আধুনিক যুগে অবিকৃত, অবিকল ও উন্নত ছবি বা মূৰ্ত্তি বাদ দিয়ে বিকৃত ছবি ও মূৰ্ত্তি দিয়ে বিশাল মন্দির সাজানো হচ্ছে৷ মন্দিরে স্হাপিত মূৰ্ত্তিটি কি পুরুষোত্তমের না কি অন্য একটি মনগড়া কিছু৷ অবিকৃতি অটুট রাখার সুযোগ থাকা সত্বেও কেন এটা হচ্ছে? এর মানে প্রিয়পরমকে অবিকৃত রাখার যোগ্যতাও কি আমাদের নেই৷ বিকৃত ছবি থেকে ছবি এভাবে বাজার ভরপুর হয়ে গেছে ৷ এগুলোর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে আসল হারিয়ে যেতে বাধ্য৷ মনগড়া একজনের সামনে বসে আমি প্রাৰ্থনা করছি অথচ তাঁর আসল ছবি রয়েছে অনেক৷ ভক্তেরা পুরুষোত্তমের শ্রীচরণে জ্যোতি ছবিটি প্রাথৰ্নার আসনে রাখার অনুমতি নিয়েছিল৷ তাঁরই জন্মভূমি ও লীলাভূমি হিমাইতপুরে দীৰ্ঘ ৫৮ বছরের ইতিহাসের অংশে সেই ছবির ইতিহাসও রয়েছে৷ সেই ছবির মধ্যে যে জ্যোতি আছে বা যে শিক্ষণীয় ব্যাপার রয়েছে তা কি বিকৃত একটি ছবিতে আছে? যুগ পাল্টেছে তাই যুগধৰ্মও পাল্টেছে৷ আৰ্য্যগণ প্রতিদিন পঞ্চযজ্ঞ করতেন৷ যা বৰ্তমানে শ্রীশ্রীঠাকুর প্রবৰ্তিত ইষ্টভৃতি যজ্ঞ৷ আজকাল কি সেই সময় কারও আছে বা সমাজে কি চালু আছে সেই পঞ্চযজ্ঞ? তাই ছবির ব্যাপারে একলব্যের যুগের উদাহরণ ভাবাও অসমীচিন৷ বিকৃত ছবিগুলো শীঘ্রই দেখাব৷আমি বিভাজন চাই না, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি শ্রীশ্রীঠাকুরের একটি অংশের মধ্যে ব্যাপক পরিবৰ্তন ঘটবে৷ আপনাদের ভালোবাসি, তাই বলছি কিছু হারাবেন না, আপনারা আমাদের ভাই৷