.
পরমতীৰ্থ হিমাইতপুরে অবস্হানকালীন সময়ের ঘটনা
.
.
পরমতীৰ্থ হিমাইতপুরে অবস্হানকালীন সময়ের ঘটনা
.পুণ্যতীৰ্থ দেওঘরে অবস্হানকালী সময়ের চিত্র
.
.
পরমতীৰ্থ হিমাইতপুরে অবস্হানকালীন সময়ের ঘটনা
.
.
পরমতীৰ্থ হিমাইতপুরে অবস্হানকালীন সময়ের ঘটনা
.
.
.
পুণ্যতীৰ্থ দেওঘরে অবস্হানকালী সময়ের চিত্র
.
পুণ্যতীৰ্থ দেওঘরে অবস্হানকালী সময়ের চিত্র
.
.
.
পুণ্যতীৰ্থ দেওঘরে অবস্হানকালীন সময়ের চিত্র
শ্রীশ্রীঠাকুরের লীলাসহচর
শ্রদ্ধেয় হাউজারম্যানদা
.
*প্রথম তীৰ্থভূমি হিমাইতপুর-বাংলাদেশ, দ্বিতীয় তীৰ্থভূমি দেওঘর-ভারতে অবস্থিত।
*সকল নিষ্টাবান ভক্তদের সাথে নিয়ে তৃতীয় তীৰ্থভূমি USA তে (যুক্তরাষ্ট্রে) গড়ে তোলা যায়। পরমপুরুষ পৃথিবীতে আসেন সকলের কল্যানের জন্য। আমেরিকার সুযোগ্য নাগরিক শ্রীশ্রীঠাকুরের ভক্ত Mr. Eugene Exman এর আশা ছিল শ্রীশ্রীঠাকুরকে আমেরিকায় নিয়ে যাবেন এবং শ্রীশ্রীঠাকুরের অমূল্য দৰ্শন জনজীবনে প্রচার করবেন। বাৰ্ধক্যজনিত কারণে এত দূর দেশে গমনে তখন অসক্ত হয়ে পড়েন শ্রীশ্রীঠাকুর।
* রোগ ও চিকিৎসা - জ্বর উঠেছে এখন, ঔষধও এখন চাই, কিন্তু কিছু রোগ থেকে আরোগ্য লাভ সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব নয়। যেমন ফুসফুসে ক্যান্সার। চাইলেই কালকে আরোগ্য করা সম্ভব নয়। সাধারণ রোগের চিকিৎসা হয় প্রচলিত নিয়মে। সমাজ জীবনে, জাতীয় জীবনে যখন রোগ আসে তখন পরমপুরুষগণ(যুগাবতারগণ) ধরণীতে অবতীৰ্ণ হন এবং তাঁরা রোগ থেকে পরিত্রাণের বিধান দান করেন। বিধানগুলো সাধারণ মানুষের মনের সাথে কতটুকু মানানসই, সেই চিন্তা নিয়ে তাঁরা কাজ করেন না। (পরমপুরুষগণের মধ্যে আমরা পাৰ্থক্য করি না-সে বিষয় অন্য পৃষ্ঠায় লেখা যেতে পারে।) কৰ্মক্ষম সুনাগরিক পেতে হলে ১৮ - ২০ বছর অপেক্ষা করতেই হবে। যেমন আম গাছ। আজকে চারা লাগালে কালকে সেই গাছে আম ধরবে না। তিনি বিবাহে সংস্কার আনয়নের কথা বলেছেন, জরুরী ভিত্তিতে এই কাজ করতে বলেছেন। অন্যথায় নীতিহীন, বেঈমান বেড়ে যাবে সমাজে। এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধুর পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাবে। সৰ্বজ্ঞ পুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর যেমন বলেছেন, Dumbness, Feebleness ধরনের ঘাটতি Autistic সন্তানেরও থাকে, অন্যান্য কারণের সাথে প্রতিলোম বিবাহের ফলশ্রুতিতেও এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে দুই ভাগে বিন্যস্ত করা যায়।
N.A.A এর মতে Autism এর সম্ভাব্য কারণ হিসাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো দেখিয়েছে-
Vaccinations
Other environmental exposures
Pesticide expose এরকম মোট সাত/আটটি বিষয় উল্লেখ করেছে।
তবে এক ভাগে Autism, অন্যভাগে hypergamy জাত সমস্যা ও তার প্রতিকার, এইভাবে করা যেতে পারে। এই লেখনীতে কোনটি করা, না করা নিয়ে আমার বক্তব্যের মূল বিষয় নয়। শ্রীশ্রীঠাকুর ও দেশবন্ধুর আলোচনার সূত্রে তারই একাংশ নিয়েই সংক্ষেপে বিষয়টি বৰ্ণনা করার চেষ্টা করছি। যেমন podiatrist doctor পায়ের চিকিৎসা করেন, হাঁটুর চিকিৎসা করেন না, কিন্তু পা কি হাঁটুর সঙ্গে কাছাকাছি ও জড়িত নয়? শ্রীশ্রীঠাকুর জন্মগত ত্রুটির ব্যাপারে বিবাহের সাথে আরও অনেক বিষয়ে নিৰ্দেশনা দিয়েছেন, সন্তান নিৰ্মাতাদের নিয়ম কানুনও মেনে চলতে বলেছেন বারবার। শ্রীশ্রীঠাকুর সুসন্তানের জন্য সু-মাতা ও সু-পিতা চেয়েছেন। তিনি অশ্রুতপূৰ্ব ঐশী ছড়া মন্ত্রের সুরে বললেন -
যে জাতিতে যত বেশী
সাধ্বী ধীরা নারী
উন্নত সে জাতি ততই
বিশ্ব তমো হারী।
পিতার উপরও কঠিন দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর নিৰ্দেশনা, "আদৰ্শ পূরণে পুরুষ, পুরুষ পোষণে নারী।" পুরুষের দায়িত্ব অনেক। পুরুষ মানে পূরণ করা।
আর পূরণ করতে গেলে ব্যাপক দায়িত্ব নেয়ার বিষয় জড়িত হয়ে পড়ে। আজ সমাজের কিছু লোকের অসন্মানজনক কাজের জন্য সন্মানী লোকদের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে। কারণ নিয়ম নীতি বিরুদ্ধ কিছু ব্যাপার সমাজে অনুমোদন পাচ্ছে। আন্তৰ্জাতিক পরিমণ্ডলে উত্তাপের শঙ্কায় সেসবের উদাহরণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাষায় প্রতিলোমজ সন্তানেরা অবিবেচক, জেদী, ক্ষণে-নরম, ক্ষণে-চরম ভাব। এরা অকৃজ্ঞতা, বিশ্বাসঘাতকতা,দূৰ্বল চরিত্র, দুষ্ঠুভাবাপন্ন ইত্যাদি রকমের বৈশিষ্ট্য পেয়ে থাকে।
শাস্ত্রে দুষ্টুভাবাপন্নদিগের ব্যাপারে কিছু নিৰ্দেশনা আছে। তাদের কোন কিছুতে পারিষত্ব করার অধিকার নেই। তাদের হাতে খাওয়া নিষেধ। তারা বিশ্বস্ত নয়। কোন সু-বংশজাত ছেলেকে ঘুষ দিয়ে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিতে রাজী করাতে পারবেন না, মানহানিকর কাজে নামাতে পারবেন না। তাই আজ ভাববার সময় এসেছে।
সংশোধন করার ক্লাস দিয়ে কি গোটা জাতিকে সংশোধন করা যায়? এই বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গে দেশবন্ধুর গুরুত্বপূৰ্ণ আলোচনা হয়েছিল। সংক্ষেপে বলি- দেশবন্ধুজী শ্রীশ্রীঠাকুরকে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, একজন বিশ্বস্ত কৰ্মী পাচ্ছেন না, যার হাতে দায়িত্ব দিয়ে কিছুদিন বিশ্রাম নিবেন। তখন শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, যেখানে বিশ্বস্ত লোকের অভাব সেখানে এই স্বাধীনতা (১৯৪৭ এর স্বাধীনতা প্রসঙ্গে) রক্ষা করবে কে? এই সমস্যা শ্রীশ্রীঠাকুরও প্রত্যক্ষ করেছিলেন। S.S.Thakur's Observation on Marriage & Eugenics তখন শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন, এটি বিবাহজনিত ত্রুটি। সুবিবাহের মাধ্যমে সুসন্তান আনয়ন সম্ভব। যে সন্তানেরা আদৰ্শ ও কৰ্তব্যজ্ঞানে হবে বজ্রকঠোর। এই বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের বেশ কিছু গ্রণ্হ রয়েছে। পরে দেখা গেল শ্রীশ্রীঠাকুরের বক্তব্যের সমৰ্থনে হাজার বছর পূৰ্বে প্রণীত ঋষিদের সংহিতায়ও এই বিষয়ে প্রচুর বাণী, শ্লোক ই্ত্যাদি রয়েছে।
সৰ্বজ্ঞ পুরুষ এসব যে বলে চললেন বছরের পর বছর। ভক্তদের সামনেই তাঁর উন্মুক্ত জীবন, গোপনীয়তা বলে কিছুই নেই। তিনি কখনও পড়েননি বিজ্ঞানের জটিল সূত্র, নেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী, কিন্ত অবলীলাক্রমে ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানের কঠিন ও জটিল বিষয় সব। কেউ শ্রীশ্রীঠাকুরের পাণ্ডিত্য সম্পৰ্কে কিছু তুলে ধরতে কখনও চাননি। তুলে ধরার অবকাশ পাওয়া যায়নি। কারণ, তুলে ধরার পূৰ্বেই তিনি নিজে সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছেন সবার সামনে।
চলবে