abolish the misery-temptation.
Education শব্দটি শুনে নাই, এমন লোক হয়তো দুনিয়ায় নেই। এই শব্দটির সাথে Care এর ব্যাপার রয়েছে। আমার মনে হয় যাঁদের জীবনে Care এর বিষয়টি যত বেশী গুরুত্বপূৰ্ণ, পৃথিবীতে তাঁরা তত বেশী Educated বলে বিবেচিত হওয়ার অধিকার রাখেন। আমি ভাষাবিদ নই, বোবাও নই। অন্য হাজার জনের মত কথা বলি, কথা শুনি, ভাষা-বুলি ব্যবহার করি। তবে যুগদিশারীর কথায় আমরা বুঝতে পারলাম শব্দের যথাৰ্থ অৰ্থ অনেক সময় হারিয়ে যায় অথবা আমরা ভুল অৰ্থে ব্যবহার করি। যেমন- সন্ন্যাস, চূড়াকরণ, ব্রম্ম, দেবতা ইত্যাদি।
The 'Education' word is associated with the Latin Language. Etymological meaning অনুসারে Education অৰ্থ- পোষণ করা, প্রতিপালন করা, সেবা করা বুঝায়। Education শব্দটি Latin ভাষা থেকে সৃষ্ট। এটি এসেছে Latin Educare, Educere থেকে। উৎপত্তিগত অৰ্থে Edu-care, Educ-ere মানে to nourish, to care, to bring up.
Care ও Nourish: মানুষের মধ্যে চরম দায়িত্ববোধ থাকলে তাঁরা Care, Nourish ইত্যাদি করেন। মানুষ না খেয়ে মরে যাচ্ছে। খাবারের জন্য হাত না পাততে আত্মহত্যা করছে। প্রয়োজন মাসের খাবার, দেয়া হচ্ছে একদিন বা তিন দিনের জন্য। চৰ্চা নেই, প্রস্তূতি নেই , মাৎসৰ্য্য ভাব প্রবল। তারপরও কি বলা যায় আমরা যথাৰ্থ Care করি? যথাৰ্থ না হওয়ার কারণ লাগাতার না করে আমরা মৌসুমী আয়োজনে মাতি। এখনও সঠিক সময়ে আমরা কোন কিছুই করি না। ৯টার গাড়ি এখনও না-টায় (কোন নিৰ্দিষ্ট 'টা' নেই) ছাড়ে। বাধার কথা আগে চিন্তা করি।
লাগাতার হলেও গাড়ির গতিবেগের মত উঠা নামা থাকবে। (লাগাতার শুনে পেনিক হওয়ার কিছু নেই।) এই Careness আসে একটি বিষয় থেকে। আর বিষয়টি আসে জীবনের গুরুত্বপূৰ্ণ একটি দিক থেকে, যা অৰ্জন সাপেক্ষ ব্যাপার। আর সেই অৰ্জন মানুষকে পরিপূৰ্ণতা দান করে। আমি এসবে এখনও পাশ ( স ও শ দু'টিই সঠিক ) করিনি, তাই বৰ্ণনা লিখি নাই। আত্মকেন্দ্রিকতার প্রাবল্য দেখছি, Careless'র প্রাবল্যও দেখেছি। অথচ ধাৰ্মিক শব্দটি আমরা বেশী ব্যবহার করি। আমাদের ধাৰ্মিকতা কেন এত দূৰ্বল? আমাকে সত্য বলতে হবে। পরমপুরুষ বলেছেন- ইউরোপ, আমেরিকা আমাদের চেয়ে বেশী ধাৰ্মিক। -নানাপ্রসঙ্গে-১ম খন্ড, পৃ-৫ . Education এর যথাৰ্থতা এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। আৰ্য ঋষিদের মধ্যে Education তথা Careness এর এই যথাৰ্থতা শতভাগ নয়, সহস্রভাগ বিদ্যমান ছিল। শ্রীশ্রীঠাকুর আৰ্যরোল তথা আৰ্য্যধারা আবার জাগ্রত করতে বলেছেন।
Degree vs Education: শ্রীশ্রীঠাকুর ডিগ্রীর সাথে Education কে সমাৰ্থক করেননি। যদি তা করতেন তাহলে তাঁর বাণী Education'র প্রকৃত অৰ্থের সাথে মিলতো না।
Degree vs Literation: শ্রীশ্রীঠাকুর ডিগ্রীর সাথে Literation কেও সমাৰ্থক করেননি। Literate লোককে বিদ্যান বলেছেন, কিন্তু Degree বা উপাধি বিদ্যার যথাযথ মাপকাঠি নয় বলেছেন।
অভিমত: হয়ত এই কারণে উচ্চ ডিগ্রীধারী লোকও দরিদ্র হয়।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন- "Education is the manifestation of perfection already in a man."
S.S.Thakur.
"মানুষের মধ্যে সরাসরি পরিপূৰ্ণতার বিকাশ সাধনই হলো শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।"
পরিপূৰ্ণতার বিকাশ সাধন না হলে Educated হওয়া যায় না। পরমপুরুষের প্রতীতি তথা অবগতি শক্তি কালাতীত। এতগুলো শব্দের অৰ্থ বলতে গিয়ে তিনি Dictionary কোনদিন দেখেন নি। Dictionary থেকে তাঁর কথা মিলিয়ে নিতে বলেছেন বহুবার। একাধিক শ্রূতিলেখক তাঁর পাশেই থাকতেন এবং তাঁদের বলতেন মিল খুঁজে নিতে।
পরমপুরুষ আরও বললেন- "Education (শিক্ষা) মানে আচার, আচরণ, চরিত্র। সেটা পুঁথিতে বা স্কুল বাড়ীতে মজুত থাকে না বা সরকারী দপ্তরখানায় পয়দা হয় না। সেটা আসে চরিত্র বা আচারবান আচাৰ্য্যের প্রতি সেবাময় শ্রদ্বার ভিতর দিয়ে।"
পরিপূৰ্ণতাদায়ী শিক্ষার প্রকারভেদ-
শিশুর গুণ-বৈশিষ্ট্য মাফিক শিক্ষার কথাও বলেছেন। হাতে-কলমে করার বিষয় নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে তাঁর শিক্ষাদৰ্শনে।
অভিমত: সেদিন বেশী দূরে নয়, যুগদিশারির শিক্ষা পৃথিবী খুঁজে নেবে। আমিও তখন প্রকারভেদ নিয়ে বলব। এক মাপের জামা সবার গায়ে মানানসই (fit) হয় না।
Literation মানে পুঁথিগত বা লিপিবদ্ধ অক্ষর, সংখ্যা , প্রযুক্তিগত জ্ঞান, চিকিৎসাগত তথ্য, বিদ্যা ইত্যাদি। এসব জ্ঞানে পারদৰ্শী লোককে বিজ্ঞ বিদ্যান ব্যক্তি বলা যাবে নিঃসন্দেহে, কিন্তু এগুলোর সাথে আচার -আচরণ, চরিত্র গঠন যথাযথ ভাবে না হলে সেখানে নিকটতম সময়ে বা সমসাময়িককালে মানবিকতার ঘাটতি ঘটতে পারে এবং তা এক পৰ্যায়ে বিপৰ্যয়ে রুপ নিতে পারে৷ এমন একটা সময় আসতে পারে তখন মানুষ উন্মূক্ত স্থানে শৃগাল, কুকুরের মত আচরণ করতে পারে৷ দেখা গেল একজন ছাত্র শিক্ষককে একটি জিনিস দেখিয়ে দিচ্ছে পা দিয়ে৷ শিক্ষক বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি৷ ছাত্রটিও স্তম্ভিত হয়ে গেল শিক্ষকের রাগাম্বিত ভাব দেখে৷ সে বলল, আমরাতো এভাবেই সচরাচর দেখিয়ে দিয়ে থাকি৷ এই আচরণটি প্রথমে আমিও মেনে নিতে পারিনি৷ ভেবেছিলাম এটাই হয়তো নিয়ম, কিন্তু শিক্ষক যখন মেনে নিতে পারলেন না, তখন বুঝতে পারলাম এটা নিয়ম নয়৷ এটা অশিক্ষার ফসল৷ অশিক্ষা বা ভুল শিক্ষার কারণে বুলিং ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাচ্ছে৷ রাস্তাঘাটে ইয়ারকির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে৷ তাই দেখা যায় অত্যন্ত উঁচু মাপের ডিগ্রীধারী লোক অত্যন্ত হীন আচরণ করছেন। পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে নকল করার সময় ধরলে সেই ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত হয়। ছেলেমেয়ে আদব কায়দা ভুলে যাচ্ছে, শেষে এটা সমাজে ছড়িয়ে যাচ্ছে৷ যেহেতু আমরা সমাজবদ্ধ, সেহেতু সমাজের গতি বেসামাল হতে দেওয়া ঠিক হবে না৷ শিক্ষককে যথাযথ সন্মান দেখানো বাধ্যতামূলক হওয়া চাই। দুই চার জন খারাপ ছাত্রের কারণে ক্লাসের ২০ জন ছাত্র নষ্ট হতে দেয়া যায় না। যুগ যুগ ধরে গড়ে তোলা উন্নত সমাজের পতন হতে দেয়া ঠিক হবে না। পরমপুরুষ এই অবক্ষয় রোধ করতে ৭০/৮০ বছর পূৰ্বে সতৰ্ক করে বলেছেন,
শিক্ষাতে আন শ্রদ্ধা সুর
দৈন্য, পিশাচ কররে দূর।
Translated in English
Bring the melody of respect in education,
মানবিক গুণাবলী হারিয়ে গেলে সেই জাতির মৰ্যাদা, গৌরব, খ্যাতি ইত্যাদি খেলো হয়ে যায়।
চিত্তক্ষোভ, বিষন্নতা ইত্যাদি দূর করতে স্কুলে গাঁজা সেবনের অনুমতি দিচ্ছে বা দেয়ার কথা ভাবছে। এমন বিষয় অত্যন্ত হতাশাজনক।
শিক্ষাগুরুর প্রতি আজ্ঞাধীন থেকে শ্রদ্ধা, সম্মান, প্রগতি ও উন্নতিকে আশ্রয় করে প্রতি প্রত্যেক শিক্ষাৰ্থী নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য মাফিক অগ্রগতি সাধনে অফুরাণ সুযোগ লাভের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করবে । এমনতর শিক্ষা পদ্ধতির আলোকময় নিৰ্দেশনা ব্যক্ত করেছেন পরমপুরুষ।
পাবকপুরুষের প্রজ্ঞারঞ্জিত বাণী শুনে পরিতৃপ্তি লাভ করেছেন জ্ঞানীজনেরা । তাঁর তেমনতর একটি বাণী-
Education is to edit
the experience and knowledge
that nurture our existence
with every
progressive push.
ছন্দে -ছড়ায় অনুবাদ
..................................................................
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাৰ্যে পরিণত করা
শিক্ষা বলে তারে,
যা সৰ্বাগ্রগতিমূলক প্রচেষ্টার সাথে
আমাদের অস্তিত্বকে পুষ্ট করে।
মানুষ শিশু রুপে জন্মায়। এরপর শিশুকে শিক্ষার মাধ্যমে মানুষে রুপান্তরিত করতে হয়। তবে জন্মগত সংস্কার ও গুণ-বৈশিষ্ট্য সাৰ্থক সংগতিপূৰ্ণ হলে এবং জন্মশুদ্ধি ঠিক যার যে মাত্রায় ঠিক থাকবে তার মধ্যে শিক্ষার মাধ্যমে সেই মাত্রার পরিপূৰ্ণতার বিকাশ সাধিত হবে। সন্তান জন্মের ব্যাপারে জাতিগতভাবে উচ্চভাবসম্পন্ন সংস্কার(পালনীয় রীতি), আচার, নিয়ম ইত্যাদি মেনে চলে এমন বিভিন্ন জাতি রয়েছে। জঠরে সন্তান ধারণের পর বিভিন্ন রকমের নিয়ম, রীতিধারা পালন করে বিভিন্ন জাতি। এসবকিছু করা হয় উন্নত জাতকের আশায়। জন্মগত ত্রূটি থাকলে তাকে শিক্ষিত করা বা মানুষ করা কষ্টসাধ্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে অসম্ভব। সেটি তখন আম গাছে কাঁঠাল ফলানোর মত অবস্থা হতে পারে।
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাৰ্যে পরিণত করতে পরমপুরুষ কিছু সূত্র দিয়েছেন এবং সেই শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য মাফিক সাৰ্বিক অগ্রগতি কিভাবে হয় তা হাতে-কলমে করে দেখিয়েছেন।
চলবে