পরমপুরুষের সাবলীল ব্যাখ্যায় চক্রশক্তি
মানুষের দেহের বিভিন্ন নাড়ির সংযোগ কেন্দ্রবিন্দু যা ধ্যানের অনুশীলনে শক্তি সঞ্চারের তরে ব্যবহৃত হয়, চিহ্নিত করা হয়। যেমন- আজ্ঞাচক্রের মধ্যে ধ্যানানুশীলন, এই রকম আরও ছয়টি চক্রের বিষয় শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শরীরে স্থিত সূক্ষ্ম এই সাতটি সংযোগ স্থলকে সপ্তচক্র বলা হয়। অন্যান্য সাধন স্তরে ১১৪ বা ১০৮টি চক্রের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এই চক্র সম্পৰ্কে শ্রীশ্রীঠাকুরের বৰ্ণনা নিচে ছবি সহ সাধ্যমত উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মনিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও আজ্ঞা- ষট্চক্রের ভিতর কত কি আছে জানিও না- তাদেরই বা মানে কি?
শ্রীশ্রীঠাকুর: Spinal cord বা মেরুদন্ডের যে যে অংশ হতে nerve plexus with ganglia বেরিয়ে স্নায়ুর জাল বিস্তার করে নানা দিকে বিক্ষিপ্ত হয়েছে সেই সেই অংশই এক একটা চক্র। যেমন- cerebral plexus, dorsal plexus, humbar plexus, sacral plexus আর base of cerebrum যাকে বলে আজ্ঞা চক্র। মনসংযোগ দ্বারা ঐ এক একটা region কে excite করে স্নায়ু ও মস্তিষ্ক কোষগুলিকে তেমনতর stimulus দিয়ে তাদের sensitiveness ও receptivity কে বাড়িয়ে তোলা...................। (নানপ্রসঙ্গেে তৃতীয় খন্ড)
মধ্যম বা তীব্র নাম-ধ্যান করার ফলে মেজাজ চড়ে যায় কেন? উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, ধ্যানও করা চাই তীব্রভাবে। আর ধ্যানের মধ্যে আছে কৰ্ম। এই সম্পৰ্কে 'নানা প্রসঙ্গে' গ্রন্থের তৃতীয় খন্ডের ৪৯/৫০ পৃষ্ঠায় বিশদভাবে বলা আছে। প্রেষ্ঠপ্রীতি মুখী কৰ্ম বাদ দিয়ে বেঠিক নিয়মে ধ্যান করলে ক্ষতি হতে পারে। তাই করার পূৰ্বে জানা আবশ্যক।