্হা সমান হোক, মন এবং চেতনা সমান হোক, তোমাদিগকে সমান মন্ত্রই বলছি, সমান হবিঃ দ্বারা আহুতি প্রদান করছি ।
পরমপুরুষের কন্ঠে ধ্বনিত হল -
"একত্রাতা এক মন্ত্র
তন্ত্র একে অধিষ্ঠান ।
এক আদেশে চলে যারা
তাদের নিয়েই সমাজ গড়া।"
পথের কড়ি
(বাণী নং - ২৪৭)
" ঋষি, মহাপুরুষ, প্রেরিত বা যুগপুরুষোত্তমের
চিত্তবিগলিত শ্রীমুখনিঃসৃত দীপ্ত ভাষা
উপাসনা বন্দনাদি
প্রাণাভিষ্যন্দী সিদ্ধ প্রেরণাযুক্ত,-
তাই, তাঁহাদের অনুসৃত সন্ধ্যাবন্দনাদির স্তুতিবাক্
মন্ত্র বলিয়াই গৃহিত হইয়া থকে- ......"
জীবন-বৰ্দ্ধন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ নীতি বলেই লোকতীলক পতিতপাবন শ্রীশ্রীঠাকুর জীবন-বৃদ্ধি বা বাঁচা-বাড়া কে শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম বলে অভিহিত করেছেন। কঠোর সাধন-তপস্যা করার চাইতে মানব সেবা ও জীব সেবা অতি উত্তম ও সহজ ঈশ্বর দৰ্শনের জন্য। তাই তো স্বামীজী বলেছেন, ......জীবে প্রেম করে যেই জন - সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ।। এর সঙ্গে অবশ্যই কৰ্ম করতে হবে, যা পতিতপাবন শ্রীকৃঞ্চ জোর দিয়ে বলেছেন। তার সাথে গুরু আদিষ্ট নিয়মে নাম জপ করতে হবে। পরম পুরুষের উক্তি- " নামে মানুষকে তীক্ষ্ণ করে "।
কৰ্ম সমম্বিত ধ্যানও করতে হবে। "ধ্যানে মানুষকে স্হীর ও গ্রহণক্ষম করে" - এটিও পরমপুরুষের উক্তি। জীবন-বৰ্দ্ধন কেন শ্রেষ্ঠ নীতি তা পরে লেখা হবে। জীবন-বৰ্দ্ধনে শুধু খাওয়া ও খাওয়ানোর বিষয় সম্পন্ন হয় তা নয়।
মহাকালের শ্রোতধারার মাঝে ধরিত্রীর বেদনা ঘুচাতে, জীবের হৃদয়ের হাহাকার থামাতে রক্ত-মাংস সঙ্কুল জীবপ্রভ নরনারায়ণ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ঐশী কণ্ঠে ধবনিত হলো 'ত্রস্ত দোদুক্ষিত দেবতার কান্না ..... ........।' ভাগ্য বিড়ম্বিত, দূৰ্ভাগা স্বদেশবাসী 'স্বাতী নক্ষত্রের জল' ধরতে পারেনি। পারার চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না। সেই 'দেবোজ্জ্বল প্রচেষ্টাকে' এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাঁচা-বাড়ার দৈবী বিধানগুলোকে বিকৃত করছেন কেউ কেউ, আর কেউ কেউ চেপে চেপে এগিয়ে যাচ্ছেন। ফলাও করে সমাজের কাছে তুলে ধরেছেন এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন ?
কয়েকটি জায়গায় অভাবের নিৰ্মম নিস্পেষণে থেকে (জায়গাগুলোর নাম বলতে হবে?) মানুষ যে নিস্পেষিত হচ্ছে সেখানে গিয়েছেন কি কোন দিন ? আপনাদের মহাজ্ঞানের কি দাম ? আপনারা উপদেশ দিয়ে উপদ্রপ করেন। ময়মনসিংহের গাড়ো অঞ্চল, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নানুপুর চা-বাগান অঞ্চল, সিলেটের কতিপয় চা-বাগান অঞ্চল, টিলিভিশনে দেখেন নাই ? এতে সমাজের দায়ও রয়েছে অনেক, কিন্তু সনাতনী সমাজ নিৰ্বিকার।
পরমপুরুষ কেঁদেছেন মানুষকে বাঁচাতে এবং বিশ্বকে বাঁচাতে। তিনি যে বিধান দিলেন তা একবারের জায়গায় দশবার প্রচার ও পালন করে মানুষকে জাগাতে পারেন কিনা তা চেষ্টা করে দেখেছেন কি ? বরং তাঁর দৈবী প্রচেষ্টাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেয়ার জন্য এক দল তাঁর ঐশী বাণীকে বিকৃত করে দিলেন। আমার বক্তব্য কোন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষে বিপক্ষে নয়। যুগাবতার এসেছিলেন সবার জন্যে। তিনি সমাধান দিয়েছেন সবার মঙ্গলের জন্যে। এই ধারা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে । যে জিনিসে শুরুতেই মিথ্যা থাকে তা কোন দিন টিকে থাকতে পারে না। তবে সত্যকে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারবে না। মিথ্যা দিয়ে কল্যান প্রসবী কোন কিছু হয় না। শ্রীশ্রীঠাকুরের দ্বিতীয় আত্মজ প্রয়াত পূজ্যপাদ বিবেকরঞ্জন চক্রবৰ্ত্তী মহোদয় এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি তখন ১৯৬৯/১৯৭০ সালের দিকে নকল দলীলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সাময়িকীতে লিখেছিলেন। তাঁর লেখাটির শিরোণাম "আমি যা বুঝি" যা 'অনুকূলচন্দ্র ডট কম' ওয়েব সাইটে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখিত সমস্যার সমাধান তাঁর লেখার উপজীব্য বিষয় নয়। তাঁর লেখাতে পুরোপুরি বা সমস্ত বিষয় পাওয়া যাবে না। কেননা তাঁর লেখার পরেও অনেক পরিবৰ্তন, পরিবৰ্ধন হয়েছে। সমাধান পাওয়া যাবে যুগ পুরুষোত্তমের বাণীতে। শ্রীশ্রীঠাকুরের দৈবী উক্তি অমৃত নিষ্যন্দী ছড়ায় ব্যক্ত হয়েছে --
ইষ্টাৰ্থটির ব্যতি্ক্রম যা'
যতই মহান যেমন বলুক,
ধরবি নেকো করবি নিরোধ
অসৎ-আপদ যাই আসুক।
এক মন্ত্র, এক মনন ও সমান আকূতি নিয়ে যদি একেই অভিগমন করে চলার পথে আমরা সমবেত হতে পারি তাহলে এসব লেখার প্রয়োজন হবে না। শপথ করে বলছি, এসব মুছে দেব। আমি এখনও মনে করি সুনিষ্ঠ আচারবান, তঁৎচৰ্য্যাপরায়ণ ব্যক্তি পরমপুরুষের সন্তান সন্ততিদের মধ্য থেকে আমরা পেতে পারি।
সুনিষ্ঠ আচারবান, তঁৎচৰ্য্যাপরায়ণ বলতে শ্রীশ্রীঠাকুরের নিৰ্দেশনা থেকে বুঝি, তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের চতুস্তম্ভ থেকে পঞ্চনীতি সহ যাবতীয় বিষয় পরিপালনে রত এবং জনসমক্ষে ফলিত রুপ প্রদৰ্শন করছেন। তাঁর নিৰ্দেশনায় বিশ্ব সৎসঙ্গ চলবে। পৃথিবীর যে সব দেশে তিনি নেই, সে সব দেশে অবস্হিত মন্ত্র শিষ্যেরা তাঁর উন্মুক্ত ও অকাট্য যৌক্তিক নিৰ্দেশনায় চলবেন। অন্যথায় খণ্ড খণ্ড ভাবে চললে এই দৈবী দৰ্শন অনুসারীদের কিছু খণ্ডাংশ মাঠে মারা যেতে পারে।
পুরোটা কোনদিন অস্হিত্ব হারাবে না, কারণ এতে ঈশ্বরীয় শক্তি নিহিত আছে।
TASC & SATSANG'র পক্ষ থেকে সৎসঙ্গী ও
অনুরাগীদের প্রতি আবেদন -
ক্লাবসৰ্বস্ব মন্দিরগুলোকে আশ্রমে রুপায়িত করে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও সুবিবাহের বাস্তবায়ন করা জরুরী বলে মনে করছি। পঞ্চনীতি পালনের মাধ্যমে বাঁচা বাড়াকে অগ্রাধিকার প্রদান করার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। শহরাঞ্চলের আশ্রমগুলো গ্রামে জমি ক্রয় করে 'কৃষি' বাস্তবায়িত করার পরামৰ্শ নিবেদন করছি। উক্ত সকল বিষয়ে ও কৃষিকে দেখাশুনার দায়িত্ব পালনে অন্তৰ্ভূক্তির মাধ্যমে তরুনদের কৰ্মসংস্হানের আহ্বান জানাচ্ছি। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঐশী আশিস্ অৰ্জন করার সুবিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি -
* কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
* ফ্রী- টিউটোরিয়াল
* ফ্রী- Pre-marriage consultation centre(center)for Eugenics
* ফ্রী চিকিৎসা সেবা (দারিদ্রানুপাতিক)
* ফ্রী বা স্বল্পমূল্যে ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্হা
* দরিদ্র রোগীর জন্য ফ্রী রাইডিং ব্যবস্হা
* দরিদ্র লোককে Utility Subsidy দেওয়া
* ভূত কল্যানে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ে অৰ্থ সহায়তা
* Unhygienic living এর বিপক্ষে প্রচারণা ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্হা জানানো
* Food Bank সহজীকরণ
* শিক্ষাভাতা চালুকরণ
* বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ
*স্বস্তি সেবক, কৃষ্টি প্রহরী ও কৃষ্টিবান্ধব সংগ্রহ করণ
* আৰ্য্য ঋষিদের বৈজ্ঞানিক ভাবনার প্রসারণ
*ধৰ্ম-সাহিত্যের গবেষণা ও ফলিত রুপ প্রদান
* সকল সম্প্রদায়ের যুগাবতারগণের ঐশী বাণীগুলোর সাদৃশ্য অনুশীলন ও সার গ্রহণ
* অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন
* ধৰ্মীয় ভাবগম্ভীরতা রক্ষার একান্ত অত্যাবশ্যকীয় ট্রেনিং গ্রহণ
* ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ব সংবাদ পৰ্যালোচনা, গবেষণা, লিখন ইত্যাদিতে নিয়োজিত করণ
*শ্রীশ্রীঠাকুরের ঐশী দৰ্শন নিয়ে গবেষণা সেল গঠন
*মেধাবিকাশের জন্য ব্যবস্হা গ্রহণ
*আশ্রমে ভ্রাতৃভুজ্য বিতরণ (বিস্তারিত সঠিক ইষ্টভৃতি দ্রষ্টব্য)
*পারিপাৰ্শ্বিক তহবিল গঠন (সম্প্রদায় নিৰ্বিশেষে)
*অভাবী ও নিস্পেষিতদের এলাকায় গমন ও প্রতিকার গ্রহণ
*শ্রীশ্রীঠাকুরের নিৰ্দেশিত ভেষজগুলোর উপর গবেষণার জন্যে সেল গঠন
*চতুস্তম্ভের বাস্তবায়নে পরিষদ গঠন
*পঞ্চনীতির বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ
*পঞ্চনীতির অন্যতম ইষ্টভৃতি পূৰ্ণাঙ্গরুপে পরিপালনের উদ্যোগ গ্রহণ
*Full-Timer ঋত্বিকদের পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব গ্রহণ এবং
*ঋত্বিকগণ ঠাকুরের নিৰ্দেশিত - দুইশত পরিবারের হিত সাধনের দায়িত্ব গ্রহণ ও ইষ্টের বাণী অবিকৃভাবে পালন ও বাস্তবায়নরত থাকার নিষ্ঠা প্রদৰ্শন
*শ্রীশ্রীঠাকুর নিৰ্দেশিত কুটির শিল্প বাস্তবায়ন
*Divine economy চালুকরণ
*পুরোহিত কল্যাণ তহবিল গঠন
*প্রাচীন স্হাপনা ও মঠ-মন্দির রক্ষা কমিটি গঠন
*টোল শিক্ষা, বাস্তব সংস্কৃত শিক্ষা ও শাস্ত্র শিক্ষাদান শুরুকরণ
* বাদবাকীগুলোর ব্যবস্হা গ্রহণ ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য TASC & SATSANG,USA এর পক্ষ থেকে সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।
প্রথম তীৰ্থভূমি হিমাইতপুর-বাংলাদেশ, দ্বিতীয় তীৰ্থভূমি দেওঘর-ভারতে অবস্হিত।
সকল নিষ্টাবান ভক্তদের সাথে নিয়ে তৃতীয় তীৰ্থভূমি USA তে (যুক্তরাষ্ট্রে) গড়ে তোলা যায়। আমাদের ঐকান্তিক ইচ্ছাও তাই। পরমপুরুষ পৃথিবীতে আসেন সকলের কল্যানের জন্য। আমেরিকার সুযোগ্য নাগরিক শ্রীশ্রীঠাকুরের ভক্ত Mr. Eugene Exman এর আশা ছিল শ্রীশ্রীঠাকুরকে আমেরিকায় নিয়ে যাবেন।
শ্রীশ্রীঠাকুরের সাথে আলোচনারত এক্সম্যানদা-
দেখতে Click করুন-
Scholar & Enthusiastic people arround S.S.Thakur
অসংখ্য জীবনের আৰ্তনাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে পারি, এই তুলে ধরা সরকারের বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ নয়। কারণ বাংলাদেশে বৰ্তমান সরকার ও সরকার প্রধান যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা অভূতপূৰ্ব এবং তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে সাধারণ মানুষের অন্তৰ্ভূক্তি আশানুরুপ নয়।
তাছাড়া সৎসঙ্গ আন্তৰ্জাতিক Platform বিধায় যাজন মূলক এই আবেদন দেশ, কাল, গন্ডীর সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়।
চলবে